< إشَعْياء 32 >
انْظُرُوا هَا إِنَّ مَلِكاً يَمْلِكُ بِالْبِرِّ، وَرُؤَسَاءَ يَحْكُمُونَ بِالْعَدْلِ. | ١ 1 |
দেখো, একজন রাজা ধার্মিকতায় রাজত্ব করবেন এবং শাসকেরা ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে শাসন করবেন।
وَيُصْبِحُ كُلُّ إِنْسَانٍ كَمَلاذٍ مِنَ الرِّيحِ، وَكَمَلْجَأٍ مِنَ الْعَاصِفَةِ، أَوْ كَجَدَاوِلِ مِيَاهٍ فِي صَحْرَاءَ، أَوْ كَظِلِّ صَخْرَةٍ عَظِيمَةٍ فِي أَرْضٍ جَدْبَاءَ. | ٢ 2 |
প্রত্যেকজন মানুষ বাতাসের বিরুদ্ধে রক্ষা পাওয়ার স্থান হবে এবং হবে ঝড়ের বিরুদ্ধে রক্ষা পাওয়ার আশ্রয়স্থান। তারা হবে মরুভূমিতে জলস্রোতের মতো এবং তৃষ্ণার্তদের দেশে এক মহাশৈলের ছায়ার মতো।
عِنْدَئِذٍ تَنْفَتِحُ عُيُونُ النَّاظِرِينَ، وَتُصْغِي آذَانُ السَّامِعِينَ (لاحْتِيَاجَاتِ شَعْبِهِمْ) | ٣ 3 |
তখন যাদের চোখ দেখতে পায়, তারা সত্য দেখবে এবং যারা শুনতে পায় তাদের কান আর বন্ধ করা হবে না।
فَتَفْهَمُ وَتَعْلَمُ الْعُقُولُ الْمُتَهَوِّرَةُ، تَنْطِقُ بِطَلاقَةٍ الأَلْسِنَةُ الثَّقِيلَةُ. | ٤ 4 |
হঠকারী মানুষের মন আমাকে জানতে ও বুঝতে পারবে, তোতলানো জিভ অনর্গল স্পষ্ট কথা বলবে।
وَلا يُدْعَى اللَّئِيمُ بَعْدُ كَرِيماً، وَلا يُقَالُ لِلْمَاكِرِ شَرِيفٌ، | ٥ 5 |
মূর্খ লোককে আর অভিজাত বলা হবে না, আবার খল লোকদেরও উচ্চ সম্মান আর দেওয়া হবে না।
لأَنَّ اللَّئِيمَ يَنْطِقُ بِاللُّؤْمِ، وَقَلْبُهُ يَتَآمَرُ بِالإِثْمِ لِيَرْتَكِبَ شَرّاً وَلِيَفْتَرِيَ عَلَى الرَّبِّ، تَارِكاً الْمُتَضَوِّرَ جُوعاً مِنْ غَيْرِ شِبَعٍ، وَحَارِماً الظَّامِئَ مِنَ الشُّرْبِ. | ٦ 6 |
কারণ মূর্খ মূর্খামির কথাই বলে, তার মন মন্দ নিয়েই ব্যস্ত থাকে: সে ভক্তিহীনতা অভ্যাস করে এবং সদাপ্রভু সম্পর্কে ভ্রান্তির গুজব রটায়; ক্ষুধার্তকে সে খাদ্যহীন রেখে দেয়, পিপাসিতকে পান করার জল দেয় না।
إِنَّ أَسَالِيبَ الْمَاكِرِ شِرِّيرَةٌ، وَمُؤَامَرَاتِهِ خَبِيثَةٌ لِيُهْلِكَ الْبَائِسِينَ بِالأَكَاذِيبِ، حَتَّى لَوْ كَانَ الْمِسْكِينُ يَنْطِقُ بِالْحَقِّ. | ٧ 7 |
খল লোকদের কাজের ধারা মন্দ, সে মন্দতার পরিকল্পনা করে, যেন মিথ্যার দ্বারা দরিদ্রকে ধ্বংস করে, এমনকি তখনও, যখন নিঃস্বের আবেদন ন্যায্য হয়।
أَمَّا الْكَرِيمُ فَبِالْمَآثِرِ يَفْتَكِرُ وَبِالْمَكَارِمِ يَشْتَهِرُ. | ٨ 8 |
কিন্তু মহান মানুষ মহান পরিকল্পনা করে, এবং মহান কাজের দ্বারাই সে প্রতিষ্ঠিত হয়।
أَيَّتُهَا النِّسَاءُ الْمُتْرَفَاتُ الْمُتَكَاسِلاتُ، انْهَضْنَ وَاسْتَمِعْنَ إِلَى صَوْتِي. أَيَّتُهَا الْبَنَاتُ الْمُطْمَئِنَّاتُ أَصْغِينَ إِلَى أَقْوَالِي. | ٩ 9 |
আত্মতৃপ্ত নারী তোমরা, তোমরা ওঠো ও আমার কথা শোনো; নিশ্চিন্তমনা কন্যা তোমরা, তোমরা শোনো আমি কী কথা বলি!
مَا تَكَادُ تَنْقَضِي أَيَّامٌ عَلَى سَنَةٍ حَتَّى تَعْتَرِيكُنَّ رِعْدَةٌ أَيَّتُهَا الآمِنَاتُ، لأَنَّ الْقِطَافَ قَدْ تَلِفَ، وَمَوْعِدَ جَنْيِ الأَثْمَارِ قَدْ أَخْلَفَ. | ١٠ 10 |
এক বছরের একটু বেশি সময় অতিক্রান্ত হলে, নিশ্চিন্তমনা তোমরা ভয়ে কাঁপবে; দ্রাক্ষাচয়ন ব্যর্থ হবে, ফল সংগ্রহের সময় আর আসবে না।
ارْتَعِدْنَ أَيَّتُهَا النِّسَاءُ الْمُطْمَئِنَّاتُ وَارْتَجِفْنَ أَيَّتُهَا الْفَتَيَاتُ الآمِنَاتُ. تَجَرَّدْنَ مِنْ ثِيَابِكُنَّ وَتَعَرَّيْنَ وَمَنْطِقْنَ أَحْقَاءَكُنَّ بِالْمُسُوحِ. | ١١ 11 |
আত্মতৃপ্ত নারী তোমরা ভয়ে কাঁপো, নিশ্চিন্তমনা কন্যা, তোমরা শিউরে ওঠো! তোমাদের কাপড়জামা খুলে ফেলো, কোমরে শোকবস্ত্র জড়িয়ে নাও।
اضْرِبْنَ عَلَى صُدُورِكُنَّ حَسْرَةً عَلَى الْمُرُوجِ الْمُبْهِجَةِ وَالْكُرُومِ الْمُثْمِرَةِ. | ١٢ 12 |
মনোরম মাঠগুলির জন্য তোমরা বুক চাপড়াও, ফলবতী দ্রাক্ষালতাগুলির জন্য
لأَنَّ أَرْضَ شَعْبِي تُنْبِتُ الشَّوْكَ وَالْحَسَكَ، فَتَنْمُو حَتَّى فِي كُلِّ بُيُوتِ الْفَرَحِ فِي الْمَدِينَةِ الْمُبْتَهِجَةِ. | ١٣ 13 |
এবং আমার প্রজাদের দেশের জন্য, যে দেশ কাঁটাঝোপ ও শিয়ালকাঁটায় ভরে গেছে— হ্যাঁ, তোমরা আমোদ-স্ফূর্তিপূর্ণ গৃহগুলির জন্য এবং হৈ-হল্লাপূর্ণ এই নগরীর জন্য শোক করো।
لأَنَّ الْقَصْرَ يُصْبِحُ مَهْجُوراً، وَالْمُدُنَ الْعَامِرَةَ خَالِيَةً، وَالتِّلالَ وَالْبُرُوجَ مَغَاوِرَ إِلَى الأَبَدِ، وَمَرَاحاً لِلْحَمِيرِ الْوَحْشِيَّةِ وَمَرْعىً لِلْقُطْعَانِ، | ١٤ 14 |
এই দুর্গ পরিত্যাক্ত হবে, কোলাহলপূর্ণ নগরীকে ছেড়ে যাওয়া হবে; নগরদুর্গ ও নজরমিনার চিরকালের জন্য মানববর্জিত হবে, যা ছিল একদিন গর্দভদের আনন্দ ও পশুপালের চারণভূমি,
حَتَّى يَنْسَكِبَ عَلَيْنَا رُوحٌ مِنَ السَّمَاءِ، فَتَتَحَوَّلُ البَرِّيَّةُ إِلَى مَرْجٍ مُخْصِبٍ، وَيُحْسَبُ المَرْجُ غَابَةً. | ١٥ 15 |
যতক্ষণ না আমাদের উপরে পবিত্র আত্মাকে ঢেলে দেওয়া হয় এবং মরুভূমি উর্বর ক্ষেত্র হয় ও উর্বর ক্ষেত্র যেন অরণ্যের মতো মনে হয়।
عِنْدَئِذٍ يَسْكُنُ الْعَدْلُ فِي الصَّحْرَاءِ، وَيُقِيمُ الْبِرُّ فِي الْمَرْجِ الْمُخْصِبِ، | ١٦ 16 |
মরুভূমিতে সদাপ্রভুর ন্যায়বিচার অধিষ্ঠিত হবে এবং তাঁর ধার্মিকতা উর্বর ক্ষেত্রে বিরাজমান হবে।
فَيَكُونُ ثَمَرُ الْبِرِّ سَلاماً، وَفِعْلُ الْبِرِّ سَكِينَةً وَطُمَأْنِينَةً إِلَى الأَبَدِ، | ١٧ 17 |
শান্তি হবে ধার্মিকতার ফল, আর ধার্মিকতার প্রতিক্রিয়া হবে চিরকালের জন্য প্রশান্তি ও নির্ভরতা।
فَيَسْكُنُ شَعْبِي فِي دِيَارِ سَلامٍ، وَفِي مَسَاكِنَ آمِنَةٍ، وَفِي أَمَاكِنَ رَاحَةٍ مُطْمَئِنَّةٍ، | ١٨ 18 |
আমার প্রজারা শান্তিপূর্ণ বসতবাড়িতে বসবাস করবে, তাদের গৃহ হবে নিরাপদ, তা হবে বাধাহীন বিশ্রামের স্থান।
مَعَ أَنَّ الْبَرَدَ يُسَوِّي الْغَابَةَ بِالأَرْضِ، وَتُدَمَّرُ الْمَدِينَةُ حَتَّى الْحَضِيضِ. | ١٩ 19 |
যদিও শিলাবৃষ্টি অরণ্যকে ধরাশায়ী করে এবং নগর সম্পূর্ণরূপে মাটির সঙ্গে মিশে যায়,
طُوبَاكُمْ أَيُّهَا الزَّارِعُونَ عِنْدَ كُلِّ مَاءٍ، الَّذِينَ سَرَّحْتُمْ قَوَائِمَ الثَّوْرِ وَالْحِمَارِ لِتَرْعَى طَلِيقَةً. | ٢٠ 20 |
তবুও, তোমরা প্রতিটি জলস্রোতের তীরে বীজবপন করে, তোমাদের গৃহপালিত পশুপাল ও গাধাদের মুক্ত ভাবে চরতে দিয়ে তোমরা কতই না ধন্য হবে!