< إشَعْياء 29 >
وَيْلٌ لأُورُشَلِيمَ الْمَدِينَةِ الَّتِي اسْتَقَرَّ فِيهَا دَاوُدُ. هَا السَّنَوَاتُ تَتَعَاقَبُ وَأَنْتُمْ مَازِلْتُمْ تَحْتَفِلُونَ بِالأَعْيَادِ. | ١ 1 |
অরীয়েল, অরীয়েল, যে নগরে দাউদ বসবাস করতেন, ধিক্ তোমাকে! বছরের পর বছর ধরে তোমার উৎসবগুলি ঘুরে ফিরে আসে।
وَلَكِنْ سَأُحَاصِرُ أَورُشَلِيمَ، فَيَمْلَأُهَا الأَنِينُ وَالنَّوْحُ، فَتَكوُنُ فِي نَظَرِي كَمَذْبَحٍ مُلَطَّخٍ بِالدَّمِ. | ٢ 2 |
তবুও, আমি অরীয়েল অবরোধ করব; সে শোকবিলাপ ও হাহাকার করবে, সে আমার কাছে বেদির চুল্লির মতো হবে।
سَأَنْزِلُ عَلَيْكِ وَأُحِيطُ بِكِ وَأُحَاصِرُكِ بِأَبْرَاجٍ، وَأُقِيمُ عَلَيْكِ الْمَتَارِيسَ. | ٣ 3 |
আমি তোমার চারপাশে শিবির স্থাপন করব; আমি উঁচু সব মিনার দিয়ে তোমাকে ঘিরে রাখব এবং তোমার বিরুদ্ধে আমার জাঙ্গাল প্রস্তুত করব।
عِنْدَئِذٍ تَنْخَفِضِينَ، وَتَتَكَلَّمِينَ مِنَ الأَرْضِ، وَمِنَ التُّرَابِ تَصْدُرُ عَنْكِ تَمْتَمَةُ كَلامٍ، فَيَكُونُ صَوْتُكِ كَصَوْتِ خَيَالٍ صَادِرٍ مِنَ الأَرْضِ، وَيَرْتَفِعُ كَلامُكَ هَامِساً مِنَ التُّرَابِ. | ٤ 4 |
নিচে নামানো হলে তুমি ভূমি থেকে কথা বলবে; ধুলোর মধ্য থেকে তোমার অস্পষ্ট কথা শোনা যাবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে তোমার স্বর হবে যেন প্রেতাত্মার মতো; ধুলোর মধ্য থেকে তুমি ফিসফিস করে কথা বলবে।
وَلَكِنْ سَرْعَانَ مَا يَصِيرُ جُمْهُورُ أَعْدَائِكِ كَالْهَبَاءِ، وَجُمْهُورُ الْعُتَاةِ كَالْعُصَافَةِ الْعَابِرَةِ. ثُمَّ فَجْأَةً، وَفِي لَحْظَةٍ، | ٥ 5 |
কিন্তু তোমার বহু শত্রু হবে মিহি ধুলোর মতো, নির্মম নিপীড়নকারীদের বিপুল দল হবে তাড়িত তুষের মতো। হঠাৎই, এক মুহূর্তের মধ্যে,
يَفْتَقِدُكِ الرَّبُّ الْقَدِيرُ، فَيَأْتِي بِرَعْدٍ وَزِلْزَالٍ وَضَجِيجٍ عَظِيمٍ، مَعَ زَوْبَعَةٍ وَعَاصِفَةٍ وَلَهِيبِ نَارٍ آكِلَةٍ، | ٦ 6 |
সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এসে উপস্থিত হবেন, তাঁর সঙ্গী হবে বজ্রপাত, ভূমিকম্প ও প্রচণ্ড কোলাহল, তাঁর সঙ্গী হবে ঘূর্ণিঝড়, ঝঞ্ঝা ও সর্বগ্রাসী আগুনের শিখা।
وَتُصْبِحُ كُلُّ الشُّعُوبِ الَّتِي تُحَارِبُ أُورُشَلِيمَ، وَتُحَاصِرُ حُصُونَهَا كَالْحُلْمِ أَوْ كَرُؤْيَا اللَّيْلِ. | ٧ 7 |
তখন অরীয়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী সব জাতির পাল পাল লোকেরা, যারা তাকে ও তার দুর্গকে আক্রমণ করে ও তাকে অবরুদ্ধ করে, তারা হবে ঠিক যেন স্বপ্নের মতো, যেমন রাত্রিবেলা কেউ দর্শন পায়,
وَكَمَا يَحْلُمُ الْجَائِعُ أَنَّهُ يَأْكُلُ ثُمَّ يَسْتَيْقِظُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُشْبِعَ جُوعَهُ، وَكَمَا يَحْلُمُ الظَّامِئُ أَنَّهُ يَشْرَبُ ثُمَّ يَفِيقُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَرْتَوِيَ عَطَشُهُ، هَكَذَا يَكُونُ جُمْهُورُ الأُمَمِ كُلِّهَا الْمُحَارِبِينَ عَلَى جَبَلِ صِهْيَوْنَ. | ٨ 8 |
যে ক্ষুধার্ত ব্যক্তি স্বপ্ন দেখে, সে অন্ন ভোজন করছে, কিন্তু জেগে উঠলে তার ক্ষুধা থেকেই যায়; পিপাসিত ব্যক্তি স্বপ্ন দেখে যে সে জলপান করছে, কিন্তু জেগে উঠলে সে মূর্ছিত হয়, কারণ তার পিপাসা নিবারিত হয়নি। এরকমই হবে সব জাতির বিপুল সংখ্যক লোকের প্রতি, যারা সিয়োন পর্বতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
ابْهَتُوا وَتَعَجَّبُوا. تَعَامَوْا وَاعْمَوْا. اسْكَرُوا وَلَكِنْ مِنْ غَيْرِ خَمْرٍ. تَرَنَّحُوا وَلَكِنْ مِنْ غَيْرِ مُسْكِرٍ، | ٩ 9 |
তোমরা স্তম্ভিত হও, বিস্ময় প্রকাশ করো, নিজেদের চোখ ঢেকে ফেলো, রুদ্ধদৃষ্টি হও; মত্ত হও, কিন্তু সুরা পান করে নয়, টলোমলো করো, কিন্তু সুরা পানের জন্য নয়।
لأَنَّ الرَّبَّ قَدْ سَكَبَ عَلَيْكُمْ رُوحَ سُبَاتٍ عَمِيقٍ، فَأَغْلَقَ عُيُونَ أَنْبِيائِكُمْ وَغَطَّى رُؤُوسَ رَائِيكُمْ. | ١٠ 10 |
সদাপ্রভু তোমাদের উপরে এক গভীর নিদ্রা নিয়ে এসেছেন: তিনি তোমাদের দৃষ্টি রুদ্ধ করেছেন (অর্থাৎ ভাববাদীদের); তিনি তোমাদের মস্তক আবৃত করেছেন (অর্থাৎ দর্শকদের)।
وَصَارَتْ لَكُمْ هَذِهِ الرُّؤْيَا جَمِيعُهَا كَكَلِمَاتِ كِتَابٍ مَخْتُومٍ، حِينَ يُنَاوِلُونَهُ لِمَنْ يُتْقِنُ الْقِرَاءَةَ قَائِلِينَ: اقْرَأْ هَذَا، يُجِيبُ: لَا أَسْتَطِيعُ لأَنَّهُ مَخْتُومٌ. | ١١ 11 |
তোমাদের কাছে এই দর্শনের সমস্তটাই সিলমোহরাঙ্কিত পুঁথির বাণী ছাড়া আর কিছুই নয়। যে পাঠ করতে পারে, তাকে যদি তোমরা ওই পুঁথিটি দাও ও তাকে বলো, “দয়া করে তুমি এটি পড়ে দাও,” সে উত্তর দেবে, “আমি পড়তে পারব না, কারণ এতে সিলমোহর দেওয়া আছে।”
وَعِنْدَمَا يُنَاوِلُونَهُ لِمَنْ يَجْهَلُ الْقِرَاءَةَ قَائِلِينَ: اقْرَأْ هَذَا، يُجِيبُ: لَا أَسْتَطِيعُ الْقِرَاءَةَ. | ١٢ 12 |
অথবা যে পড়তে জানে না, এমন কাউকে যদি পুঁথিটি দাও ও বলো, “দয়া করে এটি পড়ে দাও,” সে উত্তর দেবে, “আমি পড়তে জানি না।”
لِذَلِكَ يَقُولُ الرَّبُّ: لأَنَّ هَذَا الشَّعْبَ يَقْتَرِبُ مِنِّي بِفَمِهِ وَيُكْرِمُنِي بِشَفَتَيْهِ، بَيْنَمَا قَلْبُهُ بَعِيدٌ عَنَّى. وَمَا مَخَافَتُهُمْ مِنِّي سِوَى تَقْلِيدٍ تَلَقَّنُوهُ مِنَ النَّاسِ. | ١٣ 13 |
সদাপ্রভু বলেন: “এই লোকেরা কেবল মুখেরই কথায় আমার কাছে এগিয়ে আসে, তারা কেবলমাত্র ওষ্ঠাধরে আমার সম্মান করে, কিন্তু তাদের হৃদয় থাকে আমার থেকে বহুদূরে। তারা আমার যে উপাসনা করে, তা মানুষের শিখিয়ে দেওয়া কিছু নিয়মবিধি মাত্র।
لِذَلِكَ سَأَنْتَقِمُ مِنْ هَؤُلاءِ الْمُنَافِقِينَ، فَتَبِيدُ حِكْمَةُ حُكَمَائِهِ وَتَتَلاشَى فِطْنَةُ فُهَمَائِهِ. | ١٤ 14 |
সেই কারণে, আমি আর একবার পরপর আশ্চর্য কর্ম করে এদের চমৎকৃত করব; জ্ঞানীদের জ্ঞান বিনষ্ট হবে, বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি উধাও হবে।”
وَيْلٌ لِلَّذِينَ يُوْغِلُونَ فِي الأَعْمَاقِ لِيَكْتُمُوا عَنِ الرَّبِّ مَشُورَتَهُمْ، فَيَقُومُونَ بِأَعْمَالِهِمْ فِي الظَّلامِ قَائِلِينَ: مَنْ يَرَانَا؟ وَمَنْ يَعْرِفُنَا؟ | ١٥ 15 |
ধিক্ তাদের, যারা সদাপ্রভুর কাছে তাদের পরিকল্পনা লুকাবার জন্য গভীর জলে নেমে যায়, যারা অন্ধকারে নিজেদের কাজ করে ও ভাবে, “কে আমাদের দেখতে পাচ্ছে? কে এসব জানতে পারবে?”
يَالَتَحْرِيفِكُمْ! أَيُحْسَبُ الْخَزَّافُ كَالْخَزَفِ، فَيَقُولُ الشَّيءُ الْمَصْنُوعُ لِصَانِعِهِ: أَنْتَ لَمْ تَصْنَعْنِي؟ أَمْ أَنَّ الْمَجْبُولَ يَقُولُ لِجَابِلِهِ: أَنْتَ مُجَرَّدٌ مِنَ الْفَهْمِ؟ | ١٦ 16 |
তোমরা সমস্ত বিষয়কে উল্টোপাল্টা করছ, যেন কুমোর ও মাটি, একই সমান! নির্মিত বস্তু কি নির্মাতাকে বলবে, “সে আমাকে নির্মাণ করেনি?” পাত্র কি কুমোরকে বলতে পারে, “ও কিছুই জানে না?”
أَلا تَتَحَوَّلُ لُبْنَانُ فِي لَحْظَاتٍ إِلَى حَقْلٍ خَصِيبٍ، وَالْحَقْلُ الْخَصْبُ إِلَى غَابَةٍ؟ | ١٧ 17 |
অল্প সময়ের মধ্যে, লেবানন কি উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হবে না? আর উর্বর জমি কি অরণ্যের মতো মনে হবে না?
فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ يَسْمَعُ الأَصَمُّ أَقْوَالَ الْكِتَابِ، وَتُبْصِرُ عُيُونُ الْمَكْفُوفِينَ مِنْ وَرَاءِ الظُّلْمَةِ وَالْكَآبَةِ. | ١٨ 18 |
সেদিন, বধিরেরা সেই পুঁথির বাণীগুলি শুনতে পাবে, হতাশা ও অন্ধকার থেকে অন্ধ লোকদের চোখ দেখতে পাবে।
أَمَّا الْوُدَعَاءُ فَيَتَجَدَّدُ فَرَحُهُمْ بِالرَّبِّ، وَيَبْتَهِجُ الْبَائِسُونَ بِقُدُّوسِ إِسْرَائِيلَ، | ١٩ 19 |
পুনরায় নতনম্র লোকেরা সদাপ্রভুর কারণে আনন্দিত হবে; নিঃস্ব ব্যক্তিরা ইস্রায়েলের পবিত্রতমজনের কারণে আনন্দ করবে।
لأَنَّ الْعَاتِيَ قَدِ انْقَرَضَ، وَبَادَ الْمُسْتَهْزِئُ، وَاسْتُؤْصِلَ جَمِيعُ السَّاهِرِينَ لِارْتِكَابِ الإِثْمِ، | ٢٠ 20 |
নির্মম লোকেরা অদৃশ্য হবে, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপকারীদের আর দেখা যাবে না, যারা অন্যায় কাজের জন্য ষড়যন্ত্র করে, তারা উচ্ছিন্ন হবে—
الَّذِينَ بِكَلِمَةٍ جَعَلُوا الإِنْسَانَ يُخْطِئُ، وَنَصَبُوا فَخّاً لِمَنْ يُفْحِمُهُمْ فِي سَاحَةِ الْقَضَاءِ، وَصَدُّوا الْبَارَّ بِادِّعَاءَاتِهِمِ الْجَوْفَاءِ. | ٢١ 21 |
অর্থাৎ, যারা নির্দোষকে অপরাধী সাব্যস্ত করে, যারা আদালতে প্রতিবাদীকে ফাঁদে ফেলে এবং যারা মিথ্যা সাক্ষ্যের দ্বারা নির্দোষ ব্যক্তিকে ন্যায়বিচার পেতে বঞ্চিত করে।
لِذَلِكَ هَكَذَا يَقُولُ الرَّبُّ مُفْتَدِي إِبْرَاهِيمَ لِبَيْتِ يَعْقُوبَ: لَنْ يَخْجَلَ يَعْقُوبُ فِي مَا بَعْدُ، وَلَنْ يَعْلُوَ وَجْهَهُ الشُّحُوبُ، | ٢٢ 22 |
অতএব, অব্রাহামের মুক্তিদাতা সদাপ্রভু, যাকোব কুলকে এই কথা বলেন: “যাকোবের বংশধরেরা আর লজ্জিত হবে না, তাদের মুখমণ্ডল আর ফ্যাকাশে থাকবে না।
لأَنَّهُمْ عِنْدَمَا يَرَوْنَ أَبْنَاءَهُمْ يَتَزَايَدُونَ بِفَضْلِي، فَإِنَّهُمْ يُقَدِّسُونَ اسْمِي، وَيُقَدِّسُونَ قُدُّوسَ يَعْقُوبَ، وَيَرْهَبُونَ إِلَهَ إِسْرَائِيلَ، | ٢٣ 23 |
যখন তারা তাদের ছেলেমেয়েদের, অর্থাৎ আমার হাতের কাজ তাদের মধ্যে দেখবে, তারা আমার নামের পবিত্রতা বজায় রাখবে; তারা যাকোব কুলের পবিত্রতমজনের পবিত্রতাকে স্বীকার করবে, তারা সম্ভ্রমে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াবে।
وَيَكْتَسِبُ الضَّالُّونَ فَهْماً وَيَتَقَبَّلُ الْمُتَذَمِّرُونَ التَّعْلِيمَ. | ٢٤ 24 |
যাদের আত্মা বিভ্রান্ত, তারা বুদ্ধিলাভ করবে, যারা অভিযোগ করে, তারা নির্দেশনা গ্রহণ করবে।”