< إشَعْياء 2 >
الإِعْلانُ الَّذِي رَآهُ إِشَعْيَاءُ بْنُ آمُوصَ بِشَأْنِ يَهُوذَا وَأُورُشَلِيمَ: | ١ 1 |
১আমোসের ছেলে যিশাইয় যিহূদা ও যিরূশালেমের বিষয়ে, এক দর্শন পান।
وَيَحْدُثُ فِي آخِرِ الأَيَّامِ، أَنَّ جَبَلَ هَيْكَلِ الرَّبِّ يُصْبِحُ أَسْمَى مِنْ كُلِّ الْجِبَالِ، وَيَعْلُو فَوْقَ كُلِّ التِّلالِ، فَتَتَوَافَدُ إِلَيْهِ جَمِيعُ الأُمَمِ. | ٢ 2 |
২ভবিষ্যতে সদাপ্রভুর গৃহের পর্বত সমস্ত পর্বতমালার শীর্ষস্থান হিসাবে স্থাপিত হবে এবং সমস্ত পাহাড়ের উপরে উন্নত হবে এবং সব জাতি তার দিকে প্রবাহিত হবে।
وَتُقْبِلُ شُعُوبٌ كَثِيرَةٌ وَتَقُولُ: تَعَالَوْا لِنَذْهَبْ إِلَى جَبَلِ الرَّبِّ، إِلَى بَيْتِ إِلَهِ يَعْقُوبَ، فَيُعَلِّمَنَا طُرُقَهُ، وَنَسْلُكَ فِي سُبُلِهِ، لأَنَّ مِنْ صِهْيَوْنَ تَخْرُجُ الشَّرِيعَةُ، وَمِنْ أُورُشَلِيمَ تُعْلَنُ كَلِمَةُ الرَّبِّ. | ٣ 3 |
৩অনেক লোক আসবে এবং বলবে, “চল, আমরা সদাপ্রভুর পর্বতে, যাকোবের ঈশ্বরের গৃহে উঠে যাই। তিনি আমাদের তাঁর পথের বিষয়ে শিক্ষা দেবেন আর আমরা তাঁর পথে চলব।” তারা এই কথা বলবে, কারণ সিয়োন থেকে নিয়ম এবং যিরূশালেম থেকে সদাপ্রভুর বাক্য বের হবে।
فَيَقْضِي بَيْنَ الأُمَمِ وَيَحْكُمُ بَيْنَ الشُّعُوبِ الْكَثِيرَةِ، فَيَصْنَعُونَ سُيُوفَهُمْ مَحَارِيثَ وَرِمَاحَهُمْ مَنَاجِلَ، وَلا تَرْفَعُ أُمَّةٌ عَلَى أُمَّةٍ سَيْفاً، وَلا يَتَدَرَّبُونَ عَلَى الْحَرْبِ فِيمَا بَعْدُ. | ٤ 4 |
৪তিনি জাতিদের মধ্যে বিচার করবেন; অনেক দেশের লোকদের প্রতিদান নিষ্পত্তি করবেন। তারা তাদের তরোয়াল ভেঙে লাঙ্গলের ফলা করবে আর বর্শা ভেঙে কেটে সাফ করার জিনিস করবে। এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে আর তরোয়াল ওঠাবে না; তারা আর যুদ্ধ করতে শিখবে না।
يَا بَيْتَ يَعْقُوبَ، هَيَّا لِنَسْلُكْ فِي نُورِ الرَّبِّ. | ٥ 5 |
৫হে যাকোবের কুল, চল এবং এস আমরা সদাপ্রভুর আলোতে চলি।
فَأَنْتَ يَا رَبُّ قَدْ نَبَذْتَ شَعْبَكَ، بَيْتَ يَعْقُوبَ، فَكَثُرَ بَيْنَهُمُ الْعَرَّافُونَ مِنْ أَبْنَاءِ الْمَشْرِقِ وَالْمُتَنَبِّئُونَ، كَالْفِلِسْطِينِيِّينَ، وَتَعَاهَدُوا مَعَ الْغُرَبَاءِ. | ٦ 6 |
৬কারণ তুমি তো তোমার লোকদেরকে, যাকোবের কুলকে ত্যাগ করেছ। কারণ তারা পূর্ব দিকের দেশগুলোর রীতিতে পূর্ণ এবং পলেষ্টীয়দের ভবিষ্যৎবাণী পাঠকদের মতো হয়েছে এবং তারা বিদেশীদের সন্তানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
امْتَلأَتْ أَرْضُهُمْ فِضَّةً وَذَهَباً، وَكُنُوزُهُمْ لَا نِهَايَةَ لَهَا، وَامْتَلأَتْ بِلادُهُمْ بِالْخَيْلِ، وَمَرْكَبَاتُهُمْ لَا تُحْصَى. | ٧ 7 |
৭তাদের দেশ সোনা ও রূপায় ভরা, তাদের ধন-সম্পদের সীমা নেই। তাদের দেশ ঘোড়ায় পরিপূর্ণ আর তাদের রথের সীমা নেই।
امْتَلأَتْ أَرْضُهُمْ بِالأَصْنَامِ، وَعَبَدُوا صَنْعَةَ أَيْدِيهِمْ، وَسَجَدُوا لِعَمَلِ أَصَابِعِهِمْ. | ٨ 8 |
৮তাদের দেশ প্রতিমায় পরিপূর্ণ; তাদের হাতে তৈরী মূর্ত্তি দেবতার কাছে তারা প্রণাম করে, সেই সমস্ত জিনিস যা তাদের আঙ্গুল তৈরী করেছে।
لِذَلِكَ يَنْحَطُّ الإِنْسَانُ، وَيَذِلُّ الْبَشَرُ، وَلا تَصْفَحُ عَنْهُمْ. | ٩ 9 |
৯সদাপ্রভুর দ্বারা লোকেরা নত হবে এবং তারা প্রত্যেকে নীচু হবে; অন্যথায় তাদেরকে গ্রহণ কোরো না।
اخْتَفِ فِي مَغَاوِرِ الْجِبَالِ، وَاخْتَبِئْ فِي حُفَرِ الأَرْضِ خَشْيَةً مِنْ هَيْبَةِ الرَّبِّ وَمِنْ جَلالِ مَجْدِهِ. | ١٠ 10 |
১০সদাপ্রভুর আতঙ্কের হাত থেকে এবং তাঁর প্রতাপের মহিমা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তোমরা প্রস্তরময় জায়গায় চলে যাও এবং মাটিতে লুকিয়ে পড়।
فَعُيُونُ الْبَشَرِ الْمُتَشَامِخَةُ تُخْفَضُ، وَكِبْرِيَاؤُهُمْ تَذِلُّ، وَيَتَعَظَّمُ الرَّبُّ وَحْدَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ. | ١١ 11 |
১১এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা লোকেদের গর্ব নত করা হবে এবং গর্বিত লোকের অহঙ্কার চূর্ণ হবে। বিচারের সেই দিন একমাত্র সদাপ্রভুই মহিমান্বিত হবেন।
فَإِنَّ لِلرَّبِّ الْقَدِيرِ يَوْماً فِيهِ يُوْضَعُ كُلُّ مُتَعَظِّمٍ وَمُتَكَبِّرٍ وَمُتَغَطْرِسٍ. | ١٢ 12 |
১২কারণ সেখানে বাহিনীদের সদাপ্রভুর দিন হবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যারা গর্বিত, অহঙ্কারী এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যারা দাম্ভিক; তাকে নত করা হবে।
وَيَسْمُو عَلَى أَرْزِ لُبْنَانَ الْمُتَعَالِي الشَّامِخِ، وَعَلَى كُلِّ بَلُّوطِ بَاشَانَ، | ١٣ 13 |
১৩এবং লিবানোনের সব লম্বা ও উন্নত এরস গাছের বিরুদ্ধে এবং বাশনের সব এলোন গাছের বিরুদ্ধে;
وَعَلَى كُلِّ جَبَلٍ أَشَمَّ، وَعَلَى التِّلالِ الْمُرْتَفِعَةِ، | ١٤ 14 |
১৪এবং সব উঁচু পাহাড় এবং সেই সমস্ত পর্বতের বিরুদ্ধে যা উঁচু,
وَعَلَى كُلِّ بُرْجٍ عَالٍ، وَسُورٍ حَصِينٍ، | ١٥ 15 |
১৫এবং প্রত্যেক উঁচু দুর্গের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যেক দুর্ভেদ্য দেয়ালের বিরুদ্ধে
وَعَلَى كُلِّ سُفُنِ تَرْشِيشَ، وَعَلَى كُلِّ صَنْعَةٍ جَمِيلَةٍ، | ١٦ 16 |
১৬এবং প্রত্যেক তর্শীশের জাহাজের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যেক সুন্দর সুন্দর কারুকার্যর বিরুদ্ধে।
فَيَعْتَرِي الْهَوَانُ غَطْرَسَةَ كُلِّ إِنْسَانٍ، وَيُذَلُّ تَشَامُخُ الْبَشَرِ، وَيَتَعَظَّمُ الرَّبُّ وَحْدَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، | ١٧ 17 |
১৭মানুষের গর্বকে নত করা হবে এবং লোকের অহঙ্কারের পতন হবে। সেই দিন একমাত্র সদাপ্রভুই গৌরবান্বিত হবেন,
وَتُبَادُ الأَصْنَامُ كُلُّهَا، | ١٨ 18 |
১৮প্রতিমাগুলো সম্পূর্ণরূপে লুপ্ত হবে।
وَيَلْجَأُ النَّاسُ إِلَى مَغَاوِرِ الْجِبَالِ، وَإِلَى حَفَائِرِ الأَرْضِ، مُتَوَارِينَ مِنْ هَيْبَةِ الرَّبِّ وَمِنْ مَجْدِ جَلالِهِ، عِنْدَمَا يَهُبُّ لِيُزَلْزِلَ الأَرْضَ. | ١٩ 19 |
১৯সদাপ্রভুর আতঙ্ক এবং তার মহিমার প্রতাপের থেকে লোকেরা পাথরের গুহায় এবং মাটির গর্তের মধ্যে যাবে, যখন তিনি পৃথিবীকে আতঙ্কিত করার জন্য উঠবেন।
فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ يَطْرَحُ النَّاسُ لِلْجُرْذَانِ وَالْخَفَافِيشِ أَوْثَانَهُمُ الْفِضِّيَّةَ وَأَصْنَامَهُمُ الذَّهَبِيَّةَ الَّتِي صَنَعُوهَا لِيَعْبُدُوهَا، | ٢٠ 20 |
২০সেই দিন লোকেরা তাদের সোনা ও রূপার প্রতিমাগুলো নিক্ষেপ করবে যা তারা আরাধনা করার জন্য তৈরী করেছে, তারা তাদেরকে ছুঁচো ও বাদুড়ের কাছে ফেলে দেবে।
وَيَدْخُلُونَ فِي كُهُوفِ الصَّخْرِ، وَفِي شُقُوقِ الْجُرُوفِ الْجَبَلِيَّةِ هَرَباً مِنْ هَيْبَةِ الرَّبِّ وَمِنْ مَجْدِ جَلالِهِ عِنْدَمَا يَهُبُّ لِيُزَلْزِلَ الأَرْضَ. | ٢١ 21 |
২১সদাপ্রভুর আতঙ্ক ও প্রতাপের মহিমা থেকে লোকেরা পাথরের গুহার মধ্যে এবং খাড়া পাথরের ফাটলের মধ্যে যাবে যখন তিনি পৃথিবীকে আতঙ্কিত করার জন্য উঠবেন।
كُفُّوا عَنِ الاتِّكَالِ عَلَى الإِنْسَانِ الْمُعَرَّضِ لِلْمَوْتِ؛ فَأَيُّ قِيمَةٍ لَهُ؟ | ٢٢ 22 |
২২মানুষের ওপর নির্ভর করা বন্ধ কর, যার নাকে প্রাণবায়ু আছে, কারণ সে কিসের মধ্যে গণ্য?