هُوشَع 14

١ 1 ارْجِعْ تَائِباً يَا إِسْرَائِيلُ إِلَى الرَّبِّ إِلَهِكَ، لأَنَّكَ قَدْ تَعَثَّرْتَ بِخَطِيئَتِكَ.

হে ইস্রায়েল, তোমরা ফিরে এসো তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে। তোমাদের পাপ সমূহই তোমাদের পতনের কারণ!

٢ 2 احْمِلُوا مَعَكُمْ كَلامَ ابْتِهَالٍ وَارْجِعُوا إِلَى الرَّبِّ قَائِلِينَ لَهُ: «انْزِعْ إِثْمَنَا، وَتَقَبَّلْنَا بِفَائِقِ رَحْمَتِكَ، فَنُزْجِيَ إِلَيْكَ حَمْدَ شِفَاهِنَا كَالْقَرَابِينِ.

তোমাদের বক্তব্য সঙ্গে নাও ও সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এসো। তাঁকে বলো: “আমাদের সব পাপ ক্ষমা করো, আর অনুগ্রহ করে আমাদের ফিরিয়ে নাও, যাতে আমরা আমাদের ঠোঁটের ফল উৎসর্গ করতে পারি।

٣ 3 إِنَّ أَشُّورَ لَنْ تُخَلِّصَنَا، وَلَنْ نَعْتَمِدَ عَلَى خُيُولِ مِصْرَ لإِنْقَاذِنَا، وَلَنْ نَقُولَ لِلأَوْثَانِ صَنْعَةِ أَيْدِينَا:’أَنْتُمْ آلِهَتُنَا‘لأَنَّ فِيكَ وَحْدَكَ يَجِدُ الْيَتِيمُ رَحْمَةً».

আসিরিয়া আমাদের রক্ষা করতে পারে না, আমরা যুদ্ধের ঘোড়ায় চড়ব না। আমাদের হাতে তৈরি প্রতিমাগুলিকে আমরা আর কখনও ‘আমাদের দেবতা’ বলব না, কারণ তোমার মধ্যেই পিতৃহীনেরা অনুকম্পা লাভ করে।”

٤ 4 أَنَا أُبْرِئُ ارْتِدَادَهُمْ وَأُحِبُّهُمْ فَضْلاً، لأَنَّ غَضَبِي قَدْ تَحَوَّلَ عَنْهُمْ.

“আমি তাদের বিপথগমনের রোগ প্রতিকার করব, এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভালোবাসব, কেননা আমার ক্রোধ তাদের উপর থেকে সরে গেছে।

٥ 5 وَأَكُونُ كَالطَّلِّ لإِسْرَائِيلَ، فَيُزْهِرُ كَالسَّوْسَنِ، وَتَتَأَصَّلُ جُذُورُهُ كَأَرْزِ لُبْنَانَ.

আমি ইস্রায়েলের কাছে হব শিশিরের মতো: সে প্রস্ফুটিত হবে লিলিফুলের মতো। লেবাননের সিডার গাছের মতো, যার শিকড় গভীরে প্রোথিত হবে;

٦ 6 تَمْتَدُّ أَغْصَانُهُ وَيَصِيرُ جَمَالُهُ كَشَجَرَةِ الزَّيْتُونِ وَشَذَاهُ كَأَرْزِ لُبْنَانَ.

তা থেকে কোমল পল্লব নির্গত হবে। তার জৌলুস হবে জলপাই গাছের মতো, তার সুগন্ধ হবে লেবাননের সিডার গাছের মতো।

٧ 7 وَيَعُودُونَ وَيُقِيمُونَ فِي ظِلِّهِ وَيَزْدَهِرُونَ كَالْحِنْطَةِ، وَيُزْهِرُونَ كَالْكَرْمَةِ، وَيَذِيعُ ذِكْرُهُمْ كَخَمْرِ لُبْنَانَ.

মানুষেরা আবার তার ছায়ায় বসবাস করবে; সে শস্যদানার মতো বিকশিত হবে, সে দ্রাক্ষালতার মতো মুকুলিত হবে, এবং তার খ্যাতি হবে লেবানন থেকে আনা দ্রাক্ষারসের মতো।

٨ 8 يَقُولُ أَفْرَايِمُ تَائِباً: «مَالِي وَلِلأَصْنَامِ!» فَيُجِيبُ الرَّبُّ: «قَدِ اسْتَمَعْتُ وَأَنَا رَعَيْتُكَ بِعَيْنِ الرِّضَى وَصِرْتُ لَكَ كَشَجَرَةِ سَرْوٍ خَضْرَاءَ، وَمِنِّي أَمُدُّكَ بِثَمَرِكَ».

হে ইফ্রয়িম, প্রতিমাগুলি নিয়ে আমি আর কি করব? আমি তাকে উত্তর দেব ও তার তত্ত্বাবধান করব। আমি এখন এক সবুজ-সতেজ দেবদারু গাছের মতো; তোমার ফলবান হওয়ার কারণ আমি।”

٩ 9 مَنْ هُوَ حَكِيمٌ فَلْيَسْمَعْ هَذِهِ الأُمُورَ، وَمَنْ هُوَ فَطِنٌ فَلْيَفْهَمْهَا، لأَنَّ طُرُقَ اللهِ مُسْتَقِيمَةٌ، فِيهَا يَسْلُكُ الأَبْرَارُ، أَمَّا الْمُنَافِقُونَ فَيَعْثُرُونَ.

কে জ্ঞানবান? তাদের এসব বিষয় উপলব্ধি করতে দাও। বিচক্ষণ কে? তাদের এগুলি বুঝতে দাও। সদাপ্রভুর পথসকল ন্যায়সংগত; ধার্মিক ব্যক্তি সেইসব পথেই হাঁটে, কিন্তু বিদ্রোহীরা সেইসব পথে হোঁচট খায়।