< عِبرانِيّين 8 >
وَخُلاصَةُ الْقَوْلِ، أَنَّ الْمَسِيحَ هُوَ رَئِيسُ كَهَنَتِنَا الَّذِي وَصَفْنَا كَهَنُوتَهُ هُنَا. إِنَّهُ الآنَ جَالِسٌ فِي السَّمَاءِ عَنْ يَمِينِ عَرْشِ اللهِ الْعَظِيمِ. | ١ 1 |
আমরা যা বলছি, তার মর্ম হল এই: আমাদের এমন একজন মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে মহিমা-সিংহাসনের ডানদিকে উপবিষ্ট;
وَهُوَ يَقُومُ بِمُهِمَّتِهِ هُنَاكَ، فِي قُدْسِ الأَقْدَاسِ: فِي خَيْمَةِ الْعِبَادَةِ الْحَقِيقِيَّةِ الَّتِي نَصَبَهَا الرَّبُّ، لَا الإِنْسَانُ. | ٢ 2 |
তিনি সেই পবিত্রধামে, যা মানুষের দ্বারা নির্মিত নয়, কিন্তু প্রভুর দ্বারা স্থাপিত, সেই প্রকৃত সমাগম তাঁবুতে সেবাকাজ করেন।
فَمُهِمَّةُ كُلِّ رَئِيسِ كَهَنَةٍ هِيَ أَنْ يُقَرِّبَ لِلهِ التَّقْدِمَاتِ وَالذَّبَائِحَ. وَعَلَيْهِ، فَمِنَ الضَّرُورِيِّ أَنْ يَكُونَ لِرَئِيسِ كَهَنَتِنَا مَا يُقَدِّمُهُ. | ٣ 3 |
প্রত্যেক মহাযাজক বিভিন্ন নৈবেদ্য ও বলি উৎসর্গের জন্য নিযুক্ত হয়েছেন, সেই কারণে এই মহাযাজকেরও উৎসর্গ করার জন্য অবশ্যই কিছু থাকা প্রয়োজন ছিল।
فَلَوْ أَنَّ الْمَسِيحَ كَانَ عَلَى هَذِهِ الأَرْضِ، لَمَا كَانَ كَاهِناً. إِذْ هُنَاكَ مَنْ يُقَدِّمُونَ الْقَرَابِينَ حَسَبَ الشَّرِيعَةِ، وَهُمْ مِنْ نَسْلِ لاوِي حَصْرِيًّا. | ٤ 4 |
তিনি যদি পৃথিবীতে থাকতেন, তাহলে তিনি যাজক হতে পারতেন না, কারণ এখানে এমন অনেক লোক আছে, যারা বিধানের নির্দেশমতো নৈবেদ্য উৎসর্গ করে।
وَهَؤُلاءِ يَقُومُونَ بِخِدْمَةِ مَا يُشَكِّلُ رَمْزاً وَظِلًّا لِلأُمُورِ الَّتِي فِي السَّمَاءِ. وَهَذَا وَاضِحٌ مِنْ قَوْلِ اللهِ لِمُوسَى قَبْلَ أَنْ يَصْنَعَ خَيْمَةَ الْعِبَادَةِ. إِذْ أَوْحَى إِلَيْهِ قَائِلاً: «انْتَبِهْ! عَلَيْكَ أَنْ تَصْنَعَ الْخَيْمَةَ وَمَا فِيهَا وَفْقاً لِلْمِثَالِ الَّذِي أَظْهَرْتُهُ لَكَ عَلَى الْجَبَلِ!» | ٥ 5 |
তারা এমন এক পবিত্রস্থানে পরিচর্যা করে, যা স্বর্গীয় পবিত্রস্থানের মতো ও তার প্রতিচ্ছায়াস্বরূপ। সেই কারণে সমাগম তাঁবু নির্মাণ করতে উদ্যত হলে মোশিকে সতর্ক করা হয়েছিল, “দেখো, পর্বতের উপরে তোমাকে যে নকশা দেখানো হয়েছিল, সেই অনুযায়ী সবকিছু নির্মাণ কোরো।”
فَرَئِيسُ كَهَنَتِنَا، إِذَنْ، قَدْ حَصَلَ عَلَى خِدْمَةٍ أَفْضَلَ مِنْ خِدْمَةِ الْكَهَنُوتِ الأَرْضِيِّ، لِكَوْنِهِ الْوَسِيطَ الَّذِي أَعْلَنَ لَنَا قِيَامَ عَهْدٍ جَدِيدٍ أَفْضَلَ مِنَ الْعَهْدِ السَّابِقِ، وَلِكَوْنِ هَذَا الْعَهْدِ الْجَدِيدِ يَنْطَوِي عَلَى وُعُودٍ أَفْضَلَ. | ٦ 6 |
কিন্তু যীশু যে পরিচর্যা করেন, তা তাদের চেয়েও উৎকৃষ্ট স্তরের, কারণ তিনি যে সন্ধিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী হয়েছেন, পুরোনোর চেয়ে তা শ্রেয় এবং উৎকৃষ্টতর প্রতিশ্রুতির উপরে প্রতিষ্ঠিত।
فَلَوْ كَانَ الْعَهْدُ السَّابِقُ بِلا عَيْبٍ، لَمَا ظَهَرَتْ الْحَاجَةُ إِلَى عَهْدٍ آخَرَ يَحُلُّ مَحَلَّهُ. | ٧ 7 |
কারণ প্রথম সন্ধিচুক্তির মধ্যে যদি কোনো ত্রুটি না থাকত, তাহলে অন্যটির কোনো প্রয়োজনই হত না।
وَالْوَاقِعُ أَنَّ اللهَ يَلُومُ شَعْبَهُ قَائِلاً: «لابُدَّ أَنْ تَأْتِيَ أَيَّامٌ، يَقُولُ الرَّبُّ، أُبْرِمُ فِيهَا عَهْداً جَدِيداً مَعَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَبَنِي يَهُوذَا. | ٨ 8 |
কিন্তু ঈশ্বর লোকদের মধ্যে ত্রুটি দেখে বলেছিলেন, “প্রভু ঘোষণা করেন, দিন সন্নিকট, যখন ইস্রায়েল বংশ ও যিহূদা বংশের সঙ্গে আমি নতুন এক সন্ধিচুক্তি স্থাপন করব।
هَذَا الْعَهْدُ الْجَدِيدُ لَيْسَ كَالْعَهْدِ الَّذِي أَبْرَمْتُهُ مَعَ آبَائِهِمْ، حِينَ أَمْسَكْتُ بِأَيْدِيهِمْ وَأَخْرَجْتُهُمْ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ. فَبِمَا أَنَّهُمْ خَرَقُوا ذَلِكَ الْعَهْدَ، أَهْمَلْتُهُمْ، يَقُولُ الرَّبُّ! | ٩ 9 |
তাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে স্থাপন করা নিয়মের মতো হবে না, যখন আমি তাদের হাত ধরে মিশর থেকে বের করে এনেছিলাম, কারণ তারা আমার সন্ধিচুক্তির প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না, আর আমি তাদের প্রতি বিমুখ হয়েছিলাম, প্রভু একথা বলেন।
فَهَذَا هُوَ الْعَهْدُ الَّذِي أُبْرِمُهُ مَعَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، بَعْدَ تِلْكَ الأَيَّامِ، يَقُولُ الرَّبُّ: أَضَعُ شَرَائِعِي دَاخِلَ ضَمَائِرِهِمْ، وَأَكْتُبُهَا عَلَى قُلُوبِهِمْ، وَأَكُونُ لَهُمْ إِلَهاً، وَهُمْ يَكُونُونَ لِي شَعْباً. | ١٠ 10 |
সেই সময়ের পরে, আমি ইস্রায়েল বংশের সঙ্গে এই নিয়ম স্থাপন করব, প্রভু ঘোষণা করেন। আমি তাদের মনে আমার বিধান স্থাপন করব, তাদের হৃদয়ে সেসব লিখে দেব। আর আমি হব তাদের ঈশ্বর এবং তারা হবে আমার প্রজা।
بَعْدَ ذَلِكَ، لَا يُعَلِّمُ أَحَدٌ مِنْهُمُ ابْنَ وَطَنِهِ وَلا أَخَاهُ قَائِلاً: تَعَرَّفْ بِالرَّبِّ! ذَلِكَ لأَنَّ الْجَمِيعَ سَوْفَ يَعْرِفُونَنِي، مِنَ الصَّغِيرِ فِيهِمْ إِلَى الْعَظِيمِ. | ١١ 11 |
কোনো মানুষ তার প্রতিবেশীকে শেখাবে না বা একে অপরকে বলবে না, ‘তুমি সদাপ্রভুকে জেনে নাও,’ কারণ নগণ্যতম জন থেকে মহত্তম ব্যক্তি পর্যন্ত, তারা সবাই আমার পরিচয় পাবে।
لأَنِّي سَأَصْفَحُ عَنْ آثَامِهِمْ، وَلا أَعُودُ أَبَداً إِلَى تَذَكُّرِ خَطَايَاهُمْ وَمُخَالَفَاتِهِمْ!» | ١٢ 12 |
কারণ আমি তাদের পাপ ক্ষমা করব এবং তাদের অনাচার আর কোনোদিন স্মরণ করব না।”
وَاللهُ بِكَلامِهِ عَنْ عَهْدٍ جَدِيدٍ، جَعَلَ الْعَهْدَ السَّابِقَ عَتِيقاً. وَطَبِيعِيٌّ أَنَّ كُلَّ مَا عَتَقَ وَشَاخَ، يَكُونُ فِي طَرِيقِهِ إِلَى الزَّوَالِ! | ١٣ 13 |
এই সন্ধিচুক্তিকে নতুন আখ্যা দিয়ে প্রথমটিকে তিনি পুরোনো করেছেন; আর যা পুরোনো, যা জীর্ণ, তা অচিরেই লুপ্ত হবে।