< حَجَّي 2 >
وَفِي الْيَوْمِ الْحَادِي وَالْعِشْرِينَ مِنَ الشَّهْرِ السَّابِعِ (أَيْ شَهْرِ تِشْرِينَ الأَوَّلِ – أُكْتُوبَرَ) أَوْحَى الرَّبُّ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ إِلَى حَجَّيِ النَّبِيِّ: | ١ 1 |
সপ্তম মাসের একুশ দিনের দিন, সদাপ্রভু বাক্য ভাববাদী হগয়ের মাধ্যমে এল,
«خَاطِبْ زَرُبَّابِلَ بْنَ شَأَلْتِيئِيلَ حَاكِمَ يَهُوذَا، وَيَهُوشَعَ بْنَ يَهُوصَادِقَ رَئِيسَ الْكَهَنَةِ وَجَمِيعَ الْبَقِيَّةِ النَّاجِيَةِ مِنَ الشَّعْبِ قَائِلاً: | ٢ 2 |
“শল্টীয়েলের ছেলে যিহূদার শাসনকর্তা সরুব্বাবিলকে, যিহোষাদকের ছেলে মহাযাজক যিহোশূয়কে এবং অবশিষ্ট লোকদের জিজ্ঞাসা করো,
مَنْ بَقِيَ مِنْكُمْ مِمَّنْ شَاهَدُوا هَذَا الْهَيْكَلَ فِي مَجْدِهِ السَّابِقِ؟ كَيْفَ تَرَوْنَهُ الآنَ؟ أَلَيْسَ هُوَ فِي نَظَرِكُمْ كَلا شَيْءٍ؟ | ٣ 3 |
‘তোমাদের মধ্যে কেউ বাকি আছে যে সদাপ্রভুর গৃহের পূর্বের শোভা দেখেছে? এখন তা কেমন দেখাচ্ছে? দেখে মনে হয় না আগেকার তুলনায় এটি এখন কিছুই নয়?
وَالآنَ تَشَجَّعْ يَازَرُبَّابِلُ، يَقُولُ الرَّبُّ، وَتَشَدَّدْ يَا يَهُوشَعُ بْنُ يَهُوصَادِقَ رَئِيسُ الْكَهَنَةِ، وَأَنْتُمْ كَذَلِكَ يَا جَمِيعَ سُكَّانِ الأَرْضِ. تَشَجَّعُوا وَاعْمَلُوا بِجَدٍّ لأَنِّي مَعَكُمْ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. | ٤ 4 |
কিন্তু এখন, সরুব্বাবিল, বলবান হও,’ এই কথা সদপ্রভু বলেন, ‘যিহোষাদকের ছেলে মহাযাজক যিহোশূয় এবং দেশের অবশিষ্ট লোকেরা বলবান হও, কাজ করে যাও কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে আছি,’ এই কথা সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
بِمُقْتَضَى عَهْدِي الَّذِي أَبْرَمْتُهُ مَعَكُمْ عِنْدَمَا خَرَجْتُمْ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ. إِنَّ رُوحِي مَاكِثٌ مَعَكُمْ، فَلا تَفْزَعُوا. | ٥ 5 |
‘মিশর দেশ থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমি তোমাদের সঙ্গে এই প্রতিশ্রুতি করেছিলাম যে, আমার আত্মা তোমাদের সঙ্গে থাকবে। তাই ভয় করো না।’
لأَنَّهُ هَكَذَا يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: هَا أَنَا مُزْمِعٌ مَرَّةً أُخْرَى، عَمَّا قَلِيلٍ، أَنْ أُزَلْزِلَ السَّمَاءَ وَالأَرْضَ وَالْبَحْرَ وَالْيَابِسَةَ. | ٦ 6 |
“সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি আবার আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং ভূমিকে প্রকম্পিত করব।
وَأُزَعْزِعَ أَرْكَانَ جَمِيعِ الأُمَمِ فَتُجْلَبَ نَفَائِسُهُمْ إِلَى هَذَا الْمَكَانِ وَأَمْلأَ هَذَا الْهَيْكَلَ بِالْمَجْدِ. | ٧ 7 |
আমি সমগ্র জাতিকে নাড়া দেব, ও সব জাতির মনোরঞ্জনকারী আসবেন, এবং এই গৃহ প্রতাপে পরিপূর্ণ করব,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু একথাই বলেন।
فَالذَّهَبُ وَالْفِضَّةُ لِي يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ. | ٨ 8 |
সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, ‘সোনা আমার ও রুপোও আমার,
وَيَكُونُ مَجْدُ هَذَا الْهَيْكَلِ الأَخِيرِ أَعْظَمَ مِنْ مَجْدِ الْهَيْكَلِ السَّابِقِ، وَأَجْعَلُ السَّلامَ يَسُودُ هَذَا الْمَوْضِعَ يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ». | ٩ 9 |
ভবনের বর্তমানের শোভা অতীতের শোভার চেয়ে মহান হবে।’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন। ‘আর এখানেই আমি শান্তি প্রদান করব,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।”
وَفِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنَ الشَّهْرِ التَّاسِعِ (أَيْ شَهْرِ كَانُونَ الأَوَّلِ – دِيسَمْبَر)، فِي السَّنَةِ الثَّانِيَةِ لِحُكْمِ دَارِيُّوسَ أَوْحَى الرَّبُّ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ إِلَى النَّبِيِّ حَجَّيِ: | ١٠ 10 |
নবম মাসের চব্বিশ দিনে, রাজা দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের রাজত্বকালে ভাববাদী হগয়ের কাছে সদাপ্রভুর বাক্য উপস্থিত হল।
«هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: اسْأَلِ الْكَهَنَةَ عَمَّا تَقُولُهُ الشَّرِيعَةُ بِشَأْنِ هَذَا السُّؤَالِ: | ١١ 11 |
“সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘বিধান সমন্ধে পুরোহিতদের জিজ্ঞাসা করো,
إِنْ حَمَلَ إِنْسَانٌ لَحْماً مُقَدَّساً بَيْنَ طَيَّاتِ ثَوْبِهِ، وَلَمَسَ طَرَفُهُ خُبْزاً أَوْ طَبِيخاً أَوْ خَمْراً أَوْ زَيْتاً أَوْ أَيَّ طَعَامٍ آخَرَ، فَهَلْ يُصْبِحُ ذَاكَ مُقَدَّساً؟» فَأَجَابَ الْكَهَنَةُ: «لا». | ١٢ 12 |
যদি কেউ নিজের কাপড়ের ভাঁজে পবিত্র মাংস বহন করে, এবং সেই ভাঁজ করা কাপড় কোনো রুটি বা সিদ্ধ করা খাবার, দ্রাক্ষারস, জলপাই তেল বা অন্যান্য খাদ্যবস্তুকে স্পর্শ করে, কি সেই বস্তুসমগ্র পবিত্র হবে?’” পুরোহিতরা উত্তর দিল, “না।”
ثُمَّ سَأَلَ حَجَّي: «إِنْ لَمَسَ إِنْسَانٌ تَنَجَّسَ بِمَسِّ مَيْتٍ شَيْئاً مِنْ هَذِهِ هَلْ تُصْبِحُ نَجِسَةً؟» فَأَجَابَ الْكَهَنَةُ: «نَعَمْ، تُصْبِحُ نَجِسَةً». | ١٣ 13 |
তারপর হগয় জিজ্ঞাসা করলেন, “যদি কোনো ব্যক্তি মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়ে, এইসব বস্তুর মধ্যে কাউকে স্পর্শ করে, কি তা অশুচি হবে?” পুরোহিতরা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, সেটি অশুচি হয়ে যাবে।”
عِنْدَئِذٍ قَالَ حَجَّي: «هَذَا هُوَ حَالُ الشَّعْبِ، وَهَذَا هُوَ حَالُ الأُمَّةِ أَمَامِي يَقُولُ الرَّبُّ، فَكُلُّ أَعْمَالِ أَيْدِيهِمْ وَجَمِيعُ مَا يُقَدِّمُونَهُ نَجِسٌ. | ١٤ 14 |
তখন হগয় বললেন, সদাপ্রভুর বলছেন, “‘আমার দৃষ্টিতে এই জাতি ও দেশ এমনই, তারা সেখানে যেসব কাজকর্ম করে এবং যা কিছু উৎসর্গ করে সেসব অশুচি।’
وَالآنَ تَأَمَّلُوا فِيمَا صَنَعْتُمُ الْيَوْمَ وَالأَيَّامَ السَّالِفَةَ قَبْلَ أَنْ تَضَعُوا حَجَراً فَوْقَ حَجَرٍ لِبِنَاءِ هَيْكَلِ الرَّبِّ. | ١٥ 15 |
“‘এখন থেকে সযত্নে চিন্তা করো—সদাপ্রভুর গৃহ স্থাপিত হওয়ার আগে যখন একটি পাথরের উপরে আরেকটি পাথর ছিল না তখন কি অবস্থা ছিল।
عِنْدَمَا كَانَ يُقْبِلُ أَحَدٌ عَلَى كَوْمَةِ حُبُوبٍ ظَنّاً مِنْهُ أَنَّ الأَرْضَ قَدْ غَلَّتْ عِشْرِينَ مِكْيَالاً، يَجِدُ أَنَّهَا لَمْ تُغِلَّ سِوَى عَشَرَةٍ فَقَطْ. وَحِينَ يَدْنُو مِنَ الْمِعْصَرَةِ لِيَغْرُفَ مِلْءَ خَمْسِينَ وِعَاءً، لَا يَجِدُ إِلّا عِشْرِينَ. | ١٦ 16 |
কেউ যখন কুড়ি কাঠা শস্যরাশির কাছে আসত, তখন শুধুমাত্র দশ কাঠা পেত। কেউ যখন দ্রাক্ষারসের ভাঁটি থেকে পঞ্চাশ পাত্র দ্রাক্ষারস নেওয়ার জন্য যেত, তখন শুধুমাত্র কুড়ি পাত্রই থাকত।
إِنِّي ابْتَلَيْتُ تَعَبَ أَيْدِيكُمْ بِالْقَحْطِ وَالذُّبُولِ وَالْبَرَدِ، وَلَكِنَّكُمْ لَمْ تَرْجِعُوا تَائِبِينَ إِلَيَّ، يَقُولُ الرَّبُّ. | ١٧ 17 |
আমি তোমাদের হাতের কাজকে ক্ষয়রোগ, ছাতারোগ আর শিলাবৃষ্টি দিয়ে আঘাত করেছি, তা সত্ত্বেও তোমরা আমার দিকে ফেরোনি,’ সদাপ্রভু বলেন।
وَلَكِنْ تَأَمَّلُوا فِيمَا يَجْرِي مُنْذُ هَذَا الْيَوْمِ وَصَاعِداً، مِنَ الْيَوْمِ الرَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنَ الشَّهْرِ التَّاسِعِ، مُنْذُ أَنْ تَمَّ وَضْعُ أَسَاسِ هَيْكَلِ الرَّبِّ. تَأَمَّلُوا. | ١٨ 18 |
‘সযত্নে চিন্তা করো আজ নবম মাসের চব্বিশ দিন থেকে সদাপ্রভুর মন্দিরের ভিত্তিমূল স্থাপনের দিন পর্যন্ত। সযত্নে চিন্তা করো,
هَلْ فِي الأَهْرَاءِ بِذَارٌ بَعْدُ؟ حَتَّى الْكُرُومُ وَالتِّينُ وَالرُّمَّانُ وَالزَّيْتُونُ لَمْ تُثْمِرْ بَعْدُ. لَكِنْ مُنْذُ هَذَا الْيَوْمِ أُبَارِكُ فِيهَا». | ١٩ 19 |
এখনও কি গোলাঘরে কোনো বীজ আছে? এখনও পর্যন্ত দ্রাক্ষালতা, ডুমুর, ডালিম ও জলপাই গাছে ফলও ভালো করে ধরেনি। “‘এখন থেকে আমি সদাপ্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করব।’”
ثُمَّ أَوْحَى الرَّبُّ بِكَلِمَتِهِ إِلَى حَجَّي لِلْمَرَّةِ الثَّانِيَةِ فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنَ الشَّهْرِ قَائِلاً: | ٢٠ 20 |
সেই মাসের চব্বিশতম দিনে দ্বিতীয়বার সদাপ্রভুর বাক্য হগয়ের কাছে এল,
«كَلِّمْ زَرُبَّابِلَ حَاكِمَ يَهُوذَا وَقُلْ لَهُ: أَنَا مُزْمِعٌ أَنْ أُزَلْزِلَ السَّمَاءَ وَالأَرْضَ. | ٢١ 21 |
“যিহূদার শাসক সরুব্বাবিলকে বলো যে আমি আকাশ আর পৃথিবীকে নাড়াবো।
وَأُطَوِّحَ بِعُرُوشِ مَمَالِكِ الأُمَمِ، وَأُدَمِّرَ قُوَّتَهَا وَأَقْلِبَ الْمَرْكَبَاتِ وَفُرْسَانَهَا، فَتَهْوِي الْخُيُولُ وَرُكَّابُهَا وَيَلْقَى كُلُّ وَاحِدٍ حَتْفَهُ بِسَيْفِ صَاحِبِهِ. | ٢٢ 22 |
আমি রাজাদের সিংহাসন উল্টে দেব এবং বিজাতীয় রাজ্যের ক্ষমতা শেষ করে দেব। আমি রথ ও তার চালকদের উল্টে দেব; ঘোড়া এবং ঘোড়সওয়ারেরা প্রত্যকে তার ভাইদের তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে।
فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ، أَصْطَفِيكَ يَازَرُبَّابِلُ بْنُ شَأَلْتِيئِيلَ عَبْدِي، وَأَجْعَلُكَ كَخَاتَمٍ فِي إِصْبَعِي (حَاكِماً بِاسْمِي) لأَنِّي اخْتَرْتُكَ يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ». | ٢٣ 23 |
“সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, ‘সেইদিন, শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, আমার দাসকে গ্রহণ করব এবং আমার সিলমোহরের আংটির মতো করব কারণ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি,’ সর্বশক্তিমান সদপ্রভু এই কথা বলেন।”