< غَلاطِيَّة 4 >
أَقُولُ أَيْضاً مَادَامَ الْوَرِيثُ قَاصِراً، فَلَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَبْدِ أَيُّ فَرْقٍ، مَعَ أَنَّهُ صَاحِبُ الإِرْثِ كُلِّهِ، | ١ 1 |
যা আমি বলতে চাইছি, তা হল, উত্তরাধিকারী যতদিন শিশু থাকে, সে সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী হলেও, ক্রীতদাসের সঙ্গে তার কোনও পার্থক্য থাকে না।
بَلْ يَبْقَى خَاضِعاً لِلأَوْصِيَاءِ وَالْوُكَلاءِ إِلَى أَنْ تَنْقَضِيَ الْفَتْرَةُ الَّتِي حَدَّدَهَا أَبُوهُ. | ٢ 2 |
তার বাবা যে সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, সেই সময় পর্যন্ত সে অভিভাবক ও প্রতিপালকদের তত্ত্বাবধানে থাকে।
وَهذِهِ حَالُنَا نَحْنُ أَيْضاً: فَإِذْ كُنَّا قَاصِرِينَ، كُنَّا عَبِيداً لِمَبَادِىءِ الْعَالَمِ. | ٣ 3 |
একইভাবে, আমরা যখন শিশু ছিলাম, আমরা জগতের বিভিন্ন রীতিনীতির অধীনে ক্রীতদাস ছিলাম।
وَلَكِنْ لَمَّا جَاءَ تَمَامُ الزَّمَانِ، أَرْسَلَ اللهُ ابْنَهُ، وَقَدْ وُلِدَ مِنِ امْرَأَةٍ وَكَانَ خَاضِعاً لِلشَّرِيعَةِ، | ٤ 4 |
কিন্তু সময় যখন সম্পূর্ণ হল, ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠালেন; তিনি এক নারী থেকে জন্ম নিলেন, বিধানের অধীনে জন্মগ্রহণ করলেন,
لِيُحَرِّرَ بِالْفِدَاءِ أُولئِكَ الْخَاضِعِينَ لِلشَّرِيعَةِ، فَنَنَالَ جَمِيعاً مَقَامَ أَبْنَاءِ اللهِ. | ٥ 5 |
যেন যারা বিধানের অধীন তাদের মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করেন এবং আমরা পুত্র হওয়ার পূর্ণ অধিকার লাভ করি।
وَبِمَا أَنَّكُمْ أَبْنَاءٌ لَهُ، أَرْسَلَ اللهُ إِلَى قُلُوبِنَا رُوحَ ابْنِهِ، مُنَادِياً: «أَبَا، يَا أَبَانَا». | ٦ 6 |
যেহেতু আমরা পুত্র, তাই ঈশ্বর তাঁর পুত্রের আত্মাকে আমাদের হৃদয়ে পাঠালেন, যে আত্মা “আব্বা, পিতা” বলে ডেকে ওঠেন।
إِذَنْ، أَنْتَ لَسْتَ عَبْداً بَعْدَ الآنَ، بَلْ أَنْتَ ابْنٌ. وَمَادُمْتَ ابْناً، فَقَدْ جَعَلَكَ اللهُ وَرِيثاً أَيْضاً. | ٧ 7 |
তাই তোমরা আর ক্রীতদাস নও, কিন্তু পুত্র; আর যেহেতু তোমরা পুত্র, ঈশ্বর তোমাদের উত্তরাধিকারীও করেছেন।
وَلَكِنْ، لَمَّا كُنْتُمْ فِي ذَلِكَ الْحِينِ لَا تَعْرِفُونَ اللهَ، كُنْتُمْ فِي حَالِ الْعُبُودِيَّةِ. | ٨ 8 |
আগে তোমরা যখন ঈশ্বরকে জানতে না, তোমরা তাদেরই দাসত্ব করতে, যারা প্রকৃতপক্ষে দেবতা নয়।
أَمَّا الآنَ وَقَدْ عَرَفْتُمُ اللهَ، بَلْ بِالأَحْرَى عَرَفَكُمُ اللهُ، فَكَيْفَ تَرْتَدُّونَ أَيْضاً إِلَى تِلْكَ الْمَبَادِئِ الْعَاجِزَةِ الْفَقِيرَةِ الَّتِي تَرْغَبُونَ فِي الرُّجُوعِ إِلَى الْعُبُودِيَّةِ لَهَا مِنْ جَدِيدٍ؟ | ٩ 9 |
কিন্তু এখন, যেহেতু তোমরা ঈশ্বরকে জানো—বা সঠিক বলতে গেলে, তোমরাই ঈশ্বরের দ্বারা পরিচিত হয়েছ—তাহলে, কী করে তোমরা ওইসব দুর্বল ও ঘৃণ্য নীতিগুলির প্রতি ফিরে যাচ্ছ? তোমরা কি আবার ফিরে গিয়ে সেসবের দ্বারা দাসত্বে আবদ্ধ হতে চাও?
تَحْتَفِلُونَ بِأَيَّامٍ وَأَشْهُرٍ وَمَوَاسِمَ وَسِنِينَ! | ١٠ 10 |
তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ!
أَخَافُ عَلَيْكُمْ، خَشْيَةَ أَنْ أَكُونَ قَدْ تَعِبْتُ مِنْ أَجْلِكُمْ بِلا جَدْوَى. | ١١ 11 |
তোমাদের জন্য আমার ভয় হয়, হয়তো আমি তোমাদের মধ্যে ব্যর্থ পরিশ্রম করেছি।
أُنَاشِدُكُمْ أَيُّهَا الإِخْوَةُ، أَنْ تَكُونُوا مِثْلِي، لأَنِّي أَنَا أَيْضاً مِثْلُكُمْ. أَنْتُمْ لَمْ تَظْلِمُونِي بِشَيْءٍ، | ١٢ 12 |
ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মতো হও, কারণ আমি তোমাদের মতো হয়েছি। তোমরা আমার প্রতি কোনো অন্যায় করোনি।
بَلْ تَعْرِفُونَ أَنَّنِي فِي عِلَّةٍ بِالْجَسَدِ بَشَّرْتُكُمْ أَوَّلَ الأَمْرِ؛ | ١٣ 13 |
যেমন তোমরা জানো, আমি অসুস্থ ছিলাম, যখন প্রথমবার তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছিলাম।
وَمَعَ أَنَّ الْعِلَّةَ الَّتِي فِي جَسَدِي كَانَتْ تَجْرِبَةً لَكُمْ، فَإِنَّكُمْ لَمْ تَحْتَقِرُونِي وَلَمْ تَنْفُرُوا مِنِّي بِسَبَبِهَا، بَلْ قَبِلْتُمُونِي كَأَنِّي مَلاكٌ مِنْ عِنْدِ اللهِ، أَوْ كَأَنِّي الْمَسِيحُ يَسُوعُ. | ١٤ 14 |
যদিও আমার অসুস্থতা তোমাদের কাছে পরীক্ষার কারণস্বরূপ ছিল, তোমরা আমার সঙ্গে ঘৃণ্য ও অবজ্ঞাসুলভ আচরণ করোনি। বরং তোমরা আমাকে যেন ঈশ্বরের এক দূতের মতো, স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশুর মতো মনে করে স্বাগত জানিয়েছিলে।
فَأَيْنَ فَرَحُكُمْ؟ فَإِنِّي أَشْهَدُ لَكُمْ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ سَتَقْلَعُونَ عُيُونَكُمْ وَتُقَدِّمُونَهَا لِي، لَوْ كَانَ ذَلِكَ مُمْكِناً! | ١٥ 15 |
তোমাদের সেইসব আনন্দের কী হল? আমি সাক্ষ্য দিতে পারি যে, সম্ভব হলে, তোমরা নিজের নিজের চোখদুটি উপড়ে নিয়ে আমাকে দিতে!
فَهَلْ صِرْتُ الآنَ عَدُوّاً لَكُمْ لأَنِّي كَلَّمْتُكُمْ بِالْحَقِّ؟ | ١٦ 16 |
সত্যিকথা বলার জন্য আমি কি এখন তোমাদের শত্রু হয়েছি?
إِنَّ أُولئِكَ (الْمُعَلِّمِينَ) يُظْهِرُونَ مِنْ نَحْوِكُمْ حَمَاسَةً، وَلَكِنَّهَا غَيْرُ صَادِقَةٍ، بَلْ هُمْ يَرْغَبُونَ فِي عَزْلِكُمْ عَنَّا، | ١٧ 17 |
ওইসব লোক তোমাদের জয় করার জন্য আগ্রহী হয়েছে, কিন্তু কোনো ভালো উদ্দেশ্যে নয়। তারা যা চায় তা হল আমাদের কাছ থেকে তোমাদের দূরে সরিয়ে দিতে, যেন তোমরা ওদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠো।
لِكَيْ تَتَحَمَّسُوا لَهُمْ. جَميِلٌ إِظْهَارُ الْحَمَاسَةِ فِي مَا هُوَ حَقٌّ، كُلَّ حِينٍ، وَلَيْسَ فَقَطْ حِينَ أَكُونُ حَاضِراً عِنْدَكُمْ. | ١٨ 18 |
কেবলমাত্র তোমাদের মধ্যে যখন উপস্থিত থাকি তখন নয়, কিন্তু সব সময়ের জন্য সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে আগ্রহী হওয়া ভালো।
يَا أَطْفَالِي الَّذِينَ أَتَمَخَّضُ بِكُمْ مَرَّةً أُخْرَى إِلَى أَنْ تَتَشَكَّلَ فِيكُمْ صُورَةُ الْمَسِيحِ. | ١٩ 19 |
আমার প্রিয় সন্তানেরা তোমাদের জন্য আমি আবার প্রসবযন্ত্রণা ভোগ করছি, যতক্ষণ না তোমরা খ্রীষ্টের মতো হও।
وَكَمْ أَوَدُّ لَوْ أَكُونُ الآنَ حَاضِراً عِنْدَكُمْ، فَأُخَاطِبَكُمْ بِغَيْرِ هذِهِ اللهْجَةِ، لأَنِّي مُتَحَيِّرٌ فِي أَمْرِكُمْ. | ٢٠ 20 |
আমার এমন ইচ্ছা হচ্ছে যে, আমি যদি এখনই তোমাদের কাছে যেতে ও অন্য স্বরে কথা বলতে পারতাম! কারণ আমি তোমাদের নিয়ে যে কী করব তা বুঝতে পারছি না!
قُولُوا لِي، يَا مَنْ تَرْغَبُونَ فِي الرُّجُوعِ إِلَى الْعُبُودِيَّةِ لِلشَّرِيعَةِ، أَلَسْتُمْ تَسْمَعُونَ مَا جَاءَ فِي الشَّرِيعَةِ؟ | ٢١ 21 |
তোমরা যারা বিধানের অধীনে থাকতে চাও, আমাকে বলো তো, বিধান যা বলে, তা কি তোমরা জানো না?
فَإِنَّهُ قَدْ كُتِبَ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ لَهُ ابْنَانِ: أَحَدُهُمَا مِنَ الْجَارِيَةِ، وَالآخَرُ مِنَ الْمَرْأَةِ الْحُرَّةِ. | ٢٢ 22 |
কারণ লেখা আছে, অব্রাহামের দুই পুত্র ছিল, একজন ক্রীতদাসীর, অন্যজন স্বাধীন নারীর।
أَمَّا ابْنُ الْجَارِيَةِ، فَقَدْ وُلِدَ حَسَبَ الْجَسَدِ. وَأَمَّا ابْنُ الْحُرَّةِ، فَإِتْمَاماً لِلْوَعْدِ. | ٢٣ 23 |
ক্রীতদাসী নারীর দ্বারা তাঁর পুত্রের জন্ম হয়েছিল স্বাভাবিক উপায়ে, কিন্তু স্বাধীন নারীর দ্বারা তাঁর পুত্রের জন্ম হয়েছিল এক প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপে।
وَهذِهِ الْحَقِيقَةُ لَهَا مَعْنىً رَمْزِيٌّ. فَهَاتَانِ الْمَرْأَتَانِ تَرْمُزَانِ إِلَى عَهْدَيْنِ: الأَوَّلُ مَصْدَرُهُ جَبَلُ سِينَاءَ، يَجْعَلُ الْمَوْلُودِينَ تَحْتَهُ فِي حَالِ الْعُبُودِيَّةِ، وَرَمْزُهُ هَاجَرُ. | ٢٤ 24 |
এসব বিষয় রূপক অর্থে গ্রহণ করা যেতে পারে, কারণ ওই দুজন নারী দুটি চুক্তির প্রতীকস্বরূপ। একটি চুক্তি সীনয় পর্বত থেকে, তা ক্রীতদাস হওয়ার জন্য সন্তানদের জন্ম দেয়। এ হল হাগার।
وَلَفْظَةُ هَاجَرَ تُطْلَقُ عَلَى جَبَلِ سِينَاءَ، فِي بِلادِ الْعَرَبِ، وَتُمَثِّلُ أُورُشَلِيمَ الْحَالِيَّةَ، فَإِنَّهَا مَعَ بَنِيهَا فِي الْعُبُودِيَّةِ. | ٢٥ 25 |
এখন হাগার হল আরবে স্থিত সীনয় পর্বতের প্রতীক এবং বর্তমানের জেরুশালেম নগরীর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, কারণ সে তার সন্তানদের নিয়ে দাসত্ববন্ধনে আবদ্ধ আছে।
أَمَّا الثَّانِي، فَرَمْزُهُ الْحُرَّةُ الَّتِي تُمَثِّلُ أُورُشَلِيمَ السَّمَاوِيَّةَ الَّتِي هِيَ أُمُّنَا. | ٢٦ 26 |
কিন্তু ঊর্ধ্বে স্থিত জেরুশালেম স্বাধীন, সে আমাদের প্রকৃত মা।
فَإِنَّهُ قَدْ كُتِبَ: «افْرَحِي أَيَّتُهَا الْعَاقِرُ الَّتِي لَا تَلِدُ، اهْتِفِي بِأَعْلَى صَوْتِكِ أَيَّتُهَا الَّتِي لَا تَتَمَخَّضُ، لأَنَّ أَوْلادَ الْمَهْجُورَةِ أَكْثَرُ عَدَداً مِنْ أَوْلادِ الَّتِي لَهَا زَوْجٌ!» | ٢٧ 27 |
কারণ লেখা আছে, “ওহে বন্ধ্যা নারী, যে কখনও সন্তান প্রসব করোনি, আনন্দিত হও; তোমরা কখনও প্রসবযন্ত্রণা ভোগ করোনি, আনন্দোল্লাসে ফেটে পড়ো; কারণ যার স্বামী আছে, সেই নারীর চেয়ে, যে নারী পরিত্যক্তা, তার সন্তান বেশি।”
وَأَمَّا أَنْتُمْ، أَيُّهَا الإِخْوَةُ، فَأَوْلادُ الْوَعْدِ، عَلَى مِثَالِ إِسْحَاقَ. | ٢٨ 28 |
এখন ভাইবোনেরা, তোমরা ইস্হাকের মতো প্রতিশ্রুতির সন্তান।
وَلَكِنْ، كَمَا كَانَ فِي الْمَاضِي الْمَوْلُودُ بِحَسَبِ الْجَسَدِ يَضْطَهِدُ الْمَوْلُودَ بِحَسَبِ الرُّوحِ، فَكَذَلِكَ أَيْضاً يَحْدُثُ الآنَ. | ٢٩ 29 |
সেই সময়, স্বাভাবিক উপায়ে জাত পুত্র, ঈশ্বরের আত্মার পরাক্রমে জাত পুত্রকে নির্যাতন করত। তেমনই এখনও হচ্ছে।
إِنَّمَا مَاذَا يَقُولُ الْكِتَابُ؟ «اطْرُدِ الْجَارِيَةَ وَابْنَهَا، لأَنَّ ابْنَ الْجَارِيَةِ لَا يَرِثُ مَعَ ابْنِ الْحُرَّةِ!» | ٣٠ 30 |
কিন্তু শাস্ত্র কী বলে? “সেই ক্রীতদাসী ও তার ছেলেকে তাড়িয়ে দাও, কারণ সেই স্বাধীন নারীর সম্পত্তির অধিকারে ওই মহিলার ছেলে কখনোই ভাগ বসাবে না।”
إِذَنْ، أَيُّهَا الإِخْوَةُ، نَحْنُ لَسْنَا أَوْلادَ الْجَارِيَةِ، بَلْ أَوْلادُ الْحُرَّةِ. | ٣١ 31 |
অতএব ভাইবোনেরা, আমরা ক্রীতদাসীর সন্তান নই, কিন্তু সেই স্বাধীন নারীর সন্তান।