< حِزْقِيال 5 >
أَمَّا أَنْتَ يَا ابْنَ آدَمَ فَخُذْ لِنَفْسِكَ سَيْفاً حَادّاً اسْتَخْدِمْهُ كَمُوسَى الْحَلّاقِ لِتَحْلِقَ رَأْسَكَ وَلِحْيَتَكَ، ثُمَّ خُذْ لِنَفْسِكَ مِيزَاناً وَاقْسِمِ الشَّعْرَ إِلَى ثَلاثَةِ أَثْلاثٍ، | ١ 1 |
১তারপর তোমার, মানুষের সন্তান, তোমার নিজের জন্য একটা ধারালো তরোয়াল নাও, নাপিতের ক্ষুরের মত, তোমার মাথা ও দাড়ি ক্ষুর দিয়ে কামিয়ে নাও, পরে দাঁড়িপাল্লা নাও ওজন করতে এবং তোমার চুল ভাগ কর।
وَاحْرِقْ بِالنَّارِ ثُلْثاً فِي وَسَطِ الْمَدِينَةِ إِذَا اكْتَمَلَتْ أَيَّامُ الْحِصَارِ، ثُمَّ تَنَاوَلْ ثُلْثاً آخَرَ وَاضْرِبْهُ بِالسَّيْفِ حَوْلَ خَرِيطَةِ الْمَدِينَةِ الْمَرْسُومَةِ. أَمَّا الثُّلْثُ الأَخِيرُ فَذَرِّهِ مَعَ الرِّيحِ، وَأَنَا أَسْتَلُّ سَيْفاً خَلْفَهُ. | ٢ 2 |
২এর তৃতীয়াংশ শহরের মাঝখানে আগুনে পোড়াও যখন অবরোধের দিন পূর্ণ হবে এবং চুলের তৃতীয়াংশ নাও এবং এটাতে তরোয়াল দিয়ে আঘাত কর শহরের চারপাশে। তারপর এক তৃতিয়াংশ বায়ুতে উড়িয়ে দাও, পরে আমি সৈন্য সজ্জিত করে লোকেদের পেছনে যাব।
وَلَكِنِ احْتَفِظْ بِكَمِّيَّةٍ قَلِيلَةٍ مِنْهُ وَصُرَّهَا فِي أَطْرَافِ ثَوْبِكَ. | ٣ 3 |
৩কিন্তু তুমি তাদের থেকে অল্পসংখ্যক চুল নাও এবং সে গুলো জামার হাতায় বেঁধে রাখো।
كَذَلِكَ خُذْ بَعْضاً مِنَ الشَّعْرِ وَاطْرَحْهُ فِي النَّارِ لِيَحْتَرِقَ، فَتَنْدَلِعَ مِنْهُ نَارٌ عَلَى كُلِّ شَعْبِ إِسْرَائِيلَ». | ٤ 4 |
৪তারপর আরো চুল নাও এবং আগুনের মধ্যে ফেলে দাও এবং এটা আগুনে পুড়িয়ে ফেল; সেখান থেকে আগুন বেরিয়ে সব ইস্রায়েল-কুলে যাবে।
وَهَذَا مَا يُعْلِنُهُ السَّيِّدُ الرَّبُّ: «هَذِهِ هِيَ أُورُشَلِيمُ الَّتِي أَقَمْتُهَا فِي وَسَطِ الشُّعُوبِ تُحِيطُ بِها الأَرَاضِي، | ٥ 5 |
৫প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, এই যিরুশালেম, যেখানে আমি জাতিদের মধ্যে স্থাপন করেছি এবং এর চার পাশে অন্য দেশ আছে।
فَخَالَفَتْ أَحْكَامِي بِأَشَرِّ مِمَّا خَالَفَتْهَا الأُمَمُ وَسُكَّانُ الأَرَاضِي الْمُحِيطَةِ بِها، إِذْ تَنَكَّرُوا لأَحْكَامِي، وَفَرَائِضِي لَمْ يُمَارِسُوهَا. | ٦ 6 |
৬কিন্তু সে দুষ্টতার সঙ্গে জাতিদের অপেক্ষা আমার আদেশ প্রত্যাখান করেছে ও তার চারিদিকের দেশের লোক অপেক্ষা আমার বিধির বিরোধী হয়েছে এবং তারা আমার বিচার অগ্রাহ্য করেছে এবং আমার বিধিমতে চলেনি।
لِذَلِكَ مِنْ حَيْثُ أَنَّكُمْ تَمَرَّدْتُمْ أَكْثَرَ مِنَ الأُمَمِ الْمُحِيطَةِ بِكُمْ، وَلَمْ تُمَارِسُوا فَرَائِضِي وَلَمْ تَعْمَلُوا بِمُقْتَضَى أَحْكَامِي، وَلا بِمُقْتَضَى أَحْكَامِ الأُمَمِ الَّتِي حَوْلَكُمْ. | ٧ 7 |
৭তাই প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, কারণ তোমার চারিদিকের জাতিদের থেকে বেশী গণ্ডগোল করেছো, আমার বিধিমতে চলনি অথবা আমার শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী চলনি এবং তোমার চারিদিকের জাতিদের শাসন অনুসারে চলনি।
هَا أَنَا أَيْضاً أنْقَلِبُ عَلَيْكِ يَا أُورُشَلِيمُ، وَأُجْرِي عَلَيْكِ قَضَاءً عَلَى مَشْهَدٍ مِنَ الأُمَمِ، | ٨ 8 |
৮তাই প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, “দেখ, আমি নিজে তোমার বিরুদ্ধে কাজ করব; আমি জাতিদের মাঝখানে তোমার বিচার সম্পাদন করব।
فَأَصْنَعُ بِكِ مَا لَمْ أَصْنَعْهُ مِنْ قَبْلُ، وَمَا لَنْ أَصْنَعَ مِثْلَهُ مِنْ بَعْدُ، عِقَاباً لَكِ عَلَى جَمِيعِ أَرْجَاسِكِ. | ٩ 9 |
৯আমি তোমার প্রতি তাই করব যা কখনও করিনি এবং যার মত আর কখনও করব না, তোমার সব ঘৃণার কাজের কারণে।
إِذْ يَأْكُلُ الآبَاءُ أَبْنَاءَهُمْ، وَالأَبْنَاءُ آبَاءَهُمْ، لأَنَّنِي أُجْرِي فِيكِ قَضَاءً وَأُذَرِّي بَقِيَّتَكِ كُلَّهَا مَعَ كُلِّ رِيحٍ. | ١٠ 10 |
১০সুতরাং বাবারা ছেলেদের কে তোমার সামনে খাবে ও ছেলেরা তাদের বাবাকে খাবে, আমি তোমার মধ্যে বিচার সম্পাদন করব ও তোমাদের সকলকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেব যারা বাকি থাকবে।
لِهَذَا، حَيٌّ أَنَا يَقُولُ السَّيِّدُ الرَّبُّ، لأَنَّكِ قَدْ دَنَّسْتِ مَقْدِسِي بِكُلِّ أَصْنَامِكِ الْمَكْرُوهَةِ، وَبِجَمِيعِ رَجَاسَاتِكِ، فَأَنَا أَيْضاً أَسْتَأْصِلُ، وَلا تَتَرَأَّفُ عَلَيْكِ عَيْنِي وَلا أَعْفُو. | ١١ 11 |
১১অতএব, যেমন আমি জীবন্ত” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন এটা অবশ্যই হবে কারণ তুমি আমার পবিত্রস্থানকে তোমার বিরক্তিকর ও ঘৃণার কাজ করে আমার পবিত্র জায়গাকে অশুচি করেছো, তখন আমি নিজে তোমাদের সংখ্যা কমিয়ে দেবো; আমার চোখে তোমার ওপর কোন দয়া থাকবে না এবং আমি তোমাকে বাদ দেবো না।
ثُلْثُ سُكَّانِكِ يَمُوتُونَ بِالْوَبَاءِ وَالْجُوعِ فِي وَسَطِكِ، وَثُلْثٌ ثَانٍ يُقْتَلُ حَوْلَكِ بِالسَّيْفِ، وَثُلْثٌ أَخِيرٌ أُشَتِّتُهُ بَيْنَ الأُمَمِ وَأَتَعَقَّبُهُ بِسَيْفٍ مَسْلُولٍ. | ١٢ 12 |
১২তোমার তৃতীয়াংশ লোক মহামারীতে মরবে এবং তোমার মধ্যে দূর্ভিক্ষে ক্ষয় হবে; অপর তৃতীয়াংশ তোমার চারিদিকে তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে; তারপর শেষ তৃতীয়াংশকে আমি চারিদিকে উড়িয়ে দেবো, তরোয়াল খুলে তাদের পেছনে তাড়া করব।
وَهَكَذَا أُنَفِّسُ عَنْ غَضَبِي وَيَخْمِدُ سَخَطِي إِذْ أَكُونُ قَدِ انْتَقَمْتُ. وَحِينَ يَسْتَكِينُ حَنَقِي عَلَيْهِمْ يُدْرِكُونَ أَنِّي أَنَا الرَّبُّ الَّذِي أَصْدَرْتُ قَضَائِي فِي احْتِدَامِ غَيْرَتِي. | ١٣ 13 |
১৩তারপর আমার রাগ সম্পূর্ণ হবে এবং আমি তাদের ওপরে রাগ মিটিয়ে শান্ত হব; আমি তৃপ্তি পাবো, তারা জানবে যে আমি, সদাপ্রভু, আমি রাগে এই কথা বলেছি যখন আমার রাগ তাদের বিরুদ্ধে সম্পন্ন হবে।
وَأَجْعَلُكِ خَرَاباً وَعَاراً بَيْنَ الأُمَمِ الْمُحِيطَةِ بِكِ وَأَمَامَ كُلِّ مَنْ يَجْتَازُ بِكِ، | ١٤ 14 |
১৪আমি তোমাকে জনশূন্য করব এবং জাতিকে কলঙ্কিত করব তোমার চারপাশের লোকের দৃষ্টিতে টিটকারীর পাত্র করব।
فَتَكُونِينَ عَاراً وَلَعْنَةً وَعِبْرَةً وَمَثَارَ دَهْشَةٍ لِلأُمَمِ الْمُحِيطَةِ بِكِ حِينَ أُنَفِّذُ فِيكِ قَضَائِي بِغَضَبٍ وَغَيْظٍ وَتَقْرِيعَاتٍ حَانِقَةٍ. أَنَا الرَّبُّ قَدْ تَكَلَّمْتُ. | ١٥ 15 |
১৫যিরুশালেম অন্যের কাছে ধিক্কার জনক এবং উপহাসের পাত্র হবে, তোমার চারপাশের জাতীর কাছে। আমি ক্রোধ, কোপ ও কোপযুক্ত ভর্ত্সনা দিয়ে তোমার মধ্যে বিচার করব, আমি সদাপ্রভুই এই কথা বললাম।
وَعِنْدَمَا أُرْسِلُ عَلَيْهِمْ سِهَامَ الْجُوعِ الْمُمِيتَةَ الَّتِي أُعِدَّتْ لِلتَّدْمِيرِ، السِّهَامَ الَّتِي أَرْسَلْتُهَا لِخَرَابِكُمْ، عِنْدَئِذٍ أَزِيدُ مِنَ الْجُوعِ عَلَيْكُمْ وَأُبِيدُ مَؤُونَةَ خُبْزِكُمْ، | ١٦ 16 |
১৬আমি সেখানকার লোকদের ওপর দূর্ভিক্ষ মত হিংস্র বান ছুড়বো; এর মানে আমি তোমাদেরকে ধ্বংস করব; আমি তোমাদের ওপর দূর্ভিক্ষ বাড়াবো এবং তোমাদের রুটির লাঠি ভেঙে দেবো।
وَأُرْسِلُ عَلَيْكُمُ الْمَجَاعَةَ وَالْوُحُوشَ الضَّارِيَةَ، فَتُثْكِلُكُمْ وَيَعُمُّكُمُ الْوَبَاءُ وَسَفْكُ الدِّمَاءِ، وَأَجْلِبُ عَلَيْكُمُ السَّيْفَ. أَنَا الرَّبُّ قَدْ قَضَيْتُ». | ١٧ 17 |
১৭আমি তোমাদের বিরুদ্ধে দূর্ভিক্ষ ও হিংস্র জন্তুদেরকে পাঠাব; যাতে তোমার নিঃসন্তান হবে; আর মহামারী ও রক্ত তোমার ভেতর দিয়ে যাওয়া আসা করবে, আর আমি তোমার বিরুদ্ধে তরোয়াল আনব; আমি সদাপ্রভুই এই কথা বললাম।