< حِزْقِيال 34 >

وَأَوْحَى إِلَيَّ الرَّبُّ بِكَلِمَتِهِ قَائِلاً: ١ 1
তারপর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল
«يَا ابْنَ آدَمَ، تَنَبَّأْ عَلَى رُعَاةِ إِسْرَائِيلَ وَقُلْ لَهُمْ: هَذَا مَا يُعْلِنُهُ لَهُمُ السَّيِّدُ الرَّبُّ: وَيْلٌ لِرُعَاةِ إِسْرَائِيلَ الَّذِينَ كَانُوا مُنْهَمِكِينَ فِي رِعَايَةِ أَنْفُسِهِمْ. أَلَيْسَ مِنْ شَأْنِ الرُّعَاةِ رِعَايَةُ الْغَنَمِ؟ ٢ 2
মানুষের সন্তান, তুমি ইস্রায়েলের পালকদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল, তাদেরকে ভাববাণী বল, সেই পালকদেরকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ইস্রায়েলের সেই পালকদেরকে ধিক, পালকদের কি উচিত নয় মেষদেরকে পালন করা?।
إِنَّمَا أَنْتُمْ تَأْكُلُونَ الشَّحْمَ، وَتَرْتَدُونَ الصُّوفَ، وَتَذْبَحُونَ الْخَرُوفَ السَّمِينَ، وَلا تَرْعَوْنَ الْغَنَمَ. ٣ 3
তোমার মেদ খাও এবং মেষলোমের পোশাক পর, পুষ্ট মেষ বলিদান করো কিন্তু মেষদেরকে পালন কর না।
فَالْمَرِيضُ لَمْ تُقَوُّوهُ، وَالْمَجْرُوحُ لَمْ تَعْصِبُوهُ، وَالْمَكْسُورُ لَمْ تَجْبُرُوهُ، وَالْمَطْرُودُ لَمْ تَسَتَرْجِعُوهُ، وَالضَّالُّ لَمْ تَبْحَثُوا عَنْهُ، بَلْ تَسَلَّطْتُمْ عَلَيْهِمْ بِقَسْوَةٍ وَعُنْفٍ. ٤ 4
তোমার দুর্বলদের সবল কর না, পীড়িতের চিকিৎসা কর নি, ভাঙা ক্ষত বাঁধনি, দূরের মানুষকে ফিরিয়ে আন নি, হারানের খোঁজ কর নি, কিন্তু শক্তি ও উপদ্রব করে তাদের শাসন করেছ।
فَتَشَتَّتَتِ الرَّعِيَّةُ وَأَضْحَتْ بِلا رَاعٍ، وَصَارَتْ قُوتاً لِجَمِيعِ وُحُوشِ الْبَرِّيَّةِ. ٥ 5
তারপর পালকের অভাবে মেষরা ছিন্নভিন্ন হয়েছে; তারা বন্য পশু সকলের খাদ্য হয়েছে, তারপর ছিন্নভিন্ন হয়েছ।
ضَلَّتْ غَنَمِي بَيْنَ الْجِبَالِ وَفَوْقَ كُلِّ أَكَمَةٍ مُرْتَفِعَةٍ. تَبَدَّدَتْ غَنَمِي فِي الْعَرَاءِ وَلَمْ يُوْجَدْ مَنْ يَنْشُدُهَا أَوْ يَلْتَمِسُهَا. ٦ 6
আমার মেষেরা সব পর্বতে ও সব উচ্চ গিরির ওপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে; সব ভূতলে আমার মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়েছে; তাদের খোঁজার কেউ নেই।
لِذَلِكَ اسْمَعُوا أَيُّهَا الرُّعَاةُ كَلامَ الرَّبِّ: ٧ 7
তাই, পালকেরা, সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
حَيٌّ أَنَا يَقُولُ السَّيِّدُ الرَّبُّ، لأَنَّ غَنَمِي بَاتَتْ غَنِيمَةً وَصَارَتْ قُوتاً لِكُلِّ وَحْشِ الْبَرِّيَّةِ، إِذْ لَمْ يَكُنْ هُنَاكَ رَاعٍ وَلا سَأَلَ رُعَاتِي عَنْ غَنَمِي، بَلِ انْهَمَكُوا فِي رِعَايَةِ أَنْفُسِهِمْ وَأَهْمَلُوا غَنَمِي، ٨ 8
“প্রভু সদাপ্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য”, “কারণ আমার পাল লুটদ্রব্য হয়েছে এবং আমার মেষের মাঠের সব পশুদের খাদ্য হবে; (কারণ সেখানে কোনো মেষ পালক ছিল না এবং কোনো পালক আমার পালকে চাইতনা কিন্তু পালকেরা নিজেদের পাহারা দিত এবং আমার পালকে পালন করত না)”
لِذَلِكَ، اسْمَعُوا أَيُّهَا الرُّعَاةُ كَلامَ الرَّبِّ: ٩ 9
তাই, পালকরা শোন, তোমার সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
هَا أَنَا أَنْقَلِبُ عَلَى الرُّعَاةِ وَأُطَالِبُهُمْ بِغَنَمِي، وَأَعْزِلُهُمْ عَنْ رِعَايَتِهَا، فَلا يَرْعَوْنَ حَتَّى أَنْفُسَهُمْ بَعْدُ. وَأُنْقِذُ غَنَمِي مِنْ أَفْوَاهِهِم فَلا تَكُونُ لَهُمْ مَأْكَلاً. ١٠ 10
১০প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি সেই পালকদের বিরুদ্ধে; আমি তাদের হাত থেকে আমার মেষদেরকে আদায় করব। তারপর তাদেরকে মেষপালকের কাজ থেকে বরখাস্ত করব, সেই পালকেরা আর নিজেদেরকে পালন করবে না; আর আমি আপন মেষদেরকে তাদের মুখ থেকে উদ্ধার করব, যাতে আমার পাল আর তাদের খাদ্য হবে না
لأَنَّ هَذَا مَا يُعْلِنُهُ السَّيِّدُ الرَّبُّ: هَا أَنَا أَبْحَثُ عَنْ غَنَمِي وَأَفْتَقِدُهَا. ١١ 11
১১কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি, নিজে মেষদের খোঁজ করব, তাদেরকে দেখাশোনা করব।
وَكَمَا يَتَفَقَّدُ الرَّاعِي قَطِيعَهُ فِي الْيَوْمِ الَّذِي يَكُونُ فِيهِ بَيْنَ غَنَمِهِ الْمُشَتَّتَةِ، هَكَذَا أَتَفَقَّدُ قَطِيعِي وَأُخَلِّصُهُ مِنْ كُلِّ الأَمَاكِنِ الَّتِي تَفَرَّقَ إِلَيْهَا فِي يَوْمٍ غَائِمٍ كَئِيبٍ. ١٢ 12
১২পালক ছিন্নভিন্ন মেষদের মধ্যে থাকবার দিনের নিজের পাল খুঁজে বের করে এবং যে সব জায়গায় তারা মেঘাছন্ন অন্ধকার দিনের ছিন্নভিন্ন হয়েছে, সে সব জায়গা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করব।
وَأُخْرِجُهُ مِنْ بَيْنِ الشُّعُوبِ وَأَجْمَعُهُ مِنَ الْبُلْدَانِ، وَأَرُدُّهُ إِلَى أَرْضِهِ، حَيْثُ أَرْعَاهُ عَلَى جِبَالِ إِسْرَائِيلَ وَفِي الأَوْدِيَةِ وَفِي جَمِيعِ أَمَاكِنِ الأَرْضِ الآهِلَةِ. ١٣ 13
১৩তারপর আমি জাতিদের মধ্য থেকে বের করে আনব, দেশ থেকে জড়ো করব এবং তাদের তোমার ভূমিতে আনব। ইস্রায়েলের পর্বতসমূহের ওপরে, জল প্রবাহগুলর কাছে এবং দেশের সব জায়গায় তাদেরকে চরাব।
وَأَرْعَاهُ فِي مُرُوجٍ خَصِيبَةٍ، وَتَكُونُ جِبَالُ إِسْرَائِيلَ الشَّاهِقَةُ مَرَاعِيَ رَائِعَةً يُرْبِضُونَ فِي مَرَاحِهَا الطَّيِّبِ، وَيَرْعَوْنَ فِي مَرَاعٍ خَصِيبَةٍ عَلَى جِبَالِ إِسْرَائِيلَ. ١٤ 14
১৪আমি উত্তম চরানিতে তাদেরকে চরাব এবং ইস্রায়েলের উঁচুঁ পর্বতে একমাত্র চরানোর জায়গা করব, তারা সুন্দর চরানোর প্রচুর জায়গায় শুয়ে থাকবে, তারা ইস্রায়েলের পর্বতে চরবে।
أَنَا أَرْعَى غَنَمِي وَأُرْبِضُهَا يَقُولُ السَّيِّدُ الرَّبُّ، ١٥ 15
১৫আমি নিজে মেষদেরকে চরাব এবং আমি তাদেরকে শোয়াব এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
وَأَطْلُبُ الضَّالَّ وَأَسْتَرْجِعُ الْمَطْرُودَ وَأَجْبُرُ الْكَسِيرَ وَأَعْصِبُ الْجَرِيحَ وَأَسْتَأْصِلُ السَّمِينَ وَالْقَوِيَّ، وَأَرْعَاهَا بِعَدْلٍ. ١٦ 16
১৬আমি হারানোদের খোঁজ করব, দূরে চলে যাওয়াদের ফিরিয়ে আনব ভাঙা মেষদের ক্ষত বাঁধব ও পীড়িতকে আরোগ্য দেবো এবং হৃষ্ট পুষ্ট ও শক্তিশালী সংহার করব; আমি বিচারমতে তাদেরকে পালন করব।
أَمَّا أَنْتُمْ يَا غَنَمِي فَهَا أَنَا أَقْضِي بَيْنَ شَاةٍ وَشَاةٍ، وَبَيْنَ كِبَاشٍ وَتُيُوسٍ. ١٧ 17
১৭এবং তুমি, আমার মেষপাল, (প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন) দেখ, আমি মেষ, আবার মেষদের ও ছাগলদের মধ্যে বিচার করব।
أَتَحْسُبُونَ أَنَّهُ أَمْرٌ تَافِهٌ أَنْ تَرْعَوْا فِي الْمَرْعَى الْخَصِيبِ وَتَدُوسُوا بِأَرْجُلِكُمْ بَقِيَّةَ الْمَرَاعِي؟ وَأَنْ تَشْرَبُوا مِنَ الْمِيَاهِ الصَّافِيَةِ وَتُعَكِّرُوا بَقِيَّتَهَا بِأَقْدَامِكُمْ؟ ١٨ 18
১৮এটা কি তোমাদের কাছে তুচ্ছ বিষয় মনে হয় যে ভালো চরানিতে চরাচ্ছ, যাতে নিজেদের পদতলে দলিত করছ বাকি ঘাস? অথবা পরিষ্কার জল পান করছ, তুমি পা দিয়ে নদীর জল কাদা করছো
فَيَتَحَتَّمَ عَلَى غَنَمِي أَنْ تَرْعَى مَا دَاسَتْهُ أَقْدَامُكُمْ وَتَشْرَبَ مَا كَدَّرَتْهُ أَرْجُلُكُمْ. ١٩ 19
১৯কিন্তু আমার মেষগনের অবস্থা এই, যেখানে তুমি পা দিয়ে দলন করেছ; তোমার পা দিয়ে যা কাদা করেছ, তারা তাই পান করে।
لِذَلِكَ هَا أَنَا أَقْضِي بَيْنَ الشَّاةِ السَّمِينَةِ وَالشَّاةِ الْهَزِيلَةِ، ٢٠ 20
২০তাই প্রভু সদাপ্রভু তাদেরকে এ কথা বলেন, দেখ, আমি, নিজে মোটা মেষের ও রোগা মেষের মধ্যে বিচার করব।
لأَنَّكُمْ دَفَعْتُمْ بِالْجَنْبِ وَالْكَتِفِ الشَّاةَ الْمَرِيضَةَ وَنَطَحْتُمُوهَا بِقُرُونِكُمْ حَتَّى شَتَّتُّمُوهَا إِلَى خَارِجٍ. ٢١ 21
২১তোমার পাশ ও কাঁধ দিয়ে দুর্বল কে ঠেলছ, শিং দিয়ে গোঁতাচ্ছ যতক্ষণ না দেশ থেকে ছিন্নভিন্ন হয়।
وَلَكِنِّي أُنْقِذُ غَنَمِي فَلا تَكُونُ مِنْ بَعْدُ غَنِيمَةً، وَأَقْضِي بَيْنَ شَاةٍ وَشَاةٍ، ٢٢ 22
২২তাই আমি আমার মেষপালকে রক্ষা করব, তারা আর লুটদ্রব্য হবে না এবং আমি মেষ ও মেষের মধ্যে বিচার করব।
وَأَنْصِبُ عَلَيْهَا رَاعِياً وَاحِداً عَبْدِي دَاوُدَ يَرْعَاهَا بِنَفْسِهِ وَيَكُونُ لَهَا رَاعِياً أَمِيناً. ٢٣ 23
২৩আমি তাদের ওপরে একমাত্র পালককে ওঠাবো তিনি তাদের পালক হবেন।
وَأَنَا الرَّبُّ أَكُونُ لَهُمْ إِلَهاً، وَعَبْدِي دَاُودُ يَكُونُ لَهُمْ رَئِيساً. أَنَا الرَّبُّ تَكَلَّمْتُ. ٢٤ 24
২৪আমি সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর হব এবং আমার দাস দায়ূদ তাদের অধ্যক্ষ হবেন; আমি সদাপ্রভু এটা বললাম।
وَأُبْرِمُ مَعَهُمْ مِيثَاقَ سَلامٍ، وَأَقْضِي عَلَى الْوُحُوشِ الضَّارِيَةِ فِي الأَرْضِ فَيُقِيمُونَ فِي الصَّحْرَاءِ آمِنِينَ، وَيَنَامُونَ فِي الْغَابَاتِ مُطْمَئِنِّينَ. ٢٥ 25
২৫তারপর আমি তাদের পক্ষে শান্তির নিয়ম স্থির করব ও হিংস্র পশুদেরকে দেশ থেকে তাড়াবো তাতে তারা নির্ভয়ে প্রান্তরে বাস করবে ও বনে ঘুমাবে।
وَأَجْعَلُهُمْ مَعَ مَا يُحِيطُ بِأَكَمَتِي بَرَكَةً، وَأَسْكُبُ عَلَيْهِمِ الْمَطَرَ فِي أَوَانِهِ، فَتَكُونُ أَمْطَارَ بَرَكَةٍ. ٢٦ 26
২৬আমি তাদেরকে ও গিরির চারদিকের পরিসীমাকে আশীর্বাদ করব, ঠিকদিনের জলধারা বইয়ে দেবো,
وَتُثْمِرُ شَجَرَةُ الْحَقْلِ، وَتُنْتِجُ الأَرْضُ غَلَّتَهَا، وَيَكُونُونَ آمِنِينَ فِي دِيَارِهِمْ، وَيُدْرِكُونَ عِنْدَمَا أُحَطِّمُ نِيرَهُمْ وَأُنْقِذُهُمْ مِنْ قَبْضَةِ مُسْتَعْبِدِيهِمْ أَنِّي أَنَا الرَّبُّ. ٢٧ 27
২৭তারপর ক্ষেতের গাছ ফল উৎপন্ন করবে ও ভূমি শস্য দেবে এবং আমার মেষ নির্ভয়ে স্বদেশে থাকবে, তাতে তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, যখন আমি তাদের দাসত্ব ভেঙে ফেলব এবং যারা তাদেরকে দাসত্ব করিয়েছে, তাদের হাত থেকে উদ্ধার করবো।
فَلا يَكُونُونَ بَعْدُ غَنِيمَةً لِلأُمَمِ، وَلا يَفْتَرِسُهُمْ وَحْشُ الأَرْضِ، بَلْ يَسْكُنُونَ آمِنِينَ لَا يُفْزِعُهُمْ أَحَدٌ. ٢٨ 28
২৮তারা আর জাতিদেরর লুটদ্রব্য হবে না এবং বন্য পশুরা তাদেরকে আর গ্রাস করবে না; কিন্তু তারা নির্ভয়ে বাস করবে, কেউ তাদেরকে ভয় দেখাবে না।
وَأُقِيمُ لَهُمْ مَغْرَساً ذَائِعَ الصِّيتِ، فَلا يَكُونُونَ بَعْدُ ضَحَايَا مَجَاعَةٍ فِي الأَرْضِ، وَلا يَتَحَمَّلُونَ بَعْدُ مَشَقَّةَ تَعْيِيرِ الأُمَمِ، ٢٩ 29
২৯কারণ আমি তাদের জন্য শান্তির বাগান তৈরী করব; যাতে তারা দেশের মধ্যে ক্ষুধায় তাদের সংহার আর হবে না এবং তারা জাতিদের করা অপমান আর ভোগ করবে না।
فَيُدْرِكُونَ أَنِّي أَنَا الرَّبُّ إِلَهُهُمْ مَعَهُمْ، وَأَنَّهُمْ شَعْبِي بَيْتُ إِسْرَائِيلَ، يَقُولُ السَّيِّدُ الرَّبُّ. ٣٠ 30
৩০তারপর তারা জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর, তাদের সঙ্গে ও তারা আমার প্রজা ইস্রায়েল-কুল, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
وَأَنْتُمْ يَا قَطِيعِي غَنَمَ مَرْعَايَ، أَنْتُمْ بَشَرٌ وَأَنَا إِلَهُكُمْ يَقُولُ السَّيِّدُ الرَّبُّ». ٣١ 31
৩১তোমার আমার মেষ, আমার চরানির মেষ; আমার লোক, আমি তোমাদের ঈশ্বর হব; এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।

< حِزْقِيال 34 >