< حِزْقِيال 10 >
ثُمَّ نَظَرْتُ وَإذَا عَلَى أَدِيمِ الْمُقَبَّبِ الَّذِي فَوْقَ رَأْسِ الْكَرُوبِيمِ مَا يُشْبِهُ الْعَرْشَ، وَكَأَنَّهُ مِنْ حَجَرِ الْعَقِيقِ الأَزْرَقِ. | ١ 1 |
১পরে আমি দেখলাম, আর দেখ, করুবদের মাথার ওপরে অবস্থিত যেন নীলকান্তমণি বিরাজমান, সিংহাসনের মূর্তিবিশিষ্ট এক আকার তাদের ওপরে প্রকাশ পেল।
وَقَالَ لِلرَّجُلِ الْمُرْتَدِي الْكَتَّانَ: «ادْخُلْ بَيْنَ الْعَجَلاتِ تَحْتَ الْكَرُوبِ وَامْلَأْ كَفَّيْكَ جَمْرَ نَارٍ مِنْ بَيْنِ الْكَرُوبِيمِ، وَذَرِّ عَلَى الْمَدِينَةِ». فَدَخَلَ عَلَى مَرْأَىً مِنِّي. | ٢ 2 |
২তিনি ঐ মসীনা-পোশাক পরা লোককে বললেন, “ঐ চাকাগুলোর মাঝখানে করুবের নীচে প্রবেশ কর এবং করুবদের মাঝখান থেকে দুই হাতে জ্বলন্ত কয়লা নিয়ে শহরের ওপরে ছড়িয়ে দাও।” তাতে সেই লোক আমার সামনে সেখানে গেল।
وَكَانَ الْكَرُوبِيمُ وَاقِفِينَ عَنْ يَمِينِ الْبَيْتِ حِينَ دَخَلَ بَيْنَ الْعَجَلاتِ، فَمَلأَتِ السَّحَابَةُ الْفِنَاءَ الدَّاخِلِيَّ. | ٣ 3 |
৩যখন সেই লোক গেল, তখন করুবরা গৃহের দক্ষিণ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং ভিতরের উঠান মেঘে পরিপূর্ণ ছিল।
ثُمَّ ارْتَفَعَ مَجْدُ الرَّبِّ عَنِ الْكَرُوبِ وَاسْتَقَرَّ عَلَى عَتَبَةِ الْهَيْكَلِ، فَامْتَلأَ الْهَيْكَلُ مِنَ السَّحَابَةِ، وَغَمَرَ الْفِنَاءَ لَمَعَانٌ مِنْ مَجْدِ الرَّبِّ. | ٤ 4 |
৪আর সদাপ্রভুর মহিমা করুবের ওপর থেকে উঠে গৃহের দোরগোড়ার ওপরে দাঁড়াল এবং গৃহ মেঘে পরিপূর্ণ ও উঠান সদাপ্রভুর মহিমার উজ্জ্বলতায় পরিপূর্ণ হল।
وَبَلَغَ صَوْتُ أَجْنِحَةِ الْكَرُوبِيمِ الْفِنَاءَ الْخَارِجِيَّ كَصَوْتِ اللهِ الْقَدِيرِ إِذَا تَكَلَّمَ. | ٥ 5 |
৫আর করুবদের ডানার শব্দ বাইরের উঠান পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল ওটা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কথার রবের মতো।
فَلَمَّا أَمَرَ الرَّجُلَ الْمُرْتَدِيَ الْكَتَّانَ أَنْ يَأْخُذَ نَاراً مِنْ بَيْنِ الْعَجَلاتِ مِنْ بَيْنِ الْكَرُوبِيمِ دَخَلَ الرَّجُلُ وَوَقَفَ إِزَاءَ الْعَجَلَةِ. | ٦ 6 |
৬আর তিনি যখন ঐ মসীনা-পোশাক পরা লোককে এই আদেশ দিলেন, “তুমি এই চাকাগুলোর মধ্যে থেকে, করূবদের মধ্যে থেকে, আগুন নাও;” তখন সেই লোক চাকার পাশে গেল এবং দাঁড়াল।
فَمَدَّ كَرُوبٌ مِنْ بَيْنِ الْكَرُوبِيمِ يَدَهُ إِلَى النَّارِ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَ الْكَرُوبِيمِ، وَتَنَاوَلَ مِنْهَا جَمْراً، وَوَضَعَهُ فِي كَفَيِّ الْمُرْتَدِي الْكَتَّانَ، فَأَخَذَهَا هَذَا وَخَرَجَ. | ٧ 7 |
৭তখন এক করূব করূবদের মধ্যে থেকে করূবদের মধ্যে অবস্থিত আগুন পর্যন্ত হাত বাড়িয়ে তার কিছুটা নিয়ে ঐ মসীনা-পোশাক পরা পুরুষের হাতের মধ্যে দিল, আর সে তা নিয়ে বাইরে গেল।
وَبَدَا أَنَّ لِلْكَرُوبِيمِ تَحْتَ أَجْنِحَتِهِمْ يَداً تُشْبِهُ يَدَ الْبَشَرِ. | ٨ 8 |
৮আর আমি করূবদের ডানাগুলির নীচে মানুষের হাতের মতো দেখলাম।
وَنَظَرْتُ وَإذَا بِأَرْبَعِ عَجَلاتٍ إِزَاءَ الْكَرُوبِيمِ؛ كُلُّ عَجَلَةٍ بِجُوَارِ كَرُوبٍ. وَكَانَ مَنْظَرُ الْعَجَلاتِ كَمَنْظَرِ حَجَرِ الزَّبَرْجَدِ. | ٩ 9 |
৯সুতরাং আমি দেখলাম এবং দেখ! চারটি চাকা করুবদের পাশে প্রত্যেক করূবের পাশে একটি চাকা, ঐ চাকাগুলোর রূপ দেখতে পান্না পাথরের মতো।
وَكَانَتِ الأَرْبَعُ مُتَمَاثِلَةَ الشَّكْلِ وَكَأَنَّمَا كُلُّ عَجَلَةٍ فِي وَسَطِ عَجَلَةٍ. | ١٠ 10 |
১০তাদের আকার এই, চারটীর রূপ একই ছিল; যেন চাকার মধ্যে চাকা রয়েছে।
وَإذَا تَحَرَّكَتْ لِتَسِيرَ فَإِنَّهَا كَانَتْ تَتَّجِهُ فِي سَيْرِهَا فِي أَيِّ اتِّجَاهٍ مِنَ الاتِّجَاهَاتِ الأَرْبَعَةِ، وَفْقاً لِاتِّجَاهِ الرَّأْسِ، فَتَسِيرُ خَلْفَهُ وَلا تَحِيدُ عَنْ طَرِيقِهَا. | ١١ 11 |
১১যাওয়ার দিনের তারা যে কোনো দিকে যেত; তারা ফিরত না যখন তারা যেত; কারণ সে জায়গায় তারা যেত যেদিকে মাথা থাকত, সেই জায়গা থেকে তারা ফিরত না যখন তারা যেত।
وَكَانَتْ جَوَانِبُ أَجْسَامِ الْكَائِنَاتِ وَظُهُورُهَا وَأَيْدِيهَا وَأَجْنِحَتُهَا وَالْعَجَلاتُ الَّتِي تَخُصُّهَا مَلأَى بِالْعُيُونِ. | ١٢ 12 |
১২তাদের সম্পূর্ণ দেহ, তাদের পিঠ, হাত ও ডানা এবং চাকা সব চোখে ঢাকা ছিল, চারটী চাকায় চোখ ছিল।
وَدُعِيَتِ الْعَجَلاتُ عَلَى مَسْمَعِي بِالْعَجَلاتِ. | ١٣ 13 |
১৩যেমন আমি শুনলাম, সেই চাকাগুলোকে বলল, “ঘূর্নায়মান।”
وَكَانَ لِكُلِّ وَاحِدٍ أَرْبَعَةُ أَوْجُهٍ: الْوَجْهُ الأَوَّلُ وَجْهُ كَرُوبٍ، وَالْوَجْهُ الثَّانِي وَجْهُ إِنْسَانٍ وَالْوَجْهُ الثَّالِثُ وَجْهُ أَسَدٍ، وَالْوَجْهُ الرَّابِعُ وَجْهُ نَسْرٍ. | ١٤ 14 |
১৪প্রত্যেকে প্রাণীর চারটে মুখ; প্রথম মুখ করূবের মুখ, দ্বিতীয় মুখ মানুষের মুখ, তৃতীয় সিংহের মুখ ও চতুর্থ ঈগলের মুখ।
ثُمَّ ارْتَفَعَ الْكَرُوبِيمُ، فَكَانَتْ هَذِهِ هِيَ الْكَائِنَاتُ الَّتِي شَاهَدْتُهَا بِجُوَارِ نَهْرِ خَابُورَ. | ١٥ 15 |
১৫তখন করূবের পরে আমি কবার নদীর তীরে সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম।
وَعِنْدَمَا تَحَرَّكَ الْكَرُوبِيمُ تَحَرَّكَتِ الْعَجَلاتُ بِجُوَارِهِمْ، وَعِنْدَمَا فَرَدَ الْكَرُوبِيمُ أَجْنِحَتَهُمْ لِيُحَلِّقُوا فَوْقَ الأَرْضِ، حَلَّقَتِ الْعَجَلاتُ إِلَى جُوَارِهِمْ بِنَفْسِ الاتِّجَاهِ، وَلَمْ تَحِدْ عَنْهُمْ. | ١٦ 16 |
১৬যখন করূবেরা যেত চাকাগুলো তাদের পাশে যেত এবং যখন করূবেরা মাটি থেকে ওপরে ওঠার জন্য তাদের ডানা তুলত, চাকাগুলোও তাদের পাশ ছাড়ত না।
فَإِنْ تَوَقَّفُوا تَوَقَّفَتْ، وَإِنْ حَلَّقُوا تُحَلِّقْ مَعَهُمْ، لأَنَّ رُوحَ الْكَائِنَاتِ الْحَيَّةِ كَانَ فِيهَا أَيْضاً. | ١٧ 17 |
১৭করুবরা দাঁড়ালে চাকারাও দাঁড়াত এবং তারা উঠলে এরাও একসঙ্গে উঠত, কারণ ওই চাকাগুলোতে সেই প্রাণীর আত্মা ছিল।
وَفَارَقَ مَجْدُ الرَّبِّ عَتَبَةَ الْهَيْكَلِ وَخَيَّمَ فَوْقَ الْكَرُوبِيمِ. | ١٨ 18 |
১৮সদাপ্রভুর মহিমা গৃহের দোরগোড়ার ওপর থেকে চলে গিয়ে করূবদের ওপরে দাঁড়াল।
وَعِنْدَمَا ارْتَفَعَ الْكَرُوبِيمُ فَرَدُوا أَجْنِحَتَهُمْ وَحَلَّقُوا فَوْقَ الأَرْضِ عَلَى مَرْأَى مِنِّي، وَحَلَّقَتِ الْعَجَلاتُ مَعَهُمْ، ثُمَّ تَوَقَّفُوا عِنْدَ مَدْخَلِ بَوَّابَةِ بَيْتِ الرَّبِّ الشَّرْقِيِّ، وَمَجْدُ الرَّبِّ مَا بَرِحَ مُخَيِّماً عَلَيْهِمْ. | ١٩ 19 |
১৯তখন করূবেরা আমার দৃষ্টি থেকে চলে যাবার দিনের ডানা তুলে মাটি থেকে ওপরে চলে গেল এবং তাদের পাশে চাকাগুলোও গেল; তারা সদাপ্রভুর গৃহের প্রবেশের জায়গায় দাঁড়াল; তখন ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা ওপরে তাদের ওপরে ছিল।
هَذِهِ هِيَ الْكَائِنَاتُ الْحَيَّةُ الَّتِي شَاهَدْتُهَا تَحْتَ إِلَهِ إِسْرَائِيلَ عِنْدَ نَهْرِ خَابُورَ. فَعَرَفْتُ أَنَّهُمُ الْكَرُوبِيمُ. | ٢٠ 20 |
২০আমি কবার নদীর কাছে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম; আর এরা যে করূব, তা জানলাম।
وَكَانَ لِكُلِّ وَاحِدٍ أَرْبَعَةُ أَوْجُهٍ وَأَرْبَعَةُ أَجْنِحَةٍ، وَتَحْتَ أَجْنِحَتِهِمْ أَيْدٍ مُمَاثِلَةٌ لأَيْدِي الْبَشَرِ. | ٢١ 21 |
২১প্রত্যেক প্রাণীর চারটে মুখ ও চারটে ডানা এবং তাদের ডানার নীচে মানুষের হাতের প্রতিমূর্ত্তি ছিল।
أَمَّا أَشْكَالُ وُجُوهِهِمْ فَكَانَتْ نَفْسَ الْوُجُوهِ الَّتِي رَأَيْتُهَا عِنْدَ نَهْرِ خَابُورَ، لَا تَخْتَلِفُ عَنْهَا فِي صُوَرِهَا وَمَعَالِمِهَا، وَكُلُّ وَاحِدٍ يَتَحَرَّكُ إِلَى الأَمَامِ حَسَبَ اتِّجَاهِهِ. | ٢٢ 22 |
২২আমি কবার নদীর কাছে যে যে মুখ দেখেছিলাম, সে সব এদের মুখের প্রতিমূর্ত্তি; প্রত্যেক প্রাণী সামনের দিক দিয়েই যেত।