< تَثنِيَة 4 >

وَالآنَ أَصْغُوا يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِلَى الشَّرَائِعِ وَالأَحْكَامِ الَّتِي أُعَلِّمُهَا لَكُمْ لِتَعْمَلُوا بِها، فَتَحْيَوْا وَتَدْخُلُوا لاِمْتِلاكِ الأَرْضِ الَّتِي يُوَرِّثُهَا لَكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ ١ 1
এখন, হে ইস্রায়েল, আমি যে যে নিয়ম ও আদেশ পালন করতে তোমাদেরকে শিক্ষা দিই, তা শোন; যেন তোমরা বেঁচে থাকতে পার এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, তার মধ্যে গিয়ে তা অধিকার করতে পার।
لَا تُضِيفُوا عَلَى مَا أُوصِيكُمْ بِهِ وَلا تُنَقِّصُوا مِنْهُ، بَلْ أَطِيعُوا أَوَامِرَ الرَّبِّ إِلَهِكُمُ الَّتِي أُوْصِيكُمْ بِها. ٢ 2
আমি তোমাদেরকে যা আদেশ করি, সেই কথায় তোমরা আর কিছু যোগ করবে না এবং তার কিছু কমাবে না। আমি তোমাদেরকে যা যা আদেশ করছি, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই সব আদেশ পালন করবে।
لَقَدْ شَهِدَتْ أَعْيُنُكُمْ مَا أَنْزَلَ الرَّبُّ بِبَعْلِ فَغُورَ، إِذْ أَبَادَ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ مِنْ بَيْنِكُمْ كُلَّ مَنْ غَوَى وَرَاءَ بَعْلِ فَغُورَ. ٣ 3
বাল পিয়োরের বিষয়ে সদাপ্রভু যা করেছিলেন, তা তোমরা নিজের চোখে দেখেছ; ফলে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বাল পিয়োরের অনুসারী প্রত্যেক জনকে তোমার মধ্যে থেকে ধ্বংস করেছিলেন;
وَأَمَّا أَنْتُمُ الَّذِينَ تَعَلَّقْتُمْ بِالرَّبِّ إِلَهِكُمْ فَجَمِيعُكُمْ أَحْيَاءُ الْيَوْمَ. ٤ 4
কিন্তু তোমরা যত লোক তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে যুক্ত ছিলে, সবাই আজ জীবিত আছ।
انْظُرُوا، هَا أَنَا قَدْ عَلَّمْتُكُمْ شَرَائِعَ وَأَحْكَاماً كَمَا أَمَرَنِي الرَّبُّ إِلَهِي لِتَعْمَلُوا بِمُوْجِبِهَا فِي الأَرْضِ الَّتِي أَنْتُمْ مَاضُونَ إِلَيْهَا لِتَرِثُوهَا. ٥ 5
দেখ, আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে যেমন আদেশ করেছিলেন, আমি তোমাদেরকে সেরকম নিয়ম ও আদেশ শিক্ষা দিয়েছি; যেন, তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশের মধ্যে সেই অনুযায়ী ব্যবহার কর।
فَاحْفَظُوهَا وَطَبِّقُوهَا، لأَنَّهَا هِيَ حِكْمَتُكُمْ وَفِطْنَتُكُمْ لَدَى الشُّعُوبِ الَّذِينَ يَسْمَعُونَ عَنْ هَذِهِ الشَّرَائِعِ، فَيَقُولُوا: إِنَّ هَذَا الشَّعْبَ الْعَظِيمَ هُوَ حَقّاً شَعْبٌ حَكِيمٌ فَطِنٌ. ٦ 6
অতএব তোমরা সে সব মেনে চল ও পালন কোরো; কারণ জাতি সকলের সামনে সেটাই তোমাদের প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে; এই সব বিধি শুনে তারা বলবে, “সত্যই, এই মহাজাতি জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান লোক।”
لأَنَّهُ أَيُّ شَعْبٍ، مَهْمَا عَظُمَ، لَهُ آلِهَةٌ قَرِيبَةٌ مِنْهُ مِثْلُ الرَّبِّ إِلَهِنَا فِي كُلِّ مَا نَدْعُوهُ؟ ٧ 7
কারণ কোন্‌ বড় জাতির কাছে এমন ঈশ্বর আছেন, যেমন আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু? যখনই আমরা তাঁকে ডাকি, তিনি আমাদের সঙ্গে থাকেন।
وَأَيُّ شَعْبٍ، مَهْمَا عَظُمَ، لَدَيْهِ شَرَائِعُ وَأَحْكَامٌ عَادِلَةٌ نَظِيرُ هَذِهِ الشَّرَائِعِ الَّتِي أَضَعُهَا الْيَوْمَ أَمَامَكُمْ؟ ٨ 8
আর আমি আজ তোমাদের সামনে যে সব ব্যবস্থা দিচ্ছি, তার মত সঠিক নিয়ম ও আদেশ কোন্‌ বড় জাতির আছে?
إِنَّمَا احْتَرِزُوا وَاحْذَرُوا لِئَلّا تَنْسَوْا الأُمُورَ الَّتِي شَهِدَتْهَا أَعْيُنُكُمْ فَلا تَنْمَحِي مِنْ قُلُوبِكُمْ كُلَّ أَيَّامِ حَيَاتِكُمْ. وَعَلِّمُوهَا لأَوْلادِكُمْ وَلأَحْفَادِكُمْ. ٩ 9
কিন্তু তুমি নিজের বিষয়ে মনোযোগ দাও, তোমার প্রাণের বিষয়ে খুব সাবধান থাক; অতএব তুমি যে সব বিষয় নিজের চোখে দেখেছ, তা ভুলে যাও; অতএব জীবন থাকতে তোমার হৃদয় থেকে তা মুছে যাক; তুমি নিজের ছেলে নাতিদেরকে তা জানাও।
فَفِي الْيَوْمِ الَّذِي مَثَلْتُمْ فِيهِ أَمَامَ الرَّبِّ إِلَهِكُمْ فِي جَبَلِ حُورِيبَ، حِينَ قَالَ لِي الرَّبُّ: اجْمَعْ لِيَ الشَّعْبَ حَتَّى أُسْمِعَهُمْ كَلامِي، فَيَتَعَلَّمُوا مَخَافَتِي طَوَالَ أَيَّامِ حَيَاتِهِمْ عَلَى الأَرْضِ، وَيُعَلِّمُوا أَوْلادَهُمْ أَيْضاً. ١٠ 10
১০সেই দিন, তুমি হোরেবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিলে, যখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি আমার কাছে লোকদেরকে জড়ো কর, আমি আমার কথা সব তাদেরকে শোনাব; তারা পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকে, ততদিন যেন আমাকে ভয় করে, এই বিষয় তারা শিখবে এবং নিজের ছেলেমেয়েদেরকেও শেখাবে।”
فَتَقَدَّمْتُمْ وَوَقَفْتُمْ عِنْدَ سَفْحِ الْجَبَلِ الْمُشْتَعِلِ بِنَارٍ امْتَدَّتْ أَلْسِنَةُ لَهَبِهَا إِلَى كَبِدِ السَّمَاءِ، وَتَلَفَّعَتْ بِسُحُبٍ دَاكِنَةٍ وَضَبَابٍ. ١١ 11
১১তাতে তোমরা কাছে এসে পর্বতের পাদদেশে দাঁড়িয়েছিলে এবং আকাশের ভিতর পর্যন্ত সেই পর্বত আগুনে জ্বলছিল, অন্ধকার, মেঘ ও ঘন অন্ধকার ছড়িয়ে ছিল।
فَخَاطَبَكُمُ الرَّبُّ مِنْ وَسَطِ النَّارِ، فَسَمِعْتُمْ صَوْتَ كَلِمَاتِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ تُبْصِرُوا لَهُ صُورَةً. ١٢ 12
১২তখন আগুনের মধ্যে থেকে সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে কথা বললেন; তোমরা কথার স্বর শুনছিলে, কিন্তু কোনো মূর্ত্তি দেখতে পেলে না, তোমরা শুধু রব শুনতে পেলে।
وَأَعْلَنَ لَكُمْ عَهْدَهُ، الْوَصَايَا الْعَشَرَ الَّتِي نَقَشَهَا عَلَى لَوْحَيْ حَجَرٍ، وَأَمَرَكُمْ أَنْ تَعْمَلُوا بِها. ١٣ 13
১৩আর তিনি নিজের যে নিয়ম পালন করতে তোমাদেরকে আজ্ঞা করলেন, সেই নিয়ম অর্থাৎ দশ আজ্ঞা তোমাদেরকে আদেশ করলেন এবং দুটি পাথরের ফলকে লিখলেন।
كَمَا أَمَرَنِي فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ أَنْ أُعَلِّمَكُمْ شَرَائِعَهُ وَأَحْكَامَهُ لِتُطَبِّقُوهَا فِي الأَرْضِ الَّتِي أَنْتُمْ مَاضُونَ إِلَيْهَا لِتَرِثُوهَا. ١٤ 14
১৪তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমাদের পালন করা নিয়ম ও আদেশ সব তোমাদেরকে শিক্ষা দিতে সদাপ্রভু সেই দিনের আমাকে আদেশ করলেন।
فَاحْذَرُوا لأَنْفُسِكُمْ جِدّاً، فَأَنْتُمْ لَمْ تَرَوْا صُورَةً مَا حِينَ خَاطَبَكُمُ الرَّبُّ فِي جَبَلِ حُورِيبَ مِنْ وَسَطِ النَّارِ. ١٥ 15
১৫যে দিন সদাপ্রভু হোরেবে আগুনের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই দিন তোমরা কোনো মূর্ত্তি দেখনি; অতএব নিজের নিজের প্রাণের বিষয়ে খুব সাবধান হও;
لِئَلّا تَفْسَدُوا فَتَنْحَتُوا لَكُمْ تِمْثَالاً لِصُورَةٍ مَا لِمِثَالِ رَجُلٍ أَوِ امْرَأَةٍ. ١٦ 16
১৬যদি তোমরা নষ্ট হয়ে নিজেদের জন্য কোনো আকারের মূর্তিতে খোদাই প্রতিমা তৈরী কর;
أَوْ شِبْهَ بَهِيمَةٍ مَا مِمَّا عَلَى الأَرْضِ، أَوْ شِبْهَ طَيْرٍ مَا مِنْ طُيُورِ السَّمَاءِ. ١٧ 17
১৭যদি পুরুষের বা স্ত্রীর প্রতিমূর্ত্তি, পৃথিবীতে অবস্থিত কোনো পশুর প্রতিমূর্ত্তি, আকাশে উড়া কোনো পাখির প্রতিমূর্ত্তি,
أَوْ شِبْهَ كَائِنٍ مَا مِنْ زَوَاحِفِ الأَرْضِ، أَوْ شِبْهَ سَمَكٍ مَا مِمَّا فِي الْمَاءِ تَحْتَ الأَرْضِ. ١٨ 18
১৮মাটিতে বুকে হেঁটে চলা কোনো প্রাণীর প্রতিমূর্ত্তি, অথবা মাটির নীচে জলের মধ্যে কোনো মাছের প্রতিমূর্ত্তি তৈরী কর;
أَوْ لِئَلّا تَتَطَلَّعُوا إِلَى السَّمَاءِ فَتُشَاهِدُوا الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ وَالأَجْرَامَ السَّمَاوِيَّةَ الَّتِي وَزَّعَهَا الرَّبُّ إِلَهُكُمْ عَلَى جَمِيعِ الأُمَمِ الَّتِي تَحْتَ السَّمَاءِ، فَتَغْوُوا وَتَسْجُدُوا لَهَا وَتَعْبُدُوهَا. ١٩ 19
১৯আর আকাশের প্রতি চোখ তুলে সূর্য্য, চাঁদ ও তারা, আকাশের সমস্ত বাহিনী দেখলে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যাদেরকে সমস্ত আকাশমণ্ডলের নীচে অবস্থিত সমস্ত জাতির জন্য ভাগ করেছেন, যদি আকৃষ্ট হয়ে তাদের কাছে আরাধনা কর ও তাদের সেবা কর।
أَمَّا أَنْتُمْ فَقَدِ اخْتَارَكُمُ الرَّبُّ وَأَخْرَجَكُمْ مِنْ أَتُونِ الْحَدِيدِ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ لِتَكُونُوا لَهُ شَعْبَ مِيرَاثِهِ، كَمَا أَنْتُمُ الْيَوْمَ. ٢٠ 20
২০কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদেরকে গ্রহণ করেছেন, (লোহা গলাবার হাফর) থেকে, মিশর থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছেন, যেন তোমরা তাঁর উত্তরাধিকারী লোক হও, যেমন আজ আছ।
وَلَكِنَّ الرَّبَّ غَضِبَ عَلَيَّ مِنْ أَجْلِكُمْ وَأَقْسَمَ أَلّا أَعْبُرَ نَهْرَ الأُرْدُنِّ وَلا أَطَأَ الأَرْضَ الْخَصِيبَةَ الَّتِي وَهَبَكُمْ إِيَّاهَا الرَّبُّ إِلَهُكُمْ نَصِيباً. ٢١ 21
২১আর তোমাদের জন্য সদাপ্রভু আমার প্রতিও রেগে গিয়ে এই শপথ করেছেন যে, তিনি আমাকে যর্দ্দন পার হতে দেবেন না এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ অধিকারের জন্য দিচ্ছেন, সেই উত্তম দেশে আমাকে যেতে দেবেন না।
كَذَلِكَ فَأَنَا أَمُوتُ فِي هَذِهِ الأَرْضِ مِنْ غَيْرِ أَنْ أَجْتَازَ نَهْرَ الأُرْدُنِّ. وَأَمَّا أَنْتُمْ فَتَعْبُرُونَهُ وَتَرِثُونَ تِلْكَ الأَرْضَ الْخَصِيبَةَ. ٢٢ 22
২২প্রকৃত পক্ষে এই দেশেই আমাকে মারা যেতে হবে; আমি যর্দ্দন পার হয়ে যাব না; কিন্তু তোমরা পার হয়ে সেই উত্তম দেশ অধিকার করবে।
وَلَكِنْ إِيَّاكُمْ أَنْ تَنْسَوْا عَهْدَ الرَّبِّ إِلَهِكُمُ الَّذِي قَطَعَهُ مَعَكُمْ وَتَنْحَتُوا لأَنْفُسِكُمْ تِمْثَالاً لِصُورَةٍ مَا مِمَّا نَهَاكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ عَنْهُ. ٢٣ 23
২৩তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান থেকো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে যে নিয়ম স্থির করেছেন, তা ভুলে যেও না, কোনো বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট খোদাই করা প্রতিমা তৈরী কোরো না; ওটা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিষিদ্ধ।
لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ هُوَ نَارٌ آكِلَةٌ وَإِلَهٌ غَيُورٌ. ٢٤ 24
২৪কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু গ্রাসকারী আগুনের মতো; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
وَإذَا أَنْجَبْتُمْ بَنِينَ وَأَحْفَاداً وَمَكَثْتُمْ طَوِيلاً فِي الأَرْضِ، ثُمَّ غَوَيْتُمْ فَنَحَتُّمْ لَكُمْ تِمْثَالاً لِصُورَةِ شَيْءٍ مَا، وَارْتَكَبْتُمُ الشَّرَّ فِي عَيْنَيِ الرَّبِّ إِلَهِكُمْ لإِثَارَةِ غَيْظِهِ، ٢٥ 25
২৫সেই দেশে ছেলে নাতিদের জন্ম দিয়ে বহু দিন বাস করার পর যদি তোমরা ভ্রষ্ট হও ও কোনো বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট ক্ষোদিত প্রতিমা তৈরী কর এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা খারাপ, তা করে তাঁকে অসন্তুষ্ট কর;
فَإِنَّنِي أُشْهِدُ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ السَّمَاءَ وَالأَرْضَ، أَنَّكُمْ تَنْقَرِضُونَ سَرِيعاً مِنَ الْأَرْضِ الَّتِي أَنْتُمْ عَابِرُونَ نَهْرَ الأُرْدُنِّ إِلَيْهَا لِتَرِثُوهَا، وَلَنْ تَطُولَ بِكُمُ الأَيَّامُ عَلَيْهَا، إِذْ لابُدَّ أَنَّكُمْ حِينَئِذٍ هَالِكُونَ. ٢٦ 26
২৬তবে আমি আজ তোমাদের বিরুদ্ধে স্বর্গ পৃথিবীকে সাক্ষী মেনে বলছি, তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যর্দ্দন পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে তাড়াতাড়ি বিনষ্ট হবে, সেখানে বহু দিন থাকবে না, কিন্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে।
وَيُشَتِّتُكُمُ الرَّبُّ بَيْنَ الأُمَمِ فَتُصْبِحُونَ أَقَلِّيَّةً بَيْنَ الشُّعُوبِ الَّتِي يَسُوقُكُمْ إِلَيْهَا. ٢٧ 27
২৭আর সদাপ্রভু জাতিদের মধ্যে তোমাদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করবেন; যেখানে সদাপ্রভু তোমাদেরকে নিয়ে যাবেন, সেই জাতিদের মধ্যে তোমরা অল্পসংখ্যক হয়ে অবশিষ্ট থাকবে।
وَهُنَاكَ تَعْبُدُونَ آلِهَةً مِنْ خَشَبٍ وَحَجَرٍ مِنْ صَنْعَةِ أَيْدِي النَّاسِ، مِمَّا لَا يُبْصِرُ وَلا يَسْمَعُ وَلا يَأْكُلُ وَلا يَشُمُّ. ٢٨ 28
২৮আর তোমরা সেখানে মানুষের হাতে তৈরী দেবতাদের দেখা, শোনা, খাওয়ায় ও ঘ্রাণে অসমর্থ কাঠ ও পাথরের সেবা করবে।
وَلَكِنْ إِنْ طَلَبْتُمْ مِنْ هُنَاكَ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ، مُلْتَمِسِينَهُ مِنْ كُلِّ قُلُوبِكُمْ وَنُفُوسِكُمْ، فَإِنَّكُمْ تَجِدُونَهُ. ٢٩ 29
২৯কিন্তু সেখানে থেকে যদি তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর খোঁজ কর, তবে তাঁর খোঁজ পাবে; সমস্ত হৃদয়ের সঙ্গে ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর খোঁজ করলেই পাবে।
فَعِنْدَمَا يَكْتَنِفُكُمُ الضِّيقُ وَتُصِيبُكُمْ فِي آخِرِ الأَيَّامِ جَمِيعُ هَذِهِ الأُمُورِ، عِنْدَئِذٍ تَرْجِعُونَ إِلَى الرَّبِّ إِلَهِكُمْ وَتُطِيعُونَ أَوَامِرَهُ. ٣٠ 30
৩০যখন তুমি সঙ্কটে পড় এবং এই সব তোমার প্রতি ঘটে, তখন ভবিষ্যতে তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরবে ও তাঁর স্বর শুনবে।
لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ إِلَهٌ رَحِيمٌ لَا يَنْبِذُكُمْ وَلا يُفْنِيكُمْ، وَلا يَنْسَى عَهْدَ آبَائِكُمُ الَّذِي أَقْسَمَ لَهُمْ عَلَيْهِ. ٣١ 31
৩১কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু কৃপাময় ঈশ্বর; তিনি তোমাকে ত্যাগ করবেন না, তোমাকে ধ্বংস করবেন না এবং শপথের মাধ্যমে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে নিয়ম করেছেন, তা ভুলে যাবেন না।
فَاسْأَلُوا عَنِ الأَيَّامِ الْغَابِرَةِ الَّتِي انْقَضَتْ قَبْلَكُمْ، مُنْذُ الْيَوْمِ الَّذِي خَلَقَ اللهُ فِيهِ الإِنْسَانَ عَلَى الأَرْضِ. اسْأَلْ مِنْ أَقْصَى السَّمَاوَاتِ إِلَى أَقْصَاهَا: هَلْ حَدَثَ قَطُّ مِثْلُ هَذَا الأَمْرِ الْعَظِيمِ؟ وَهَلْ سَمِعَ أَحَدٌ بِمِثْلِهِ؟ ٣٢ 32
৩২কারণ পৃথিবীতে ঈশ্বরের মাধ্যমে মানুষের সৃষ্টির দিন থেকে তোমার আগে যে দিন গিয়েছে, সেই পুরোনো দিন কে এবং আকাশমণ্ডলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তকে জিজ্ঞাসা কর, এই মহৎ কাজের মত কাজ কি আর কখনও হয়েছে? অথবা এমন কি শোনা গিয়েছে?
هَلْ سَمِعَتْ أُمَّةٌ صَوْتَ اللهِ يَتَكَلَّمُ مِنْ وَسَطِ النَّارِ كَمَا سَمِعْتُمْ أَنْتُمْ، وَعَاشَتْ؟ ٣٣ 33
৩৩তোমার মত কি আর কোনো জাতি আগুনের মধ্যে থেকে ঈশ্বরের স্বর শুনে বেঁচেছে?
وَهَلْ حَاوَلَ إِلَهٌ قَطُّ أَنْ يَأْخُذَ لِنَفْسِهِ شَعْباً مِنْ وَسَطِ شَعْبٍ آخَرَ مُجْرِياً تَجَارِبَ وَآيَاتٍ وَمُعْجِزَاتٍ وَحُرُوباً وَقُدْرَةً فَائِقَةً وَقُوَّةً شَدِيدَةً وَمَخَاوِفَ عَظِيمَةً كَمَا صَنَعَ مَعَكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ فِي مِصْرَ عَلَى مَرْأَى مِنْكُمْ؟ ٣٤ 34
৩৪অথবা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু মিশরে তোমাদের সামনে যে সব কাজ করেছেন, ঈশ্বর কি সেই অনুযায়ী গিয়ে পরীক্ষা, চিহ্ন, বিস্ময়, যুদ্ধ, শক্তিশালী হাত, বিশাল ক্ষমতা প্রদর্শন এবং মহা ভয়ঙ্কর কাজের মাধ্যমে অন্য জাতির মধ্যে থেকে নিজের জন্য এক জাতি গ্রহণ করতে চেষ্টা করেছেন?
لَقَدِ اطَّلَعْتُمْ عَلَى هَذِهِ كُلِّهَا لِتَعْلَمُوا أَنَّ الرَّبَّ هُوَ الإِلَهُ، وَلَيْسَ آخَرَ سِوَاهُ. ٣٥ 35
৩৫সদাপ্রভুই ঈশ্বর, তিনি ছাড়া আর কেউ নেই, এটা যেন তুমি জানো, তার জন্য ঐ সব তোমাকেই দেখানো হল।
فَقَدْ أَسْمَعَكُمْ صَوْتَهُ مِنَ السَّمَاءِ لِيُنْذِرَكُمْ. وَأَرَاكُمْ نَارَهُ الْعَظِيمَةَ عَلَى الْأَرْضِ، وَسَمِعْتُمْ صَوْتَهُ مِنْ وَسَطِ النَّارِ. ٣٦ 36
৩৬নির্দেশ দেবার জন্য তিনি স্বর্গ থেকে তোমাকে নিজের স্বর শোনালেন ও পৃথিবীতে তোমাকে নিজের বিশাল আগুন দেখালেন এবং তুমি আগুনের মধ্যে থেকে তাঁর কথা শুনতে পেলে।
وَلأَنَّهُ قَدْ أَحَبَّ آبَاءَكُمْ، وَاخْتَارَ ذُرِّيَّتَهُمْ مِنْ بَعْدِهِمْ، أَخْرَجَكُمْ بِنَفْسِهِ وَبِقُدْرَتِهِ الْعَظِيمَةِ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ، ٣٧ 37
৩৭তিনি তোমরা পূর্বপুরুষদেরকে ভালবাসতেন, তাই তাঁদের পরে তাঁদের বংশকেও বেছে নিলেন এবং নিজের অস্তিত্ব ও বিশাল ক্ষমতার মাধ্যমে তোমাকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনলেন;
وَطَرَدَ مِنْ أَمَامِكُمْ أُمَماً أَكْبَرَ مِنْكُمْ وَأَعْظَمَ، لِيَأْتِيَ بِكُمْ إِلَى أَرْضِهِمْ وَيُوَرِّثَكُمْ إِيَّاهَا، كَمَا حَدَثَ فِي هَذَا الْيَوْمِ. ٣٨ 38
৩৮যেন তোমার থেকে মহান ও শক্তিশালী জাতিদেরকে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের দেশে তোমাকে প্রবেশ করান ও অধিকারের জন্য তোমাকে সে দেশ দেন, যেমন আজ দেখছ।
فَاعْتَرِفُوا الْيَوْمَ وَرَدِّدُوا فِي قُلُوبِكُمْ قَائِلِينَ: إِنَّ الرَّبَّ هُوَ الإِلَهُ فِي السَّمَاءِ مِنْ فَوْقُ، وَعَلَى الأَرْضِ مِنْ تَحْتُ وَلَيْسَ إِلَهٌ سِوَاهُ. ٣٩ 39
৩৯অতএব আজ জানো, মনে রাখ যে, উপরে অবস্থিত স্বর্গে ও নীচে অবস্থিত পৃথিবীতে সদাপ্রভুই ঈশ্বর, অন্য কেউ নেই।
فَاحْفَظُوا الْيَوْمَ مَا أُوْصِيكُمْ بِهِ مِنْ شَرَائِعِهِ وَأَحْكَامِهِ لِيُحْسِنَ الرَّبُّ إِلَيْكُمْ وَإِلَى أَوْلادِكُمْ مِنْ بَعْدِكُمْ، فَيُطِيلَ أَيَّامَكُمْ عَلَى الأَرْضِ الَّتِي وَهَبَكُمْ إِيَّاهَا إِلَى الأَبَدِ. ٤٠ 40
৪০আর তোমার মঙ্গল ও তোমার পরে যে সন্তানরা আসতে চলেছে তাদের যেন মঙ্গল হয় এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে ভূমি চিরকালের জন্য দিচ্ছেন, তার উপরে যেন তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক, এই জন্য আমি তাঁর যে সব বিধি ও আজ্ঞা আজ তোমাকে আদেশ করলাম, তা পালন কোরো।
ثُمَّ خَصَّصَ مُوسَى ثَلاثَ مُدُنٍ شَرْقِيَّ نَهْرِ الأُرْدُنِّ، ٤١ 41
৪১তারপর মোশি যর্দ্দন নদীর পূর্ব দিকে তিনটি শহর আলাদা করলেন;
لِيَلْجَأَ إِلَيْهَا الْقَاتِلُ غَيْرُ الْمُتَعَمِّدِ، الَّذِي لَا يَضْمِرُ عَدَاءً سَابِقاً لِلْقَتِيلِ، فَيَجِدُ فِي إِحْدَى تِلْكَ الْمُدُنِ مَلْجَأً وَيَحْيَا. ٤٢ 42
৪২যেন হত্যাকারী সেখানে পালাতে পারে; যে কেউ নিজের প্রতিবেশীকে আগে শত্রুতা না করে অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, সে যেন এই সকলের মধ্যে কোনো এক শহরে পালিয়ে গিয়ে বাঁচতে পারে;
أَمَّا هَذِهِ الْمُدُنُ فَكانَتْ: بَاصَرَ فِي الصَّحْرَاءِ فِي أَرْضِ السَّهْلِ فِي دِيَارِ الرَّأُوبَيْنِيِّينَ وَرَامُوتَ فِي جِلْعَادَ فِي بِلادِ الْجَادِيِّينَ، وَجُولانَ فِي بَاشَانَ فِي مِنْطَقَةِ الْمَنَسِّيِّينَ. ٤٣ 43
৪৩তিনটি শহর হল, রূবেণীয়দের জন্য সমভূমি, মরুপ্রান্তের বেৎসর, গাদীয়দের জন্য গিলিয়দে অবস্থিত রামোৎ এবং মনঃশীয়দের জন্য বাশনে অবস্থিত গোলন।
وَهَذِهِ هِيَ الشَّرِيعَةُ الَّتِي وَضَعَهَا أَمَامَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، ٤٤ 44
৪৪মোশি ইস্রায়েলের লোকদের সামনে এই ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন;
وَهَذِهِ هِيَ الشُّرُوطُ وَالْفَرَائِضُ وَالأَحْكَامُ الَّتِي خَاطَبَ بِها مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ عِنْدَ خُرُوجِهِمْ مِنْ مِصْرَ، ٤٥ 45
৪৫যখন মিশর থেকে তারা বের হয়ে এসেছিলেন তখন মোশি ইস্রায়েলের লোকদের এই সমস্ত নিয়মের বিধি, ব্যবস্থা এবং অন্যান্য নিয়মের কথা বলেছিলেন,
وَهُمْ مُخَيِّمُونَ شَرْقِيَّ نَهْرِ الأُرْدُنِّ، فِي الْوَادِي بِجِوَارِ بَيْتِ فَغُورَ فِي أَرْضِ سِيحُونَ مَلِكِ الأَمُورِيِّينَ الَّذِي كَانَ مُقِيماً فِي حَشْبُونَ، فَقَضَى عَلَيْهِ مُوسَى وَالإِسْرَائِيلِيُّونَ عِنْدَ خُرُوجِهِمْ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ. ٤٦ 46
৪৬যর্দ্দনের পূর্বপারে, বৈৎ-পিয়োরের সামনে অবস্থিত উপত্যকাতে, হিষবোন নিবাসী ইমোরীয় রাজা সীহোনের দেশে ইস্রায়েলের লোকদের কাছে এই সব সাক্ষ্য, বিধি ও শাসনের কথা বলেছিলেন। মিশর থেকে বের হয়ে আসলে মোশি ও ইস্রায়েলের লোকেরা সেই রাজাকে আঘাত করেছিলেন
فَامْتَلَكُوا بِلادَهُ وَبِلادَ عُوجٍ مَلِكِ بَاشَانَ، مَلِكَيِ الأَمُورِيِّينَ اللَّذَيْنِ كَانَا مُقِيمَيْنِ شَرْقِيَّ نَهْرِ الأُرْدُنِّ، ٤٧ 47
৪৭এবং তাঁর ও বাশনের রাজা ওগের দেশ, যর্দ্দনের পূর্ব পারে ইমোরীয়দের এই দুই রাজার দেশ,
مِنْ عَرُوعِيرَ الْوَاقِعَةِ عَلَى حَافَةِ وَادِي أَرْنُونَ، إِلَى جَبَلِ سِيئُونَ الَّذِي هُوَ حَرْمُونُ، ٤٨ 48
৪৮অর্ণোন উপত্যকার সীমাতে অবস্থিত অরোয়ের থেকে সীওন পর্বত অর্থাৎ হর্মোণ পর্যন্ত সমস্ত দেশ
وَكُلَّ وَادِي الْعَرَبَةِ شَرْقِيَّ نَهْرِ الأُرْدُنِّ، حَتَّى الْبَحْرِ الْمَيِّتِ عِنْدَ سُفُوحِ الْفِسْجَةِ. ٤٩ 49
৪৯এবং পিস্‌গা পর্বতের নীচে অবস্থিত অরাবা উপত্যকার সমুদ্র পর্যন্ত যর্দ্দনের পূর্বদিকে অবস্থিত সমস্ত অরাবা উপত্যকা অধিকার করেছিলেন।

< تَثنِيَة 4 >