< تَثنِيَة 21 >

إِذَا وَجَدْتُمْ قَتِيلاً مُلْقىً فِي الْحَقْلِ فِي الأَرْضِ الَّتِي يَهَبُهَا الرَّبُّ إِلَهُكُمْ لَكُمْ لاِمْتِلاكِهَا، وَلَمْ يُعْرَفْ قَاتِلُهُ. ١ 1
তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ অধিকার করার জন্য তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেখানকার কোনো মাঠে হয়তো কাউকে খুন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যেতে পারে, কিন্তু কে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি,
يَقُومُ شُيُوخُكُمْ وَقُضَاتُكُمْ بِقِيَاسِ الْمَسَافَاتِ الْوَاقِعَةِ بَيْنَ مَوْضِعِ جُثَّةِ الْقَتِيلِ وَالْمُدُنِ الْمُجَاوِرَةِ. ٢ 2
তাহলে তোমাদের প্রবীণ নেতারা ও বিচারকেরা বাইরে গিয়ে সেই মৃতদেহ থেকে সবচেয়ে কাছের নগর কত দূর তা মেপে দেখবে।
فَيُحْضِرُ شُيُوخُ أَقْرَبِ مَدِينَةٍ إِلَى الْجُثَّةِ، عِجْلَةً لَمْ يُوْضَعْ عَلَيْهَا مِحْرَاثٌ، وَلَمْ تَجُرَّ بِنِيرٍ، ٣ 3
তারপর যে নগর মৃতদেহের কাছে সেখানকার প্রবীণ নেতারা একটি বকনা-বাছুর নেবে যেটি কখনও কোনও কাজ করেনি ও যার কাঁধে কখনও জোয়াল দেওয়া হয়নি
وَيَأْخُذُونَهَا إِلَى وَادٍ فِيهِ مَاءٌ دَائِمُ الْجَرَيَانِ لَمْ يُحْرَثْ فِيهِ وَلَمْ يُزْرَعْ، فَيَكْسِرُونَ عُنُقَ الْعِجْلَةِ فِي الْوَادِي. ٤ 4
এবং তারা সেটিকে এমন এক উপত্যকায় নিয়ে যাবে যেখানে একটি জলস্রোত আছে আর চাষ বা বীজবপন করা হয়নি। সেই উপত্যকায় তারা বকনা-বাছুরটির ঘাড় ভেঙে দেবে।
ثُمَّ يَتَقَدَّمُ الْكَهَنَةُ بَنُو لاوِي، لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ قَدِ اخْتَارَهُمْ لِخِدْمَتِهِ، وَلإِعْلانِ الْبَرَكَةِ بِاسْمِ الرَّبِّ، وَلِلْقَضَاءِ فِي كُلِّ خُصُومَةٍ وَكُلِّ ضَرْبَةٍ. ٥ 5
লেবীয় যাজকেরা সামনে এগিয়ে যাবে, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের মনোনীত করেছেন পরিচর্যা কাজের জন্য, সদাপ্রভুর নামে আশীর্বাদ উচ্চারণ করার জন্য এবং বিবাদের ও শারীরিক আক্রমণের বিচার করার জন্য।
فَيَغْسِلُ جَمِيعُ شُيُوخِ تِلْكَ الْمَدِينَةِ الْقَرِيبَةِ مِنَ الْجُثَّةِ أَيْدِيَهُمْ فَوْقَ الْعِجْلَةِ الْمَكْسُورَةِ الْعُنُقِ فِي الْوَادِي. ٦ 6
তারপর মৃতদেহের সব থেকে কাছের নগরের প্রবীণ নেতারা উপত্যকায় যে বকনা-বাছুরটির ঘাড় ভাঙা হয়েছিল তার উপরে তাদের হাত ধুয়ে ফেলবে,
وَيَقُولُونَ: أَيْدِينَا لَمْ تَسْفِكْ هَذَا الدَّمَ، وَأَعْيُنُنَا لَمْ تَشْهَدْهُ. ٧ 7
আর তারা ঘোষণা করবে “এই রক্তপাত আমরা নিজেরা করিনি, এবং হতেও দেখিনি।
اغْفِرْ يَا رَبُّ لِشَعْبِكَ إِسْرَائِيلَ الَّذِي افْتَدَيْتَهُ، وَلا تُطَالِبْنَا بِدَمٍ بَرِيءٍ سُفِكَ فِي وَسَطِ شَعْبِكَ إِسْرَائِيلَ. فَيَصْفَحُ الرَّبُّ عَنْ سَفْكِ هَذَا الدَّمِ. ٨ 8
হে সদাপ্রভু, যে ইস্রায়েলীদের তুমি মুক্ত করেছ তাদের ক্ষমা করো, এবং এই নির্দোষ লোকটির রক্তপাতের জন্য তুমি তোমার লোকদের দায়ী কোরো না।” এতে সেই রক্তপাতের দোষ ক্ষমা করা হবে,
وَهَكَذَا تَبْرَأُونَ مِنْ سَفْكِ الدَّمِ الْبَرِيءِ فِي وَسَطِكُمْ، إِذَا صَنَعْتُمْ مَا هُوَ صَالِحٌ فِي عَيْنَيِ الرَّبِّ. ٩ 9
এবং তোমরা নিজেদের মধ্য থেকে নির্দোষ লোকের রক্তপাতের দোষ মুছে ফেলতে পারবে, কারণ তোমরা সদাপ্রভুর চোখে যা ভালো তাই করেছ।
إِذَا ذَهَبْتُمْ لِمُحَارَبَةِ أَعْدَائِكُمْ، وَأَظْفَرَكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ بِهِمْ، وَسَبَيْتُمْ مِنْهُمْ سَبْياً، ١٠ 10
তোমরা যখন শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাবে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের হাতে তাদের তুলে দেবেন আর তোমরা তাদের বন্দি করবে,
وَشَاهَدَ أَحَدُكُمْ بَيْنَ الأَسْرَى امْرَأَةً جَمِيلَةَ الصُّورَةِ فَأُولِعَ بِها وَتَزَوَّجَهَا، ١١ 11
তখন যদি তাদের মধ্যে কোনও সুন্দরী স্ত্রীলোককে দেখে তোমাদের কারও তাকে ভালো লাগে তবে সে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে।
فَحِينَ يُدْخِلُهَا إِلَى بَيْتِهِ يَدَعُهَا تَحْلِقُ رَأْسَهَا وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَهَا، ١٢ 12
স্ত্রীলোকটিকে তোমার বাড়িতে নিয়ে যাবে আর তার মাথার চুল কামিয়ে দেবে ও তার নখ কেটে ফেলবে
ثُمَّ يَنْزِعُ ثِيَابَ سَبْيِهَا عَنْهَا، وَيَتْرُكُهَا فِي بَيْتِهِ شَهْراً مِنَ الزَّمَانِ تَنْدُبُ أَبَاهَا وَأُمَّهَا، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ يُعَاشِرُهَا وَتَكُونُ لَهُ زَوْجَةً. ١٣ 13
এবং বন্দি হবার সময় সে যে কাপড় পরেছিল সেগুলি খুলে ফেলবে। সে যখন তোমার বাড়িতে থেকে এক মাস তার বাবা-মায়ের জন্য শোক করবে, তারপর তুমি তার কাছে যেতে পারবে ও তার স্বামী হবে এবং সে তোমার স্ত্রী হবে।
فَإِنْ لَمْ تَرُقْهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلْيُطْلِقْهَا لِتَذْهَبَ حَيْثُ تَشَاءُ. لَا يَبِيعُهَا بِفِضَّةٍ أَوْ يَسْتَعْبِدُهَا، لأَنَّهُ قَدْ أَذَلَّهَا. ١٤ 14
যদি তুমি তার উপর সন্তুষ্ট না হও, তাকে যেখানে তার ইচ্ছা সেখানে তাকে যেতে দেবে। তুমি তাকে বিক্রি করবে না বা তাকে দাসী করবে না, কারণ তুমি তাকে অসম্মান করেছ।
إِنْ كَانَ رَجُلٌ مُتَزَوِّجاً مِنِ امْرَأَتَيْنِ، يُؤْثِرُ إِحْدَاهُمَا وَيَنْفُرُ مِنَ الأُخْرَى، فَوَلَدَتْ كِلْتَاهُمَا لَهُ أَبْنَاءً، وَكَانَ الابْنُ الْبِكْرُ مِنْ إِنْجَابِ الْمَكْرُوهَةِ، ١٥ 15
যদি কোনও পুরুষের দুই স্ত্রী থাকে, এবং সে একজনকে ভালোবাসে অন্যজনকে নয়, এবং তাদের দুজনেরই ছেলে হয় কিন্তু যার প্রথমে ছেলে হয় তাকে সে ভালোবাসে না,
فَحِينَ يُوَزِّعُ مِيرَاثَهُ عَلَى أَبْنَائِهِ، لَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يُقَدِّمَ ابْنَ الزَّوْجَةِ الأَثِيرَةِ لِيَجْعَلَهُ بِكْرَهُ فِي الْمِيرَاثِ عَلَى بِكْرِهِ ابْنِ الزَّوْجَةِ الْمَكْرُوهَةِ. ١٦ 16
সে যখন ছেলেদের জন্য তার সম্পত্তির উইল করবে, যে স্ত্রীকে সে ভালোবাসে না তার ছেলেকে বাদ দিয়ে অন্য স্ত্রীর ছেলেটিকে প্রথম ছেলের প্রাপ্য অধিকার দিতে পারবে না।
بَلْ عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَرِفَ بِبَكُورِيَّةِ ابْنِ الْمَكْرُوهَةِ، وَيُعْطِيَهُ نَصِيبَ اثْنَيْنِ مِنْ كُلِّ مَا يَمْلِكُهُ، لأَنَّهُ هُوَ أَوَّلُ مَظْهَرِ قُدْرَتِهِ، وَلَهُ حَقُّ الْبَكُورِيَّةِ. ١٧ 17
যে স্ত্রীকে সে ভালোবাসে না তার ছেলেকে প্রথম ছেলে বলে স্বীকার করে তাকে তার নিজের সর্বস্ব থেকে অন্যদের চেয়ে দ্বিগুণ দিতে হবে। সেই ছেলেই তার বাবার শক্তির প্রথম ফল। প্রথমজাতকের অধিকার তারই পাওনা।
إِنْ كَانَ لِرَجُلٍ ابْنٌ عَنِيدٌ مُتَمَرِّدٌ، لَا يُطِيعُ أَمْرَ أَبِيهِ وَلا قَوْلَ أُمِّهِ، وَيُؤَدِّبَانِهِ وَلَكِنْ مِنْ غَيْرِ جَدْوَى. ١٨ 18
যদি কারও ছেলে একগুঁয়ে এবং বিদ্রোহী হয় যে তার বাবা-মায়ের অবাধ্য এবং তাদের কথা শোনে না যখন তারা তাকে শাসন করে,
فَلْيَقْبِضْ عَلَيْهِ وَالِدَاهُ وَيَأْتِيَا بِهِ إِلَى شُيُوخِ مَدِينَتِهِ فِي سَاحَةِ الْقَضَاءِ، ١٩ 19
তার বাবা-মা তাকে তাদের নগরের দ্বারে প্রবীণ নেতাদের কাছে ধরে নিয়ে যাবে।
وَيَقُولانِ لِلشُّيُوخِ: ابْنُنَا هَذَا عَنِيدٌ مُتَمَرِّدٌ، لَا يُطِيعُ قَوْلَنَا، وهُوَ مُبَذِّرٌ سِكِّيرٌ. ٢٠ 20
তারা নগরের বয়স্ক নেতাদের বলবে, “আমাদের এই ছেলে একগুঁয়ে এবং বিদ্রোহী। সে আমাদের অবাধ্য। সে আমাদের অর্থ উড়িয়ে দেয় এবং সে মাতাল।”
فَيَرْجُمُهُ رِجَالُ الْمَدِينَةِ جَمِيعُهُمْ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى يَمُوتَ. وَهَكَذَا تَسْتَأْصِلُونَ الشَّرَّ مِنْ بَيْنِكُمْ وَيَشِيعُ الْخَبَرُ بَيْنَ الشَّعْبِ كُلِّهِ فَيَخَافُ. ٢١ 21
তখন সেই নগরের সমস্ত পুরুষ তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে। তোমাদের মধ্য থেকে সেই দুষ্টতা শেষ করতে হবে। সমস্ত ইস্রায়েল সেই বিষয় শুনবে এবং ভয় পাবে।
إِنِ ارْتَكَبَ إِنْسَانٌ جَرِيمَةً عِقَابُهَا الإِعْدَامُ، وَنُفِّذَ فِيهِ الْقَضَاءُ وَعَلَّقْتُمُوهُ عَلَى خَشَبَةٍ، ٢٢ 22
যদি কোনও লোক মৃত্যুর শাস্তি পাবার মতো কোনও দোষ করে এবং তাকে মেরে ফেলে গাছে টাঙিয়ে রাখা হয়,
فَلا تَبِتْ جُثَّتُهُ عَلَى الْخَشَبَةِ، بَلِ ادْفِنُوهُ فِي نَفْسِ ذَلِكَ الْيَوْمِ، لأَنَّ الْمُعَلَّقَ مَلْعُونٌ مِنَ اللهِ. فَلا تُنَجِّسُوا أَرْضَكُمُ الَّتِي يَهَبُهَا لَكُمُ الرَّبُّ مِيرَاثاً. ٢٣ 23
তবে সকাল পর্যন্ত তার দেহ গাছে টাঙিয়ে রাখবে না। সেদিনই তাকে কবর দিতে হবে, কারণ যাকে গাছে টাঙানো হয় সে ঈশ্বরের অভিশপ্ত। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন তা তোমরা অশুচি করবে না।

< تَثنِيَة 21 >