< أعمال 12 >

فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ بَدَأَ الْمَلِكُ هِيرُودُسُ يَضْطَهِدُ بَعْضَ أَفْرَادِ الْكَنِيسَةِ، ١ 1
প্রায় এরকম সময়ে রাজা হেরোদ মণ্ডলীর কয়েকজনকে নির্যাতন করার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করলেন।
فَقَتَلَ يَعْقُوبَ شَقِيقَ يُوحَنَّا بِالسَّيْفِ. ٢ 2
তিনি যোহনের ভাই যাকোবকে তরোয়ালের আঘাতে হত্যা করলেন।
وَلَمَّا رَأَى أَنَّ هَذَا يُرْضِي الْيَهُودَ، قَرَّرَ أَنْ يَقْبِضَ عَلَى بُطْرُسَ أَيْضاً، وَكَانَ ذَلِكَ فِي أَيَّامِ عِيدِ الْفَطِيرِ. ٣ 3
এতে ইহুদিরা সন্তুষ্ট হল দেখে তিনি পিতরকেও বন্দি করার আদেশ দিলেন। খামিরশূন্য রুটির পর্বের সময়ে এই ঘটনা ঘটল।
فَلَمَّا قَبَضَ عَلَيْهِ، أَوْدَعَهُ السِّجْنَ تَحْتَ حِرَاسَةِ أَرْبَعِ مَجْمُوعَاتٍ مِنَ الْحُرَّاسِ، تَتَكَوَّنُ كُلُّ مَجْمُوعَةٍ مِنْهَا مِنْ أَرْبَعَةِ جُنُودٍ. وَكَانَ يَنْوِي أَنْ يُسَلِّمَهُ إِلَى الْيَهُودِ بَعْدَ عِيدِ الْفِصْحِ، ٤ 4
তাঁকে গ্রেপ্তার করে তিনি কারাগারে রাখলেন। এক-একটি দলে চারজন করে সৈন্য, এমন চারটি দলের উপরে তিনি তাঁর পাহারার ভার দিলেন। হেরোদের উদ্দেশ্য ছিল, নিস্তারপর্বের পরে তাঁকে নিয়ে এসে সবার সামনে তাঁর বিচার করবেন।
فَأَبْقَاهُ فِي السِّجْنِ. أَمَّا الْكَنِيسَةُ فَكَانَتْ تَرْفَعُ الصَّلاةَ الْحَارَّةَ إِلَى اللهِ مِنْ أَجْلِهِ. ٥ 5
এভাবে পিতরকে কারাগারে রেখে দেওয়া হল, কিন্তু মণ্ডলী আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিল।
وَفِي اللَّيْلَةِ الَّتِي كَانَ هِيرُودُسُ قَدْ نَوَى أَنْ يُسَلِّمَ بُطْرُسَ بَعْدَهَا، كَانَ بُطْرُسُ نَائِماً بَيْنَ جُنْدِيَّيْنِ، مُقَيَّداً بِسِلْسِلَتَيْنِ، وَأَمَامَ الْبَابِ جُنُودٌ يَحْرُسُونَ السِّجْنَ. ٦ 6
হেরোদ সবার সামনে যেদিন তাঁর বিচারের দিন স্থির করেছিলেন, তার আগের রাতে পিতর দুজন সৈন্যের মাঝখানে দুটি শিকলে বাঁধা অবস্থায় ঘুমিয়েছিলেন। প্রহরীরা প্রবেশপথে পাহারা দিচ্ছিল।
وَفَجْأَةً حَضَرَ مَلاكٌ مِنْ عِنْدِ الرَّبِّ، فَامْتَلأَتْ غُرْفَةُ السِّجْنِ نُوراً. وَضَرَبَ الْمَلاكُ بُطْرُسَ عَلَى جَنْبِهِ وَأَيْقَظَهُ وَقَالَ: «قُمْ سَرِيعاً!» فَسَقَطَتِ السِّلْسِلَتَانِ مِنْ يَدَيْهِ. ٧ 7
হঠাৎই প্রভুর এক দূত সেখানে আবির্ভূত হলেন এবং কারাগারে এক আলো প্রকাশ পেল। তিনি পিতরের বুকের পাশে আঘাত করে তাঁকে জাগিয়ে তুললেন। তিনি বললেন, “তাড়াতাড়ি করো, উঠে পড়ো!” তখন পিতরের দু-হাতের কব্জি থেকে শিকল খসে পড়ল।
فَقَالَ لَهُ الْمَلاكُ: «شُدَّ حِزَامَكَ، وَالْبَسْ حِذَاءَكَ!» فَفَعَلَ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: «الْبَسْ رِدَاءَكَ وَاتْبَعْنِي!» ٨ 8
তারপর সেই দূত তাঁকে বললেন, “তুমি তোমার জামাকাপড় ও চটিজুতো পরে নাও।” পিতর তাই করলেন। দূত তাঁকে বললেন, “তোমার আলখাল্লা তোমার গায়ে জড়িয়ে নাও ও আমাকে অনুসরণ করো।”
فَخَرَجَ بُطْرُسُ يَتْبَعُ الْمَلاكَ وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ يَرَى رُؤْيَا، وَلا يَدْرِي أَنَّ مَا يَجْرِي عَلَى يَدِ الْمَلاكِ أَمْرٌ حَقِيقِيٌّ. ٩ 9
পিতর তাঁকে অনুসরণ করে কারাগারের বাইরে এলেন, কিন্তু দূত যা করছেন, তা সত্যিই বাস্তবে ঘটছে কি না, সে বিষয়ে কোনও ধারণা করতে পারলেন না। তিনি ভাবলেন যে তিনি কোনো দর্শন দেখছেন।
وَاجْتَازَا نُقْطَةَ الْحِرَاسَةِ الأُولَى ثُمَّ الثَّانِيَةَ. وَلَمَّا وَصَلا إِلَى بَابِ السِّجْنِ الْحَدِيدِيِّ الَّذِي يُؤَدِّي إِلَى الْمَدِينَةِ انْفَتَحَ لَهُمَا مِنْ ذَاتِهِ، فَخَرَجَا. وَبَعْدَمَا عَبَرَا شَارِعاً وَاحِداً، فَارَقَهُ الْمَلاكُ حَالاً. ١٠ 10
তাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় প্রহরীদলকে অতিক্রম করে যেখান দিয়ে নগরে যাওয়া যায় সেই লোহার দরজার সামনে এসে উপস্থিত হলেন। সেই দরজা তাঁদের জন্য আপনা-আপনি খুলে গেল, তাঁরা তার মধ্য দিয়ে পার হয়ে গেলেন। তাঁরা যখন একটি পথের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে পার হলেন, হঠাৎই দূত তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন।
عِنْدَئِذٍ اسْتَعَادَ بُطْرُسُ وَعْيَهُ، فَهَتَفَ: «الآنَ أَيْقَنْتُ أَنَّ الرَّبَّ أَرْسَلَ مَلاكَهُ فَأَنْقَذَنِي مِنْ قَبْضَةِ هِيرُودُسَ، وَمِنْ تَوَقُّعَاتِ شَعْبِ الْيَهُودِ!» ١١ 11
তখন পিতর তাঁর চেতনা ফিরে পেলেন ও বললেন, “এখন আমি নিঃসন্দেহে বুঝতে পারছি যে, প্রভুই তাঁর দূত পাঠিয়ে আমাকে হেরোদের কবল থেকে এবং ইহুদি জনসাধারণের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ধার করেছেন।”
وَإِذْ أَدْرَكَ ذَلِكَ، اتَّجَهَ إِلَى بَيْتِ مَرْيَمَ أُمِّ يُوحَنَّا الْمُلَقَّبِ مَرْقُسَ، حَيْثُ كَانَ عَدَدٌ كَبِيرٌ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ مُجْتَمِعِينَ يُصَلُّونَ. ١٢ 12
এই বিষয় তাঁর উপলব্ধি হওয়ার পর, তিনি মার্ক নামে পরিচিত সেই যোহনের মা মরিয়মের বাড়িতে গেলেন। সেখানে অনেকে একত্র হয়ে প্রার্থনা করছিল।
وَلَمَّا وَصَلَ قَرَعَ الْبَابَ الْخَارِجِيَّ، فَجَاءَتْ خَادِمَةٌ اسْمُهَا رَوْدَا لِتَتَسَمَّعَ. ١٣ 13
পিতর বাইরের দরজায় করাঘাত করলে রোদা নামে এক দাসী সাড়া দিতে দরজার কাছে এল।
فَلَمَّا عَرَفَتْ صَوْتَ بُطْرُسَ لَمْ تَفْتَحْ لِشِدَّةِ الْفَرَحِ، بَلْ أَسْرَعَتْ إِلَى دَاخِلِ الْبَيْتِ تُبَشِّرُ الْحَاضِرِينَ بِأَنَّ بُطْرُسَ بِالْبَابِ. ١٤ 14
সে যখন পিতরের কণ্ঠস্বর চিনতে পারল, আনন্দের আতিশয্যে দরজা না খুলেই দৌড়ে ফিরে গেল ও চিৎকার করে বলে উঠল, “পিতর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।”
فَقَالُوا لَهَا: «أَنْتِ تَهْذِينَ!» وَلَكِنَّهَا أَكَّدَتْ لَهُمُ الْخَبَرَ، فَقَالُوا: «لَعَلَّهُ مَلاكُ بُطْرُسَ!» ١٥ 15
তারা তাকে বলল, “তোমার মাথা খারাপ হয়েছে।” কিন্তু যখন সে জোর দিয়ে বলতে লাগল যে তার কথাই সত্যি, তারা বলল, “উনি নিশ্চয়ই তাঁর দূত।”
أَمَّا بُطْرُسُ فَوَاصَلَ قَرْعَ الْبَابِ حَتَّى فَتَحُوا لَهُ. فَلَمَّا رَأَوْهُ اسْتَوْلَتْ عَلَيْهِمِ الدَّهْشَةُ! ١٦ 16
পিতর কিন্তু ক্রমাগত দরজায় করাঘাত করে যাচ্ছিলেন। তারা দরজা খুলে যখন তাঁকে দেখতে পেল, তারা বিস্মিত হল।
فَأَشَارَ بِيَدِهِ أَنْ يَسْكُتُوا، وَحَدَّثَهُمْ كَيْفَ أَخْرَجَهُ الرَّبُّ مِنَ السِّجْنِ، وَقَالَ: «أَخْبِرُوا يَعْقُوبَ وَالإِخْوَةَ بِهَذَا». ثُمَّ خَرَجَ وَذَهَبَ إِلَى مَكَانٍ آخَرَ. ١٧ 17
পিতর হাতের ইশারায় তাদের শান্ত হতে বললেন। তারপর বর্ণনা করলেন, প্রভু কীভাবে তাঁকে কারাগার থেকে বাইরে এনেছেন। তিনি বললেন, “তোমরা এই ঘটনার কথা যাকোবকে ও সেই ভাইদের বলো,” একথা বলে তিনি অন্য স্থানের উদ্দেশে চলে গেলেন।
وَلَمَّا طَلَعَ الصَّبَاحُ حَدَثَتْ بَلْبَلَةٌ عَظِيمَةٌ بَيْنَ الْجُنُودِ، وَأَخَذُوا يَتَسَاءَلُونَ: «مَا الَّذِي جَرَى لِبُطْرُسَ؟» ١٨ 18
সকালবেলা, পিতরের কী হল, ভেবে সৈন্যদের মধ্যে উত্তেজনার ঝড় বয়ে গেল।
وَلَمَّا أَمَرَ هِيرُودُسُ بِاسْتِدْعَائِهِ وَلَمْ يَجِدْهُ، أَجْرَى تَحْقِيقاً مَعَ الْحُرَّاسِ، وَأَمَرَ بِإِعْدَامِهِمْ. ثُمَّ انْتَقَلَ هِيرُودُسُ مِنْ مِنْطَقَةِ الْيَهُودِيَّةِ إِلَى قَيْصَرِيَّةَ، وَأَقَامَ فِيهَا. ١٩ 19
তাঁর জন্য হেরোদ তন্নতন্ন অনুসন্ধান করার পরেও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে তিনি প্রহরীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ও তাদের প্রাণদণ্ডের আদেশ দিলেন। এরপরে হেরোদ যিহূদিয়া থেকে কৈসরিয়ায় চলে গেলেন ও সেখানে কিছুকাল থাকলেন।
وَكَانَ نَاقِماً عَلَى أَهْلِ صُورَ وَصَيْدَا. فَاتَّفَقُوا وَأَرْسَلُوا وَفْداً مِنْهُمْ يَسْتَعْطِفُونَ بَلاسْتُسَ حَاجِبَ الْمَلِكِ طَالِبِينَ الأَمَانَ، لأَنَّ مِنْطَقَتَهُمْ كَانَتْ تَكْسَبُ رِزْقَهَا مِنْ مَمْلَكَةِ هِيرُودُسَ. ٢٠ 20
টায়ার ও সীদোনের জনগণের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। তারা এসময় জোটবদ্ধ হয়ে তাঁর কাছে এল যেন তিনি তাদের কথা শোনেন। রাজার শয়নাগারের একজন দাস ব্লাস্ত-এর সমর্থন আদায় করে তারা সন্ধির প্রস্তাব করল, কারণ তাদের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য তারা রাজার দেশের উপরে নির্ভর করত।
وَفِي الْيَوْمِ الْمُعَيَّنِ لِمُقَابَلَةِ الْوَفْدِ، ارْتَدَى هِيرُودُسُ ثَوْبَهُ الْمُلُوكِيَّ، وَجَلَسَ عَلَى عَرْشِهِ يُخَاطِبُهُمْ. ٢١ 21
পরে, এক নির্ধারিত দিনে হেরোদ, তাঁর রাজকীয় পোশাক পরে তাঁর সিংহাসনে বসলেন। তিনি প্রকাশ্যে জনগণের উদ্দেশে এক ভাষণ দিলেন।
فَهَتَفَ الشَّعْبُ قَائِلِينَ: «هَذَا صَوْتُ إِلَهٍ لَا صَوْتُ إِنْسَانٍ!» ٢٢ 22
তারা চিৎকার করে বলল, “এ তো এক দেবতার কণ্ঠস্বর, মানুষের নয়।”
فَضَرَبَهُ مَلاكٌ مِنْ عِنْدِ الرَّبِّ فِي الْحَالِ لأَنَّهُ لَمْ يُعْطِ الْمَجْدَ لِلهِ، فَأَكَلَهُ الدُّودُ وَمَاتَ! ٢٣ 23
হেরোদ ঈশ্বরকে গৌরব প্রদান না করায়, সেই মুহূর্তেই, প্রভুর এক দূত তাঁকে আঘাত করলেন, ফলে তাঁর সর্বাঙ্গ পোকায় ছেয়ে গেল। পোকায় তাঁকে খেয়ে ফেলল ও তাঁর মৃত্যু হল।
أَمَّا كَلِمَةُ الرَّبِّ فَكَانَتْ تَنْمُو وَتَزْدَادُ انْتِشَاراً. ٢٤ 24
কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে ও প্রসার লাভ করতে লাগল।
وَكَانَ بَرْنَابَا وَشَاوُلُ قَدْ أَنْجَزَا الْمُهِمَّةَ فِي أُورُشَلِيمَ، فَرَجَعَا إِلَى أَنْطَاكِيَةَ وَمَعَهُمَا يُوحَنَّا الْمُلَقَّبُ مَرْقُسَ. ٢٥ 25
যখন বার্ণবা ও শৌল তাঁদের পরিচর্যা কাজ শেষ করলেন, তাঁরা জেরুশালেম থেকে ফিরে এলেন। সঙ্গে তাঁরা যোহনকে নিয়ে এলেন যাকে মার্ক বলেও ডাকা হত।

< أعمال 12 >