< 2 مُلُوك 20 >

وَمَرِضَ حَزَقِيَّا فِي تِلْكَ الأَيَّامِ حَتَّى أَشْرَفَ عَلَى الْمَوْتِ، فَجَاءَ إِلَيْهِ إِشَعْيَاءُ بْنُ آمُوصَ قَائِلاً: «هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ:’نَظِّمْ شُؤُونَ بَيْتِكَ لأَنَّكَ لَنْ تَبْرَأَ بَلْ حَتْماً تَمُوتَ‘». ١ 1
সেই সময় হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং তা মৃত্যুজনক হয়ে গেল। আমোষের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: তুমি বাড়ির সব ব্যবস্থা ঠিকঠাক করে রাখো, কারণ তুমি মরতে চলেছ; তুমি আর সেরে উঠবে না।”
فَأَشَاحَ بِوَجْهِهِ نَحْوَ الْحَائِطِ وَصَلَّى قَائِلاً: ٢ 2
হিষ্কিয় দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলেন,
«آهِ يَا رَبُّ، اذْكُرْ كَيْفَ سَلَكْتُ أَمَامَكَ بِأَمَانَةٍ وَإِخْلاصِ قَلْبٍ، وَصَنَعْتُ مَا يُرْضِيكَ». وَبَكَى حَزَقِيَّا بُكَاءً مُرّاً. ٣ 3
“হে সদাপ্রভু, স্মরণ করো, আমি কীভাবে তোমার সামনে বিশ্বস্ততায় ও সম্পূর্ণ হৃদয়ে ভক্তি প্রকাশ করেছি। তোমার দৃষ্টিতে যা কিছু মঙ্গলজনক, আমি তাই করেছি।” এই বলে হিষ্কিয় অত্যন্ত রোদন করতে লাগলেন।
وَقَبْلَ أَنْ يَبْلُغَ إِشَعْيَاءُ فِنَاءَ الْقَصْرِ الأَوْسَطِ خَاطَبَهُ الرَّبُّ قَائِلاً: ٤ 4
মাঝখানের প্রাঙ্গণ ছেড়ে যাওয়ার আগেই সদাপ্রভুর বাণী যিশাইয়ের কাছে উপস্থিত হল:
«ارْجِعْ وَقُلْ لِحَزَقِيَّا رَئِيسِ شَعْبِي: هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ إِلَهُ دَاوُدَ أَبِيكَ: قَدْ سَمِعْتُ صَلاتَكَ، وَرَأَيْتُ دُمُوعَكَ، وَهَا أَنَا أُبْرِئُكَ، فَتَذْهَبُ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ لِلصَّلاةِ فِي هَيْكَلِ الرَّبِّ. ٥ 5
“তুমি ফিরে গিয়ে আমার প্রজাদের শাসনকর্তা হিষ্কিয়কে এই কথা বলো, ‘সদাপ্রভু, তোমার পিতৃপুরুষ দাউদের ঈশ্বর এই কথা বলেন: আমি তোমার প্রার্থনা শ্রবণ করেছি ও তোমার অশ্রু দেখেছি; আমি তোমাকে সুস্থ করব। আজ থেকে তৃতীয় দিনের মাথায় তুমি সদাপ্রভুর মন্দিরে যাবে।
وَأُضِيفُ عَلَى سِنِي حَيَاتِكَ خَمْسَةَ عَشَرَ عَاماً وَأُنْقِذُكَ أَنْتَ وَهَذِهِ الْمَدِينَةَ مِنْ مَلِكِ أَشُورَ، وَأُدَافِعُ عَنْهَا مِنْ أَجْلِ نَفْسِي وَإِكْرَاماً لِعَبْدِي دَاوُدَ». ٦ 6
আমি তোমার জীবনের আয়ুর সঙ্গে আরও পনেরো বছর যোগ করব। এছাড়াও আমি তোমাকে ও এই নগরটিকে আসিরীয় রাজার হাত থেকে উদ্ধার করব। আমার স্বার্থে ও আমার দাস দাউদের স্বার্থেই আমি এই নগরকে রক্ষা করব।’”
ثُمَّ قَالَ إِشَعْيَاءُ: «خُذُوا قُرْصَ تِينٍ». فَأَخَذُوا قُرْصَ تِينٍ وَضَعُوهُ عَلَى الْقُرْحِ فَبَرِىءَ. ٧ 7
পরে যিশাইয় বললেন, “ডুমুরফল ছেঁচে একটি প্রলেপ তৈরি করে নাও।” লোকেরা সেরকমই করল এবং সেই বিষফোড়ার উপর সেটি লাগিয়ে দিয়েছিল, ও তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
وَسَأَلَ حَزَقِيَّا إِشَعْيَاءَ: «مَا الْعَلامَةُ أَنَّ الرَّبَّ يَشْفِينِي، فَأَتَمَكَّنَ مِنَ الذَّهَابِ إِلَى هَيْكَلِ الرَّبِّ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ؟» ٨ 8
হিষ্কিয় এর আগে যিশাইয়কে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভু যে আমাকে সুস্থ করবেন ও আজ থেকে তৃতীয় দিনের মাথায় আমি যে সদাপ্রভুর মন্দিরে যাব, তার চিহ্ন কী হবে?”
فَأَجَابَهُ إِشَعْيَاءُ: «إِلَيْكَ الْعَلامَةَ مِنَ الرَّبِّ بِأَنَّهُ مُزْمِعٌ أَنْ يُتَمِّمَ مَا وَعَدَ بِهِ. أَجِبْنِي، هَلْ يَتَقَدَّمُ الظِّلُّ عَشْرَ دَرَجَاتٍ أَمْ يَرْتَدُّ عَشْرَ دَرَجَاتٍ؟» ٩ 9
যিশাইয় উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারেই যে সবকিছু করবেন, তোমার কাছে সদাপ্রভুর এই চিহ্নই হবে তার প্রমাণ: সূর্য-ঘড়িতে ছায়াটি কি দশ ধাপ এগিয়ে যাবে, না দশ ধাপ পিছিয়ে যাবে?”
فَأَجَابَ حَزَقِيَّا: «مِنْ شَأْنِ الظِّلِّ أَنْ يَتَقَدَّمَ عَشْرَ دَرَجَاتٍ، لِذَلِكَ لِيَرْتَدَّ الظِّلُّ إِلَى الْوَرَاءِ عَشْرَ دَرَجَاتٍ، فَتَكُونَ هَذِهِ هِيَ الْعَلامَةُ». ١٠ 10
“ছায়াটি দশ ধাপ এগিয়ে যাওয়া তো মামুলি এক ব্যাপার,” হিষ্কিয় বললেন। “বরং, সেটি দশ ধাপ পিছিয়েই যাক।”
فَابْتَهَلَ إِشَعْيَاءُ إِلَى الرَّبِّ، فَتَراجَعَ الظِّلُّ إِلَى الْوَرَاءِ عَشْرَ دَرَجَاتٍ فَوْقَ سُلَّمِ آحَازَ، بَعْدَ أَنْ كَانَ الظِّلُّ قَدِ امْتَدَّ عَلَيْهَا إِلَى الأَمَامِ عَشْرَ دَرَجَاتٍ. ١١ 11
তখন ভাববাদী যিশাইয় সদাপ্রভুকে ডেকেছিলেন, এবং সদাপ্রভু আহসের সূর্য-ঘড়ি দিয়ে নেমে যাওয়া সেই ছায়াটিকে দশ ধাপ পিছিয়ে দিলেন।
وَعِنْدَمَا عَلِمَ بَرُودَخُ بَلادَانُ ابْنُ الْمَلِكِ الْبَابِلِيِّ بَلادَانَ بِمَرَضِ حَزَقِيَّا، بَعَثَ إِلَيْهِ (وَفْداً) وَرَسَائِلَ وَهَدَايَا. ١٢ 12
সেই সময় বলদনের পুত্র, ব্যাবিলনের রাজা মরোদক-বলদন হিষ্কিয়ের কাছে পত্র ও উপহার পাঠালেন, কারণ তিনি হিষ্কিয়ের অসুস্থতার কথা শুনেছিলেন।
فَاحْتَفَى بِهِمْ حَزَقِيَّا، وَأَطْلَعَهُمْ عَلَى كُلِّ مَا فِي خَزَائِنِ نَفَائِسِهِ مِنْ فِضَّةٍ وَذَهَبٍ وَأَطْيَابٍ وَعُطُورٍ، وَعَلَى كُلِّ مَخَازِنِ أَسْلِحَتِهِ، وَعَلَى كُلِّ مَا يَحْتَفِظُ بِهِ فِي خَزَائِنِهِ. لَمْ يَتْرُكْ شَيْئاً فِي قَصْرِهِ وَفِي كُلِّ مَمْلَكَتِهِ لَمْ يُطْلِعْهُمْ عَلَيْهِ. ١٣ 13
হিষ্কিয় আনন্দের সঙ্গে ওইসব প্রতিনিধিকে গ্রহণ করলেন। তিনি তাঁর ভাণ্ডারগৃহের সবকিছুই তাদের দেখালেন—রুপো, সোনা, সুগন্ধি মশলা ও বহুমূল্য তেল, তাঁর অস্ত্রশস্ত্র ও তাঁর ধনসম্পদের সমস্ত কিছু তাদের দেখালেন। তাঁর রাজপ্রাসাদে বা তাঁর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে এমন কিছুই ছিল না, যা হিষ্কিয় তাদের দেখাননি।
فَوَفَدَ إِشَعْيَاءُ النَّبِيُّ عَلَى الْمَلِكِ حَزَقِيَّا وَسَأَلَهُ: «مَاذَا قَالَ هَؤُلاءِ الرِّجَالُ، وَمِنْ أَيْنَ جَاءُوا؟» فَأَجَابَهُ: «جَاءُوا مِنْ أَرْضٍ بَعِيدَةٍ، مِنْ بَابِلَ». ١٤ 14
তখন ভাববাদী যিশাইয় রাজা হিষ্কিয়ের কাছে গেলেন ও তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ওই লোকেরা কী বলল এবং ওরা কোথা থেকে এসেছিল?” হিষ্কিয় উত্তর দিলেন, “বহু দূরের এক দেশ থেকে। ওরা ব্যাবিলন থেকে এসেছিল।”
فَعَادَ يَسْأَلُهُ: «مَاذَا شَاهَدُوا فِي قَصْرِكَ؟» فَأَجَابَ حَزَقِيَّا: «شَاهَدُوا كُلَّ مَا فِي قَصْرِي. لَمْ أَتْرُكْ شَيْئاً فِي مَخَازِنِي لَمْ أُطْلِعْهُمْ عَلَيْهِ». ١٥ 15
ভাববাদী জিজ্ঞাসা করলেন, “ওরা আপনার প্রাসাদে কী কী দেখল?” হিষ্কিয় বললেন, “ওরা আমার প্রাসাদের সবকিছুই দেখেছে। আমার ঐশ্বর্যভাণ্ডারে এমন কিছুই নেই, যা আমি ওদের দেখাইনি।”
فَقَالَ إِشَعْيَاءُ لِحَزَقِيَّا: «اسْمَعْ كَلامَ الرَّبِّ. ١٦ 16
তখন যিশাইয় হিষ্কিয়কে বললেন, “আপনি সদাপ্রভুর বাক্য শ্রবণ করুন:
هَا أَيَّامٌ تَأْتِي يُنْقَلُ فِيهَا إِلَى بَابِلَ كُلُّ مَا فِي قَصْرِكَ، وَمَا ادَّخَرَهُ أَسْلافُكَ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ، وَلا يَبْقَى مِنْهَا شَيْءٌ، يَقُولُ الرَّبُّ. ١٧ 17
সেই সময় অবশ্যই উপস্থিত হবে, যখন আপনার প্রাসাদে যা কিছু আছে এবং আপনার পিতৃপুরুষেরা এ পর্যন্ত যা কিছু সঞ্চয় করেছেন, সে সমস্তই ব্যাবিলনে বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে। কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, বলেন সদাপ্রভু।
وَيُسْبَى بَعْضُ أَبْنَائِكَ الْخَارِجِينَ مِنْ صُلْبِكَ لِيَكُونُوا خِصْيَاناً فِي قَصْرِ مَلِكِ بَابِلَ». ١٨ 18
আর আপনার কিছু সংখ্যক বংশধর, যারা আপনারই রক্তমাংস, যাদের আপনি জন্ম দেবেন, তাদেরও সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। তারা ব্যাবিলনের রাজপ্রাসাদে নপুংসক হয়ে সেবা করবে।”
فَقَالَ حَزَقِيَّا لإِشَعْيَاءَ: «صَالِحٌ قَوْلُ الرَّبِّ الَّذِي أَعْلَنْتَهُ». ثُمَّ حَدَّثَ نَفْسَهُ: «لِمَ لا؟ إِنْ كَانَ السَّلامُ وَالأَمَانُ يَسُودَانِ فِي أَيَّامِي». ١٩ 19
হিষ্কিয় উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভুর যে বাক্য আপনি বললেন, তা ভালোই।” কারণ তিনি ভাবলেন, তাঁর নিজের জীবনকালে তো শান্তি আর নিরাপত্তা থাকবে!
أَمَّا بَقِيَّةُ أَخْبَارِ حَزَقِيَّا وَكُلُّ أَعْمَالِهِ وَمُنْجَزَاتِهِ، وَكَيْفَ صَنَعَ الْبِرْكَةَ وَالْقَنَاةَ، وَأَدْخَلَ الْمَاءَ إِلَى الْمَدِينَةِ، أَلَيْسَتْ مُدَوَّنَةً فِي كِتَابِ أَخْبَارِ أَيَّامِ مُلُوكِ يَهُوذَا؟ ٢٠ 20
হিষ্কিয়ের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তাঁর সব কীর্তি এবং তিনি কীভাবে পুকুর ও সুরঙ্গ খুঁড়ে নগরে জল এনেছিলেন, তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
ثُمَّ مَاتَ حَزَقِيَّا، وَدُفِنَ مَعَ آبَائِهِ، وَخَلَفَهُ ابْنُهُ مَنَسَّى عَلَى الْمُلْكِ. ٢١ 21
হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে মনঃশি রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

< 2 مُلُوك 20 >