< 1 صَمُوئيل 11 >

وَزَحَفَ نَاحَاشُ الْعَمُّونِيُّ عَلَى يَابِيشَ جِلْعَادَ وَحَاصَرَهَا، فَقَالَ أَهْلُ يَابِيشَ لِنَاحَاشَ: «وَقِّعْ مَعْنَا مُعَاهَدَةً فَنُصْبِحَ عَبِيداً لَكَ» ١ 1
অম্মোনীয় নাহশ যাবেশ-গিলিয়দ আক্রমণ করে নগরটি অবরুদ্ধ করলেন। যাবেশের সব মানুষজন তাঁকে বলল, “আমাদের সঙ্গে আপনি এক শান্তিচুক্তি করুন, আর আমরাও আপনার বশীভূত হয়ে থাকব।”
فَأَجَابَهُمْ: «حَسَناً، وَلَكِنْ بِشَرْطِ أَنْ أَقْلَعَ الْعَيْنَ الْيُمْنَى لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ، فَيُصْبِحَ ذَلِكَ عَاراً عَلَى كُلِّ إِسْرَائِيلَ». ٢ 2
কিন্তু অম্মোনীয় নাহশ উত্তর দিলেন, “আমি একমাত্র এই শর্তেই তোমাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করব: আমি তোমাদের প্রত্যেকের ডান চোখ উপড়ে নেব ও এরকম করার দ্বারা সমগ্র ইস্রায়েল জাতিকে কলঙ্কিত করব।”
فَقَالَ لَهُ زُعَمَاءُ يَابِيشَ: «أَمْهِلْنَا سَبْعَةَ أَيَّامٍ، نَبْعَثُ فِيهَا رُسُلاً إِلَى جَمِيعِ أَرَاضِي إِسْرَائِيلَ طَالِبِينَ النَّجْدَةَ، فَإِنْ لَمْ يُغِثْنَا أَحَدٌ، نُذْعِنْ لِشَرْطِكَ». ٣ 3
যাবেশের প্রাচীনেরা তাঁকে বললেন, “আমাদের সাত দিন সময় দিন যেন আমরা ইস্রায়েলের বিভিন্ন প্রান্তে দূত পাঠাতে পারি; যদি কেউ আমাদের রক্ষা করতে এগিয়ে না আসে, তবে আমরা আপনার হাতে নিজেদের সমর্পণ করে দেব।”
وَعِنْدَمَا وَصَلَ رُسُلُ يَابِيشَ إِلَى جِبْعَةِ شَاوُلَ، وَأَطْلَعُوا الشَّعْبَ عَلَى الأَمْرِ، عَلا بُكَاءُ الشَّعْبِ. ٤ 4
দূতেরা যখন শৌলের নগর গিবিয়াতে এসে লোকদের কাছে এইসব শর্তের খবর দিল, তারা সবাই চিৎকার করে কান্নাকাটি করল।
وَفِيمَا هُمْ كَذَلِكَ، أَقْبَلَ شَاوُلُ مِنَ الْحَقْلِ يَقُودُ أَمَامَهُ الْبَقَرَ، فَتَسَاءَلَ: «مَا بَالُ الشَّعْبِ يَبْكِي؟» فَرَوَوْا لَهُ خَبَرَ أَهْلِ يَابِيشَ، ٥ 5
ঠিক সেই সময় শৌল বলদদের পিছু পিছু ক্ষেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “কী হয়েছে? এরা কাঁদছে কেন?” তখন যাবেশের লোকেরা যা যা বলল, তা তারা আরেকবার শৌলকে বলে শোনাল।
فَحَلَّ عَلَيْهِ رُوحُ اللهِ عِنْدَمَا سَمِعَ الْخَبَرَ وَثَارَ غَضَبُهُ. ٦ 6
শৌল তাদের কথা শোনার পর, ঈশ্বরের আত্মা সপরাক্রমে তাঁর উপর নেমে এলেন, ও তিনি রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠলেন।
وَأَخَذَ ثَوْرَيْنِ قَطَّعَهُمَا إِلَى أَجْزَاءَ وَزَّعَهَا عَلَى كُلِّ أَرْجَاءِ إِسْرَائِيلَ بِيَدِ رُسُلٍ قَائِلاً: «هَكَذَا يَحْدُثُ لِبَقَرِ كُلِّ مَنْ يَتَخَلَّفُ عَنِ الْخُرُوجِ وَرَاءَ شَاوُلَ وَوَرَاءَ صَمُوئِيلَ». فَطَغَى رُعْبُ الرَّبِّ عَلَى قُلُوبِهِمْ، وَالْتَفُّوا حَوْلَ شَاوُلَ كَرَجُلٍ وَاحِدٍ. ٧ 7
তিনি এক জোড়া বলদ নিয়ে, সেগুলি টুকরো টুকরো করে কেটে দূতদের মাধ্যমে সেই টুকরোগুলি ইস্রায়েলের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দিয়ে ঘোষণা করলেন, “যদি কেউ শৌল ও শমূয়েলের অনুসরণ না করে তবে তার বলদদের প্রতিও এরকমই করা হবে।” তখন সদাপ্রভুর আতঙ্ক লোকজনের মনে বাসা বাঁধল, ও তারা একজোট হয়ে বাইরে বের হয়ে এল।
وَأَحْصَاهُمْ شَاوُلُ فِي بَازَقَ فَبَلَغَ عَدَدُهُمْ ثَلاثَ مِئَةِ أَلْفٍ، فَضْلاً عَنْ ثَلاثِينَ أَلْفاً مِنْ رِجَالِ يَهُوذَا. ٨ 8
শৌল যখন বেষকে তাদের সমবেত করলেন, তখন ইস্রায়েলের জনসংখ্যা হল 3,00,000 জন ও যিহূদার হল 30,000 জন।
وَقَالُوا لِلرُّسُلِ الْوَافِدِينَ: «أَخْبِرُوا أَهْلَ يَابِيشَ أَنَّ غَداً، عِنْدَ اشْتِدَادِ حَرِّ الشَّمْسِ، يَتِمُّ خَلاصُكُمْ». وَعِنْدَمَا عَادَ الرُّسُلُ وَأَخْبَرُوا أَهْلَ يَابِيشَ عَمَّهُمُ الْفَرَحُ. ٩ 9
সেখানে আসা দূতদের তারা বলল, “যাবেশ-গিলিয়দের লোকদের গিয়ে তোমরা বোলো, ‘আগামীকাল সূর্য যখন মধ্য-গগনে থাকবে, তখনই তোমাদের রক্ষা করা হবে।’” দূতেরা গিয়ে যখন যাবেশের লোকদের কাছে এ খবর দিল, তারা খুব খুশি হল।
فَقَالَ أَهْلُ يَابِيشَ لِلْعَمُّونِيِّينَ: «غَداً نَخْرُجُ إِلَيْكُمْ مُسْتَسْلِمِينَ لِتَصْنَعُوا بِنَا مَا يَطِيبُ لَكُمْ». ١٠ 10
তারা অম্মোনীয়দের বলল, “আগামীকাল আমরা তোমাদের হাতে নিজেদের সমর্পণ করে দেব, আর তোমরা আমাদের প্রতি যা ইচ্ছা হয়, তাই কোরো।”
وَفِي صَبَاحِ الْيَوْمِ التَّالِي قَسَمَ شَاوُلُ جَيْشَهُ إِلَى ثَلاثِ فِرَقٍ، وَهَجَمُوا عَلَى مُعَسْكَرِ الْعَمُّونِيِّينَ عِنْدَ الْفَجْرِ وَأَعْمَلُوا فِيهِمْ تَقْتِيلاً حَتَّى اشْتَدَّ حَرُّ النَّهَارِ. وَالَّذِينَ نَجَوْا مِنْهُمْ تَشَتَّتُوا حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمُ اثْنَانِ مَعاً. ١١ 11
পরদিন শৌল তাঁর লোকজনকে তিন দলে বিভক্ত করলেন; রাতের শেষ প্রহরে তারা অম্মোনীয়দের সৈন্যশিবিরে ঝাঁপিয়ে পড়ল ও রোদ প্রখর হওয়া পর্যন্ত তাদের উপর হত্যার তাণ্ডব চালিয়ে গেল। যারা বেঁচে গেল, তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ল, তাতে এমন দশা হল যে তাদের মধ্যে দুজনও একসঙ্গে থাকতে পারেনি।
وَقَالَ بَنُو إِسْرَائِيلَ: «أَيْنَ هَؤُلاءِ الَّذِينَ تَسَاءَلُوا: أَيَمْلِكُ شَاوُلُ عَلَيْنَا؟ سَلِّمُوهُمْ لَنَا فَنَقْتُلَهُمْ». ١٢ 12
লোকজন তখন শমূয়েলকে বলল, “তারা কারা, যারা বলেছিল, ‘শৌল কি আমাদের উপর রাজত্ব করবে?’ সেইসব লোককে আমাদের হাতে তুলে দিন যেন আমরা তাদের মেরে ফেলতে পারি।”
فَقَالَ شَاوُلُ: «لا يُقْتَلُ أَحَدٌ فِي هَذَا الْيَوْمِ، لأَنَّ الرَّبَّ قَدْ صَنَعَ الْيَوْمَ خَلاصاً فِي إِسْرَائِيلَ». ١٣ 13
কিন্তু শৌল বললেন, “আজ আর কাউকে মারা হবে না, কারণ আজকের এই দিনেই সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে রক্ষা করেছেন।”
وَقَالَ صَمُوئِيلُ لِلشَّعْبِ: «هَيَّا نَذْهَبْ إِلَى الْجِلْجَالِ لِنُجَدِّدَ هُنَاكَ عَهْدَ الْمَلِكِ». ١٤ 14
তখন শমূয়েল লোকদের বললেন, “এসো, আমরা সবাই গিল্‌গলে যাই ও সেখানে নতুন করে রাজপদটি প্রতিষ্ঠিত করি।”
فَتَوَجَّهَ الشَّعْبُ إِلَى الْجِلْجَالِ، وَمَلَّكُوا هُنَاكَ شَاوُلَ أَمَامَ الرَّبِّ، وَقَرَّبُوا ذَبَائِحَ سَلامٍ فِي حَضْرَةِ الرَّبِّ. وَغَمَرَتِ الْفَرْحَةُ شَاوُلَ وَسَائِرَ رِجَالِ إِسْرَائِيلَ. ١٥ 15
অতএব সব লোকজন গিল্‌গলে গিয়ে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে শৌলকে রাজা করল। সেখানে তারা সদাপ্রভুর সামনে মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করল, এবং শৌল ও ইস্রায়েলের সব লোকজন এক বড়ো অনুষ্ঠান করলেন।

< 1 صَمُوئيل 11 >