< رُؤيا 6 >

وَنَظَرْتُ لَمَّا فَتَحَ ٱلْخَرُوفُ وَاحِدًا مِنَ ٱلْخُتُومِ ٱلسَّبْعَةِ، وَسَمِعْتُ وَاحِدًا مِنَ ٱلْأَرْبَعَةِ ٱلْحَيَوَانَاتِ قَائِلًا كَصَوْتِ رَعْدٍ: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!». ١ 1
পরে আমি দেখলাম, সেই মেষশাবক সাতটি সিলমোহরের প্রথমটি খুললেন। তারপর আমি শুনলাম, ওই চারজন জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে একজন বজ্রগম্ভীর কণ্ঠে ডেকে উঠলেন, “এসো!”
فَنَظَرْتُ، وَإِذَا فَرَسٌ أَبْيَضُ، وَٱلْجَالِسُ عَلَيْهِ مَعَهُ قَوْسٌ، وَقَدْ أُعْطِيَ إِكْلِيلًا، وَخَرَجَ غَالِبًا وَلِكَيْ يَغْلِبَ. ٢ 2
আমি তাকিয়ে দেখলাম, আর আমার সামনে এক সাদা রংয়ের ঘোড়া! এর আরোহীর হাতে ধনুক, আর তাঁকে একটি মুকুট দেওয়া হল, আর তিনি বিজয়ীর মতো জয়লাভ করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন।
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلثَّانِيَ، سَمِعْتُ ٱلْحَيَوَانَ ٱلثَّانِيَ قَائِلًا: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!» ٣ 3
মেষশাবক যখন দ্বিতীয় সিলমোহরটি খুললেন, আমি শুনতে পেলাম, দ্বিতীয় জীবন্ত প্রাণী বললেন, “এসো!”
فَخَرَجَ فَرَسٌ آخَرُ أَحْمَرُ، وَلِلْجَالِسِ عَلَيْهِ أُعْطِيَ أَنْ يَنْزِعَ ٱلسَّلَامَ مِنَ ٱلْأَرْضِ، وَأَنْ يَقْتُلَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَأُعْطِيَ سَيْفًا عَظِيمًا. ٤ 4
তখন আগুনের মতো লাল রংয়ের দ্বিতীয় একটি ঘোড়া বের হয়ে এল। এর আরোহীকে পৃথিবীর শান্তি হরণ করার ও মানুষের মধ্যে একে অপরকে হত্যা করে ক্ষমতা দেওয়া হল। তাকে দেওয়া হল লম্বা এক তরোয়াল।
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلثَّالِثَ، سَمِعْتُ ٱلْحَيَوَانَ ٱلثَّالِثَ قَائِلًا: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!». فَنَظَرْتُ وَإِذَا فَرَسٌ أَسْوَدُ، وَٱلْجَالِسُ عَلَيْهِ مَعَهُ مِيزَانٌ فِي يَدِهِ. ٥ 5
মেষশাবক যখন তৃতীয় সিলমোহরটি খুললেন, আমি তৃতীয় জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম, “এসো!” আমি তাকিয়ে দেখলাম, আর আমার সামনে এক কালো রংয়ের ঘোড়া। এর আরোহীর হাতে একটি দাঁড়িপাল্লা।
وَسَمِعْتُ صَوْتًا فِي وَسَطِ ٱلْأَرْبَعَةِ ٱلْحَيَوَانَاتِ قَائِلًا: «ثُمْنِيَّةُ قَمْحٍ بِدِينَارٍ، وَثَلَاثُ ثَمَانِيِّ شَعِيرٍ بِدِينَارٍ. وَأَمَّا ٱلزَّيْتُ وَٱلْخَمْرُ فَلَا تَضُرَّهُمَا». ٦ 6
তারপর আমি শুনতে পেলাম, সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীর কোনো একজনের কণ্ঠস্বর, বলে উঠল, “এক কিলো গমের দাম এক দিনার ও তিন কিলো যবের দাম এক দিনার, এবং তুমি তেল বা দ্রাক্ষারসের অপচয় কোরো না!”
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلرَّابِعَ، سَمِعْتُ صَوْتَ ٱلْحَيَوَانِ ٱلرَّابِعِ قَائِلًا: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!». ٧ 7
মেষশাবক যখন চতুর্থ সিলমোহর খুললেন, আমি শুনতে পেলাম চতুর্থ জীবন্ত প্রাণীর কণ্ঠস্বর বলছে, “এসো!”
فَنَظَرْتُ وَإِذَا فَرَسٌ أَخْضَرُ، وَٱلْجَالِسُ عَلَيْهِ ٱسْمُهُ ٱلْمَوْتُ، وَٱلْهَاوِيَةُ تَتْبَعُهُ، وَأُعْطِيَا سُلْطَانًا عَلَى رُبْعِ ٱلْأَرْضِ أَنْ يَقْتُلَا بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ وَٱلْمَوْتِ وَبِوُحُوشِ ٱلْأَرْضِ. (Hadēs g86) ٨ 8
আমি তাকিয়ে দেখলাম আর আমার সামনে এক পাণ্ডুর রংয়ের ঘোড়া! এর আরোহীর নাম মৃত্যু, পাতাল ঘনিষ্ঠভাবে তাকে অনুসরণ করছে। তাদের ক্ষমতা দেওয়া হল যেন তারা তরোয়াল, দুর্ভিক্ষ ও মহামারি এবং পৃথিবীর বন্য জন্তুদের দ্বারা পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ প্রাণীকে হত্যা করে। (Hadēs g86)
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلْخَامِسَ، رَأَيْتُ تَحْتَ ٱلْمَذْبَحِ نُفُوسَ ٱلَّذِينَ قُتِلُوا مِنْ أَجْلِ كَلِمَةِ ٱللهِ، وَمِنْ أَجْلِ ٱلشَّهَادَةِ ٱلَّتِي كَانَتْ عِنْدَهُمْ، ٩ 9
তিনি যখন পঞ্চম সিলমোহরটি খুললেন তখন আমি বেদির নিচে তাঁদের প্রাণকে দেখলাম, যারা ঈশ্বরের বাক্য ও তাদের অবিচল সাক্ষ্যের জন্য নিহত হয়েছিলেন।
وَصَرَخُوا بِصَوْتٍ عَظِيمٍ قَائِلِينَ: «حَتَّى مَتَى أَيُّهَا ٱلسَّيِّدُ ٱلْقُدُّوسُ وَٱلْحَقُّ، لَا تَقْضِي وَتَنْتَقِمُ لِدِمَائِنَا مِنَ ٱلسَّاكِنِينَ عَلَى ٱلْأَرْضِ؟» ١٠ 10
তাঁরা উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, “পবিত্র ও সত্যময়, সর্বশক্তিমান প্রভু, পৃথিবী নিবাসীদের বিচার করতে ও আমাদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে আর কত কাল দেরি করবেন?”
فَأُعْطُوا كُلُّ وَاحِدٍ ثِيَابًا بِيضًا، وَقِيلَ لَهُمْ أَنْ يَسْتَرِيحُوا زَمَانًا يَسِيرًا أَيْضًا حَتَّى يَكْمَلَ ٱلْعَبِيدُ رُفَقَاؤُهُمْ، وَإِخْوَتُهُمْ أَيْضًا، ٱلْعَتِيدُونَ أَنْ يُقْتَلُوا مِثْلَهُمْ. ١١ 11
তখন তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে সাদা পোশাক দেওয়া হল এবং তাঁদের বলা হল, আর অল্প সময় অপেক্ষা করতে, যতক্ষণ না তাঁদেরই মতো তাঁদের সহদাস ও ভাইবোনদের হত্যা করা হবে ও তাঁদের সংখ্যা পূর্ণ হবে।
وَنَظَرْتُ لَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلسَّادِسَ، وَإِذَا زَلْزَلَةٌ عَظِيمَةٌ حَدَثَتْ، وَٱلشَّمْسُ صَارَتْ سَوْدَاءَ كَمِسْحٍ مِنْ شَعْرٍ، وَٱلْقَمَرُ صَارَ كَٱلدَّمِ، ١٢ 12
পরে আমি দেখলাম, তিনি ষষ্ঠ সিলমোহরটি খুললেন। তখন এক মহা ভূমিকম্প হল। সূর্য ছাগলের লোমে বোনা কম্বলের মতো কালো রংয়ের আর সম্পূর্ণ চাঁদ রক্তের মতো লাল রংয়ে রূপান্তরিত হল,
وَنُجُومُ ٱلسَّمَاءِ سَقَطَتْ إِلَى ٱلْأَرْضِ كَمَا تَطْرَحُ شَجَرَةُ ٱلتِّينِ سُقَاطَهَا إِذَا هَزَّتْهَا رِيحٌ عَظِيمَةٌ. ١٣ 13
আর ঠিক যেভাবে প্রবল বাতাসে আন্দোলিত ডুমুর গাছ থেকে কাঁচা ডুমুর ঝরে পড়ে সেভাবে আকাশের তারা সকল পৃথিবীতে ঝরে পড়ল।
وَٱلسَّمَاءُ ٱنْفَلَقَتْ كَدَرْجٍ مُلْتَفٍّ، وَكُلُّ جَبَلٍ وَجَزِيرَةٍ تَزَحْزَحَا مِنْ مَوْضِعِهِمَا. ١٤ 14
যেভাবে পুঁথিকে গুটিয়ে ফেলা হয় সেভাবে আকাশমণ্ডল দৃষ্টিপথ থেকে দূরে সরে গেল এবং সমস্ত পর্বত ও দ্বীপ নিজের নিজের স্থান থেকে উপড়ে ফেলা হল।
وَمُلُوكُ ٱلْأَرْضِ وَٱلْعُظَمَاءُ وَٱلْأَغْنِيَاءُ وَٱلْأُمَرَاءُ وَٱلْأَقْوِيَاءُ وَكُلُّ عَبْدٍ وَكُلُّ حُرٍّ، أَخْفَوْا أَنْفُسَهُمْ فِي ٱلْمَغَايِرِ وَفِي صُخُورِ ٱلْجِبَالِ، ١٥ 15
তখন পৃথিবীর সব রাজা, রাজপুত্র ও রাজকন্যা, সৈন্যাধ্যক্ষ, ধনী, পরাক্রমী, এবং সকলে, ক্রীতদাস ও সব স্বাধীন মানুষ বিভিন্ন গুহায় ও পর্বতশিলায় নিজেদের লুকিয়ে রাখল।
وَهُمْ يَقُولُونَ لِلْجِبَالِ وَٱلصُّخُورِ: «ٱسْقُطِي عَلَيْنَا وَأَخْفِينَا عَنْ وَجْهِ ٱلْجَالِسِ عَلَى ٱلْعَرْشِ وَعَنْ غَضَبِ ٱلْخَرُوفِ، ١٦ 16
তারা পর্বতসকল ও মহাশিলাকে ডেকে বলতে লাগল, “আমাদের উপরে পতিত হও, যিনি সিংহাসনে উপবিষ্ট, তাঁর সামনে থেকে ও মেষশাবকের কোপ থেকে আমাদের লুকিয়ে রাখো!
لِأَنَّهُ قَدْ جَاءَ يَوْمُ غَضَبِهِ ٱلْعَظِيمُ. وَمَنْ يَسْتَطِيعُ ٱلْوُقُوفَ؟». ١٧ 17
কারণ তাঁদের ক্রোধ প্রকাশের মহাদিন এসে পড়েছে, আর কে তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারে?”

< رُؤيا 6 >