< اَلْعَدَد 13 >
ثُمَّ كَلَّمَ ٱلرَّبُّ مُوسَى قَائِلًا: | ١ 1 |
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
«أَرْسِلْ رِجَالًا لِيَتَجَسَّسُوا أَرْضَ كَنْعَانَ ٱلَّتِي أَنَا مُعْطِيهَا لِبَنِي إِسْرَائِيلَ. رَجُلًا وَاحِدًا لِكُلِّ سِبْطٍ مِنْ آبَائِهِ تُرْسِلُونَ. كُلُّ وَاحِدٍ رَئِيسٌ فِيهِمْ». | ٢ 2 |
“আমি ইস্রায়েলীদের যে দেশ দিতে চাই, সেই কনানের ভূমি নিরীক্ষণ করতে কয়েকজন ব্যক্তিকে পাঠাও। প্রত্যেক পিতৃ-গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ থেকে একজন করে পাঠাও।”
فَأَرْسَلَهُمْ مُوسَى مِنْ بَرِّيَّةِ فَارَانَ حَسَبَ قَوْلِ ٱلرَّبِّ. كُلُّهُمْ رِجَالٌ هُمْ رُؤَسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، | ٣ 3 |
অতএব মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে, তাদের পারণ প্রান্তর থেকে পাঠালেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ইস্রায়েলীদের নেতা ছিলেন।
وَهَذِهِ أَسْمَاؤُهُمْ: مِنْ سِبْطِ رَأُوبَيْنَ شَمُّوعُ بْنُ زَكُّورَ. | ٤ 4 |
এই তাঁদের নাম: রূবেণ গোষ্ঠী থেকে সক্কুরের ছেলে শম্মূয়;
مِنْ سِبْطِ شِمْعُونَ شَافَاطُ ٱبْنُ حُورِي. | ٥ 5 |
শিমিয়োন গোষ্ঠী থেকে হোরির ছেলে শাফট;
مِنْ سِبْطِ يَهُوذَا كَالِبُ بْنُ يَفُنَّةَ. | ٦ 6 |
যিহূদা গোষ্ঠী থেকে যিফূন্নির ছেলে কালেব;
مِنْ سِبْطِ يَسَّاكَرَ يَجْآلُ بْنُ يُوسُفَ. | ٧ 7 |
ইষাখর গোষ্ঠী থেকে যোষেফের ছেলে যিগাল;
مِنْ سِبْطِ أَفْرَايِمَ هُوشَعُ بْنُ نُونَ. | ٨ 8 |
ইফ্রয়িম গোষ্ঠী থেকে নূনের ছেলে হোশেয়;
مِنْ سِبْطِ بَنْيَامِينَ فَلْطِي بْنُ رَافُو. | ٩ 9 |
বিন্যামীন গোষ্ঠী থেকে রাফূর ছেলে পল্টি;
مِنْ سِبْطِ زَبُولُونَ جَدِّيئِيلُ بْنُ سُودِي. | ١٠ 10 |
সবূলূন গোষ্ঠী থেকে সোদির ছেলে গদ্দীয়েল;
مِنْ سِبْطِ يُوسُفَ مِنْ سِبْطِ مَنَسَّى جِدِّي بْنُ سُوسِي. | ١١ 11 |
মনঃশি (যোষেফের একটি গোষ্ঠী) গোষ্ঠী থেকে সূষির ছেলে গদ্দি;
مِنْ سِبْطِ دَانَ عَمِّيئِيلُ بْنُ جَمَلِّي. | ١٢ 12 |
দান গোষ্ঠী থেকে গমল্লির ছেলে অম্মীয়েল;
مِنْ سِبْطِ أَشِيرَ سَتُورُ بْنُ مِيخَائِيلَ. | ١٣ 13 |
আশের গোষ্ঠী থেকে মীখায়েলের ছেলে সথুর;
مِنْ سِبْطِ نَفْتَالِي نَحْبِي بْنُ وَفْسِي. | ١٤ 14 |
নপ্তালি গোষ্ঠী থেকে বপ্সির ছেলে নহ্বি;
مِنْ سِبْطِ جَادَ جَأُوئِيلُ بْنُ مَاكِي. | ١٥ 15 |
গাদ গোষ্ঠী থেকে মাখির ছেলে গ্যূয়েল।
هَذِهِ أَسْمَاءُ ٱلرِّجَالِ ٱلَّذِينَ أَرْسَلَهُمْ مُوسَى لِيَتَجَسَّسُوا ٱلْأَرْضَ. وَدَعَا مُوسَى هُوشَعَ بْنَ نُونَ «يَشُوعَ». | ١٦ 16 |
মোশি যে ব্যক্তিদের দেশ নিরীক্ষণ করতে পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের নামগুলি এই। (মোশি নূনের ছেলে হোশেয়ের নাম রাখলেন যিহোশূয়।)
فَأَرْسَلَهُمْ مُوسَى لِيَتَجَسَّسُوا أَرْضَ كَنْعَانَ، وَقَالَ لَهُمُ: «ٱصْعَدُوا مِنْ هُنَا إِلَى ٱلْجَنُوبِ وَٱطْلَعُوا إِلَى ٱلْجَبَلِ، | ١٧ 17 |
কনান নিরীক্ষণ করতে পাঠানোর সময় মোশি তাঁদের বললেন, “নেগেভের মধ্য দিয়ে উঠে পার্বত্য অঞ্চলে গমন করবে।
وَٱنْظُرُوا ٱلْأَرْضَ، مَا هِيَ: وَٱلشَّعْبَ ٱلسَّاكِنَ فِيهَا، أَقَوِيٌّ هُوَ أَمْ ضَعِيفٌ؟ قَلِيلٌ أَمْ كَثِيرٌ؟ | ١٨ 18 |
লক্ষ্য করবে, সেই দেশ কী রকম, সেখানকার লোকেরা দুর্বল না শক্তিশালী। তারা সংখ্যায় অল্প না বেশি।
وَكَيْفَ هِيَ ٱلْأَرْضُ ٱلَّتِي هُوَ سَاكِنٌ فِيهَا، أَجَيِّدَةٌ أَمْ رَدِيَّةٌ؟ وَمَا هِيَ ٱلْمُدُنُ ٱلَّتِي هُوَ سَاكِنٌ فِيهَا، أَمُخَيَّمَاتٌ أَمْ حُصُونٌ؟ | ١٩ 19 |
কোন ধরনের ভূমিতে তারা বসবাস করে? তা কী ভালো না মন্দ? কোন ধরনের নগরে তাদের নিবাস? সেগুলি প্রাচীর বিহীন না সুরক্ষিত?
وَكَيْفَ هِيَ ٱلْأَرْضُ، أَسَمِينَةٌ أَمْ هَزِيلَةٌ؟ أَفِيهَا شَجَرٌ أَمْ لَا؟ وَتَشَدَّدُوا فَخُذُوا مِنْ ثَمَرِ ٱلْأَرْضِ». وَأَمَّا ٱلْأَيَّامُ فَكَانَتْ أَيَّامَ بَاكُورَاتِ ٱلْعِنَبِ. | ٢٠ 20 |
মাটিই বা কী রকম? উর্বর না সাধারণ? বৃক্ষসমন্বিত না বৃক্ষবিহীন? আপ্রাণ চেষ্টা কোরো, সেই দেশের কিছু ফল নিয়ে আসতে।” (তখন আঙুর পাকার সময় ছিল।)
فَصَعِدُوا وَتَجَسَّسُوا ٱلْأَرْضَ مِنْ بَرِّيَّةِ صِينَ إِلَى رَحُوبَ فِي مَدْخَلِ حَمَاةَ. | ٢١ 21 |
অতএব তাঁরা উঠে গেলেন এবং সীন মরুভূমি থেকে রহোব পর্যন্ত, লেবো-হমাৎ অভিমুখে ভ্রমণ করলেন।
صَعِدُوا إِلَى ٱلْجَنُوبِ وَأَتَوْا إِلَى حَبْرُونَ. وَكَانَ هُنَاكَ أَخِيمَانُ وَشِيشَايُ وَتَلْمَايُ بَنُو عَنَاقٍ. وَأَمَّا حَبْرُونُ فَبُنِيَتْ قَبْلَ صُوعَنِ مِصْرَ بِسَبْعِ سِنِينَ. | ٢٢ 22 |
তাঁরা নেগেভ হয়ে নিরীক্ষণ করে হিব্রোণে এলেন। সেখানে অহীমান, শেশয়, ও তল্ময় নামবিশিষ্ট, অনাকের তিনজন উত্তরাধিকারী বসবাস করত। (মিশরে সোয়ন নির্মিত হওয়ার সাত বছর আগে হিব্রোণ নির্মিত হয়েছিল।)
وَأَتَوْا إِلَى وَادِي أَشْكُولَ، وَقَطَفُوا مِنْ هُنَاكَ زَرَجُونَةً بِعُنْقُودٍ وَاحِدٍ مِنَ ٱلْعِنَبِ، وَحَمَلُوهُ بِٱلدُّقْرَانَةِ بَيْنَ ٱثْنَيْنِ، مَعَ شَيْءٍ مِنَ ٱلرُّمَّانِ وَٱلتِّينِ. | ٢٣ 23 |
যখন তাঁরা ইষ্কোল উপত্যকায় উপস্থিত হলেন, তাঁরা দ্রাক্ষার গুচ্ছ সমন্বিত একটি শাখা কাটলেন। দুজন ব্যক্তি, একটি দণ্ডের দ্বারা সেই দ্রাক্ষাগুচ্ছ এবং কিছু বেদানা ও ডুমুর বহন করে আনলেন।
فَدُعِيَ ذَلِكَ ٱلْمَوْضِعُ «وَادِيَ أَشْكُولَ» بِسَبَبِ ٱلْعُنْقُودِ ٱلَّذِي قَطَعَهُ بَنُو إِسْرَائِيلَ مِنْ هُنَاكَ. | ٢٤ 24 |
যেহেতু দ্রাক্ষাগুচ্ছ ইস্রায়েলীরা কেটে এনেছিল, তাই সেই স্থানের নাম হল, ইষ্কোল উপত্যকা।
ثُمَّ رَجَعُوا مِنْ تَجَسُّسِ ٱلْأَرْضِ بَعْدَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا. | ٢٥ 25 |
চল্লিশ দিনের শেষে, তাঁরা দেশ নিরীক্ষণ করে ফিরে এলেন।
فَسَارُوا حَتَّى أَتَوْا إِلَى مُوسَى وَهَارُونَ وَكُلِّ جَمَاعَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، إِلَى بَرِّيَّةِ فَارَانَ، إِلَى قَادَشَ، وَرَدُّوا إِلَيْهِمَا خَبَرًا وَإِلَى كُلِّ ٱلْجَمَاعَةِ وَأَرَوْهُمْ ثَمَرَ ٱلْأَرْضِ. | ٢٦ 26 |
পারণ প্রান্তরে, কাদেশে তাঁরা মোশি, হারোণ এবং সমস্ত ইস্রায়েলীদের কাছে ফিরে এলেন। সেখানে তাঁরা, তাঁদের এবং সমস্ত সম্প্রদায়কে দেশ নিরীক্ষণের বিশদ বিবরণ দিলেন ও সেই দেশের ফল তাদের দেখালেন।
وَأَخْبَرُوهُ وَقَالُوا: «قَدْ ذَهَبْنَا إِلَى ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي أَرْسَلْتَنَا إِلَيْهَا، وَحَقًّا إِنَّهَا تَفِيضُ لَبَنًا وَعَسَلًا، وَهَذَا ثَمَرُهَا. | ٢٧ 27 |
তাঁরা মোশিকে বর্ণনা দিয়ে বললেন, “আপনি যে দেশে আমাদের পাঠিয়েছিলেন, আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেই দেশ অবশ্যই দুধ ও মধু প্রবাহী! এই ফলগুলি, সেই দেশের।
غَيْرَ أَنَّ ٱلشَّعْبَ ٱلسَّاكِنَ فِي ٱلْأَرْضِ مُعْتَزٌّ، وَٱلْمُدُنُ حَصِينَةٌ عَظِيمَةٌ جِدًّا. وَأَيْضًا قَدْ رَأَيْنَا بَنِي عَنَاقَ هُنَاكَ. | ٢٨ 28 |
কিন্তু যারা সেখানে বসবাস করে, তারা বলিষ্ঠ, তাদের নগরগুলি সুরক্ষিত এবং বড়ো বড়ো। আমরা সেখানে অনাকের উত্তরসূরীদেরও দেখেছি।
ٱلْعَمَالِقَةُ سَاكِنُونَ فِي أَرْضِ ٱلْجَنُوبِ، وَٱلْحِثِّيُّونَ وَٱلْيَبُوسِيُّونَ وَٱلْأَمُورِيُّونَ سَاكِنُونَ فِي ٱلْجَبَلِ، وَٱلْكَنْعَانِيُّونَ سَاكِنُونَ عِنْدَ ٱلْبَحْرِ وَعَلَى جَانِبِ ٱلْأُرْدُنِّ». | ٢٩ 29 |
নেগেভে অমালেকীয়েরা বসবাস করে; হিত্তীয়, যিবূষীয়, ইমোরীয়েরা পার্বত্য অঞ্চলে এবং কনানীয়েরা সমুদ্রের কাছে ও জর্ডন উপকূলে বসবাস করে।”
لَكِنْ كَالِبُ أَنْصَتَ ٱلشَّعْبَ إِلَى مُوسَى وَقَالَ: «إِنَّنَا نَصْعَدُ وَنَمْتَلِكُهَا لِأَنَّنَا قَادِرُونَ عَلَيْهَا». | ٣٠ 30 |
তখন কালেব, মোশির সামনে তাঁদের শান্ত করে বলল, “আমাদের উচিত, উঠে গিয়ে সেই দেশ অধিকার করা, কারণ সেই শক্তি আমাদের অবশ্যই আছে।”
وَأَمَّا ٱلرِّجَالُ ٱلَّذِينَ صَعِدُوا مَعَهُ فَقَالُوا: «لَا نَقْدِرْ أَنْ نَصْعَدَ إِلَى ٱلشَّعْبِ، لِأَنَّهُمْ أَشَدُّ مِنَّا». | ٣١ 31 |
যে ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁরা বললেন, “আমরা ওই ব্যক্তিদের আক্রমণ করতে পারি না; তারা আমাদের থেকেও বেশি শক্তিশালী।”
فَأَشَاعُوا مَذَمَّةَ ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي تَجَسَّسُوهَا، فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ قَائِلِينَ: «ٱلْأَرْضُ ٱلَّتِي مَرَرْنَا فِيهَا لِنَتَجَسَّسَهَا هِيَ أَرْضٌ تَأْكُلُ سُكَّانَهَا، وَجَمِيعُ ٱلشَّعْبِ ٱلَّذِي رَأَيْنَا فِيهَا أُنَاسٌ طِوَالُ ٱلْقَامَةِ. | ٣٢ 32 |
তাঁরা যে দেশ নিরীক্ষণ করে এসেছিলেন, সেই দেশ সম্পর্কে ইস্রায়েলীদের মধ্যে বিরূপ সংবাদ ছড়াল। তাঁরা বললেন, “যে দেশ আমরা নিরীক্ষণ করেছি সেই দেশ নিজের অধিবাসীদের গ্রাস করে। যে সমস্ত লোককে সেখানে আমরা দেখেছি তারা সবাই বৃহদাকার।
وَقَدْ رَأَيْنَا هُنَاكَ ٱلْجَبَابِرَةَ، بَنِي عَنَاقٍ مِنَ ٱلْجَبَابِرَةِ. فَكُنَّا فِي أَعْيُنِنَا كَٱلْجَرَادِ، وَهَكَذَا كُنَّا فِي أَعْيُنِهِمْ». | ٣٣ 33 |
আমরা নেফিলীমদেরও সেখানে দেখেছি। (অনাকের উত্তরসূরিদের আগমন নেফিলিম থেকে) আমরা নিজেদের দৃষ্টিতে, সেই সঙ্গে তাদের দৃষ্টিতেও, ফড়িং-এর মতো প্রতিপন্ন হয়েছি।”