< مِيخَا 2 >
وَيْلٌ لِلْمُفْتَكِرِينَ بِٱلْبُطْلِ، وَٱلصَّانِعِينَ ٱلشَّرَّ عَلَى مَضَاجِعِهِمْ! فِي نُورِ ٱلصَّبَاحِ يَفْعَلُونَهُ لِأَنَّهُ فِي قُدْرَةِ يَدِهِمْ. | ١ 1 |
ধিক্ তাদের যারা অন্যায় পরিকল্পনা করে, যারা নিজেদের বিছানায় মন্দের চক্রান্ত করে! প্রত্যুষেই তারা সেইসব কাজ করে কারণ এই সকল করার জন্য ক্ষমতা তাদের কাছে আছে।
فَإِنَّهُمْ يَشْتَهُونَ ٱلْحُقُولَ وَيَغْتَصِبُونَهَا، وَٱلْبُيُوتَ وَيَأْخُذُونَهَا، وَيَظْلِمُونَ ٱلرَّجُلَ وَبَيْتَهُ وَٱلْإِنْسَانَ وَمِيرَاثَهُ. | ٢ 2 |
তারা ক্ষেত্রের প্রতি লোভ করে তা কেড়ে নেয়, তারা বাড়ির প্রতি লোভ করে তা অধিকার করে। তারা মানুষকে প্রতারণা করে তাদের ঘরবাড়ি নেয়, তাদের উত্তরাধিকার চুরি করে।
لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: «هَأَنَذَا أَفْتَكِرُ عَلَى هَذِهِ ٱلْعَشِيرَةِ بِشَرٍّ لَا تُزِيلُونَ مِنْهُ أَعْنَاقَكُمْ، وَلَا تَسْلُكُونَ بِٱلتَّشَامُخِ لِأَنَّهُ زَمَانٌ رَدِيءٌ. | ٣ 3 |
সুতরাং, সদাপ্রভু বলেন, “আমি এইসব লোকের বিরুদ্ধে বিপর্যয় পরিকল্পনা করছি, যা থেকে তোমরা নিজেকে বাঁচাতে পারবে না। তোমরা আর অহংকারের সঙ্গে চলাফেরা করবে না, কারণ সেই সময়টা হবে চরম দুর্দশার।
«فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ يُنْطَقُ عَلَيْكُمْ بِهَجْوٍ وَيُرْثَى بِمَرْثَاةٍ، وَيُقَالُ: خَرِبْنَا خَرَابًا. بَدَلَ نَصِيبِ شَعْبِي. كَيْفَ يَنْزِعُهُ عَنِّي؟ يَقْسِمُ لِلْمُرْتَدِّ حُقُولَنَا». | ٤ 4 |
সেই সময়ে লোকেরা তোমাদের উপহাস করবে; তারা তোমাদের ব্যঙ্গ করে এই দুঃখের গান গাইবে; ‘আমরা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত; আমাদের লোকেদের অধিকার ভাগ করা হয়েছে। তিনি তা আমার কাছ থেকে নিয়েছেন! তিনি আমাদের জমির বিশ্বাসঘাতকদের দিয়ে দিয়েছেন।’”
لِذَلِكَ لَا يَكُونُ لَكَ مَنْ يُلْقِي حَبْلًا فِي نَصِيبٍ بَيْنَ جَمَاعَةِ ٱلرَّبِّ. | ٥ 5 |
সেইজন্য গুটিকাপাত করে ভাগ করার জন্য তোমরা কেউ সদাপ্রভুর লোকেদের সঙ্গে থাকবে না।
يَتَنَبَّأُونَ قَائِلِينَ: «لَا تَتَنَبَّأُوا». لَا يَتَنَبَّأُونَ عَنْ هَذِهِ ٱلْأُمُورِ. لَا يَزُولُ ٱلْعَارُ. | ٦ 6 |
তাদের ভাববাদীরা বলে “ভাববাণী বোলো না। এইসব বিষয়ে ভাববাণী বোলো না; আমদের উপরে অসম্মান আসবে না।”
أَيُّهَا ٱلْمُسَمَّى بَيْتَ يَعْقُوبَ، هَلْ قَصُرَتْ رُوحُ ٱلرَّبِّ؟ أَهَذِهِ أَفْعَالُهُ؟ «أَلَيْسَتْ أَقْوَالِي صَالِحَةً نَحْوَ مَنْ يَسْلُكُ بِٱلِٱسْتِقَامَةِ؟ | ٧ 7 |
হে যাকোবের বংশ, এই কথা কি বলা হবে, “সদাপ্রভু কি অসহিষ্ণু হয়েছেন? তিনি কি এমন কাজ করেন?” “আমার বাক্য কি তাদের মঙ্গল করে না যারা ন্যায়পথে চলে?
وَلَكِنْ بِٱلْأَمْسِ قَامَ شَعْبِي كَعَدُوٍّ. تَنْزِعُونَ ٱلرِّدَاءَ عَنِ ٱلثَّوْبِ مِنَ ٱلْمُجْتَازِينَ بِٱلطُّمَأْنِينَةِ، وَمِنَ ٱلرَّاجِعِينَ مِنَ ٱلْقِتَالِ. | ٨ 8 |
সম্প্রতি আমার লোকেরা জেগে উঠেছে যেন তারা শত্রু। যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা লোকদের মতো যারা নিশ্চিন্তে পথ চলছে তাদের গা থেকে কাপড় খুলে নিচ্ছ।
تَطْرُدُونَ نِسَاءَ شَعْبِي مِنْ بَيْتِ تَنَعُّمِهِنَّ. تَأْخُذُونَ عَنْ أَطْفَالِهِنَّ زِينَتِي إِلَى ٱلْأَبَدِ. | ٩ 9 |
আমার লোকদের স্ত্রীদের তোমরা তাড়িয়ে দিচ্ছ তাদের সুখের ঘর থেকে। তাদের সন্তানদের কাছ থেকে আমার আশীর্বাদ চিরদিনের জন্য কেড়ে নিয়ে নিচ্ছ।
«قُومُوا وَٱذْهَبُوا، لِأَنَّهُ لَيْسَتْ هَذِهِ هِيَ ٱلرَّاحَةَ. مِنْ أَجْلِ نَجَاسَةٍ تُهْلِكُ وَٱلْهَلَاكُ شَدِيدٌ. | ١٠ 10 |
ওঠো, চলে যাও! কারণ এটি তোমার বিশ্রামের জায়গা নয়, কারণ তুমি তা অশুচি করেছ, সেইজন্য তা ভীষণভাবে ধ্বংস হবে।
لَوْ كَانَ أَحَدٌ وَهُوَ سَالِكٌ بِٱلرِّيحِ وَٱلْكَذِبِ يَكْذِبُ قَائِلًا: أَتَنَبَّأُ لَكَ عَنِ ٱلْخَمْرِ وَٱلْمُسْكِرِ لَكَانَ هُوَ نَبِيَّ هَذَا ٱلشَّعْبِ! | ١١ 11 |
যদি কোনও মিথ্যাবাদী ও প্রতারক আসে এবং বলে, ‘আমি বলছি যে, তোমাদের প্রচুর সুরা এবং দ্রাক্ষারস হবে,’ তবে সেই হবে এই জাতির জন্য উপযুক্ত ভাববাদী!
«إِنِّي أَجْمَعُ جَمِيعَكَ يَا يَعْقُوبُ. أَضُمُّ بَقِيَّةَ إِسْرَائِيلَ. أَضَعُهُمْ مَعًا كَغَنَمِ ٱلْحَظِيرَةِ، كَقَطِيعٍ فِي وَسَطِ مَرْعَاهُ يَضِجُّ مِنَ ٱلنَّاسِ. | ١٢ 12 |
“হে যাকোব, আমি নিশ্চয় তোমাদের সবাইকে জড়ো করব; আমি নিশ্চয় ইস্রায়েলের অবশিষ্ট লোকদের একত্র করব। আমি তাদের খোঁয়াড়ের মেষদের মতো একত্র করব, যেমন চারণভূমিতে মেষপাল চরে, সেই স্থান লোকে ভরে যাবে।
قَدْ صَعِدَ ٱلْفَاتِكُ أَمَامَهُمْ. يَقْتَحِمُونَ وَيَعْبُرُونَ مِنَ ٱلْبَابِ، وَيَخْرُجُونَ مِنْهُ، وَيَجْتَازُ مَلِكُهُمْ أَمَامَهُمْ، وَٱلرَّبُّ فِي رَأْسِهِمْ». | ١٣ 13 |
বন্দিদশা থেকে ফিরে আসবার জন্য যিনি পথ খুলে দেবেন তিনি তাদের আগে আগে যাবেন; তারা দ্বার ভেঙে বের হয়ে আসবে। সদাপ্রভু তাদের রাজা তাদের মধ্য দিয়ে আগে আগে যাবেন।”