< مَلَاخِي 2 >
«وَٱلْآنَ إِلَيْكُمْ هَذِهِ ٱلْوَصِيَّةُ أَيُّهَا ٱلْكَهَنَةُ: | ١ 1 |
“তবে এখন, যাজকেরা, তোমরা শোনো, এই সতর্কবাণী তোমাদেরই জন্য।
إِنْ كُنْتُمْ لَا تَسْمَعُونَ وَلَا تَجْعَلُونَ فِي ٱلْقَلْبِ لِتُعْطُوا مَجْدًا لِٱسْمِي، قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. فَإِنِّي أُرْسِلُ عَلَيْكُمُ ٱللَّعْنَ، وَأَلْعَنُ بَرَكَاتِكُمْ، بَلْ قَدْ لَعَنْتُهَا، لِأَنَّكُمْ لَسْتُمْ جَاعِلِينَ فِي ٱلْقَلْبِ. | ٢ 2 |
যদি তোমরা না শোনো এবং যদি তোমরা আমার নামের মহিমা করতে মনস্থ না করো,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, “আমি তোমাদের ওপর অভিশাপ পাঠাব, ও তোমাদের সকল আশীর্বাদকে অভিশাপ দেব। হ্যাঁ, আমি সেই সবকিছুকে ইতিমধ্যে অভিশাপ দিয়েছি, কারণ তোমরা আমার নামের মহিমা করতে মনস্থ করোনি।
هَأَنَذَا أَنْتَهِرُ لَكُمُ ٱلزَّرْعَ، وَأَمُدُّ ٱلْفَرْثَ عَلَى وُجُوهِكُمْ، فَرْثَ أَعْيَادِكُمْ، فَتُنْزَعُونَ مَعَهُ. | ٣ 3 |
“তোমাদের জন্য, আমি তোমাদের বংশধরদের তিরস্কার করব; তোমাদের উৎসবের বলি থেকে সার নিয়ে তা তোমাদের মুখে মাখিয়ে দেব এবং তোমাদের সেইভাবেই নিয়ে যাওয়া হবে।
فَتَعْلَمُونَ أَنِّي أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ هَذِهِ ٱلْوَصِيَّةَ لِكَوْنِ عَهْدِي مَعَ لَاوِي، قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. | ٤ 4 |
আর তোমরা জানবে যে, আমি তোমাদের কাছে এই সতর্কবাণী পাঠিয়েছি যাতে লেবীয়দের সঙ্গে আমার নিয়ম স্থায়ী হয়,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
كَانَ عَهْدِي مَعَهُ لِلْحَيَاةِ وَٱلسَّلَامِ، وَأَعْطَيْتُهُ إِيَّاهُمَا لِلتَّقْوَى. فَٱتَّقَانِي، وَمِنِ ٱسْمِي ٱرْتَاعَ هُوَ. | ٥ 5 |
“তার সঙ্গে আমার নিয়ম হয়েছিল, জীবন ও শান্তির নিয়ম, আর আমি উভয়ই তাকে দিয়েছিলাম; যেন সে আমাকে শ্রদ্ধা করে এবং সে আমাকে সত্যিই ভয় করেছিল এবং আমার নামে ভয়ে কেঁপেছিল।
شَرِيعَةُ ٱلْحَقِّ كَانَتْ فِي فِيهِ، وَإِثْمٌ لَمْ يُوجَدْ فِي شَفَتَيْهِ. سَلَكَ مَعِي فِي ٱلسَّلَامِ وَٱلِٱسْتِقَامَةِ، وَأَرْجَعَ كَثِيرِينَ عَنِ ٱلْإِثْمِ. | ٦ 6 |
তার মুখে সত্যের বিধান ছিল এবং কোনও প্রকার মিথ্যা তার ঠোঁটে খুঁজে পাওয়া যেত না। শান্তিতে ও ন্যায়পরায়ণতায় সে আমার সঙ্গে পথ চলেছে এবং পাপ থেকে মন ফিরিয়েছে।
لِأَنَّ شَفَتَيِ ٱلْكَاهِنِ تَحْفَظَانِ مَعْرِفَةً، وَمِنْ فَمِهِ يَطْلُبُونَ ٱلشَّرِيعَةَ، لِأَنَّهُ رَسُولُ رَبِّ ٱلْجُنُودِ. | ٧ 7 |
“প্রকৃতপক্ষে যাজকদের মুখ ঈশ্বরের জ্ঞানের সম্ভার হওয়া উচিত, কারণ সে সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর দূত এবং লোকেরা যাজকদের মুখ থেকেই উপদেশ চায়।
أَمَّا أَنْتُمْ فَحِدْتُمْ عَنِ ٱلطَّرِيقِ وَأَعْثَرْتُمْ كَثِيرِينَ بِٱلشَّرِيعَةِ. أَفْسَدْتُمْ عَهْدَ لَاوِي، قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. | ٨ 8 |
কিন্তু তুমি বিপথে গিয়েছ এবং তোমার শিক্ষার মাধ্যমে অনেককে বিভ্রান্ত করেছ; লেবির সঙ্গে নিয়ম তুমি লঙ্ঘন করেছ,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
فَأَنَا أَيْضًا صَيَّرْتُكُمْ مُحْتَقَرِينَ وَدَنِيئِينَ عِنْدَ كُلِّ ٱلشَّعْبِ، كَمَا أَنَّكُمْ لَمْ تَحْفَظُوا طُرُقِي بَلْ حَابَيْتُمْ فِي ٱلشَّرِيعَةِ». | ٩ 9 |
“এজন্য আমি সমস্ত লোকের সামনে তোমাদেরকে অবজ্ঞা ও অপদস্থ করেছি, কারণ তোমরা আমার পথে চলোনি, উপরন্তু বিধানের বিষয়ে তোমরা পক্ষপাতিত্ব করেছ।”
أَلَيْسَ أَبٌ وَاحِدٌ لِكُلِّنَا؟ أَلَيْسَ إِلَهٌ وَاحِدٌ خَلَقَنَا؟ فَلِمَ نَغْدُرُ ٱلرَّجُلُ بِأَخِيهِ لِتَدْنِيسِ عَهْدِ آبَائِنَا؟ | ١٠ 10 |
আমাদের সকলের কি একই বাবা নয়? একজন ঈশ্বরই কি আমাদের সৃষ্টি করেননি? তবে কেন আমরা একে অপরের প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ম অপবিত্র করি?
غَدَرَ يَهُوذَا، وَعُمِلَ ٱلرِّجْسُ فِي إِسْرَائِيلَ وَفِي أُورُشَلِيمَ. لِأَنَّ يَهُوذَا قَدْ نَجَّسَ قُدْسَ ٱلرَّبِّ ٱلَّذِي أَحَبَّهُ، وَتَزَوَّجَ بِنْتَ إِلَهٍ غَرِيبٍ. | ١١ 11 |
যিহূদা অবিশ্বস্ত হয়েছে। ইস্রায়েলে ও জেরুশালেমে জঘন্য এক কাজ করা হয়েছে: যিহূদা, সেই মেয়েদের বিয়ে করেছে যারা অইহুদি এক দেবতার আরাধনা করে এবং এভাবে সদাপ্রভুর প্রেমের পবিত্রস্থান কলুষিত করেছে।
يَقْطَعُ ٱلرَّبُّ ٱلرَّجُلَ ٱلَّذِي يَفْعَلُ هَذَا، ٱلسَّاهِرَ وَٱلْمُجِيبَ مِنْ خِيَامِ يَعْقُوبَ، وَمَنْ يُقَرِّبُ تَقْدِمَةً لِرَبِّ ٱلْجُنُودِ. | ١٢ 12 |
যে ব্যক্তি এমন কাজ করেছে, সে যেই হোক না কেন, যদিও সে সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর কাছে এক নৈবেদ্য নিয়ে আসে, তবুও যেন সদাপ্রভু যাকোবের তাঁবু থেকে তাকে উৎখাত করে।
وَقَدْ فَعَلْتُمْ هَذَا ثَانِيَةً مُغَطِّينَ مَذْبَحَ ٱلرَّبِّ بِٱلدُّمُوعِ، بِٱلْبُكَاءِ وَٱلصُّرَاخِ، فَلَا تُرَاعَى ٱلتَّقْدِمَةُ بَعْدُ، وَلَا يُقْبَلُ ٱلْمُرْضِي مِنْ يَدِكُمْ. | ١٣ 13 |
আরেকটি কাজ তোমরা করো: তোমরা চোখের জলে সদাপ্রভুর বেদি ভাসিয়ে দাও। তোমরা কান্নাকাটি করো ও বিলাপ করো কারণ তিনি তোমাদের নৈবেদ্যর প্রতি আর অনুগ্রহপূর্বক দৃষ্টি দেন না বা তোমাদের হাত থেকে তা খুশিমনে গ্রহণ করেন না।
فَقُلْتُمْ: «لِمَاذَا؟» مِنْ أَجْلِ أَنَّ ٱلرَّبَّ هُوَ ٱلشَّاهِدُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ ٱمْرَأَةِ شَبَابِكَ ٱلَّتِي أَنْتَ غَدَرْتَ بِهَا، وَهِيَ قَرِينَتُكَ وَٱمْرَأَةُ عَهْدِكَ. | ١٤ 14 |
তবুও তোমরা জিজ্ঞাসা করো, “কেন?” কারণ সদাপ্রভু তোমার ও তোমার যৌবনের স্ত্রীর মধ্যে সাক্ষী হয়েছেন; তুমি তার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছ; যদিও সে তোমার সঙ্গী, তোমার বিবাহ নিয়মের স্ত্রী।
أَفَلَمْ يَفْعَلْ وَاحِدٌ وَلَهُ بَقِيَّةُ ٱلرُّوحِ؟ وَلِمَاذَا ٱلْوَاحِدُ؟ طَالِبًا زَرْعَ ٱللهِ. فَٱحْذَرُوا لِرُوحِكُمْ وَلَا يَغْدُرْ أَحَدٌ بِٱمْرَأَةِ شَبَابِهِ. | ١٥ 15 |
একই ঈশ্বর কি তোমাদের সৃষ্টি করেননি? দেহ এবং আত্মাতে তো তোমরা তাঁরই। আর সেই এক ঈশ্বর কি চান? ঈশ্বরভক্ত সন্তানসন্ততি। সুতরাং নিজেদের সম্পর্কে সতর্ক হও এবং তোমাদের যৌবনের স্ত্রীর প্রতি অবিশ্বস্ত হোয়ো না।
«لِأَنَّهُ يَكْرَهُ ٱلطَّلَاقَ، قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ، وَأَنْ يُغَطِّيَ أَحَدٌ ٱلظُّلْمَ بِثَوْبِهِ، قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. فَٱحْذَرُوا لِرُوحِكُمْ لِئَلَّا تَغْدُرُوا». | ١٦ 16 |
“যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে ঘৃণা করে ও বিবাহবিচ্ছেদ করে,” সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন, “যাকে তার রক্ষা করা উচিত তার প্রতি সে অত্যাচার করে,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন। সুতরাং নিজেদের সম্পর্কে সতর্ক হও এবং অবিশ্বস্ত হোয়ো না।
لَقَدْ أَتْعَبْتُمُ ٱلرَّبَّ بِكَلَامِكُمْ. وَقُلْتُمْ: «بِمَ أَتْعَبْنَاهُ؟» بِقَوْلِكُمْ: «كُلُّ مَنْ يَفْعَلُ ٱلشَّرَّ فَهُوَ صَالِحٌ فِي عَيْنَيِ ٱلرَّبِّ، وَهُوَ يُسَرُّ بِهِمْ». أَوْ: «أَيْنَ إِلَهُ ٱلْعَدْلِ؟». | ١٧ 17 |
তোমরা তোমাদের কথার মাধ্যমে সদাপ্রভুকে ক্লান্ত করেছ। “আমরা কীভাবে তাঁকে ক্লান্ত করেছি?” তোমরা জিজ্ঞাসা করো। এই বলে, “সবাই যারা মন্দ কাজ করে তারা সদাপ্রভুর চোখে ভালো এবং তিনি তাদের উপর খুশি” অথবা এই বলে, “ন্যায়ের ঈশ্বর কোথায়?”