< لُوقا 20 >
وَفِي أَحَدِ تِلْكَ ٱلْأَيَّامِ إِذْ كَانَ يُعَلِّمُ ٱلشَّعْبَ فِي ٱلْهَيْكَلِ وَيُبَشِّرُ، وَقَفَ رُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلْكَتَبَةُ مَعَ ٱلشُّيُوخِ، | ١ 1 |
১এক দিন যীশু মন্দিরে লোকদের উপদেশ দিচ্ছেন ও সুসমাচার প্রচার করছেন, এর মধ্যে প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা প্রাচীনদের সঙ্গে এসে উপস্থিত হলো এবং তাকে বলল, আমাদের বলো তুমি কোন ক্ষমতায় এই সব করছ?
وَكَلَّمُوُه قَائِلِينَ: «قُلْ لَنَا: بِأَيِّ سُلْطَانٍ تَفْعَلُ هَذَا؟ أَوْ مَنْ هُوَ ٱلَّذِي أَعْطَاكَ هَذَا ٱلسُّلْطَانَ؟». | ٢ 2 |
২কেই বা তোমাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে?
فَأَجَابَ وَقَالَ لَهُمْ: «وَأَنَا أَيْضًا أَسْأَلُكُمْ كَلِمَةً وَاحِدَةً، فَقُولُوا لِي: | ٣ 3 |
৩তিনি উত্তরে তাদের বললেন, আমিও তোমাদের একটি কথা জিজ্ঞাসা করি, আমাকে বল;
مَعْمُودِيَّةُ يُوحَنَّا: مِنَ ٱلسَّمَاءِ كَانَتْ أَمْ مِنَ ٱلنَّاسِ؟». | ٤ 4 |
৪যোহনের বাপ্তিষ্ম স্বর্গরাজ্য থেকে হয়েছিল, না মানুষের থেকে?
فَتَآمَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ قَائِلِينَ: «إِنْ قُلْنَا: مِنَ ٱلسَّمَاءِ، يَقُولُ: فَلِمَاذَا لَمْ تُؤْمِنُوا بِهِ؟ | ٥ 5 |
৫তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, “যদি বলি স্বর্গ থেকে, তাহলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?”
وَإِنْ قُلْنَا: مِنَ ٱلنَّاسِ، فَجَمِيعُ ٱلشَّعْبِ يَرْجُمُونَنَا، لِأَنَّهُمْ وَاثِقُونَ بِأَنَّ يُوحَنَّا نَبِيٌّ». | ٦ 6 |
৬আর যদি বলি, “মানুষের থেকে, তবে লোকেরা সবাই আমাদের পাথর মারবে; কারণ তাদের ধারণা হয়েছে যে, যোহন ভাববাদী ছিলেন।”
فَأَجَابُوا أَنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ مِنْ أَيْنَ. | ٧ 7 |
৭তারা উত্তর করল, “আমরা জানি না, কোথা থেকে।”
فَقَالَ لَهُمْ يَسُوعُ: «وَلَا أَنَا أَقُولُ لَكُمْ بِأَيِّ سُلْطَانٍ أَفْعَلُ هَذَا». | ٨ 8 |
৮যীশু তাদের বললেন, “তবে আমিও কি ক্ষমতায় এসব করছি, তোমাদের বলব না।”
وَٱبْتَدَأَ يَقُولُ لِلشَّعْبِ هَذَا ٱلْمَثَلَ: «إِنْسَانٌ غَرَسَ كَرْمًا وَسَلَّمَهُ إِلَى كَرَّامِينَ وَسَافَرَ زَمَانًا طَوِيلًا. | ٩ 9 |
৯পরে তিনি লোকদের এই গল্পকথা বলতে লাগলেন; কোনো ব্যক্তি আঙ্গুরের বাগান করেছিলেন, পরে তা কৃষকদের কাছে জমা দিয়ে অনেক দিনের র জন্য অন্য দেশে চলে গেলেন।
وَفِي ٱلْوَقْتِ أَرْسَلَ إِلَى ٱلْكَرَّامِينَ عَبْدًا لِكَيْ يُعْطُوهُ مِنْ ثَمَرِ ٱلْكَرْمِ، فَجَلَدَهُ ٱلْكَرَّامُونَ، وَأَرْسَلُوهُ فَارِغًا. | ١٠ 10 |
১০পরে চাষিদের কাছে আঙুর খেতের ফলের ভাগ নেবার জন্য, ফল পাকার সঠিক দিনের এক চাকরকে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন; কিন্তু কৃষকেরা তার চাকরকে মারধর করে খালি হাতে পাঠিয়ে দিল।
فَعَادَ وَأَرْسَلَ عَبْدًا آخَرَ، فَجَلَدُوا ذَلِكَ أَيْضًا وَأَهَانُوهُ، وَأَرْسَلُوهُ فَارِغًا. | ١١ 11 |
১১পরে তিনি আর এক দাসকে পাঠালেন, তারা তাকেও মারধর ও অপমান করে খালি হাতে বিদায় করল।
ثُمَّ عَادَ فَأَرْسَلَ ثَالِثًا، فَجَرَّحُوا هَذَا أَيْضًا وَأَخْرَجُوهُ. | ١٢ 12 |
১২পরে তিনি তৃতীয় দাসকে পাঠালেন, তারা তাকেও আহত করে বাইরে ফেলে দিল।
فَقَالَ صَاحِبُ ٱلْكَرْمِ: مَاذَا أَفْعَلُ؟ أُرْسِلُ ٱبْنِي ٱلْحَبِيبَ، لَعَلَّهُمْ إِذَا رَأَوْهُ يَهَابُونَ! | ١٣ 13 |
১৩তখন আঙ্গুর ক্ষেতের কর্তা বললেন, আমি কি করব? আমার প্রিয় ছেলেকে পাঠাব; হয়তো তারা তাকে সম্মান করবে;
فَلَمَّا رَآهُ ٱلْكَرَّامُونَ تَآمَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ قَائِلِينَ: هَذَا هُوَ ٱلْوَارِثُ! هَلُمُّوا نَقْتُلْهُ لِكَيْ يَصِيرَ لَنَا ٱلْمِيرَاثُ! | ١٤ 14 |
১৪কিন্তু কৃষকেরা তাঁকে দেখে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, এই ব্যক্তিই উত্তরাধিকারী; এস, আমরা একে মেরে ফেলি, যেন উত্তরাধিকার আমাদেরই হয়।
فَأَخْرَجُوهُ خَارِجَ ٱلْكَرْمِ وَقَتَلُوهُ. فَمَاذَا يَفْعَلُ بِهِمْ صَاحِبُ ٱلْكَرْمِ؟ | ١٥ 15 |
১৫পরে তারা ছেলেটিকে ধরে মেরে ফেলল এবং আঙ্গুর খেতের বাইরে ফেলে দিলো।
يَأْتِي وَيُهْلِكُ هَؤُلَاءِ ٱلْكَرَّامِينَ وَيُعْطِي ٱلْكَرْمَ لِآخَرِينَ». فَلَمَّا سَمِعُوا قَالُوا: «حَاشَا!». | ١٦ 16 |
১৬এরপর সেই আঙুর খেতের মালিক তাদের কি করবেন? তিনি এসে সেই চাষিদের মেরে ফেলবেন এবং খেত অন্য চাষিদের কাছে দেবেন। এই কথা শুনে তারা বলল, ঈশ্বর এমন না করুক।
فَنَظَرَ إِلَيْهِمْ وَقَالَ: «إِذًا مَا هُوَ هَذَا ٱلْمَكْتُوبُ: ٱلْحَجَرُ ٱلَّذِي رَفَضَهُ ٱلْبَنَّاؤُونَ هُوَ قَدْ صَارَ رَأْسَ ٱلزَّاوِيَةِ؟ | ١٧ 17 |
১৭কিন্তু তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তবে যা লেখা আছে তার অর্থ কি, “যে পাথরটিকে গাঁথকেরা অগ্রাহ্য করেছে, তাকেই ঘরের কোনের প্রধান পাথর করা হয়েছে?”
كُلُّ مَنْ يَسْقُطُ عَلَى ذَلِكَ ٱلْحَجَرِ يَتَرَضَّضُ، وَمَنْ سَقَطَ هُوَ عَلَيْهِ يَسْحَقُهُ!». | ١٨ 18 |
১৮সেই পাথরের উপরে যারা পড়বে, সে ভেঙে যাবে; কিন্তু সেই পাথর যার উপরে পড়বে, তাকে চুরমার করে ফেলবে।
فَطَلَبَ رُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلْكَتَبَةُ أَنْ يُلْقُوا ٱلْأَيَادِيَ عَلَيْهِ فِي تِلْكَ ٱلسَّاعَةِ، وَلَكِنَّهُمْ خَافُوا ٱلشَّعْبَ، لِأَنَّهُمْ عَرَفُوا أَنَّهُ قَالَ هَذَا ٱلْمَثَلَ عَلَيْهِمْ. | ١٩ 19 |
১৯সেই দিনে ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও প্রধান যাজকেরা তার উপরে হস্তক্ষেপ করতে চেষ্টা করল; আর তারা লোকদের ভয় করল; কারণ তারা বুঝেছিল যে, তিনি তাদেরই বিষয়ে সেই গল্প বলেছিলেন।
فَرَاقَبُوهُ وَأَرْسَلُوا جَوَاسِيسَ يَتَرَاءَوْنَ أَنَّهُمْ أَبْرَارٌ لِكَيْ يُمْسِكُوهُ بِكَلِمَةٍ، حَتَّى يُسَلِّمُوهُ إِلَى حُكْمِ ٱلْوَالِي وَسُلْطَانِهِ. | ٢٠ 20 |
২০তখন তারা তার উপরে নজর রেখে, এমন কয়েক জন গুপ্তচর পাঠিয়ে দিল, যারা ছদ্মবেশী ধার্মিক সাজবে, যেন তার কথা ধরে তাকে রাজ্যপালের কর্তৃত্ব ও কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পণ করতে পারে।
فَسَأَلُوهُ قَائِلِينَ: «يَا مُعَلِّمُ، نَعْلَمُ أَنَّكَ بِٱلِٱسْتِقَامَةِ تَتَكَلَّمُ وَتُعَلِّمُ، وَلَا تَقْبَلُ ٱلْوُجُوهَ، بَلْ بِٱلْحَقِّ تُعَلِّمُ طَرِيقَ ٱللهِ. | ٢١ 21 |
২১তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, হে গুরু, আমরা জানি, আপনি সঠিক কথা বলেন ও সঠিক শিক্ষা দেন, কারোর পক্ষপাতিত্ব করে কথা বলেন না, কিন্তু সত্যভাবে ঈশ্বরের পথের বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছেন।
أَيَجُوزُ لَنَا أَنْ نُعْطِيَ جِزْيَةً لِقَيْصَرَ أَمْ لَا؟». | ٢٢ 22 |
২২কৈসরকে কর দেওয়া আমাদের উচিত কি না?
فَشَعَرَ بِمَكْرِهِمْ وَقَالَ لَهُمْ: «لِمَاذَا تُجَرِّبُونَنِي؟ | ٢٣ 23 |
২৩কিন্তু তিনি তাদের চালাকি বুঝতে পেরে বললেন,
أَرُونِي دِينَارًا. لِمَنِ ٱلصُّورَةُ وَٱلْكِتَابَةُ؟». فَأَجَابُوا وَقَالوُا: «لِقَيْصَرَ». | ٢٤ 24 |
২৪আমাকে একটি দিন দিনার দেখাও; এতে কার মূর্ত্তি ও নাম লেখা আছে?
فَقَالَ لَهُمْ: «أَعْطُوا إِذًا مَا لِقَيْصَرَ لِقَيْصَرَ وَمَا لِلهِ للهِ». | ٢٥ 25 |
২৫তারা বলল, কৈসরের, তখন তিনি তাদের বললেন, তবে যা যা কৈসরের, কৈসরকে দাও, আর যা ঈশ্বরের, ঈশ্বরকে দাও।
فَلَمْ يَقْدِرُوا أَنْ يُمْسِكُوهُ بِكَلِمَةٍ قُدَّامَ ٱلشَّعْبِ، وَتَعَجَّبُوا مِنْ جَوَابِهِ وَسَكَتُوا. | ٢٦ 26 |
২৬এতে তারা লোকদের সামনে তাঁর কথার কোনো ত্রুটি ধরতে পারল না, বরং তাঁর উত্তরে আশ্চর্য্য বোধ করতে লাগল।
وَحَضَرَ قَوْمٌ مِنَ ٱلصَّدُّوقِيِّينَ، ٱلَّذِينَ يُقَاوِمُونَ أَمْرَ ٱلْقِيَامَةِ، وَسَأَلُوهُ | ٢٧ 27 |
২৭আর সদ্দূকীদের যারা প্রতিবাদ করে বলে, পুনরুত্থান নেই, তাদের কয়েক জন কাছে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল,
قَائِلِيِنَ: «يَا مُعَلِّمُ، كَتَبَ لَنَا مُوسَى: إِنْ مَاتَ لِأَحَدٍ أَخٌ وَلَهُ ٱمْرَأَةٌ، وَمَاتَ بِغَيْرِ وَلَدٍ، يَأْخُذُ أَخُوهُ ٱلْمَرْأَةَ وَيُقِيمُ نَسْلًا لِأَخِيهِ. | ٢٨ 28 |
২৮“হে গুরু, মোশি আমাদের জন্য লিখেছেন, কারোর ভাই যদি স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, আর তার সন্তান না থাকে, তবে তার ভাই সেই স্ত্রীকে বিয়ে করে নিজের ভাইয়ের বংশ রক্ষা করবে।”
فَكَانَ سَبْعَةُ إِخْوَةٍ. وَأَخَذَ ٱلْأَوَّلُ ٱمْرَأَةً وَمَاتَ بِغَيْرِ وَلَدٍ، | ٢٩ 29 |
২৯ভালো, কোনো একটি পরিবারে সাতটি ভাই ছিল; প্রথম জন একটি স্ত্রীকে বিয়ে করল, আর সে সন্তান না রেখে মারা গেল।
فَأَخَذَ ٱلثَّانِي ٱلْمَرْأَةَ وَمَاتَ بِغَيْرِ وَلَدٍ، | ٣٠ 30 |
৩০পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাই সেই স্ত্রীকে বিয়ে করল;
ثُمَّ أَخَذَهَا ٱلثَّالِثُ، وَهَكَذَا ٱلسَّبْعَةُ. وَلَمْ يَتْرُكُوا وَلَدًا وَمَاتُوا. | ٣١ 31 |
৩১এই ভাবে সাতজনই সন্তান না রেখে মারা গেল।
وَآخِرَ ٱلْكُلِّ مَاتَتِ ٱلْمَرْأَةُ أَيْضًا. | ٣٢ 32 |
৩২শেষে সেই স্ত্রীও মারা গেল।
فَفِي ٱلْقِيَامَةِ، لِمَنْ مِنْهُمْ تَكُونُ زَوْجَةً؟ لِأَنَّهَا كَانَتْ زَوْجَةً لِلسَّبْعَةِ!». | ٣٣ 33 |
৩৩অতএব মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার দিন ঐ সাত জনের মধ্যে সে কার স্ত্রী হবে? তারা সাতজনই তো তাকে বিয়ে করেছিল।
فَأَجَابَ وَقَالَ لَهُمْ يَسُوعُ: «أَبْنَاءُ هَذَا ٱلدَّهْرِ يُزَوِّجُونَ وَيُزَوَّجُونَ، (aiōn ) | ٣٤ 34 |
৩৪যীশু তাদের বললেন, এই জগতের সন্তানেরা বিয়ে করে এবং বিবাহিতা হয়। (aiōn )
وَلَكِنَّ ٱلَّذِينَ حُسِبُوا أَهْلًا لِلْحُصُولِ عَلَى ذَلِكَ ٱلدَّهْرِ وَٱلْقِيَامَةِ مِنَ ٱلْأَمْوَاتِ، لَا يُزَوِّجُونَ وَلَا يُزَوَّجُونَ، (aiōn ) | ٣٥ 35 |
৩৫কিন্তু যারা সেই জগতের এবং মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থানের অধিকারী হবার যোগ্য বলে গণ্য হয়েছে, তারা না বিয়ে করবে, না তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। (aiōn )
إِذْ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَمُوتُوا أَيْضًا، لِأَنَّهُمْ مِثْلُ ٱلْمَلَائِكَةِ، وَهُمْ أَبْنَاءُ ٱللهِ، إِذْ هُمْ أَبْنَاءُ ٱلْقِيَامَةِ. | ٣٦ 36 |
৩৬তারা আর মরতেও পারে না, কারণ তারা দূতদের সমান এবং পুনরুত্থানের সন্তান হওয়ায় ঈশ্বরের সন্তান।
وَأَمَّا أَنَّ ٱلْمَوْتَى يَقُومُونَ، فَقَدْ دَلَّ عَلَيْهِ مُوسَى أَيْضًا فِي أَمْرِ ٱلْعُلَّيْقَةِ كَمَا يَقُولُ: اَلرَّبُّ إِلَهُ إِبْرَاهِيمَ وَإِلَهُ إِسْحَاقَ وَإِلَهُ يَعْقُوبَ. | ٣٧ 37 |
৩৭আবার মৃতেরা যে উত্থাপিত হয়, এটা মোশিও ঝোপের বৃত্তান্তে দেখিয়েছেন; কারণ তিনি প্রভুকে অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বরও যাকোবের ঈশ্বর বলেন।
وَلَيْسَ هُوَ إِلَهَ أَمْوَاتٍ بَلْ إِلَهُ أَحْيَاءٍ، لِأَنَّ ٱلْجَمِيعَ عِنْدَهُ أَحْيَاءٌ». | ٣٨ 38 |
৩৮ঈশ্বর তো মৃতদের ঈশ্বর নন, কিন্তু জীবিতদের; কারণ তাঁর সামনে সবাই জীবিত।
فَأجَابَ قَوْمٌ مِنَ ٱلْكَتَبَةِ وَقَالوا: «يَا مُعَلِّمُ، حَسَنًا قُلْتَ!». | ٣٩ 39 |
৩৯তখন কয়েক জন ব্যবস্থার শিক্ষক বলল, “হে গুরু, আপনি ভালো বলেছেন!”
وَلَمْ يَتَجَاسَرُوا أَيْضًا أَنْ يَسْأَلُوهُ عَنْ شَيْءٍ. | ٤٠ 40 |
৪০বাস্তবে সেই থেকে তাকে আর কোনো কথা জিজ্ঞাসা করতে তাদের সাহস হলো না।
وَقَالَ لَهُمْ: «كَيْفَ يَقُولُونَ إِنَّ ٱلْمَسِيحَ ٱبْنُ دَاوُدَ؟ | ٤١ 41 |
৪১আর তিনি তাদের বললেন, লোকে কেমন করে খ্রীষ্টকে দায়ূদের সন্তান বলে?
وَدَاوُدُ نَفْسُهُ يَقُولُ فِي كِتَابِ ٱلْمَزَامِيرِ: قَالَ ٱلرَّبُّ لِرَبِّي: ٱجْلِسْ عَنْ يَمِينِي | ٤٢ 42 |
৪২দায়ূদ তো আপনি গীতপুস্তকে বলেন, “প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডানদিকে বস,
حَتَّى أَضَعَ أَعْدَاءَكَ مَوْطِئًا لِقَدَمَيْكَ. | ٤٣ 43 |
৪৩যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের তলায় না রাখি।”
فَإِذًا دَاوُدُ يَدْعُوهُ رَبًّا. فَكَيْفَ يَكُونُ ٱبْنَهُ؟». | ٤٤ 44 |
৪৪অতএব দায়ূদ তাঁকে প্রভু বলেন; তবে তিনি কীভাবে তাঁর সন্তান?
وَفِيمَا كَانَ جَمِيعُ ٱلشَّعْبِ يَسْمَعُونَ قَالَ لِتَلَامِيذِهِ: | ٤٥ 45 |
৪৫যখন সবই শুনছিল তখন তিনি নিজের শিষ্যদের বললেন,
«ٱحْذَرُوا مِنَ ٱلْكَتَبَةِ ٱلَّذِينَ يَرْغَبُونَ ٱلْمَشْيَ بِٱلطَّيَالِسَةِ، وَيُحِبُّونَ ٱلتَّحِيَّاتِ فِي ٱلْأَسْوَاقِ، وَٱلْمَجَالِسَ ٱلْأُولَى فِي ٱلْمَجَامِعِ، وَٱلْمُتَّكَآتِ ٱلْأُولَى فِي ٱلْوَلَائِمِ. | ٤٦ 46 |
৪৬“ব্যবস্থার শিক্ষকদের থেকে সাবধান, তারা লম্বা লম্বা কাপড় পরে বেড়াতে চায় এবং হাটে বাজারে লোকদের শুভেচ্ছা জানায়, সমাজঘরে প্রধান প্রধান আসন এবং ভোজে প্রধান প্রধান জায়গা ভালবাসে;
اَلَّذِينَ يَأْكُلُونَ بُيُوتَ ٱلْأَرَامِلِ، وَلِعِلَّةٍ يُطِيلُونَ ٱلصَّلَوَاتِ. هَؤُلَاءِ يَأْخُذُونَ دَيْنُونَةً أَعْظَمَ!». | ٤٧ 47 |
৪৭এই সব লোকেরা বিধবাদের সব বাড়ি দখল করে, আর ছলনা করে বড় বড় প্রার্থনা করে, এই সব লোকেরা বিচারে অনেক বেশি শাস্তি পাবে।”