< يُونَان 1 >
وَصَارَ قَوْلُ ٱلرَّبِّ إِلَى يُونَانَ بْنِ أَمِتَّايَ قَائِلًا: | ١ 1 |
সদাপ্রভুর বাণী অমিত্তয়ের পুত্র যোনার কাছে এসে উপস্থিত হল:
«قُمِ ٱذْهَبْ إِلَى نِينَوَى ٱلْمَدِينَةِ ٱلْعَظِيمَةِ وَنَادِ عَلَيْهَا، لِأَنَّهُ قَدْ صَعِدَ شَرُّهُمْ أَمَامِي». | ٢ 2 |
“ওঠো ও নীনবী মহানগরে যাও এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করো, কারণ তাদের দুষ্টতার কথা আমার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে।”
فَقَامَ يُونَانُ لِيَهْرُبَ إِلَى تَرْشِيشَ مِنْ وَجْهِ ٱلرَّبِّ، فَنَزَلَ إِلَى يَافَا وَوَجَدَ سَفِينَةً ذَاهِبَةً إِلَى تَرْشِيشَ، فَدَفَعَ أُجْرَتَهَا وَنَزَلَ فِيهَا، لِيَذْهَبَ مَعَهُمْ إِلَى تَرْشِيشَ مِنْ وَجْهِ ٱلرَّبِّ. | ٣ 3 |
কিন্তু যোনা সদাপ্রভুর কাছ থেকে পালিয়ে গেলেন এবং তর্শীশের পথ ধরলেন। তিনি জোপ্পা বন্দর-নগরে গেলেন এবং সেখান থেকে তর্শীশে যাবে, এমন একটি জাহাজের সন্ধান পেলেন। তিনি জাহাজের ভাড়া দিয়ে তাতে চড়লেন এবং সদাপ্রভুর কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তর্শীশের পথে সমুদ্রযাত্রা করলেন।
فَأَرْسَلَ ٱلرَّبُّ رِيحًا شَدِيدَةً إِلَى ٱلْبَحْرِ، فَحَدَثَ نَوْءٌ عَظِيمٌ فِي ٱلْبَحْرِ حَتَّى كَادَتِ ٱلسَّفِينَةُ تَنْكَسِرُ. | ٤ 4 |
তারপর সদাপ্রভু সমুদ্রে এক প্রচণ্ড বাতাস পাঠালেন, এমনই প্রবল এক ঝড় উঠল যে, জাহাজ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হল।
فَخَافَ ٱلْمَّلَاحُونَ وَصَرَخُوا كُلُّ وَاحِدٍ إِلَى إِلَهِهِ، وَطَرَحُوا ٱلْأَمْتِعَةَ ٱلَّتِي فِي ٱلسَّفِينَةِ إِلَى ٱلْبَحْرِ لِيُخَفِّفُوا عَنْهُمْ. وَأَمَّا يُونَانُ فَكَانَ قَدْ نَزَلَ إِلَى جَوْفِ ٱلسَّفِينَةِ وَٱضْطَجَعَ وَنَامَ نَوْمًا ثَقِيلًا. | ٥ 5 |
সমস্ত নাবিক ভয়ভীত হয়ে উঠল ও নিজের নিজের দেবতার কাছে কাঁদতে লাগল। এবং জাহাজ হালকা করার জন্য তারা জাহাজের মালপত্র সমুদ্রে ফেলে দিল। কিন্তু যোনা জাহাজের খোলে নেমে গেলেন। সেখানে শুয়ে পড়ে তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলেন।
فَجَاءَ إِلَيْهِ رَئِيسُ ٱلنُّوتِيَّةِ وَقَالَ لَهُ: «مَا لَكَ نَائِمًا؟ قُمِ ٱصْرُخْ إِلَى إِلَهِكَ عَسَى أَنْ يَفْتَكِرَ ٱلإِلَهُ فِينَا فَلَا نَهْلِكَ». | ٦ 6 |
তখন নাবিকদের কর্মকর্তা তার কাছে গিয়ে বললেন, “ওহে, তুমি কি করে ঘুমিয়ে আছ? উঠে পড়ো ও তোমার দেবতাকে ডাকো! হয়তো তিনি আমাদের প্রতি দৃষ্টি দেবেন এবং আমরা ধ্বংস হব না।”
وَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: «هَلُمَّ نُلْقِي قُرَعًا لِنَعْرِفَ بِسَبَبِ مَنْ هَذِهِ ٱلْبَلِيَّةُ». فَأَلْقَوْا قُرَعًا، فَوَقَعَتِ ٱلْقُرْعَةُ عَلَى يُونَانَ. | ٧ 7 |
এরপর নাবিকেরা পরস্পরকে বলল, “এসো, আমরা গুটিকাপাত করে দেখি, এই দুর্যোগের জন্য আমাদের মধ্যে কে দায়ী।” তারা যখন গুটিকাপাত করল, যোনার নামে গুটি উঠল।
فَقَالُوا لَهُ: «أَخْبِرْنَا بِسَبَبِ مَنْ هَذِهِ ٱلْمُصِيبَةُ عَلَيْنَا؟ مَا هُوَ عَمَلُكَ؟ وَمِنْ أَيْنَ أَتَيْتَ؟ مَا هِيَ أَرْضُكَ؟ وَمِنْ أَيِّ شَعْبٍ أَنْتَ؟» | ٨ 8 |
তাই তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আমাদের বলো, আমাদের উপর এই সমস্ত সংকট আনার জন্য কে দায়ী? তুমি কী করো? তুমি এসেছই বা কোথা থেকে? তোমার দেশের নাম কী? তোমার জাতি কী?”
فَقَالَ لَهُمْ: «أَنَا عِبْرَانِيٌّ، وَأَنَا خَائِفٌ مِنَ ٱلرَّبِّ إِلَهِ ٱلسَّمَاءِ ٱلَّذِي صَنَعَ ٱلْبَحْرَ وَٱلْبَرَّ». | ٩ 9 |
যোনা উত্তর দিলেন, “আমি একজন হিব্রু এবং আমি সদাপ্রভুর উপাসনা করি। তিনি স্বর্গের ঈশ্বর, যিনি সমুদ্র ও ভূমি নির্মাণ করেছেন।”
فَخَافَ ٱلرِّجَالُ خَوْفًا عَظِيمًا، وَقَالُوا لَهُ: «لِمَاذَا فَعَلْتَ هَذَا؟» فَإِنَّ ٱلرِّجَالَ عَرَفُوا أَنَّهُ هَارِبٌ مِنْ وَجْهِ ٱلرَّبِّ، لِأَنَّهُ أَخْبَرَهُمْ. | ١٠ 10 |
এতে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হল ও জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কী করেছ?” কারণ তারা জানতে পেরেছিল যে তিনি সদাপ্রভুর কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন এবং যোনা ইতিমধ্যে সেকথা তাদের বলেছিলেন।
فَقَالُوا لَهُ: «مَاذَا نَصْنَعُ بِكَ لِيَسْكُنَ ٱلْبَحْرُ عَنَّا؟» لِأَنَّ ٱلْبَحْرَ كَانَ يَزْدَادُ ٱضْطِرَابًا. | ١١ 11 |
সমুদ্র ক্রমেই উত্তাল ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিল। তাই, তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “সমুদ্রকে শান্ত করার জন্য তোমার প্রতি আমাদের কী করা উচিত?”
فَقَالَ لَهُمْ: «خُذُونِي وَٱطْرَحُونِي فِي ٱلْبَحْرِ فَيَسْكُنَ ٱلْبَحْرُ عَنْكُمْ، لِأَنَّنِي عَالِمٌ أَنَّهُ بِسَبَبِي هَذَا ٱلنَّوْءُ ٱلْعَظِيمُ عَلَيْكُمْ». | ١٢ 12 |
তিনি উত্তর দিলেন, “আমাকে তুলে তোমরা সমুদ্রে ফেলে দাও। তখন তা শান্ত হয়ে যাবে। আমি জানি যে, আমার দোষের জন্যই এই মহা ঝড় তোমাদের উপরে এসে পড়েছে।”
وَلَكِنَّ ٱلرِّجَالَ جَذَفُوا لِيُرَجِّعُوا ٱلسَّفِينَةَ إِلَى ٱلْبَرِّ فَلَمْ يَسْتَطِيعُوا، لِأَنَّ ٱلْبَحْرَ كَانَ يَزْدَادُ ٱضْطِرَابًا عَلَيْهِمْ. | ١٣ 13 |
তা না করে সেই লোকেরা প্রাণপণ চেষ্টা করল, যেন তারা জাহাজটিকে ডাঙায় নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তারা পেরে উঠল না, বরং সমুদ্র আগের থেকেও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল।
فَصَرَخُوا إِلَى ٱلرَّبِّ وَقَالُوا: «آهِ يَارَبُّ، لَا نَهْلِكْ مِنْ أَجْلِ نَفْسِ هَذَا ٱلرَّجُلِ، وَلَا تَجْعَلْ عَلَيْنَا دَمًا بَرِيئًا، لِأَنَّكَ يَارَبُّ فَعَلْتَ كَمَا شِئْتَ». | ١٤ 14 |
তারা তখন সদাপ্রভুর কাছে কাঁদতে লাগল আর বলল, “হে সদাপ্রভু, এই লোকটির প্রাণ নেওয়ার জন্য তুমি আমাদের মরতে দিয়ো না। এক নির্দোষ মানুষকে হত্যা করার জন্য আমাদের দোষী সাব্যস্ত কোরো না। কারণ হে সদাপ্রভু, তোমার যেমন ইচ্ছা, তুমি তেমনই করেছ।”
ثُمَّ أَخَذُوا يُونَانَ وَطَرَحُوهُ فِي ٱلْبَحْرِ، فَوَقَفَ ٱلْبَحْرُ عَنْ هَيَجَانِهِ. | ١٥ 15 |
তারপর তারা যোনাকে ধরে সমুদ্রে ফেলে দিল; এতে উত্তাল সমুদ্র শান্ত হল।
فَخَافَ ٱلرِّجَالُ مِنَ ٱلرَّبِّ خَوْفًا عَظِيمًا، وَذَبَحُوا ذَبِيحَةً لِلرَّبِّ وَنَذَرُوا نُذُورًا. | ١٦ 16 |
এর ফলে জাহাজের লোকেরা সদাপ্রভুকে অত্যন্ত ভয় করল এবং তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলি উৎসর্গ ও বিভিন্ন প্রকার মানত করল।
وَأَمَّا ٱلرَّبُّ فَأَعَدَّ حُوتًا عَظِيمًا لِيَبْتَلِعَ يُونَانَ. فَكَانَ يُونَانُ فِي جَوْفِ ٱلْحُوتِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَثَلَاثَ لَيَالٍ. | ١٧ 17 |
এদিকে সদাপ্রভু যোনাকে গিলে ফেলার জন্য একটি বিশাল মাছ পাঠালেন এবং যোনা তিন দিন ও তিনরাত সেই মাছের পেটে রইলেন।