< أَيُّوبَ 36 >
وَعَادَ أَلِيهُو فَقَالَ: | ١ 1 |
ইলীহূ আরও বললেন;
«ٱصْبِرْ عَلَيَّ قَلِيلًا، فَأُبْدِيَ لَكَ أَنَّهُ بَعْدُ لِأَجْلِ ٱللهِ كَلَامٌ. | ٢ 2 |
“আপনি আমার প্রতি আরও একটু ধৈর্য ধরুন ও আমি আপনাকে দেখিয়ে দেব যে ঈশ্বরের হয়ে আরও অনেক কিছু বলার আছে।
أَحْمِلُ مَعْرِفَتِي مِنْ بَعِيدٍ، وَأَنْسُبُ بِرًّا لِصَانِعِي. | ٣ 3 |
আমি বহুদূর থেকে আমার জ্ঞান লাভ করেছি; আমি আমার সৃষ্টিকর্তার উপরে ন্যায়পরায়ণতা আরোপ করব।
حَقًّا لَا يَكْذِبُ كَلَامِي. صَحِيحُ ٱلْمَعْرِفَةِ عِنْدَكَ. | ٤ 4 |
নিশ্চিত হতে পারেন যে আমার কথা মিথ্যা নয়; নিখুঁত জ্ঞানবিশিষ্ট একজন আপনার সহবর্তী।
«هُوَذَا ٱللهُ عَزِيزٌ، وَلَكِنَّهُ لَا يَرْذُلُ أَحَدًا. عَزِيزُ قُدْرَةِ ٱلْقَلْبِ. | ٥ 5 |
“ঈশ্বর পরাক্রমী, কিন্তু তিনি কাউকে অবজ্ঞা করেন না; তিনি পরাক্রমী, ও তাঁর অভীষ্টে অটল।
لَا يُحْيي ٱلشِّرِّيرَ، بَلْ يُجْرِي قَضَاءَ ٱلْبَائِسِينَ. | ٦ 6 |
তিনি দুষ্টদের বাঁচিয়ে রাখেন না কিন্তু নিপীড়িতদের তাদের অধিকার দান করেন।
لَا يُحَوِّلُ عَيْنَيْهِ عَنِ ٱلْبَارِّ، بَلْ مَعَ ٱلْمُلُوكِ يُجْلِسُهُمْ عَلَى ٱلْكُرْسِيِّ أَبَدًا، فَيَرْتَفِعُونَ. | ٧ 7 |
তিনি ধার্মিকদের উপর থেকে তাঁর দৃষ্টি সরিয়ে নেন না; রাজাদের সঙ্গে তিনি তাদের সিংহাসনে বসান ও চিরকাল তাদের মহিমান্বিত করেন।
إِنْ أُوثِقُوا بِٱلْقُيُودِ، إِنْ أُخِذُوا فِي حِبَالَةِ ٱلذِّلِّ، | ٨ 8 |
কিন্তু লোকেরা যদি শিকলে বাঁধা পড়ে, দুঃখের দড়ি দিয়ে তাদের কষে বাঁধা হয়,
فَيُظْهِرُ لَهُمْ أَفْعَالَهُمْ وَمَعَاصِيَهُمْ، لِأَنَّهُمْ تَجَبَّرُوا، | ٩ 9 |
ঈশ্বর তখন তাদের বলে দেন যে তারা কী করেছে— যে তারা অহংকারভরে পাপ করেছে।
وَيَفْتَحُ آذَانَهُمْ لِلْإِنْذَارِ، وَيَأْمُرُ بِأَنْ يَرْجِعُوا عَنِ ٱلْإِثْمِ. | ١٠ 10 |
তিনি তাদের সংশোধনমূলক কথা শুনতে বাধ্য করেন ও তাদের দুষ্টতার বিষয়ে তাদের মন ফিরানোর আদেশ দেন।
إِنْ سَمِعُوا وَأَطَاعُوا قَضَوْا أَيَّامَهُمْ بِٱلْخَيْرِ وَسِنِيهِمْ بِٱلنِّعَمِ. | ١١ 11 |
তারা যদি তাঁর বাধ্য হয়ে তাঁর সেবা করে, তবে তারা তাদের জীবনের বাকি দিনগুলি সমৃদ্ধিতে ও তাদের বছরগুলি সন্তোষযুক্ত হয়ে কাটাবে।
وَإِنْ لَمْ يَسْمَعُوا، فَبِحَرْبَةِ ٱلْمَوْتِ يَزُولُونَ، وَيَمُوتُونَ بِعَدَمِ ٱلْمَعْرِفَةِ. | ١٢ 12 |
কিন্তু যদি তারা তাঁর কথা না শোনে, তবে তারা তরোয়ালের আঘাতে ধ্বংস হবে ও জ্ঞানের অভাবে মারা যাবে।
أَمَّا فُجَّارُ ٱلْقَلْبِ فَيَذْخَرُونَ غَضَبًا. لَا يَسْتَغِيثُونَ إِذَا هُوَ قَيَّدَهُمْ. | ١٣ 13 |
“অধার্মিকেরা অন্তরে অসন্তোষ পুষে রাখে; এমনকি যখন তিনি তাদের শিকলে বাঁধেন, তখনও তারা সাহায্যের আশায় আর্তনাদ করে না।
تَمُوتُ نَفْسُهُمْ فِي ٱلصِّبَا وَحَيَاتُهُمْ بَيْنَ ٱلْمَأْبُونِينَ. | ١٤ 14 |
যৌবনকালেই তারা মারা যায় মন্দিরের দেবদাসদের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হয়।
يُنَجِّي ٱلْبَائِسَ فِي ذِلِّهِ، وَيَفْتَحُ آذَانَهُمْ فِي ٱلضِّيقِ. | ١٥ 15 |
কিন্তু যারা কষ্টভোগ করে, কষ্ট চলাকালীনই তিনি তাদের উদ্ধার করেন; তাদের দুঃখের মধ্যেই তিনি তাদের সাথে কথা বলেন।
«وَأَيْضًا يَقُودُكَ مِنْ وَجْهِ ٱلضِّيقِ إِلَى رَحْبٍ لَا حَصْرَ فِيهِ، وَيَمْلَأُ مَؤُونَةَ مَائِدَتِكَ دُهْنًا. | ١٦ 16 |
“ঈশ্বর আপনাকে যন্ত্রণার মুখ থেকে বের করে বিধিনিষেধ-মুক্ত এক প্রশস্ত স্থানে, পছন্দসই খাদ্যদ্রব্যে সুসজ্জিত আপনার টেবিলের স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশে এনেছেন।
حُجَّةَ ٱلشِّرِّيرِ أَكْمَلْتَ، فَٱلْحُجَّةُ وَٱلْقَضَاءُ يُمْسِكَانِكَ. | ١٧ 17 |
কিন্তু এখন আপনি দুষ্টদের উপযুক্ত বিচারে বিচারিত হতে যাচ্ছেন; বিচার ও ন্যায় আপনাকে ধরে ফেলেছে।
عِنْدَ غَضَبِهِ لَعَلَّهُ يَقُودُكَ بِصَفْقَةٍ. فَكَثْرَةُ ٱلْفِدْيَةِ لَا تَفُكُّكَ. | ١٨ 18 |
সাবধান, কেউ যেন ধন দ্বারা আপনাকে প্রলুব্ধ করতে না পারে; বিপুল পরিমাণ ঘুস যেন আপনাকে বিপথগামী করে না তোলে।
هَلْ يَعْتَبِرُ غِنَاكَ؟ لَا ٱلتِّبْرَ وَلَا جَمِيعَ قُوَى ٱلثَّرْوَةِ! | ١٩ 19 |
আপনার ধনসম্পদ বা আপনার সব মহৎ প্রচেষ্টাও কি আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে, যেন আপনি যন্ত্রণাভোগ না করেন?
لَا تَشْتَاقُ إِلَى ٱللَّيْلِ ٱلَّذِي يَرْفَعُ شُعُوبًا مِنْ مَوَاضِعِهِمْ. | ٢٠ 20 |
সেরাতের জন্য অপেক্ষা করবেন না, যখন লোকজনকে তাদের ঘর থেকে টেনে বের করা হয়।
اِحْذَرْ. لَا تَلْتَفِتْ إِلَى ٱلْإِثْمِ لِأَنَّكَ ٱخْتَرْتَ هَذَا عَلَى ٱلذِّلِّ. | ٢١ 21 |
সাবধান, অনিষ্টের দিকে ফিরে যাবেন না, আপনি তো দুঃখের পরিবর্তে সেটিকেই মনোনীত করেছেন।
«هُوَذَا ٱللهُ يَتَعَالَى بِقُدْرَتِهِ. مَنْ مِثْلُهُ مُعَلِّمًا؟ | ٢٢ 22 |
“ঈশ্বর তাঁর পরাক্রমে উন্নত। তাঁর মতো শিক্ষক আর কে আছে?
مَنْ فَرَضَ عَلَيْهِ طَرِيقَهُ، أَوْ مَنْ يَقُولُ لَهُ: قَدْ فَعَلْتَ شَرًّا؟ | ٢٣ 23 |
কে তাঁর গন্তব্যপথ নিরূপিত করেছে, বা তাঁকে বলেছে, ‘তুমি অন্যায় করেছ’?
اُذْكُرْ أَنْ تُعَظِّمَ عَمَلَهُ ٱلَّذِي يُغَنِّي بِهِ ٱلنَّاسُ. | ٢٤ 24 |
মনে রাখবেন, তাঁর সেই কাজের উচ্চপ্রশংসা করতে হবে, যাঁর প্রশংসা লোকেরা গানের মাধ্যমে করেছিল।
كُلُّ إِنْسَانٍ يُبْصِرُ بِهِ. ٱلنَّاسُ يَنْظُرُونَهُ مِنْ بَعِيدٍ. | ٢٥ 25 |
সমগ্র মানবজাতি তা দেখেছে; নশ্বর মানুষও দূর থেকে সেদিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেছে।
هُوَذَا ٱللهُ عَظِيمٌ وَلَا نَعْرِفُهُ وَعَدَدُ سِنِيهِ لَا يُفْحَصُ. | ٢٦ 26 |
ঈশ্বর কত মহান—আমাদের বোধশক্তির ঊর্ধ্বে! তাঁর বছর-সংখ্যার খোঁজ পাওয়া যায় না।
لِأَنَّهُ يَجْذُبُ قِطَارَ ٱلْمَاءِ. تَسُحُّ مَطَرًا مِنْ ضَبَابِهَا | ٢٧ 27 |
“তিনি জলবিন্দু টেনে নেন, ও তা বৃষ্টিরূপে পরিশুদ্ধ করে জলধারায় ফিরিয়ে দেন;
ٱلَّذِي تَهْطِلُهُ ٱلسُّحُبُ وَتَقْطُرُهُ عَلَى أُنَاسٍ كَثِيرِينَ. | ٢٨ 28 |
মেঘরাশি তাদের আর্দ্রতা ঢেলে দেয় ও প্রচুর বৃষ্টি মানবজাতির উপরে বর্ষিত হয়।
فَهَلْ يُعَلِّلُ أَحَدٌ عَنْ شَقِّ ٱلْغَيْمِ أَوْ قَصِيفِ مِظَلَّتِهِ؟ | ٢٩ 29 |
কে বুঝতে পারে কীভাবে তিনি মেঘরাশি ছড়িয়ে দেন, কীভাবে তিনি তাঁর শামিয়ানা থেকে বজ্রধ্বনি করেন?
هُوَذَا بَسَطَ نُورَهُ عَلَى نَفْسِهِ، ثُمَّ يَتَغَطَّى بِأُصُولِ ٱلْيَمِّ. | ٣٠ 30 |
দেখুন কীভাবে তিনি তাঁর চারপাশে বিজলি নিক্ষেপ করেন, সমুদ্রগর্ভকে স্নান করান।
لِأَنَّهُ بِهَذِهِ يَدِينُ ٱلشُّعُوبَ، وَيَرْزُقُ ٱلْقُوتَ بِكَثْرَةٍ. | ٣١ 31 |
এভাবেই তিনি জাতিদের নিয়ন্ত্রণ করেন ও প্রচুর পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য জোগান।
يُغَطِّي كَفَّيْهِ بِٱلنُّورِ، وَيَأْمُرُهُ عَلَى ٱلْعَدُوِّ. | ٣٢ 32 |
তাঁর হাত তিনি বিজলিতে পরিপূর্ণ করেন ও তাকে লক্ষ্যে আঘাত হানার আদেশ দেন।
يُخْبِرُ بِهِ رَعْدُهُ، ٱلْمَوَاشِيَ أَيْضًا بِصُعُودِهِ. | ٣٣ 33 |
তাঁর বজ্রধ্বনি আসন্ন ঝড়ের সংকেত দেয়; এমনকি পশুপালও সেটির আগমনবার্তা দেয়।