< أَيُّوبَ 36 >
وَعَادَ أَلِيهُو فَقَالَ: | ١ 1 |
১ইলীহূ কথা বলতে থাকলেন এবং বললেন,
«ٱصْبِرْ عَلَيَّ قَلِيلًا، فَأُبْدِيَ لَكَ أَنَّهُ بَعْدُ لِأَجْلِ ٱللهِ كَلَامٌ. | ٢ 2 |
২“আমাকে একটু বেশি দিন কথা বলার অনুমতি দিন এবং আমি আপনাকে কিছু দেখাব কারণ ঈশ্বরের পক্ষে আমার আরও কিছু বলার আছে।
أَحْمِلُ مَعْرِفَتِي مِنْ بَعِيدٍ، وَأَنْسُبُ بِرًّا لِصَانِعِي. | ٣ 3 |
৩আমি আমার জ্ঞান দূর থেকে সংগ্রহ করব; আমি আমার সৃষ্টিকর্ত্তার যে ধার্ম্মিকতা তা স্বীকার করব।
حَقًّا لَا يَكْذِبُ كَلَامِي. صَحِيحُ ٱلْمَعْرِفَةِ عِنْدَكَ. | ٤ 4 |
৪কারণ সত্যি, আমার কথা মিথ্যা নয়; একজন যে জ্ঞানে সিদ্ধ আপনার সঙ্গে আছেন।
«هُوَذَا ٱللهُ عَزِيزٌ، وَلَكِنَّهُ لَا يَرْذُلُ أَحَدًا. عَزِيزُ قُدْرَةِ ٱلْقَلْبِ. | ٥ 5 |
৫দেখুন, ঈশ্বর পরাক্রমী এবং কাউকে তুচ্ছ করেন না; তিনি বুদ্ধি শক্তিতে পরাক্রমী।
لَا يُحْيي ٱلشِّرِّيرَ، بَلْ يُجْرِي قَضَاءَ ٱلْبَائِسِينَ. | ٦ 6 |
৬তিনি পাপীদের জীবন রক্ষা করেন না, কিন্তু পরিবর্তে যারা কষ্ট পাছে তাদের জন্য ন্যায়বিচার করেন।
لَا يُحَوِّلُ عَيْنَيْهِ عَنِ ٱلْبَارِّ، بَلْ مَعَ ٱلْمُلُوكِ يُجْلِسُهُمْ عَلَى ٱلْكُرْسِيِّ أَبَدًا، فَيَرْتَفِعُونَ. | ٧ 7 |
৭তিনি ধার্ম্মিকদের থেকে তাঁর চোখ সরান না, কিন্তু পরিবর্তে ধার্ম্মিককে রাজার মত চিরকালের জন্য সিংহাসনে বসান এবং তাদের উন্নতি হয়।
إِنْ أُوثِقُوا بِٱلْقُيُودِ، إِنْ أُخِذُوا فِي حِبَالَةِ ٱلذِّلِّ، | ٨ 8 |
৮যাইহোক, যদি তারা শিকলে বদ্ধ হয়, যদি তারা কষ্টের দড়িতে ধরা পরে,
فَيُظْهِرُ لَهُمْ أَفْعَالَهُمْ وَمَعَاصِيَهُمْ، لِأَنَّهُمْ تَجَبَّرُوا، | ٩ 9 |
৯তবে তিনি তাদের কাছে প্রকাশ করবেন তারা কি করছে তাদের পাপ এবং তারা কীভাবে অহঙ্কারের সাথে আচরণ করেছে।
وَيَفْتَحُ آذَانَهُمْ لِلْإِنْذَارِ، وَيَأْمُرُ بِأَنْ يَرْجِعُوا عَنِ ٱلْإِثْمِ. | ١٠ 10 |
১০তিনি আবার তাদের কান খুলে দেন তাঁর নির্দেশের জন্য এবং তিনি তাদের পাপ থেকে ফিরতে আদেশ দেন।
إِنْ سَمِعُوا وَأَطَاعُوا قَضَوْا أَيَّامَهُمْ بِٱلْخَيْرِ وَسِنِيهِمْ بِٱلنِّعَمِ. | ١١ 11 |
১১যদি তারা তাঁর কথা শোনেন এবং তাঁর উপাসনা করেন, তবে তারা তাদের দিন গুলো সুখে কাটাবে, তাদের বছরগুলো তৃপ্তিতে কাটবে।
وَإِنْ لَمْ يَسْمَعُوا، فَبِحَرْبَةِ ٱلْمَوْتِ يَزُولُونَ، وَيَمُوتُونَ بِعَدَمِ ٱلْمَعْرِفَةِ. | ١٢ 12 |
১২যাইহোক, যদি তারা না শোনে, তারা তলোয়ারের দ্বারা ধ্বংস হবে; তারা মরবে কারণ তাদের জ্ঞান নেই।
أَمَّا فُجَّارُ ٱلْقَلْبِ فَيَذْخَرُونَ غَضَبًا. لَا يَسْتَغِيثُونَ إِذَا هُوَ قَيَّدَهُمْ. | ١٣ 13 |
১৩যারা হৃদয়ে অধার্মিক অর্থাৎ ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, তারা ক্রোধ সঞ্চয় করছে; এমনকি যখন ঈশ্বর তাদের বাঁধেন তখনও তারা সাহায্যের জন্য চিত্কার করে না।
تَمُوتُ نَفْسُهُمْ فِي ٱلصِّبَا وَحَيَاتُهُمْ بَيْنَ ٱلْمَأْبُونِينَ. | ١٤ 14 |
১৪তারা যুবক অবস্থায় মারা যায়; তাদের জীবন অপমানে শেষ হয়।
يُنَجِّي ٱلْبَائِسَ فِي ذِلِّهِ، وَيَفْتَحُ آذَانَهُمْ فِي ٱلضِّيقِ. | ١٥ 15 |
১৫ঈশ্বর দুঃখীদের তাদের দুঃখ দ্বারাই উদ্ধার করেন; তিনি তাদের উপদ্রবে তাদের কান খোলেন।
«وَأَيْضًا يَقُودُكَ مِنْ وَجْهِ ٱلضِّيقِ إِلَى رَحْبٍ لَا حَصْرَ فِيهِ، وَيَمْلَأُ مَؤُونَةَ مَائِدَتِكَ دُهْنًا. | ١٦ 16 |
১৬সত্যি, তিনি আপনাকে যন্ত্রণা থেকে এক উন্মুক্ত জায়গায় বের করে আনতে চান যেখানে কোন কষ্ট থাকবে না এবং যেখানে আপনার মেজ চর্বিযুক্ত খাবারে পূর্ণ থাকবে।
حُجَّةَ ٱلشِّرِّيرِ أَكْمَلْتَ، فَٱلْحُجَّةُ وَٱلْقَضَاءُ يُمْسِكَانِكَ. | ١٧ 17 |
১৭কিন্তু আপনি পাপীদের বিচারে পূর্ণ; বিচার এবং ন্যায় আপনাকে ধরেছে।
عِنْدَ غَضَبِهِ لَعَلَّهُ يَقُودُكَ بِصَفْقَةٍ. فَكَثْرَةُ ٱلْفِدْيَةِ لَا تَفُكُّكَ. | ١٨ 18 |
১৮ধনসম্পদ যেন আপনাকে আকৃষ্ট না করে ঠকানোর জন্য; যেন ঘুষ আপনাকে ন্যায়বিচার থেকে সরিয়ে না নিয়ে যায়।
هَلْ يَعْتَبِرُ غِنَاكَ؟ لَا ٱلتِّبْرَ وَلَا جَمِيعَ قُوَى ٱلثَّرْوَةِ! | ١٩ 19 |
১৯আপনার সম্পদ কি আপনাকে লাভবান করতে পারে, যাতে আপনি দুঃখে না থাকেন, অথবা আপনার সমস্ত শক্তি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারে?
لَا تَشْتَاقُ إِلَى ٱللَّيْلِ ٱلَّذِي يَرْفَعُ شُعُوبًا مِنْ مَوَاضِعِهِمْ. | ٢٠ 20 |
২০রাতের আকাঙ্খা করবেন না, অন্যের বিরুদ্ধে পাপ করার জন্য, যখন মানুষেরা নিজেদের জায়গায় মারা যায়।
اِحْذَرْ. لَا تَلْتَفِتْ إِلَى ٱلْإِثْمِ لِأَنَّكَ ٱخْتَرْتَ هَذَا عَلَى ٱلذِّلِّ. | ٢١ 21 |
২১সাবধান পাপের দিকে ফিরবেন না, কারণ আপনি কষ্টে পরীক্ষিত হয়েছেন যাতে আপনি পাপ থেকে দূরে থাকেন।
«هُوَذَا ٱللهُ يَتَعَالَى بِقُدْرَتِهِ. مَنْ مِثْلُهُ مُعَلِّمًا؟ | ٢٢ 22 |
২২দেখুন, ঈশ্বর তাঁর শক্তিতে মোহিমান্বিত; তাঁর মত শিক্ষক কে?
مَنْ فَرَضَ عَلَيْهِ طَرِيقَهُ، أَوْ مَنْ يَقُولُ لَهُ: قَدْ فَعَلْتَ شَرًّا؟ | ٢٣ 23 |
২৩কে কবে তাঁর পথের বিষয়ে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে? কে কবে তাঁকে বলেছে, তুমি মন্দ করেছ?
اُذْكُرْ أَنْ تُعَظِّمَ عَمَلَهُ ٱلَّذِي يُغَنِّي بِهِ ٱلنَّاسُ. | ٢٤ 24 |
২৪তাঁর কাজের গৌরব করতে ভুলবেন না, যে বিষয়ে লোকেরা গান গেয়েছে।
كُلُّ إِنْسَانٍ يُبْصِرُ بِهِ. ٱلنَّاسُ يَنْظُرُونَهُ مِنْ بَعِيدٍ. | ٢٥ 25 |
২৫সমস্ত লোকেরা সেই সকল কাজ দেখেছে, কিন্তু তারা সেই সকল কাজ দূর থেকে দেখেছে।
هُوَذَا ٱللهُ عَظِيمٌ وَلَا نَعْرِفُهُ وَعَدَدُ سِنِيهِ لَا يُفْحَصُ. | ٢٦ 26 |
২৬দেখুন, ঈশ্বর মহান, কিন্তু আমরা তাঁকে ভাল করে বুঝতে পারি না; তাঁর বছর সংখ্যা অগণনীয়।
لِأَنَّهُ يَجْذُبُ قِطَارَ ٱلْمَاءِ. تَسُحُّ مَطَرًا مِنْ ضَبَابِهَا | ٢٧ 27 |
২৭কারণ তিনি জল বিন্দু আকর্ষণ করেন যা তাঁর বাস্প থেকে বৃষ্টির মত চুয়ে পড়ে,
ٱلَّذِي تَهْطِلُهُ ٱلسُّحُبُ وَتَقْطُرُهُ عَلَى أُنَاسٍ كَثِيرِينَ. | ٢٨ 28 |
২৮যা মেঘেরা ঢেলে দেয় এবং প্রচুররূপে মানুষের ওপরে পড়ে।
فَهَلْ يُعَلِّلُ أَحَدٌ عَنْ شَقِّ ٱلْغَيْمِ أَوْ قَصِيفِ مِظَلَّتِهِ؟ | ٢٩ 29 |
২৯সত্যি, কেউ কি মেঘেদের ব্যপক বিস্তার বুঝতে পারে এবং কেউ কি মেঘের গর্জন বুঝতে পারে?
هُوَذَا بَسَطَ نُورَهُ عَلَى نَفْسِهِ، ثُمَّ يَتَغَطَّى بِأُصُولِ ٱلْيَمِّ. | ٣٠ 30 |
৩০দেখুন, তিনি তাঁর বিদ্যুতের ঝলক তাঁর চারিদিকে ছড়িয়েছেন; তিনি সমুদ্রকে অন্ধকারে ঢেকেছেন।
لِأَنَّهُ بِهَذِهِ يَدِينُ ٱلشُّعُوبَ، وَيَرْزُقُ ٱلْقُوتَ بِكَثْرَةٍ. | ٣١ 31 |
৩১এই ভাবে তিনি লোকেদের শাসন করেন এবং প্রচুররূপে খাবার দেন।
يُغَطِّي كَفَّيْهِ بِٱلنُّورِ، وَيَأْمُرُهُ عَلَى ٱلْعَدُوِّ. | ٣٢ 32 |
৩২তিনি তাঁর হাত বজ্রে পূর্ণ করেন এবং তাদের আদেশ দেন লক্ষে আঘাত করতে।
يُخْبِرُ بِهِ رَعْدُهُ، ٱلْمَوَاشِيَ أَيْضًا بِصُعُودِهِ. | ٣٣ 33 |
৩৩তাদের আওয়াজ লোকেদেরকে বলে দেয় ঝড় আসার কথা; গবাদি পশুও তার আসার বিষয়ে জানে।”