< أَيُّوبَ 14 >
«اَلْإِنْسَانُ مَوْلُودُ ٱلْمَرْأَةِ، قَلِيلُ ٱلْأَيَّامِ وَشَبْعَانُ تَعَبًا. | ١ 1 |
“স্ত্রী-জাত নশ্বর মানুষ, তাদের জীবনকাল সংক্ষিপ্ত ও ঝামেলায় পরিপূর্ণ।
يَخْرُجُ كَٱلزَّهْرِ ثُمَّ يَنْحَسِمُ وَيَبْرَحُ كَٱلظِّلِّ وَلَا يَقِفُ. | ٢ 2 |
ফুলের মতো তারা ফোটে ও শুকিয়েও যায়; দ্রুতগামী ছায়ার মতো, তারা মিলিয়ে যায়।
فَعَلَى مِثْلِ هَذَا حَدَّقْتَ عَيْنَيْكَ، وَإِيَّايَ أَحْضَرْتَ إِلَى ٱلْمُحَاكَمَةِ مَعَكَ. | ٣ 3 |
তাদের উপরে তুমি কি তোমার চোখ স্থির করবে? বিচারের জন্য তুমি কি তাদের তোমার সামনে নিয়ে আসবে?
مَنْ يُخْرِجُ ٱلطَّاهِرَ مِنَ ٱلنَّجِسِ؟ لَا أَحَدٌ! | ٤ 4 |
অশুদ্ধ থেকে শুদ্ধের উৎপত্তি কে করতে পারে? কেউ করতে পারে না!
إِنْ كَانَتْ أَيَّامُهُ مَحْدُودَةً، وَعَدَدُ أَشْهُرِهِ عِنْدَكَ، وَقَدْ عَيَّنْتَ أَجَلَهُ فَلَا يَتَجَاوَزُهُ، | ٥ 5 |
একজন মানুষের আয়ুর দিনগুলি নির্ধারিত হয়ে আছে; তার মাসের সংখ্যা তুমি স্থির করে রেখেছ ও এমন এক সীমা স্থাপন করেছ যা সে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।
فَأَقْصِرْ عَنْهُ لِيَسْتَرِحْ، إِلَى أَنْ يُسَرَّ كَٱلْأَجِيرِ بِٱنْتِهَاءِ يَوْمِهِ. | ٦ 6 |
তাই তার উপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নাও ও তাকে ছেড়ে দাও, যতক্ষণ না সে এক দিনমজুরের মতো তার সময় দিচ্ছে।
«لِأَنَّ لِلشَّجَرَةِ رَجَاءً. إِنْ قُطِعَتْ تُخْلِفْ أَيْضًا وَلَا تُعْدَمُ خَرَاعِيبُهَا. | ٧ 7 |
“এমনকি একটি গাছেরও আশা আছে: সেটিকে কেটে ফেলা হলেও, তা আবার অঙ্কুরিত হয়, ও তার নতুন শাখার অভাব হয় না।
وَلَوْ قَدُمَ فِي ٱلْأَرْضِ أَصْلُهَا، وَمَاتَ فِي ٱلتُّرَابِ جِذْعُهَا، | ٨ 8 |
সেটির মূল জমির নিচে পুরোনো হয়ে যেতে পারে ও তার গুঁড়ি মাটিতে মরে যেতে পারে,
فَمِنْ رَائِحَةِ ٱلْمَاءِ تُفْرِخُ وَتُنْبِتُ فُرُوعًا كَٱلْغِرْسِ. | ٩ 9 |
তবুও জলের গন্ধ পেলেই তা মুকুলিত হবে ও এক চারাগাছের মতো শাখাপ্রশাখা বিস্তার করবে।
أَمَّا ٱلرَّجُلُ فَيَمُوتُ وَيَبْلَى. ٱلْإِنْسَانُ يُسْلِمُ ٱلرُّوحَ، فَأَيْنَ هُوَ؟ | ١٠ 10 |
কিন্তু মানুষ মরে যায় ও কবরে শায়িত হয়; সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করে ও তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়।
قَدْ تَنْفَدُ ٱلْمِيَاهُ مِنَ ٱلْبَحْرَةِ، وَٱلنَّهْرُ يَنْشَفُ وَيَجِفُّ، | ١١ 11 |
যেভাবে হ্রদের জল শুকিয়ে যায় বা নদীর খাত রোদে পোড়ে ও শুকিয়ে যায়,
وَٱلْإِنْسَانُ يَضْطَجِعُ وَلَا يَقُومُ. لَا يَسْتَيْقِظُونَ حَتَّى لَا تَبْقَى ٱلسَّمَاوَاتُ، وَلَا يَنْتَبِهُونَ مِنْ نَوْمِهِمْ. | ١٢ 12 |
সেভাবে সে শায়িত হয় ও আর ওঠে না; আকাশমণ্ডল বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, মানুষজন আর জাগবে না বা তাদের ঘুম আর ভাঙানো যাবে না।
«لَيْتَكَ تُوارِينِي فِي ٱلْهَاوِيَةِ، وَتُخْفِينِي إِلَى أَنْ يَنْصَرِفَ غَضَبُكَ، وَتُعَيِّنُ لِي أَجَلًا فَتَذْكُرَنِي. (Sheol ) | ١٣ 13 |
“তুমি যদি শুধু আমাকে কবরে লুকিয়ে রাখতে ও তোমার ক্রোধ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাকে আড়াল করে রাখতে! তুমি যদি শুধু আমার জন্য একটি সময় স্থির করে দিতে ও তারপর আমায় স্মরণ করতে! (Sheol )
إِنْ مَاتَ رَجُلٌ أَفَيَحْيَا؟ كُلَّ أَيَّامِ جِهَادِي أَصْبِرُ إِلَى أَنْ يَأْتِيَ بَدَلِي. | ١٤ 14 |
যদি কেউ মারা যায়, সে কি আবার বেঁচে উঠবে? আমার কঠোর সেবাকাজের সবকটি দিন আমি আমার নবীকরণের জন্য অপেক্ষা করে থাকব।
تَدْعُو فَأَنَا أُجِيبُكَ. تَشْتَاقُ إِلَى عَمَلِ يَدِكَ. | ١٥ 15 |
তুমি ডাকবে ও আমি তোমাকে উত্তর দেব; তোমার হাত যে প্রাণীকে সৃষ্টি করেছে, তুমি তার আকাঙ্ক্ষা করবে।
أَمَّا ٱلْآنَ فَتُحْصِي خَطَوَاتِي، أَلَا تُحَافِظُ عَلَى خَطِيَّتِي! | ١٦ 16 |
নিশ্চয় তুমি তখন আমার পদক্ষেপ গুনবে, কিন্তু আমার পাপের উপর নজর দেবে না।
مَعْصِيَتِي مَخْتُومٌ عَلَيْهَا فِي صُرَّةٍ، وَتُلَفِّقُ عَلَيَّ فَوْقَ إِثْمِي. | ١٧ 17 |
আমার অপরাধগুলি থলিতে কষে বন্ধ করা হবে; তুমি আমার পাপ ঢেকে দেবে।
«إِنَّ ٱلْجَبَلَ ٱلسَّاقِطَ يَنْتَثِرُ، وَٱلصَّخْرَ يُزَحْزَحُ مِنْ مَكَانِهِ. | ١٨ 18 |
“কিন্তু পর্বত যেভাবে ক্ষয়ে যায় ও ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ও পাষাণ-পাথর যেভাবে নিজের জায়গা থেকে সরে যায়,
ٱلْحِجَارَةُ تَبْلِيهَا ٱلْمِيَاهُ وَتَجْرُفُ سُيُولُهَا تُرَابَ ٱلْأَرْضِ، وَكَذَلِكَ أَنْتَ تُبِيدُ رَجَاءَ ٱلْإِنْسَانِ. | ١٩ 19 |
জল যেভাবে পাথরকে ক্ষয় করে ও তীব্র স্রোত যেভাবে মাটি ধুয়ে নিয়ে যায়, সেভাবে তুমি একজন লোকের আশা ধ্বংস করছ।
تَتَجَبَّرُ عَلَيْهِ أَبَدًا فَيَذْهَبُ. تُغَيِّرُ وَجْهَهُ وَتَطْرُدُهُ. | ٢٠ 20 |
তুমি চিরকালের জন্য তাদের দমন করেছ, ও তারা বিলুপ্ত হয়েছে; তুমি তাদের মুখের চেহারা পরিবর্তিত করেছ ও তাদের পাঠিয়ে দিয়েছ।
يُكْرَمُ بَنُوهُ وَلَا يَعْلَمُ، أَوْ يَصْغُرُونَ وَلَا يَفْهَمُ بِهِمْ. | ٢١ 21 |
তাদের সন্তানেরা যদি সম্মানিত হয়, তারা তা জানতে পারে না; তাদের সন্তানেরা যদি অবনত হয়, তারা তা দেখতে পায় না।
إِنَّمَا عَلَى ذَاتِهِ يَتَوَجَّعُ لَحْمُهُ وَعَلَى ذَاتِهَا تَنُوحُ نَفْسُهُ». | ٢٢ 22 |
তারা শুধু নিজেদের শরীরের ব্যথাবেদনা অনুভব করে ও শুধু নিজেদের জন্যই শোক পালন করে।”