< إِرْمِيَا 44 >
اَلْكَلِمَةُ ٱلَّتِي صَارَتْ إِلَى إِرْمِيَا مِنْ جِهَةِ كُلِّ ٱلْيَهُودِ ٱلسَّاكِنِينَ فِي أَرْضِ مِصْرَ، ٱلسَّاكِنِينَ فِي مَجْدَلَ وَفِي تَحْفَنْحِيسَ، وَفِي نُوفَ وَفِي أَرْضِ فَتْرُوسَ قَائِلَةً: | ١ 1 |
সদাপ্রভুর বাক্য সেইসব ইহুদির উদ্দেশে যিরমিয়ের কাছে উপস্থিত হল, যারা উত্তর মিশরের নিম্নাঞ্চলে মিগ্দোল, তফন্হেষ ও মেম্ফিসে এবং দক্ষিণ মিশরের উচ্চতর স্থানগুলিতে বসবাস করত।
«هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: أَنْتُمْ رَأَيْتُمْ كُلَّ ٱلشَّرِّ ٱلَّذِي جَلَبْتُهُ عَلَى أُورُشَلِيمَ، وَعَلَى كُلِّ مُدُنِ يَهُوذَا، فَهَا هِيَ خَرِبَةٌ هَذَا ٱلْيَوْمَ وَلَيْسَ فِيهَا سَاكِنٌ، | ٢ 2 |
“বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, জেরুশালেমে ও যিহূদার সব নগরে আমি যে বিপর্যয় নিয়ে এসেছিলাম, তা তোমরা দেখেছ। সেগুলি আজও জনমানবহীন ও ধ্বংস হয়ে পড়ে আছে।
مِنْ أَجْلِ شَرِّهِمِ ٱلَّذِي فَعَلُوهُ لِيُغِيظُونِي، إِذْ ذَهَبُوا لِيُبَخِّرُوا وَيَعْبُدُوا آلِهَةً أُخْرَى لَمْ يَعْرِفُوهَا هُمْ وَلَا أَنْتُمْ وَلَا آبَاؤُكُمْ. | ٣ 3 |
তারা যে সমস্ত অন্যায় করেছিল, সেগুলির কারণেই এরকম হয়েছে। তারা অন্যান্য দেবদেবীর উদ্দেশে ধূপদাহ করে তাদের উপাসনা করেছিল, যাদের কথা তোমরা বা তোমাদের পিতৃপুরুষেরা কেউই কখনও জানত না।
فَأَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ كُلَّ عَبِيدِي ٱلْأَنْبِيَاءِ مُبَكِّرًا وَمُرْسِلًا قَائِلًا: لَا تَفْعَلُوا أَمْرَ هَذَا ٱلرِّجْسِ ٱلَّذِي أَبْغَضْتُهُ. | ٤ 4 |
বারবার আমি তাদের কাছে আমার দাস ভাববাদীদের পাঠিয়েছি, যারা বলত, ‘আমি যা ঘৃণা করি, তোমরা সেইসব ঘৃণ্য কর্ম কোরো না!’
فَلَمْ يَسْمَعُوا وَلَا أَمَالُوا أُذْنَهُمْ لِيَرْجِعُوا عَنْ شَرِّهِمْ فَلَا يُبَخِّرُوا لِآلِهَةٍ أُخْرَى. | ٥ 5 |
কিন্তু তারা সেই কথা শোনেনি, তাতে মনোযোগও দেয়নি। তারা নিজেদের দুষ্টতার আচরণ থেকে বিমুখ হয়নি বা অন্য সব দেবদেবীর কাছে ধূপদাহ করতেও নিবৃত্ত হয়নি।
فَٱنْسَكَبَ غَيْظِي وَغَضَبِي، وَٱشْتَعَلَا في مُدُنِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ، فَصَارَتْ خَرِبَةً مُقْفِرَةً كَهَذَا ٱلْيَوْمِ. | ٦ 6 |
সেই কারণে আমার প্রচণ্ড ক্রোধ বর্ষিত হয়েছে, যা যিহূদার নগরগুলি ও জেরুশালেমের পথে পথে প্রজ্বলিত হয়েছিল। আর সেগুলি এখন যেমন আছে, তেমনই পরিত্যক্ত ধ্বংসস্তূপ হয়ে রয়েছে।
فَٱلْآنَ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهُ ٱلْجُنُودِ، إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: لِمَاذَا أَنْتُمْ فَاعِلُونَ شَرًّا عَظِيمًا ضِدَّ أَنْفُسِكُمْ لِٱنْقِرَاضِكُمْ رِجَالًا وَنِسَاءً أَطْفَالًا وَرُضَّعًا مِنْ وَسْطِ يَهُوذَا وَلَا تَبْقَى لَكُمْ بَقِيَّةٌ؟ | ٧ 7 |
“এখন, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, তোমরা কেন তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় ঘটতে দিচ্ছ? এরকম করলে তো তোমরা স্ত্রী-পুরুষ, ছেলেমেয়ে ও দুগ্ধপোষ্য শিশুসমেত সবাইকেই যিহূদার মধ্য থেকে এমনভাবে উচ্ছিন্ন করবে যে, তোমাদের কেউই আর অবশিষ্ট থাকবে না।
لِإِغَاظَتِي بِأَعْمَالِ أَيَادِيكُمْ، إِذْ تُبَخِّرُونَ لِآلِهَةٍ أُخْرَى فِي أَرْضِ مِصْرَ ٱلَّتِي أَتَيْتُمْ إِلَيْهَا لِتَتَغَرَّبُوا فِيهَا، لِكَيْ تَنْقَرِضُوا وَلِكَيْ تَصِيرُوا لَعْنَةً وَعَارًا بَيْنَ كُلِّ أُمَمِ ٱلْأَرْضِ. | ٨ 8 |
কেন তোমরা তোমাদের হাতে তৈরি বিগ্রহগুলির জন্য আমার ক্রোধ উদ্রেক করছ? যে মিশরে তোমরা বসবাসের জন্য এসেছ, সেখানে কেন অন্য সব দেবদেবীর উদ্দেশে ধূপদাহ করছ? তোমরা নিজেদের ধ্বংস করবে এবং পৃথিবীর সব জাতির কাছে নিজেদের এক অভিশাপ ও দুর্নামের পাত্র করবে।
هَلْ نَسِيتُمْ شُرُورَ آبَائِكُمْ وَشُرُورَ مُلُوكِ يَهُوذَا وَشُرُورَ نِسَائِهِمْ، وَشُرُورَكُمْ وَشُرُورَ نِسَائِكُمُ ٱلَّتِي فُعِلَتْ فِي أَرْضِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ؟ | ٩ 9 |
তোমাদের পিতৃপুরুষেরা যে দুষ্টতার কাজগুলি করেছিল, যিহূদার রাজা ও রানিরা এবং দুষ্টতার যে কাজগুলি তোমরা ও তোমাদের স্ত্রীরা যিহূদায় ও জেরুশালেমের পথে পথে করেছিলে, সেগুলি কি তোমরা ভুলে গিয়েছ?
لَمْ يُذَلُّوا إِلَى هَذَا ٱلْيَوْمِ، وَلَا خَافُوا وَلَا سَلَكُوا فِي شَرِيعَتِي وَفَرَائِضِي ٱلَّتِي جَعَلْتُهَا أَمَامَكُمْ وَأَمَامَ آبَائِكُمْ. | ١٠ 10 |
আজও পর্যন্ত তারা নিজেদের নতনম্র করেনি বা ভয়ও করেনি। তারা আমার বিধান ও তোমাদের সামনে আমি যে বিধিনিয়ম তোমাদের ও তোমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে স্থাপন করেছিলাম, তা তারা পালন করেনি।
«لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: هَأَنَذَا أَجْعَلُ وَجْهِي عَلَيْكُمْ لِلشَّرِّ، وَلِأَقْرِضَ كُلَّ يَهُوذَا. | ١١ 11 |
“সেই কারণে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, আমি তোমাদের উপরে বিপর্যয় এনে সমস্ত যিহূদাকে ধ্বংস করার জন্য মনস্থির করেছি।
وَآخُذُ بَقِيَّةَ يَهُوذَا ٱلَّذِينَ جَعَلُوا وُجُوهَهُمْ لِلدُّخُولِ إِلَى أَرْضِ مِصْرَ لِيَتَغَرَّبُوا هُنَاكَ، فَيَفْنَوْنَ كُلُّهُمْ فِي أَرْضِ مِصْرَ. يَسْقُطُونَ بِٱلسَّيْفِ وَبِالْجُوعِ. يَفْنَوْنَ مِنَ ٱلصَّغِيرِ إِلَى ٱلْكَبِيرِ بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ. يَمُوتُونَ وَيَصِيرُونَ حَلْفًا وَدَهَشًا وَلَعْنَةً وَعَارًا. | ١٢ 12 |
যারা মিশরে গিয়ে বসবাস করার জন্য দৃঢ়সংকল্প হয়েছিল, আমি তাদের অপসারিত করব। তারা সবাই মিশরে বিনষ্ট হবে। তারা তরোয়ালের আঘাতে অথবা দুর্ভিক্ষে মৃত্যুবরণ করবে। ক্ষুদ্র-মহান নির্বিশেষে, তারা তরোয়ালের আঘাতে অথবা দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। তারা অভিশাপ ও বিভীষিকার, বিনাশ ও দুর্নামের পাত্রস্বরূপ হবে।
وَأُعَاقِبُ ٱلَّذِينَ يَسْكُنُونَ فِي أَرْضِ مِصْرَ، كَمَا عَاقَبْتُ أُورُشَلِيمَ بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ وَٱلْوَبَإِ. | ١٣ 13 |
আমি যেভাবে জেরুশালেমকে শাস্তি দিয়েছিলাম, তেমনই যারা মিশরে বসবাস করবে, তাদের তরোয়াল, দুর্ভিক্ষ ও মহামারির আঘাতে শাস্তি দেব।
وَلَا يَكُونُ نَاجٍ وَلَا بَاقٍ لِبَقِيَّةِ يَهُوذَا ٱلْآتِينَ لِيَتَغَرَّبُوا هُنَاكَ فِي أَرْضِ مِصْرَ، لِيَرْجِعُوا إِلَى أَرْضِ يَهُوذَا ٱلَّتِي يَشْتَاقُونَ إِلَى ٱلرُّجُوعِ لِأَجْلِ ٱلسَّكَنِ فِيهَا، لِأَنَّهُ لَا يَرْجِعُ مِنْهُمْ إِلَّا ٱلْمُنْفَلِتُونَ». | ١٤ 14 |
যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা, যারা মিশরে বসবাস করার জন্য গিয়েছে, তারা কেউই যিহূদার দেশে, যে দেশে তারা ফিরে আসতে ও বসবাস করতে চায়, সেই দেশে ফিরে আসার জন্য শাস্তি এড়াতে বা বেঁচে থাকতে পারবে না। কয়েকজন পলাতক ব্যক্তি ছাড়া আর কেউই ফিরে আসতে পারবে না।”
فَأَجَابَ إِرْمِيَا كُلُّ ٱلرِّجَالِ ٱلَّذِينَ عَرَفُوا أَنَّ نِسَاءَهُمْ يُبَخِّرْنَ لِآلِهَةٍ أُخْرَى، وَكُلُّ ٱلنِّسَاءِ ٱلْوَاقِفَاتِ، مَحْفَلٌ كَبِيرٌ، وَكُلُّ ٱلشَّعْبِ ٱلسَّاكِنِ فِي أَرْضِ مِصْرَ فِي فَتْرُوسَ قَائِلِينَ: | ١٥ 15 |
তখন যে সকল পুরুষ জানত যে, তাদের স্ত্রীরা অন্য দেবদেবীর উদ্দেশ্যে ধূপদাহ করেছে, সেখানে উপস্থিত অন্য স্ত্রীলোকদের সঙ্গে, নিম্নতর ও উচ্চতর মিশরে বসবাসকারী সব মানুষ, এক বিশাল জনতা যিরমিয়কে বলল,
«إِنَّنَا لَا نَسْمَعُ لَكَ ٱلْكَلِمَةَ ٱلَّتِي كَلَّمْتَنَا بِهَا بِٱسْمِ ٱلرَّبِّ، | ١٦ 16 |
“আপনি সদাপ্রভুর নামে আমাদের কাছে যে কথা বলেছেন, আমরা সেকথা শুনব না।
بَلْ سَنَعْمَلُ كُلَّ أَمْرٍ خَرَجَ مِنْ فَمِنَا، فَنُبَخِّرُ لِمَلِكَةِ ٱلسَّمَاوَاتِ، وَنَسْكُبُ لَهَا سَكَائِبَ. كَمَا فَعَلْنَا نَحْنُ وَآبَاؤُنَا وَمُلُوكُنَا وَرُؤَسَاؤُنَا فِي أَرْضِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ، فَشَبِعْنَا خُبْزًا وَكُنَّا بِخَيْرٍ وَلَمْ نَرَ شَرًّا. | ١٧ 17 |
আমরা যা বলেছি, সেসবই নিশ্চিতরূপে করব। আমরা আকাশ-রানির উদ্দেশ্যে ধূপদাহ করব এবং তার উদ্দেশ্যে পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করব, ঠিক যেভাবে আমরা ও আমাদের পিতৃপুরুষেরা, আমাদের রাজারা ও আমাদের রাজকর্মচারীরা যিহূদার নগরগুলিতে ও জেরুশালেমের পথে পথে করতাম। সেই সময় আমাদের কাছে প্রচুর খাদ্যদ্রব্য ছিল। আমাদের অবস্থাও বেশ ভালো ছিল এবং আমরা কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হইনি।
وَلَكِنْ مِنْ حِينَ كَفَفْنَا عَنِ ٱلتَّبْخِيرِ لِمَلِكَةِ ٱلسَّمَاوَاتِ وَسَكْبِ سَكَائِبَ لَهَا، ٱحْتَجْنَا إِلَى كُلٍّ، وَفَنِينَا بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ. | ١٨ 18 |
কিন্তু যখন থেকে আমরা আকাশ-রানির উদ্দেশে ধূপদাহ ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করা বন্ধ করেছি, তখন থেকে আমাদের সব বস্তুর অভাব হচ্ছে এবং আমরা তরোয়ালের আঘাতে ও দুর্ভিক্ষের কারণে ধ্বংস হচ্ছি।”
وَإِذْ كُنَّا نُبَخِّرُ لِمَلِكَةِ ٱلسَّمَاوَاتِ وَنَسْكُبُ لَهَا سَكَائِبَ، فَهَلْ بِدُونِ رِجَالِنَا كُنَّا نَصْنَعُ لَهَا كَعْكًا لِنَعْبُدَهَا وَنَسْكُبُ لَهَا ٱلسَّكَائِبَ؟». | ١٩ 19 |
সেই স্ত্রীলোকেরা আরও বলল, “যখন আমরা আকাশ-রানির উদ্দেশে ধূপদাহ ও তার উদ্দেশে পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করতাম, আমাদের স্বামীরা কি জানতেন না যে আমরা আকাশ-রানির প্রতিকৃতিতে পিঠে তৈরি করতাম ও তার উদ্দেশ্যে পানীয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করতাম?”
فَكَلَّمَ إِرْمِيَا كُلَّ ٱلشَّعْبِ، ٱلرِّجَالَ وَٱلنِّسَاءَ وَكُلَّ ٱلشَّعْبِ ٱلَّذِينَ جَاوَبُوهُ بِهَذَا ٱلْكَلَامِ قَائِلًا: | ٢٠ 20 |
তখন যিরমিয়, যারা তাঁর কথার প্রত্যুত্তর করেছিল, সেই স্ত্রী ও পুরুষ সকলের উদ্দেশে বললেন,
«أَلَيْسَ ٱلْبَخُورُ ٱلَّذِي بَخَّرْتُمُوهُ فِي مُدُنِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ، أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ وَمُلُوكُكُمْ وَرُؤَسَاؤُكُمْ وَشَعْبُ ٱلْأَرْضِ، هُوَ ٱلَّذِي ذَكَرَهُ ٱلرَّبُّ وَصَعِدَ عَلَى قَلْبِهِ. | ٢١ 21 |
“সদাপ্রভু কি স্মরণ করেননি এবং সেই বিষয়ে চিন্তা করেননি, যে তোমরা, তোমাদের পিতৃপুরুষেরা, তোমাদের রাজারা ও তোমাদের রাজকর্মচারীরা ও দেশের অন্যান্য সমস্ত লোক যিহূদার নগরগুলিতে ও জেরুশালেমের পথে পথে ধূপদাহ করতে?
وَلَمْ يَسْتَطِعِ ٱلرَّبُّ أَنْ يَحْتَمِلَ بَعْدُ مِنْ أَجْلِ شَرِّ أَعْمَالِكُمْ، مِنْ أَجْلِ ٱلرَّجَاسَاتِ ٱلَّتِي فَعَلْتُمْ، فَصَارَتْ أَرْضُكُمْ خَرِبَةً وَدَهَشًا وَلَعْنَةً بِلَا سَاكِنٍ كَهَذَا ٱلْيَوْمِ. | ٢٢ 22 |
সদাপ্রভু যখন তোমাদের দুষ্টতার ক্রিয়াকলাপ ও তোমাদের ঘৃণ্য সব কাজকর্ম সহ্য করতে পারলেন না, তখন তোমাদের দেশ এক অভিশাপের পাত্র ও জনমানবহীন পরিত্যক্ত স্থানে পরিণত হল, যেমন তা আজও আছে।
مِنْ أَجْلِ أَنَّكُمْ قَدْ بَخَّرْتُمْ وَأَخْطَأْتُمْ إِلَى ٱلرَّبِّ، وَلَمْ تَسْمَعُوا لِصَوْتِ ٱلرَّبِّ، وَلَمْ تَسْلُكُوا فِي شَرِيعَتِهِ وَفَرَائِضِهِ وَشَهَادَاتِهِ مِنْ أَجِلِ ذَلِكُمْ قَدْ أَصَابَكُمْ هَذَا ٱلشَّرُّ كَهَذَا ٱلْيَوْمِ». | ٢٣ 23 |
যেহেতু তোমরা বিভিন্ন দেবদেবীর উদ্দেশে ধূপদাহ করে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছ এবং তাঁর কথা শোনোনি বা তাঁর বিধান, বিধিনিয়ম বা তাঁর বিধিনিষেধ মান্য করোনি, এই বিপর্যয় তোমাদের উপরে নেমে এসেছে, যেমন আজ তোমরা দেখতে পাচ্ছ।”
ثُمَّ قَالَ إِرْمِيَا لِكُلِّ ٱلشَّعْبِ وَلِكُلِّ ٱلنِّسَاءِ: «ٱسْمَعُوا كَلِمَةَ ٱلرَّبِّ يَا جَمِيعَ يَهُوذَا ٱلَّذِينَ فِي أَرْضِ مِصْرَ. | ٢٤ 24 |
তারপর যিরমিয় সব পুরুষ এবং সব স্ত্রীলোকদের বললেন, “মিশরে বসবাসকারী যিহূদার লোকেরা, তোমরা সবাই সদাপ্রভুর এই বাক্য শোনো।
هَكَذَا تَكَلَّمَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ قَائِلًا: أَنْتُمْ وَنِسَاؤُكُمْ تَكَلَّمْتُمْ بِفَمِكُمْ وَأَكْمَلْتُمْ بِأَيَادِيكُمْ قَائِلِينَ: إِنَّنَا إِنَّمَا نُتَمِّمُ نُذُورَنَا ٱلَّتِي نَذَرْنَاهَا، أَنْ نُبَخِّرَ لِمَلِكَةِ ٱلسَّمَاوَاتِ وَنَسْكُبُ لَهَا سَكَائِبَ، فَإِنَّهُنَّ يُقِمْنَ نُذُورَكُمْ، وَيُتَمِّمْنَ نُذُورَكُمْ. | ٢٥ 25 |
বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, তোমরা ও তোমাদের স্ত্রীরা এই বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলে, ‘আমরা নিশ্চয়ই আকাশ-রানির উদ্দেশ্যে ধূপদাহ ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করার শপথ পূর্ণ করব, তা তোমাদের কাজের মধ্য দিয়ে তোমরা দেখিয়েছ।’ “এখন তাহলে যাও, তোমাদের প্রতিজ্ঞা অনুসারে কাজ করো! তোমাদের শপথ পূর্ণ করো!
لِذَلِكَ ٱسْمَعُوا كَلِمَةَ ٱلرَّبِّ يَاجَمِيعَ يَهُوذَا ٱلسَّاكِنِينَ فِي أَرْضِ مِصْرَ: هَأَنَذَا قَدْ حَلَفْتُ بِٱسْمِي ٱلْعَظِيمِ، قَالَ ٱلرَّبُّ، إِنَّ ٱسْمِي لَنْ يُسَمَّى بَعْدُ بِفَمِ إِنْسَانٍ مَّا مِنْ يَهُوذَا فِي كُلِّ أَرْضِ مِصْرَ قَائِلًا: حَيٌّ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ. | ٢٦ 26 |
কিন্তু মিশরে বসবাসকারী সমস্ত ইহুদি সদাপ্রভুর এই বাক্য শোনো: সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি আমারই মহৎ নামের শপথ করে বলছি, মিশরের মধ্যে বসবাসকারী কোনও ইহুদি আমার নাম নিয়ে শপথ করে আর বলবে না, “জীবন্ত সার্বভৌম সদাপ্রভুর দিব্যি।”
هَأَنَذَا أَسْهَرُ عَلَيْهِمْ لِلشَّرِّ لَا لِلْخَيْرِ، فَيَفْنَى كُلُّ رِجَالِ يَهُوذَا ٱلَّذِينَ فِي أَرْضِ مِصْرَ بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ حَتَّى يَتَلَاشَوْا. | ٢٧ 27 |
কারণ তাদের ক্ষতিসাধনের জন্য আমি তাদের উপরে দৃষ্টি রেখেছি, তাদের মঙ্গলের জন্য নয়। মিশরে স্থিত ইহুদিরা তরোয়াল ও দুর্ভিক্ষে বিনষ্ট হবে, যতক্ষণ না তাদের সবাই ধ্বংস হয়।
وَٱلنَّاجُونَ مِنَ ٱلسَّيْفِ يَرْجِعُونَ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ إِلَى أَرْضِ يَهُوذَا نَفَرًا قَلِيلًا، فَيَعْلَمُ كُلُّ بَقِيَّةِ يَهُوذَا ٱلَّذِينَ أَتُوْا إِلَى أَرْضِ مِصْرَ لِيَتَغَرَّبُوا فِيهَا، كَلِمَةَ أَيِّنَا تَقُومُ. | ٢٨ 28 |
যারা তরোয়ালের আঘাত এড়িয়ে মিশর থেকে যিহূদার দেশে ফিরে আসবে, তারা সংখ্যায় অতি অল্পই হবে। তখন যিহূদার অবশিষ্ট সকলে যারা মিশরে বসবাস করার জন্য এসেছে, জানতে পারবে, কার কথা ঠিক থাকবে, আমার না তাদের।’
«وَهَذِهِ هِيَ ٱلْعَلَامَةُ لَكُمْ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، إِنِّي أُعَاقِبُكُمْ فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ، لِتَعْلَمُوا أَنَّهُ لَا بُدَّ أَنْ يَقُومَ كَلَامِي عَلَيْكُمْ لِلشَّرِّ. | ٢٩ 29 |
“সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি তোমাদের এই স্থানে শাস্তি দেব, তার চিহ্ন এরকম হবে, যেন তোমরা জানতে পারো যে তোমাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিসাধনের জন্য আমার ভীতিপ্রদর্শন অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।’
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: هَأَنَذَا أَدْفَعُ فِرْعَوْنَ حَفْرَعَ مَلِكَ مِصْرَ لِيَدِ أَعْدَائِهِ وَلِيَدِ طَالِبِي نَفْسِهِ، كَمَا دَفَعْتُ صِدْقِيَّا مَلِكَ يَهُوذَا لِيَدِ نَبُوخَذْرَاصَّرَ مَلِكِ بَابِلَ عَدُوِّهِ وَطَالِبِ نَفْسِهِ». | ٣٠ 30 |
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি মিশরের রাজা ফরৌণ-হফ্রাকে, যারা তার প্রাণনাশ করতে চায়, তার সেই শত্রুদের হাতে সমর্পণ করতে চলেছি, যেমন আমি যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে, তার শত্রু ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের হাতে সমর্পণ করেছিলাম, যে তার প্রাণনাশ করতে চেয়েছিল।’”