< إِرْمِيَا 23 >
«وَيْلٌ لِلرُّعَاةِ ٱلَّذِينَ يُهْلِكُونَ وَيُبَدِّدُونَ غَنَمَ رَعِيَّتِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ١ 1 |
সদাপ্রভু বলেন, “ধিক্ সেই পালকদের, যারা আমার চারণভূমির মেষদের ছিন্নভিন্ন ও ধ্বংস করে!”
لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ عَنِ ٱلرُّعَاةِ ٱلَّذِينَ يَرْعَوْنَ شَعْبِي: أَنْتُمْ بَدَّدْتُمْ غَنَمِي وَطَرَدْتُمُوهَا وَلَمْ تَتَعَهَّدُوهَا. هَأَنَذَا أُعَاقِبُكُمْ عَلَى شَرِّ أَعْمَالِكُمْ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ٢ 2 |
সেই কারণে, যারা আমার প্রজাদের চরায়, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন: “তোমরা যেহেতু আমার মেষদের ছিন্নভিন্ন করেছ, তাদের বিতাড়িত করেছ এবং তাদের প্রতি কোনো যত্ন করোনি, তোমরা তাদের প্রতি যে অন্যায় করেছ, তার জন্য আমি তোমাদের শাস্তি দেব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
وَأَنَا أَجْمَعُ بَقِيَّةَ غَنَمِي مِنْ جَمِيعِ ٱلْأَرَاضِي ٱلَّتِي طَرَدْتُهَا إِلَيْهَا، وَأَرُدُّهَا إِلَى مَرَابِضِهَا فَتُثْمِرُ وَتَكْثُرُ. | ٣ 3 |
“আমি যে সমস্ত দেশে আমার প্রজাপালকে বিতাড়িত করেছি, আমি স্বয়ং সেখান থেকে তাদের অবশিষ্টাংশকে সংগ্রহ করে তাদের চারণভূমিতে ফিরিয়ে আনব। সেখানে তারা ফলবান হবে ও সংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে।
وَأُقِيمُ عَلَيْهَا رُعَاةً يَرْعَوْنَهَا فَلَا تَخَافُ بَعْدُ وَلَا تَرْتَعِدُ وَلَا تُفْقَدُ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ٤ 4 |
আমি তাদের উপরে পালকদের নিযুক্ত করব। তারা তাদের তত্ত্বাবধান করবে। তারা আর ভীত বা আতঙ্কগ্রস্ত হবে না, কেউ হারিয়েও যাবে না,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
«هَا أَيَّامٌ تَأْتِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَأُقِيمُ لِدَاوُدَ غُصْنَ بِرٍّ، فَيَمْلِكُ مَلِكٌ وَيَنْجَحُ، وَيُجْرِي حَقًّا وَعَدْلًا فِي ٱلْأَرْضِ. | ٥ 5 |
সদাপ্রভু বলেন, “সেদিন আসন্ন,” যখন দাউদের বংশ থেকে আমি এক ধার্মিক পল্লবকে তুলে ধরব, সেই রাজা জ্ঞানপূর্বক রাজত্ব করবে এবং সেদেশে যথার্থ ও ন্যায়সংগত কাজ করবে।
فِي أَيَّامِهِ يُخَلَّصُ يَهُوذَا، وَيَسْكُنُ إِسْرَائِيلُ آمِنًا، وَهَذَا هُوَ ٱسْمُهُ ٱلَّذِي يَدْعُونَهُ بِهِ: ٱلرَّبُّ بِرُّنَا. | ٦ 6 |
তার সময়ে যিহূদা পরিত্রাণ পাবে এবং ইস্রায়েল নিরাপদে বসবাস করবে। আর এই নামে সে আখ্যাত হবে, সদাপ্রভু আমাদের ধার্মিক ত্রাণকর্তা।
لِذَلِكَ هَا أَيَّامٌ تَأْتِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَلَا يَقُولُونَ بَعْدُ: حَيٌّ هُوَ ٱلرَّبُّ ٱلَّذِي أَصْعَدَ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ، | ٧ 7 |
সদাপ্রভু বলেন, “তাহলে সেই দিনগুলি আসছে, যখন লোকেরা আর বলবে না, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে মুক্ত করে এনেছেন,’
بَلْ: حَيٌّ هُوَ ٱلرَّبُّ ٱلَّذِي أَصْعَدَ وَأَتَى بِنَسْلِ بَيْتِ إِسْرَائِيلَ مِنْ أَرْضِ ٱلشِّمَالِ وَمِنْ جَمِيعِ ٱلْأَرَاضِي ٱلَّتِي طَرَدْتُهُمْ إِلَيْهَا فَيَسْكُنُونَ فِي أَرْضِهِمْ». | ٨ 8 |
কিন্তু তারা বলবে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলের বংশধরদের উত্তরের দেশ থেকে এবং যে সমস্ত দেশে তাদের নির্বাসিত করেছিলেন, সেখান থেকে তাদের নিয়ে এসেছেন।’ তখন তারা স্বদেশে বসবাস করবে।”
فِي ٱلْأَنْبِيَاءِ: اِنْسَحَقَ قَلْبِي فِي وَسَطِي. ٱرْتَخَتْ كُلُّ عِظَامِي. صِرْتُ كَإِنْسَانٍ سَكْرَانَ وَمِثْلَ رَجُلٍ غَلَبَتْهُ ٱلْخَمْرُ، مِنْ أَجْلِ ٱلرَّبِّ وَمِنْ أَجْلِ كَلَامِ قُدْسِهِ. | ٩ 9 |
ভাববাদীদের সম্পর্কিত বিষয়: আমার অন্তর আমার মধ্যে ভেঙে পড়েছে, আমার সব হাড় কাঁপতে থাকে; আমি এক মাতাল ব্যক্তির মতো হয়েছি, দ্রাক্ষারসে পরাভূত কোনো লোকের মতো, সদাপ্রভু ও তাঁর পবিত্র বাক্যের কারণে।
لِأَنَّ ٱلْأَرْضَ ٱمْتَلَأَتْ مِنَ ٱلْفَاسِقِينَ. لِأَنَّهُ مِنْ أَجْلِ ٱللَّعْنِ نَاحَتِ ٱلْأَرْضُ. جَفَّتْ مَرَاعِي ٱلْبَرِّيَّةِ، وَصَارَ سَعْيُهُمْ لِلشَّرِّ، وَجَبَرُوتُهُمْ لِلْبَاطِلِ. | ١٠ 10 |
দেশ সব ব্যভিচারীতে পূর্ণ; অভিশাপের কারণে দেশ শুকনো হয়ে পড়ে আছে, মরুপ্রান্তের সব চারণভূমি শুকিয়ে গেছে। ভাববাদীরা এক মন্দ উপায় অবলম্বন করে, তারা তাদের ক্ষমতার অন্যায় ব্যবহার করে।
«لِأَنَّ ٱلْأَنْبِيَاءَ وَٱلْكَهَنَةَ تَنَجَّسُوا جَمِيعًا، بَلْ فِي بَيْتِي وَجَدْتُ شَرَّهُمْ يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ١١ 11 |
“ভাববাদী ও যাজক, উভয়েই ভক্তিহীন; এমনকি, আমার মন্দিরেও আমি তাদের দুষ্টতা দেখি,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
لِذَلِكَ يَكُونُ طَرِيقُهُمْ لَهُمْ كَمَزَالِقَ فِي ظَلَامٍ دَامِسٍ، فَيُطْرَدُونَ وَيَسْقُطُونَ فِيهَا، لِأَنِّي أَجْلِبُ عَلَيْهِمْ شَرًّا سَنَةَ عِقَابِهِمْ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ١٢ 12 |
“সেই কারণে তাদের পথ পিচ্ছিল হবে, তাদের অন্ধকারে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং সেখানেই তাদের পতন হবে। যে বছরে তারা শাস্তি পাবে, আমি তাদের উপরে বিপর্যয় নিয়ে আসব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
وَقَدْ رَأَيْتُ فِي أَنْبِيَاءِ ٱلسَّامِرَةِ حَمَاقَةً. تَنَبَّأُوا بِٱلْبَعْلِ وَأَضَلُّوا شَعْبِي إِسْرَائِيلَ. | ١٣ 13 |
“শমরিয়ার ভাববাদীদের মধ্য আমি এই বিরক্তিকর ব্যাপার দেখেছি, তারা বায়াল-দেবতার নামে ভাববাণী করে আমার প্রজা ইস্রায়েলকে বিপথগামী করেছে।
وَفِي أَنْبِيَاءِ أُورُشَلِيمَ رَأَيْتُ مَا يُقْشَعَرُّ مِنْهُ. يَفْسِقُونَ وَيَسْلُكُونَ بِٱلْكَذِبِ، وَيُشَدِّدُونَ أَيَادِيَ فَاعِلِي ٱلشَّرِّ حَتَّى لَا يَرْجِعُوا ٱلْوَاحِدُ عَنْ شَرِّهِ. صَارُوا لِي كُلُّهُمْ كَسَدُومَ، وَسُكَّانُهَا كَعَمُورَةَ. | ١٤ 14 |
আবার জেরুশালেমের ভাববাদীদের মধ্যে, আমি এই ভয়ংকর ব্যাপার দেখেছি, তারা ব্যভিচার করে ও মিথ্যাচারের জীবন কাটায়। তারা অন্যায়কারীদের হাত শক্ত করে, যেন কেউই তার দুষ্টতার পথ থেকে না ফেরে। তারা সবাই আমার কাছে সদোমের লোকদের মতো; জেরুশালেমের লোকেরা ঘমোরার মতো।”
لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ عَنِ ٱلْأَنْبِيَاءِ: هَأَنَذَا أُطْعِمُهُمْ أَفْسَنْتِينًا وَأَسْقِيهِمْ مَاءَ ٱلْعَلْقَمِ، لِأَنَّهُ مِنْ عِنْدِ أَنْبِيَاءِ أُورُشَلِيمَ خَرَجَ نِفَاقٌ فِي كُلِّ ٱلْأَرْضِ. | ١٥ 15 |
অতএব, ভাববাদীদের সম্পর্কে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “আমি তাদের খেতে দেব তেতো আহার, পান করার জন্য বিষাক্ত জল, কারণ জেরুশালেমের সব ভাববাদীর কাছ থেকে ভক্তিহীনতা ছড়িয়ে পড়েছে সমস্ত দেশে।”
هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ: لَا تَسْمَعُوا لِكَلَامِ ٱلْأَنْبِيَاءِ ٱلَّذِينَ يَتَنَبَّأُونَ لَكُمْ، فَإِنَّهُمْ يَجْعَلُونَكُمْ بَاطِلًا. يَتَكَلَّمُونَ بِرُؤْيَا قَلْبِهِمْ لَا عَنْ فَمِ ٱلرَّبِّ. | ١٦ 16 |
বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ভাববাদীরা তোমাদের কাছে যে ভাববাণী বলে, তোমরা সেই কথা শুনো না; তারা মিথ্যা আশা তোমাদের মনে ভরায়। তাদের মনগড়া দর্শনের কথা তারা বলে, যা সদাপ্রভুর মুখ থেকে নির্গত হয়নি।
قَائِلِينَ قَوْلًا لِمُحْتَقِرِيَّ: قَالَ ٱلرَّبُّ: يَكُونُ لَكُمْ سَلَامٌ! وَيَقُولُونَ لِكُلِّ مَنْ يَسِيرُ فِي عِنَادِ قَلْبِهِ: لَا يَأْتِي عَلَيْكُمْ شَرٌّ. | ١٧ 17 |
যারা আমাকে অবজ্ঞা করে, তারা তাদের কাছে বলে যায়, ‘সদাপ্রভু বলেন: তোমাদের শান্তি হবে।’ আর যারাই তাদের হৃদয়ের একগুঁয়েমির অধীনে চলে, তারা বলে, ‘তোমাদের কোনো ক্ষতি হবে না।’
لِأَنَّهُ مَنْ وَقَفَ فِي مَجْلِسِ ٱلرَّبِّ وَرَأَى وَسَمِعَ كَلِمَتَهُ؟ مَنْ أَصْغَى لِكَلِمَتِهِ وَسَمِعَ؟». | ١٨ 18 |
কিন্তু তাদের মধ্যে কে সদাপ্রভুর সভায় দাঁড়িয়েছে তাঁকে দেখার বা তাঁর কথা শোনার জন্য? কে তাঁর বাক্য শুনে তা অবধান করেছে?
هَا زَوْبَعَةُ ٱلرَّبِّ. غَيْظٌ يَخْرُجُ، وَنَوْءٌ هَائِجٌ. عَلَى رُؤُوسِ ٱلْأَشْرَارِ يَثُورُ. | ١٩ 19 |
দেখো, সদাপ্রভুর ক্রোধ ঝড়ের মতো আছড়ে পড়বে, তা ঘূর্ণিবায়ুর মতো ঘুরে ঘুরে দুষ্টদের মাথায় পড়বে।
لَا يَرْتَدُّ غَضَبُ ٱلرَّبِّ حَتَّى يُجْرِيَ وَيُقِيمَ مَقَاصِدَ قَلْبِهِ. فِي آخِرِ ٱلْأَيَّامِ تَفْهَمُونَ فَهْمًا. | ٢٠ 20 |
সদাপ্রভুর ক্রোধ ফিরে আসবে না যতক্ষণ না তা তাঁর হৃদয়ের অভিপ্রায় পূর্ণরূপে সাধন করে। আগামী দিনগুলিতে তোমরা তা স্পষ্ট বুঝতে পারবে।
«لَمْ أُرْسِلِ ٱلْأَنْبِيَاءَ بَلْ هُمْ جَرَوْا. لَمْ أَتَكَلَّمْ مَعَهُمْ بَلْ هُمْ تَنَبَّأُوا. | ٢١ 21 |
আমি এসব ভাববাদীকে প্রেরণ করিনি, তবুও তারা নিজেদেরই বার্তা আমার বলে দাবি করেছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলিনি, তবুও তারা ভাববাণী বলেছে।
وَلَوْ وَقَفُوا فِي مَجْلِسِي لَأَخْبَرُوا شَعْبِي بِكَلَامِي وَرَدُّوهُمْ عَنْ طَرِيقِهِمِ ٱلرَّدِيءِ وَعَنْ شَرِّ أَعْمَالِهِمْ. | ٢٢ 22 |
কিন্তু, যদি তারা আমার দরবারে দাঁড়াত, তারা আমার কথা আমার প্রজাদের কাছে ঘোষণা করত এবং তাদের মন্দ পথ ও সব মন্দ কর্ম করা থেকে ফেরাত।
أَلَعَلِّي إِلَهٌ مِنْ قَرِيبٍ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَلَسْتُ إِلَهًا مِنْ بَعِيدٍ. | ٢٣ 23 |
“আমি কি কেবলমাত্র নিকটের ঈশ্বর,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি কি দূরের ঈশ্বর নই?
إِذَا ٱخْتَبَأَ إِنْسَانٌ فِي أَمَاكِنَ مُسْتَتِرَةٍ أَفَمَا أَرَاهُ أَنَا، يَقُولُ ٱلرَّبُّ؟ أَمَا أَمْلَأُ أَنَا ٱلسَّمَاوَاتِ وَٱلْأَرْضَ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ؟ | ٢٤ 24 |
কেউ কি এমন কোনো গোপন স্থানে লুকাতে পারে, যেখানে আমি তাকে দেখতে পাব না?” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “আমি কি স্বর্গ ও মর্ত্য জুড়ে থাকি না?” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
قَدْ سَمِعْتُ مَا قَالَهُ ٱلْأَنْبِيَاءُ ٱلَّذِينَ تَنَبَّأُوا بِٱسْمِي بِٱلْكَذِبِ قَائِلِينَ: حَلِمْتُ، حَلِمْتُ. | ٢٥ 25 |
“যে ভাববাদীরা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী বলে, সেই ভাববাদীরা কী বলে, আমি তা শুনেছি। তারা বলে, ‘আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি! আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি!’
حَتَّى مَتَى يُوجَدُ فِي قَلْبِ ٱلْأَنْبِيَاءِ ٱلْمُتَنَبِّئِينَ بِٱلْكَذِبِ؟ بَلْ هُمْ أَنْبِيَاءُ خِدَاعِ قَلْبِهِمِ! | ٢٦ 26 |
এসব ভণ্ড ভাববাদীর মনে কত কাল এসব থাকবে, যারা নিজেদের ভ্রান্ত মন থেকে উৎপন্ন এসব ভাববাণী বলে?
ٱلَّذِينَ يُفَكِّرُونَ أَنْ يُنَسُّوا شَعْبِي ٱسْمِي بِأَحْلَامِهِمِ ٱلَّتِي يَقُصُّونَهَا ٱلرَّجُلُ عَلَى صَاحِبِهِ، كَمَا نَسِيَ آبَاؤُهُمُ ٱسْمِي لِأَجْلِ ٱلْبَعْلِ. | ٢٧ 27 |
তারা মনে করে, পরস্পরের কাছে তারা যে স্বপ্নের কথা বলে, তার ফলে আমার প্রজারা আমার নাম ভুলে যাবে, যেভাবে তাদের পূর্বপুরুষেরা বায়াল-দেবতার উপাসনার মাধ্যমে আমার নাম ভুলে গিয়েছিল।
اَلنَّبِيُّ ٱلَّذِي مَعَهُ حُلْمٌ فَلْيَقُصَّ حُلْمًا، وَٱلَّذِي مَعَهُ كَلِمَتِي فَلْيَتَكَلَّمْ بِكَلِمَتِي بِٱلْحَقِّ. مَا لِلتِّبْنِ مَعَ ٱلْحِنْطَةِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ٢٨ 28 |
যে ভাববাদী স্বপ্ন দেখেছে, সে তার স্বপ্নের কথা বলুক, কিন্তু যার কাছে আমার বাক্য আছে, সে তা বিশ্বস্তভাবে বলুক। কারণ শস্যদানার সঙ্গে খড়ের কী সম্পর্ক?” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
«أَلَيْسَتْ هَكَذَا كَلِمَتِي كَنَارٍ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَكَمِطْرَقَةٍ تُحَطِّمُ ٱلصَّخْرَ؟ | ٢٩ 29 |
“আমার বাক্য কি আগুনের মতো নয়,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এবং তা কি কোনো হাতুড়ির মতো নয়, যা পাথরকে খণ্ড খণ্ড করে?
لِذَلِكَ هَأَنَذَا عَلَى ٱلْأَنْبِيَاءِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، ٱلَّذِينَ يَسْرِقُونَ كَلِمَتِي بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ. | ٣٠ 30 |
“সেই কারণে,” সদাপ্রভু বলেন, “আমি সেইসব ভাববাদীর বিরুদ্ধে, যারা পরস্পরের কাছ থেকে বাক্য চুরি করে ও দাবি করে যে সেই বাক্যগুলি আমার কাছ থেকে পেয়েছে।”
هَأَنَذَا عَلَى ٱلْأَنْبِيَاءِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، ٱلَّذِينَ يَأْخُذُونَ لِسَانَهُمْ وَيَقُولُونَ: قَالَ. | ٣١ 31 |
সদাপ্রভু বলেন, “হ্যাঁ, আমি সেইসব ভাববাদীর বিরুদ্ধে, যারা নিজেরা নিজেদের জিভ নাড়ায়, অথচ বলে, ‘সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।’
هَأَنَذَا عَلَى ٱلَّذِينَ يَتَنَبَّأُونَ بِأَحْلَامٍ كَاذِبَةٍ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، ٱلَّذِينَ يَقُصُّونَهَا وَيُضِلُّونَ شَعْبِي بِأَكَاذِيبِهِمْ وَمُفَاخَرَاتِهِمْ وَأَنَا لَمْ أُرْسِلْهُمْ وَلَا أَمَرْتُهُمْ. فَلَمْ يُفِيدُوا هَذَا ٱلشَّعْبَ فَائِدَةً، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ٣٢ 32 |
প্রকৃতপক্ষে, আমি তাদের বিরুদ্ধে, যারা আমার নামে মিথ্যা স্বপ্নের ভাববাণী বলে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “তারা তাদের সেগুলি বলে এবং তাদের ভাবনাচিন্তাহীন মিথ্যার দ্বারা আমার প্রজাদের বিপথগামী করে, যদিও আমি তাদের পাঠাইনি বা নিয়োগ করিনি। তারা এই লোকদের বিন্দুমাত্রও উপকার করতে পারে না,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
«وَإِذَا سَأَلَكَ هَذَا ٱلشَّعْبُ أَوْ نَبِيٌّ أَوْ كَاهِنٌ قَائِلًا: مَا وَحْيُ ٱلرَّبِّ؟ فَقُلْ لَهُمْ: أَيُّ وَحْيٍ؟ إِنِّي أَرْفُضُكُمْ، هُوَ قَوْلُ ٱلرَّبِّ. | ٣٣ 33 |
“মনে করো, কোনো প্রজা বা ভাববাদীদের বা যাজকদের মধ্যে কোনো একজন তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘সদাপ্রভু কোনও ভাববাণী দিয়ে এখন তোমাকে ভারগ্রস্ত করেছেন?’ তাহলে তাদের বোলো, ‘তোমরাই হলে সেই ভার। সদাপ্রভু বলেছেন, তিনি তোমাদের পরিত্যাগ করবেন।’
فَٱلنَّبِيُّ أَوِ ٱلْكَاهِنُ أَوِ ٱلشَّعْبُ ٱلَّذِي يَقُولُ: وَحْيُ ٱلرَّبِّ، أُعَاقِبُ ذَلِكَ ٱلرَّجُلَ وَبَيْتَهُ. | ٣٤ 34 |
কোনো ভাববাদী বা যাজক বা অন্য কেউ যদি দাবি করে, ‘এই হল সদাপ্রভুর কাছ থেকে পাওয়া প্রত্যাদেশ,’ তাহলে আমি সেই ব্যক্তিকে এবং তার পরিজনদের শাস্তি দেব।
هَكَذَا تَقُولُونَ ٱلرَّجُلُ لِصَاحِبِهِ وَٱلرَّجُلُ لِأَخِيهِ: بِمَاذَا أَجَابَ ٱلرَّبُّ؟ وَمَاذَا تَكَلَّمَ بِهِ ٱلرَّبُّ؟ | ٣٥ 35 |
তোমাদের প্রত্যেকে তার বন্ধু বা আপনজনকে এই কথা বলতে থাকো: ‘সদাপ্রভু কি উত্তর দিয়েছেন?’ অথবা ‘সদাপ্রভু কী কথা বলেছেন?’
أَمَّا وَحْيُ ٱلرَّبِّ فَلَا تَذْكُرُوهُ بَعْدُ، لِأَنَّ كَلِمَةَ كُلِّ إِنْسَانٍ تَكُونُ وَحْيَهُ، إِذْ قَدْ حَرَّفْتُمْ كَلَامَ ٱلْإِلَهِ ٱلْحَيِّ رَبِّ ٱلْجُنُودِ إِلَهِنَا. | ٣٦ 36 |
কিন্তু তোমরা আর ‘সদাপ্রভুর ভাববাণী’ বলে উল্লেখ করবে না, কারণ সব মানুষের নিজেরই কথা তার পক্ষে ভারস্বরূপ হবে এবং এইভাবে তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের সব বাক্যকে বিকৃত করে থাকো, যিনি হলেন বাহিনীগণের সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর।
هَكَذَا تَقُولُ لِلنَّبِيِّ: بِمَاذَا أَجَابَكَ ٱلرَّبُّ؟ وَمَاذَا تَكَلَّمَ بِهِ ٱلرَّبُّ؟ | ٣٧ 37 |
তোমরা এই কথা কোনো ভাববাদীকে বলতে থাকো, ‘আপনাকে সদাপ্রভু কী উত্তর দিয়েছেন?’ বা ‘সদাপ্রভু কী কথা বলেছেন?’
وَإِذَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ: وَحْيُ ٱلرَّبِّ، فَلِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: مِنْ أَجْلِ قَوْلِكُمْ هَذِهِ ٱلْكَلِمَةَ: وَحْيُ ٱلرَّبِّ، وَقَدْ أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ قَائِلًا لَا تَقُولُوا: وَحْيُ ٱلرَّبِّ، | ٣٨ 38 |
তোমরা যদিও দাবি করো, ‘এই হল সদাপ্রভুর ভাববাণী,’ একথা সদাপ্রভু বলেন: তোমরা এই কথাগুলি ব্যবহার করো, ‘এই হল সদাপ্রভুর ভাববাণী,’ যদিও আমি তোমাদের বলেছি, তোমরা ‘এই হল সদাপ্রভুর ভাববাণী,’ একথা অবশ্যই আর বলবে না।
لِذَلِكَ هَأَنَذَا أَنْسَاكُمْ نِسْيَانًا، وَأَرْفُضُكُمْ مِنْ أَمَامِ وَجْهِي، أَنْتُمْ وَٱلْمَدِينَةَ ٱلَّتِي أَعْطَيْتُكُمْ وَآبَاءَكُمْ إِيَّاهَا. | ٣٩ 39 |
অতএব, আমি নিশ্চিতরূপে তোমাদের ভুলে যাব এবং যে নগর আমি তোমাদের ও তোমাদের পিতৃপুরুষদের দিয়েছিলাম, তা আমার উপস্থিতি থেকে দূরে নিক্ষেপ করব।
وَأَجْعَلُ عَلَيْكُمْ عَارًا أَبَدِيًّا وَخِزْيًا أَبَدِيًّا لَا يُنْسَى». | ٤٠ 40 |
আমি তোমাদের উপরে চিরস্থায়ী দুর্নাম নিয়ে আসব—এক চিরকালীন লজ্জা, যা লোকেরা ভুলে যাবে না।”