< إِشَعْيَاءَ 65 >
«أَصْغَيْتُ إِلَى ٱلَّذِينَ لَمْ يَسْأَلُوا. وُجِدْتُ مِنَ ٱلَّذِينَ لَمْ يَطْلُبُونِي. قُلْتُ: هَأَنَذَا، هَأَنَذَا. لِأُمَّةٍ لَمْ تُسَمَّ بِٱسْمِي. | ١ 1 |
“যারা আমাকে চায়নি, আমি তাদের কাছে নিজেকে প্রকাশ করেছি; যারা আমার অন্বেষণ করেনি, তারা আমাকে খুঁজে পেয়েছে। যে জাতি আমার নামে ডাকেনি, তাদের আমি বলেছি, ‘এই আমি, এই যে আমি এখানে।’
بَسَطْتُ يَدَيَّ طُولَ ٱلنَّهَارِ إِلَى شَعْبٍ مُتَمَرِّدٍ سَائِرٍ فِي طَرِيقٍ غَيْرِ صَالِحٍ وَرَاءَ أَفْكَارِهِ. | ٢ 2 |
সমস্ত দিন, আমি এক বিদ্রোহী প্রজাবৃন্দের উদ্দেশে আমার দু-হাত বাড়িয়ে রেখেছিলাম, তারা এমন সব জীবনযাপন করে, যা ভালো নয়, তারা নিজেদের কল্পনা অনুযায়ী কাজ করে।
شَعْبٍ يُغِيظُنِي بِوَجْهِي. دَائِمًا يَذْبَحُ فِي ٱلْجَنَّاتِ، وَيُبَخِّرُ عَلَى ٱلْآجُرِّ. | ٣ 3 |
তারা এমন এক জাতি, যারা আমার মুখের উপরেই নিত্য আমাকে প্ররোচিত করে, বিভিন্ন উদ্যানের মধ্যে বলি দেয় ও ইটের তৈরি বেদির উপরে ধূপদাহ করে;
يَجْلِسُ فِي ٱلْقُبُورِ، وَيَبِيتُ فِي ٱلْمَدَافِنِ. يَأْكُلُ لَحْمَ ٱلْخِنْزِيرِ، وَفِي آنِيَتِهِ مَرَقُ لُحُومٍ نَجِسَةٍ. | ٤ 4 |
তারা কবরের স্থানগুলিতে বসে গুপ্ত স্থানে রাত জেগে কাটায়; তারা শূকরের মাংস ভোজন করে ও তাদের পাত্রে অশুচি মাংসের ঝোল থাকে।
يَقُولُ: قِفْ عِنْدَكَ. لَا تَدْنُ مِنِّي لِأَنِّي أَقْدَسُ مِنْكَ. هَؤُلَاءِ دُخَانٌ فِي أَنْفِي، نَارٌ مُتَّقِدَةٌ كُلَّ ٱلنَّهَارِ. | ٥ 5 |
তারা বলে, ‘দূরে থাকো; আমার কাছে এসো না, কারণ আমি তোমাদের চেয়ে বেশি পবিত্র!’ এই লোকেরা আমার নাকের কাছে ধোঁয়ার মতো, সমস্ত দিন তারা যেন প্রজ্বলিত আগুন।
هَا قَدْ كُتِبَ أَمَامِي. لَا أَسْكُتُ بَلْ أُجَازِي. أُجَازِي فِي حِضْنِهِمْ، | ٦ 6 |
“দেখো, এ আমার সামনে লিখিত আছে: আমি নীরব থাকব না, কিন্তু পূর্ণ প্রতিফল দেব; আমি তাদের কোলেই তা ফিরিয়ে দেব—
آثَامَكُمْ وَآثَامَ آبَائِكُمْ مَعًا قَالَ ٱلرَّبُّ، ٱلَّذِينَ بَخَّرُوا عَلَى ٱلْجِبَالِ، وَعَيَّرُونِي عَلَى ٱلْآكَامِ، فَأَكِيلُ عَمَلَهُمُ ٱلْأَوَّلَ فِي حِضْنِهِمْ». | ٧ 7 |
তোমাদের পাপ ও তোমাদের পিতৃপুরুষদের কৃত যত পাপ,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “যেহেতু তারা পর্বতে পর্বতে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং পাহাড়গুলির উপরে আমাকে অপমান করেছে, আমি তাদের পূর্বেকার কৃতকর্ম অনুযায়ী পূর্ণমাত্রায় তাদের প্রতিশোধ দেব।”
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: «كَمَا أَنَّ ٱلسُّلَافَ يُوجَدُ فِي ٱلْعُنْقُودِ، فَيَقُولُ قَائِلٌ: لَا تُهْلِكْهُ لِأَنَّ فِيهِ بَرَكَةً. هَكَذَا أَعْمَلُ لِأَجْلِ عَبِيدِي حَتَّى لَا أُهْلِكَ ٱلْكُلَّ. | ٨ 8 |
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যেমন দ্রাক্ষাফলের গুচ্ছে রস পূর্ণ দেখে, লোকেরা বলে, ‘এটি নষ্ট কোরো না, কারণ এতে এখনও আশীর্বাদ আছে,’ তেমনই আমি আমার দাসদের পক্ষে করব; আমি তাদের সবাইকে ধ্বংস করব না।
بَلْ أُخْرِجُ مِنْ يَعْقُوبَ نَسْلًا وَمِنْ يَهُوذَا وَارِثًا لِجِبَالِي، فَيَرِثُهَا مُخْتَارِيَّ، وَتَسْكُنُ عَبِيدِي هُنَاكَ. | ٩ 9 |
আমি যাকোবের কুল থেকে এক বংশের, এবং যিহূদা থেকে আমার পর্বতগুলির এক উত্তরাধিকারীকে তুলে ধরব; আমার মনোনীত প্রজারা তা অধিকার করবে, সেখানে আমার দাসেরা বসবাস করবে।
فَيَكُونُ شَارُونُ مَرْعَى غَنَمٍ، وَوَادِي عَخُورَ مَرْبِضَ بَقَرٍ، لِشَعْبِي ٱلَّذِينَ طَلَبُونِي. | ١٠ 10 |
আমার অন্বেষী প্রজাদের জন্য, শারোণ মেষপালের এক চারণভূমি হবে, আর আখোর উপত্যকা হবে পশুপালের এক বিশ্রামস্থান।
«أَمَّا أَنْتُمُ ٱلَّذِينَ تَرَكُوا ٱلرَّبَّ وَنَسُوا جَبَلَ قُدْسِي، وَرَتَّبُوا لِلسَّعْدِ ٱلْأَكْبَرِ مَائِدَةً، وَمَلَأُوا لِلسَّعْدِ ٱلْأَصْغَرِ خَمْرًا مَمْزُوجَةً، | ١١ 11 |
“কিন্তু তোমরা যারা সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করো, ও আমার পবিত্র পর্বতকে ভুলে যাও, যারা ভাগ্যদেবের জন্য মেজ সাজাও ও নিয়তিদেবের উদ্দেশে মিশ্রিত সুরার পাত্র পূর্ণ করো,
فَإِنِّي أُعَيِّنُكُمْ لِلسَّيْفِ، وَتَجْثُونَ كُلُّكُمْ لِلذَّبْحِ، لِأَنِّي دَعَوْتُ فَلَمْ تُجِيبُوا، تَكَلَّمْتُ فَلَمْ تَسْمَعُوا، بَلْ عَمِلْتُمُ ٱلشَّرَّ فِي عَيْنَيَّ، وَٱخْتَرْتُمْ مَا لَمْ أُسَرَّ بِهِ. | ١٢ 12 |
আমি তাদের জন্য তরোয়াল নিরূপণ করব, তখন তোমরা ঘাতকদের কাছে মাথা নিচু করবে; কারণ আমি ডাকলে তোমরা উত্তর দিতে না, আমি কথা বললে তোমরা শুনতে না। তোমরা আমার দৃষ্টিতে অন্যায় করেছ, যা আমাকে অসন্তুষ্ট করে, তোমরা তাই করেছ।”
لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ: هُوَذَا عَبِيدِي يَأْكُلُونَ وَأَنْتُمْ تَجُوعُونَ. هُوَذَا عَبِيدِي يَشْرَبُونَ وَأَنْتُمْ تَعْطَشُونَ. هُوَذَا عَبِيدِي يَفْرَحُونَ وَأَنْتُمْ تَخْزَوْنَ. | ١٣ 13 |
সেই কারণে, সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমার দাসেরা ভোজন করবে, কিন্তু তোমরা ক্ষুধার্ত থাকবে; আমার দাসেরা পান করবে, কিন্তু তোমরা তৃষ্ণার্ত থাকবে; আমার দাসেরা আনন্দ করবে, কিন্তু তোমরা লজ্জিত হবে।
هُوَذَا عَبِيدِي يَتَرَنَّمُونَ مِنْ طِيبَةِ ٱلْقَلْبِ وَأَنْتُمْ تَصْرُخُونَ مِنْ كآبَةِ ٱلْقَلْبِ، وَمِنِ ٱنْكِسَارِ ٱلرُّوحِ تُوَلْوِلُونَ. | ١٤ 14 |
আমার দাসেরা গান গাইবে তাদের মনের আনন্দে, কিন্তু তোমাদের মনস্তাপের জন্য তোমরা কাঁদতে থাকবে ও ভগ্ন আত্মার জ্বালায় হাহাকার করবে।
وَتُخْلِفُونَ ٱسْمَكُمْ لَعْنَةً لِمُخْتَارِيَّ، فَيُمِيتُكَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ وَيُسَمِّي عَبِيدَهُ ٱسْمًا آخَرَ. | ١٥ 15 |
তোমরা আমার মনোনীত লোকদের মাঝে তোমাদের নাম অভিশাপরূপে রেখে যাবে; সার্বভৌম সদাপ্রভু তোমাদের মৃত্যুতে সমর্পণ করবেন, কিন্তু তাঁর দাসেদের তিনি অন্য এক নাম দেবেন।
فَٱلَّذِي يَتَبَرَّكُ فِي ٱلْأَرْضِ يَتَبَرَّكُ بِإِلَهِ ٱلْحَقِّ، وَٱلَّذِي يَحْلِفُ فِي ٱلْأَرْضِ يَحْلِفُ بِإِلَهِ ٱلْحَقِّ، لِأَنَّ ٱلضِّيقَاتِ ٱلْأُولَى قَدْ نُسِيَتْ، وَلِأَنَّهَا ٱسْتَتَرَتْ عَنْ عَيْنَيَّ. | ١٦ 16 |
কেউ যদি দেশে কোনো আশীর্বাদের জন্য মিনতি করে, সে সত্যময় ঈশ্বরের নামেই তা করবে; যে দেশে কোনো শপথ গ্রহণ করে, সে সত্যময় ঈশ্বরের নামেই তা করবে। কারণ অতীতের সব দুঃখকষ্ট বিস্মৃত হবে, আমার চোখ থেকে তা গুপ্ত থাকবে।
«لِأَنِّي هَأَنَذَا خَالِقٌ سَمَاوَاتٍ جَدِيدَةً وَأَرْضًا جَدِيدَةً، فَلَا تُذْكَرُ ٱلْأُولَى وَلَا تَخْطُرُ عَلَى بَالٍ. | ١٧ 17 |
“দেখো, আমি নতুন আকাশমণ্ডল ও এক নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করি। পূর্বের বিষয়গুলি আর স্মরণ করা হবে না, সেগুলি আর মনেও আসবে না।
بَلِ ٱفْرَحُوا وَٱبْتَهِجُوا إِلَى ٱلْأَبَدِ فِي مَا أَنَا خَالِقٌ، لِأَنِّي هَأَنَذَا خَالِقٌ أُورُشَلِيمَ بَهْجَةً وَشَعْبَهَا فَرَحًا. | ١٨ 18 |
কিন্তু আমি যা সৃষ্টি করব, তার জন্য আনন্দিত ও চিরকালের জন্য উল্লসিত হও, কারণ আমি জেরুশালেমকে হর্ষের জন্য ও তার লোকেদের আনন্দের জন্য সৃষ্টি করব।
فَأَبْتَهِجُ بِأُورُشَلِيمَ وَأَفْرَحُ بِشَعْبِي، وَلَا يُسْمَعُ بَعْدُ فِيهَا صَوْتُ بُكَاءٍ وَلَا صَوْتُ صُرَاخٍ. | ١٩ 19 |
আমি জেরুশালেমের জন্য উল্লসিত হব ও আমার প্রজাদের জন্য হর্ষিত হব; ক্রন্দন কিংবা বিলাপের ধ্বনি আর কখনও সেখানে শোনা যাবে না।
لَا يَكُونُ بَعْدُ هُنَاكَ طِفْلُ أَيَّامٍ، وَلَا شَيْخٌ لَمْ يُكْمِلْ أَيَّامَهُ. لِأَنَّ ٱلصَّبِيَّ يَمُوتُ ٱبْنَ مِئَةِ سَنَةٍ، وَٱلْخَاطِئُ يُلْعَنُ ٱبْنَ مِئَةِ سَنَةٍ. | ٢٠ 20 |
“আর কখনও তার মধ্যে কোনো শিশু কিছুকাল বেঁচে থেকে কিংবা কোনো বৃদ্ধ পূর্ণবয়স্ক না হয়ে মারা যাবে না; যে একশো বছর বয়সে মারা যায়, তাকে নিতান্তই যুবক বলা হবে; আর যে পাপীর একশো বছর পরমায়ু হয় না, সে অভিশপ্ত বিবেচিত হবে।
وَيَبْنُونَ بُيُوتًا وَيَسْكُنُونَ فِيهَا، وَيَغْرِسُونَ كُرُومًا وَيَأْكُلُونَ أَثْمَارَهَا. | ٢١ 21 |
তারা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে সেগুলির মধ্যে বসবাস করবে; তারা দ্রাক্ষাকুঞ্জ রোপণ করে তার ফল ভক্ষণ করবে।
لَا يَبْنُونَ وَآخَرُ يَسْكُنُ، وَلَا يَغْرِسُونَ وَآخَرُ يَأْكُلُ. لِأَنَّهُ كَأَيَّامِ شَجَرَةٍ أَيَّامُ شَعْبِي، وَيَسْتَعْمِلُ مُخْتَارِيَّ عَمَلَ أَيْدِيهِمْ. | ٢٢ 22 |
তারা গৃহ নির্মাণ করলে, আর কখনও তার মধ্যে অন্য কেউ বাস করবে না, বা বৃক্ষরোপণ করলে, অন্য কেউ তার ফল খাবে না। কারণ কোনো বৃক্ষের আয়ুর মতোই আমার প্রজাদের পরমায়ু হবে; আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘদিন তাদের হস্তকৃত কর্মফল উপভোগ করবে।
لَا يَتْعَبُونَ بَاطِلًا وَلَا يَلِدُونَ لِلرُّعْبِ، لِأَنَّهُمْ نَسْلُ مُبَارَكِي ٱلرَّبِّ، وَذُرِّيَّتُهُمْ مَعَهُمْ. | ٢٣ 23 |
তারা বৃথা পরিশ্রম করবে না, বা দুর্ভাগ্যের জন্য সন্তানদের জন্ম দেবে না; কারণ তারা এবং তাদের বংশধরেরা সদাপ্রভুর আশীর্বাদধন্য এক জাতি হবে।
وَيَكُونُ أَنِّي قَبْلَمَا يَدْعُونَ أَنَا أُجِيبُ، وَفِيمَا هُمْ يَتَكَلَّمُونَ بَعْدُ أَنَا أَسْمَعُ. | ٢٤ 24 |
তারা ডাকবার আগেই আমি উত্তর দেব; তারা কথা বলতে না বলতেই আমি তা শুনব।
ٱلذِّئْبُ وَٱلْحَمَلُ يَرْعَيَانِ مَعًا، وَٱلْأَسَدُ يَأْكُلُ ٱلتِّبْنَ كَٱلْبَقَرِ. أَمَّا ٱلْحَيَّةُ فَٱلتُّرَابُ طَعَامُهَا. لَا يُؤْذُونَ وَلَا يُهْلِكُونَ فِي كُلِّ جَبَلِ قُدْسِي، قَالَ ٱلرَّبُّ». | ٢٥ 25 |
নেকড়েবাঘ ও মেষশাবক একসঙ্গে চরে বেড়াবে, সিংহ বলদের মতোই বিচালি খাবে এবং ধুলোই হবে সাপের খাবার। আমার পবিত্র পর্বতের কোনো স্থানে তারা কোনো ক্ষতি বা ধ্বংস করতে পারবে না,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।