< إِشَعْيَاءَ 54 >
«تَرَنَّمِي أَيَّتُهَا ٱلْعَاقِرُ ٱلَّتِي لَمْ تَلِدْ. أَشِيدِي بِٱلتَّرَنُّمِ أَيَّتُهَا ٱلَّتِي لَمْ تَمْخَضْ، لِأَنَّ بَنِي ٱلْمُسْتَوْحِشَةِ أَكْثَرُ مِنْ بَنِي ذَاتِ ٱلْبَعْلِ، قَالَ ٱلرَّبُّ. | ١ 1 |
“গান গাও, ওগো বন্ধ্যা নারী, তুমি, যে কখনও সন্তানের জন্ম দাওনি; সংগীতে ফেটে পড়ো, আনন্দে চিৎকার করো, যারা কখনও প্রসবযন্ত্রণা ভোগ করোনি; কারণ যার স্বামী আছে, সেই নারীর চেয়ে, যে নারী পরিত্যক্তা, তার সন্তান বেশি,” সদাপ্রভু একথা বলেন।
أَوْسِعِي مَكَانَ خَيْمَتِكِ، وَلْتُبْسَطْ شُقَقُ مَسَاكِنِكِ. لَا تُمْسِكِي. أَطِيلِي أَطْنَابَكِ وَشَدِّدِي أَوْتَادَكِ، | ٢ 2 |
“তোমার তাঁবুর স্থান আরও প্রশস্ত করো, তোমার তাঁবুর পর্দাগুলি আরও প্রসারিত করো, খরচের ভয় কোরো না; তোমার তাঁবুর দড়িগুলি আরও লম্বা করো, তোমার গোঁজগুলি আরও শক্ত করো।
لِأَنَّكِ تَمْتَدِّينَ إِلَى ٱلْيَمِينِ وَإِلَى ٱلْيَسَارِ، وَيَرِثُ نَسْلُكِ أُمَمًا، وَيُعْمِرُ مُدُنًا خَرِبَةً. | ٣ 3 |
কারণ তুমি ডান ও বাঁ, উভয় দিকে প্রসারিত হবে; তোমার বংশধরেরা জাতিসমূহকে অধিকারচ্যুত করবে ও তাদের পরিত্যক্ত নগরগুলিতে বসবাস করবে।
لَا تَخَافِي لِأَنَّكِ لَا تَخْزَيْنَ، وَلَا تَخْجَلِي لِأَنَّكِ لَا تَسْتَحِينَ. فَإِنَّكِ تَنْسَيْنَ خِزْيَ صَبَاكِ، وَعَارُ تَرَمُّلِكِ لَا تَذْكُرِينَهُ بَعْدُ. | ٤ 4 |
“তুমি ভয় পেয়ো না, তুমি লজ্জিত হবে না। তুমি অপমানের ভয় কোরো না; তোমাকে অসম্মানিত করা হবে না। তুমি তোমার যৌবনকালের লজ্জা ভুলে যাবে, তোমার বৈধব্যের দুর্নাম আর কখনও স্মরণ করবে না।
لِأَنَّ بَعْلَكِ هُوَ صَانِعُكِ، رَبُّ ٱلْجُنُودِ ٱسْمُهُ، وَوَلِيُّكِ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ، إِلَهَ كُلِّ ٱلْأَرْضِ يُدْعَى. | ٥ 5 |
কারণ তোমার নির্মাতাই তোমার স্বামী— সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু তাঁর নাম— ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন তোমার মুক্তিদাতা; তিনি সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর নামে আখ্যাত।
لِأَنَّهُ كَٱمْرَأَةٍ مَهْجُورَةٍ وَمَحْزُونَةِ ٱلرُّوحِ دَعَاكِ ٱلرَّبُّ، وَكَزَوْجَةِ ٱلصِّبَا إِذَا رُذِلَتْ، قَالَ إِلَهُكِ. | ٦ 6 |
সদাপ্রভু তোমাকে আবার ডাকবেন, তুমি যেন এক পরিত্যক্ত ও আত্মায় বিপর্যস্ত এক স্ত্রীর মতো— এক স্ত্রী, যার যৌবনকালে বিবাহ হয়েছিল কেবলমাত্র অগ্রাহ্য হওয়ার জন্য,” বলেন তোমার ঈশ্বর।
لُحَيْظَةً تَرَكْتُكِ، وَبِمَرَاحِمَ عَظِيمَةٍ سَأَجْمَعُكِ. | ٧ 7 |
“ক্ষণিক মুহূর্তের জন্য আমি তোমাকে পরিত্যাগ করেছিলাম, কিন্তু গভীর মমতায় আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব।
بِفَيَضَانِ ٱلْغَضَبِ حَجَبْتُ وَجْهِي عَنْكِ لَحْظَةً، وَبِإِحْسَانٍ أَبَدِيٍّ أَرْحَمُكِ، قَالَ وَلِيُّكِ ٱلرَّبُّ. | ٨ 8 |
ক্রোধের আবেশে আমি তোমার কাছ থেকে ক্ষণিকের জন্য আমার মুখ লুকিয়েছিলাম, কিন্তু চিরন্তন করুণায় আমি তোমার প্রতি মমতা করব,” বলেন সদাপ্রভু, তোমার মুক্তিদাতা।
لِأَنَّهُ كَمِيَاهِ نُوحٍ هَذِهِ لِي. كَمَا حَلَفْتُ أَنْ لَا تَعْبُرَ بَعْدُ مِيَاهُ نُوحٍ عَلَى ٱلْأَرْضِ، هَكَذَا حَلَفْتُ أَنْ لَا أَغْضَبَ عَلَيْكِ وَلَا أَزْجُرَكِ. | ٩ 9 |
“আমার কাছে এ যেন নোহের সময়ের মতো, যখন আমি শপথ করেছিলাম যে, নোহের সময়কালীন জলরাশি আর কখনও পৃথিবীকে প্লাবিত করবে না। সেরকমই, এখন আমি প্রতিজ্ঞা করছি, তোমার উপরে আর ক্রুদ্ধ হব না, তোমাকে আর কখনও তিরস্কার করব না।
فَإِنَّ ٱلْجِبَالَ تَزُولُ، وَٱلْآكَامَ تَتَزَعْزَعُ، أَمَّا إِحْسَانِي فَلَا يَزُولُ عَنْكِ، وَعَهْدُ سَلَامِي لَا يَتَزَعْزَعُ، قَالَ رَاحِمُكِ ٱلرَّبُّ. | ١٠ 10 |
যদিও পর্বতসকল কম্পিত হয়, পাহাড়গুলি অপসারিত হতে থাকে, তবুও তোমার প্রতি আমার অফুরান ভালোবাসা কখনও সরে যাবে না, আমার শান্তিচুক্তিও অপসারিত হবে না,” একথা বলেন সদাপ্রভু, যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন।
«أَيَّتُهَا ٱلذَّلِيلَةُ ٱلْمُضْطَرِبَةُ غَيْرُ ٱلْمُتَعَزِّيَةِ، هَأَنَذَا أَبْنِي بِٱلْأُثْمُدِ حِجَارَتَكِ، وَبِٱلْيَاقُوتِ ٱلْأَزْرَقِ أُؤَسِّسُكِ، | ١١ 11 |
ওহে দুর্দশাগ্রস্ত, ঝড়ে আহত, সান্ত্বনাবিহীন নগরী, আমি ফিরোজা মণি দিয়ে তোমাকে গেঁথে তুলব, তোমার ভিত্তিমূলগুলি হবে নীলকান্তমণির।
وَأَجْعَلُ شُرَفَكِ يَاقُوتًا، وَأَبْوَابَكِ حِجَارَةً بَهْرَمَانِيَّةً، وَكُلَّ تُخُومِكِ حِجَارَةً كَرِيمَةً | ١٢ 12 |
আমি পদ্মরাগমণি দিয়ে তোমার প্রাচীরের আলিসা, তোমার তোরণদ্বারগুলি ঝকমকে মণি দিয়ে গাঁথব, তোমার প্রাচীরগুলি সব বহুমূল্য মণি দিয়ে গাঁথা হবে।
وَكُلَّ بَنِيكِ تَلَامِيذَ ٱلرَّبِّ، وَسَلَامَ بَنِيكِ كَثِيرًا. | ١٣ 13 |
তোমার সন্তানেরা সকলে সদাপ্রভুর কাছ থেকে শিক্ষা পাবে, তোমার ছেলেমেয়েরা মহাশান্তি ভোগ করবে।
بِٱلْبِرِّ تُثَبَّتِينَ بَعِيدَةً عَنِ ٱلظُّلْمِ فَلَا تَخَافِينَ، وَعَنِ ٱلِٱرْتِعَابِ فَلَا يَدْنُو مِنْكِ. | ١٤ 14 |
ধার্মিকতায় তুমি প্রতিষ্ঠিত হবে: উপদ্রব থেকে তুমি দূরে থাকবে; তোমার ভয় করার কিছু থাকবে না। আতঙ্ক বহুদূরে সরিয়ে ফেলা হবে, তা তোমার কাছে আসবে না।
هَا إِنَّهُمْ يَجْتَمِعُونَ ٱجْتِمَاعًا لَيْسَ مِنْ عِنْدِي. مَنِ ٱجْتَمَعَ عَلَيْكِ فَإِلَيْكِ يَسْقُطُ. | ١٥ 15 |
কেউ যদি তোমাকে আক্রমণ করে, তা আমার থেকে হবে না; যে কেউই তোমাকে আক্রমণ করুক, সে তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে।
هَأَنَذَا قَدْ خَلَقْتُ ٱلْحَدَّادَ ٱلَّذِي يَنْفُخُ ٱلْفَحْمَ فِي ٱلنَّارِ وَيُخْرِجُ آلَةً لِعَمَلِهِ، وَأَنَا خَلَقْتُ ٱلْمُهْلِكَ لِيَخْرِبَ. | ١٦ 16 |
“দেখো, আমি সেই কর্মকারকে সৃষ্টি করেছি, যে হাপরে বাতাস দিয়ে অঙ্গার প্রজ্বলিত করে ও কাজের উপযুক্ত এক অস্ত্র গঠন করে। বিনাশককে ধ্বংস করার জন্য আমিই সৃষ্টি করেছি;
«كُلُّ آلَةٍ صُوِّرَتْ ضِدَّكِ لَا تَنْجَحُ، وَكُلُّ لِسَانٍ يَقُومُ عَلَيْكِ فِي ٱلْقَضَاءِ تَحْكُمِينَ عَلَيْهِ. هَذَا هُوَ مِيرَاثُ عَبِيدِ ٱلرَّبِّ وَبِرُّهُمْ مِنْ عِنْدِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. | ١٧ 17 |
তোমার বিরুদ্ধে গঠিত কোনো অস্ত্র সফল হবে না, তোমার বিরুদ্ধে প্রত্যেক জিহ্বার অভিযোগ তুমি খণ্ডন করবে। সদাপ্রভুর দাসেদের এই হল অধিকার, আমার কাছে তারা এভাবেই নির্দোষ প্রতিপন্ন হবে,” সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।