< إِشَعْيَاءَ 42 >
«هُوَذَا عَبْدِي ٱلَّذِي أَعْضُدُهُ، مُخْتَارِي ٱلَّذِي سُرَّتْ بِهِ نَفْسِي. وَضَعْتُ رُوحِي عَلَيْهِ فَيُخْرِجُ ٱلْحَقَّ لِلْأُمَمِ. | ١ 1 |
“এই আমার দাস, যাঁকে আমি ধরে রাখি, আমার মনোনীত জন, যাঁর কারণে আমি আনন্দ পাই; আমি তাঁর উপরে আমার আত্মা স্থাপন করব, তিনি জাতিসমূহের জন্য ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন।
لَا يَصِيحُ وَلَا يَرْفَعُ وَلَا يُسْمِعُ فِي ٱلشَّارِعِ صَوْتَهُ. | ٢ 2 |
তিনি চিৎকার বা উচ্চশব্দ করবেন না, কিংবা পথে পথে নিজের কণ্ঠস্বর শোনাবেন না।
قَصَبَةً مَرْضُوضَةً لَا يَقْصِفُ، وَفَتِيلَةً خَامِدَةً لَا يُطْفِئُ. إِلَى ٱلْأَمَانِ يُخْرِجُ ٱلْحَقَّ. | ٣ 3 |
তিনি দলিত নলখাগড়া ভেঙে ফেলবেন না, এবং ধূমায়িত সলতে নির্বাপিত করবেন না। বিশ্বস্ততায় তিনি ন্যায়বিচার আনয়ন করবেন;
لَا يَكِلُّ وَلَا يَنْكَسِرُ حَتَّى يَضَعَ ٱلْحَقَّ فِي ٱلْأَرْضِ، وَتَنْتَظِرُ ٱلْجَزَائِرُ شَرِيعَتَهُ». | ٤ 4 |
তিনি মনোবল হারাবেন না বা হতাশ হবেন না, যতক্ষণ না পৃথিবীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেন। দ্বীপপুঞ্জ তাঁর বিধিবিধানে আস্থা রাখবে।”
هَكَذَا يَقُولُ ٱللهُ ٱلرَّبُّ، خَالِقُ ٱلسَّمَاوَاتِ وَنَاشِرُهَا، بَاسِطُ ٱلْأَرْضِ وَنَتَائِجِهَا، مُعْطِي ٱلشَّعْبِ عَلَيْهَا نَسَمَةً، وَٱلسَّاكِنِينَ فِيهَا رُوحًا: | ٥ 5 |
সদাপ্রভু ঈশ্বর এই কথা বলেন, সেই সদাপ্রভু, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করে তা প্রসারিত করেছেন, যিনি পৃথিবী ও তার অভ্যন্তরস্থ সবকিছুই বিছিয়ে দিয়েছেন, যিনি তাঁর লোকেদের মধ্যে শ্বাসবায়ু সঞ্চার করেন ও তার মধ্যে জীবনযাপনকারী সকলকে জীবন দেন:
«أَنَا ٱلرَّبَّ قَدْ دَعَوْتُكَ بِٱلْبِرِّ، فَأُمْسِكُ بِيَدِكَ وَأَحْفَظُكَ وَأَجْعَلُكَ عَهْدًا لِلشَّعْبِ وَنُورًا لِلْأُمَمِ، | ٦ 6 |
“আমি সদাপ্রভু ধার্মিকতায় তোমাকে আহ্বান করেছি; আমি তোমার হাত ধরে থাকব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং তোমাকে প্রজাদের জন্য এক চুক্তি এবং অইহুদি জাতিদের জন্য এক জ্যোতিস্বরূপ করব,
لِتَفْتَحَ عُيُونَ ٱلْعُمْيِ، لِتُخْرِجَ مِنَ ٱلْحَبْسِ ٱلْمَأْسُورِينَ، مِنْ بَيْتِ ٱلسِّجْنِ ٱلْجَالِسِينَ فِي ٱلظُّلْمَةِ. | ٧ 7 |
যেন অন্ধদের দৃষ্টি উন্মোচন করা হয়, কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্ত করা হয় এবং যারা কারাকূপের অন্ধকারে বসে থাকে, তাদের মুক্ত করা হয়।
«أَنَا ٱلرَّبُّ هَذَا ٱسْمِي، وَمَجْدِي لَا أُعْطِيهِ لِآخَرَ، وَلَا تَسْبِيحِي لِلْمَنْحُوتَاتِ. | ٨ 8 |
“আমি সদাপ্রভু; এই আমার নাম! আমার মহিমা আমি অন্য কাউকে দেব না, বা আমার প্রশংসা ক্ষোদিত প্রতিমাদের দেব না।
هُوَذَا ٱلْأَوَّلِيَّاتُ قَدْ أَتَتْ، وَٱلْحَدِيثَاتُ أَنَا مُخْبِرٌ بِهَا. قَبْلَ أَنْ تَنْبُتَ أُعْلِمُكُمْ بِهَا». | ٩ 9 |
দেখো, পূর্বের বিষয়গুলি পূর্ণ হয়েছে এবং নতুন সব বিষয় আমি ঘোষণা করছি; সেগুলি ঘটবার পূর্বেই আমি সেগুলি তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি।”
غَنُّوا لِلرَّبِّ أُغْنِيَةً جَدِيدَةً، تَسْبِيحَهُ مِنْ أَقْصَى ٱلْأَرْضِ. أَيُّهَا ٱلْمُنْحَدِرُونَ فِي ٱلْبَحْرِ وَمِلْؤُهُ وَٱلْجَزَائِرُ وَسُكَّانُهَا، | ١٠ 10 |
সমুদ্রযাত্রী ও সমুদ্রের অভ্যন্তরস্থ সবকিছু, দ্বীপপুঞ্জ ও সেগুলির মধ্যে বসবাসকারী সকলে, তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক নতুন গীত গাও, পৃথিবীর প্রান্তসীমা থেকে তাঁর প্রশংসা ধ্বনিত হোক।
لِتَرْفَعِ ٱلْبَرِّيَّةُ وَمُدُنُهَا صَوْتَهَا، ٱلدِّيَارُ ٱلَّتِي سَكَنَهَا قِيدَارُ. لِتَتَرَنَّمْ سُكَّانُ سَالِعَ. مِنْ رُؤُوسِ ٱلْجِبَالِ لِيَهْتِفُوا. | ١١ 11 |
মরুভূমি ও তার নগরগুলি তাদের কণ্ঠস্বর তুলুক, কেদরের উপনিবেশগুলিতে বসবাসকারী লোকেরা উল্লসিত হোক। সেলা-র লোকেরা আনন্দে গান করুক; পর্বতশিখরগুলি থেকে তারা চিৎকার করুক।
لِيُعْطُوا ٱلرَّبَّ مَجْدًا وَيُخْبِرُوا بِتَسْبِيحِهِ فِي ٱلْجَزَائِرِ. | ١٢ 12 |
তারা সদাপ্রভুকে মহিমা প্রদান করুক, দ্বীপগুলিতে তাঁর প্রশংসা ঘোষণা করুক।
ٱلرَّبُّ كَٱلْجَبَّارِ يَخْرُجُ. كَرَجُلِ حُرُوبٍ يُنْهِضُ غَيْرَتَهُ. يَهْتِفُ وَيَصْرُخُ وَيَقْوَى عَلَى أَعْدَائِهِ. | ١٣ 13 |
পরাক্রান্ত বীরের মতো সদাপ্রভু অভিযান করবেন, যোদ্ধার মতোই তাঁর উদ্যম আলোড়িত হবে; রণনাদে তিনি মহা চিৎকার করবেন এবং তাঁর সব শত্রুর উপরে তিনি বিজয়ী হবেন।
«قَدْ صَمَتُّ مُنْذُ ٱلدَّهْرِ. سَكَتُّ. تَجَلَّدْتُ. كَٱلْوَالِدَةِ أَصِيحُ. أَنْفُخُ وَأَنَخُرُ مَعًا. | ١٤ 14 |
“দীর্ঘ সময় ধরে আমি নিশ্চুপ আছি, আমি শান্ত থেকে নিজেকে দমন করেছি। কিন্তু এখন, প্রসববেদনাতুরা স্ত্রীর মতো, আমি চিৎকার করছি, হাঁপাচ্ছি ও দীর্ঘশ্বাস ফেলছি।
أَخْرِبُ ٱلْجِبَالَ وَٱلْآكَامَ وَأُجَفِّفُ كُلَّ عُشْبِهَا، وَأَجْعَلُ ٱلْأَنْهَارَ يَبَسًا وَأُنَشِّفُ ٱلْآجَامَ، | ١٥ 15 |
আমি পাহাড় ও পর্বতগুলিকে বৃক্ষহীন করব এবং তাদের সব গাছপালাকে শুকিয়ে ফেলব; আমি নদীগুলিকে দ্বীপপুঞ্জে পরিণত করব ও পুকুরগুলিকে শুকিয়ে ফেলব।
وَأُسَيِّرُ ٱلْعُمْيَ فِي طَرِيقٍ لَمْ يَعْرِفُوهَا. فِي مَسَالِكَ لَمْ يَدْرُوهَا أُمَشِّيهِمْ. أَجْعَلُ ٱلظُّلْمَةَ أَمَامَهُمْ نُورًا، وَٱلْمُعْوَجَّاتِ مُسْتَقِيمَةً. هَذِهِ ٱلْأُمُورُ أَفْعَلُهَا وَلَاأَتْرُكُهُمْ. | ١٦ 16 |
আমি অন্ধদের, তাদের অজানা পথে চালাব, অপরিচিত পথগুলিতে আমি তাদের পরিচালিত করব; আমি তাদের সামনে অন্ধকারকে আলোয় পরিণত ও অসমতল স্থানকে মসৃণ করে দেব। আমি এসব কাজ করব; আমি তাদের পরিত্যাগ করব না।
قَدِ ٱرْتَدُّوا إِلَى ٱلْوَرَاءِ. يَخْزَى خِزْيًا ٱلْمُتَّكِلُونَ عَلَى ٱلْمَنْحُوتَاتِ، ٱلْقَائِلُونَ لِلْمَسْبُوكَاتِ: أَنْتُنَّ آلِهَتُنَا! | ١٧ 17 |
কিন্তু যারা প্রতিমাদের উপরে নির্ভর করে, যারা প্রতিমাদের কাছে বলে, ‘তোমরা আমাদের দেবতা,’ চরম লজ্জায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
«أَيُّهَا ٱلصُّمُّ ٱسْمَعُوا. أَيُّهَا ٱلْعُمْيُ ٱنْظُرُوا لِتُبْصِرُوا. | ١٨ 18 |
“ওহে বধির সব, তোমরা শোনো; ওহে যারা অন্ধ, তোমরা দেখতে থাকো!
مَنْ هُوَ أَعْمَى إِلَّا عَبْدِي، وَأَصَمُّ كَرَسُولِي ٱلَّذِي أُرْسِلُهُ؟ مَنْ هُوَ أَعْمَى كَٱلْكَامِلِ، وَأَعْمَى كَعَبْدِ ٱلرَّبِّ؟ | ١٩ 19 |
আমার দাস ছাড়া আর অন্ধ কে? আমার প্রেরিত দূত ছাড়া আর বধির কে? যে আমার প্রতি সমর্পিত, তার থেকে আর অন্ধ কে? সদাপ্রভুর দাসের মতো অন্ধ আর কে আছে?
نَاظِرٌ كَثِيرًا وَلَا تُلَاحِظُ. مَفْتُوحُ ٱلْأُذُنَيْنِ وَلَا يَسْمَعُ». | ٢٠ 20 |
তুমি অনেক কিছু দেখে থাকলেও কোনো মনোযোগ করোনি; তোমার কান তো খোলা, কিন্তু তুমি কিছুই শুনতে পাও না।”
ٱلرَّبُّ قَدْ سُرَّ مِنْ أَجْلِ بِرِّهِ. يُعَظِّمُ ٱلشَّرِيعَةَ وَيُكْرِمُهَا. | ٢١ 21 |
সদাপ্রভু প্রীত হলেন, তাঁর ধার্মিকতার গুণে তাঁর বিধানকে মহৎ ও গৌরবান্বিত করতে।
وَلَكِنَّهُ شَعْبٌ مَنْهُوبٌ وَمَسْلُوبٌ. قَدِ ٱصْطِيدَ فِي ٱلْحُفَرِ كُلُّهُ، وَفِي بُيُوتِ ٱلْحُبُوسِ ٱخْتَبَأُوا. صَارُوا نَهْبًا وَلَا مُنْقِذَ، وَسَلَبًا وَلَيْسَ مَنْ يَقُولُ: «رُدَّ!». | ٢٢ 22 |
কিন্তু এই জাতির লোকেদের লুণ্ঠন করে সবকিছু নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তারা সকলেই গর্তের ফাঁদে পড়েছে অথবা তাদের কারাগারে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারাই লুণ্ঠনের বস্তু হয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী কেউই ছিল না; তাদের লুণ্ঠনের বস্তু করা হয়েছে, কেউ বলে না, “ওদের ফেরত পাঠাও।”
مَنْ مِنْكُمْ يَسْمَعُ هَذَا؟ يَصْغَى وَيَسْمَعُ لِمَا بَعْدُ؟ | ٢٣ 23 |
তোমাদের মধ্যে কে একথা শুনবে? মনোযোগ দিয়ে কে ভবিষ্যতের জন্য শুনে রাখবে?
مَنْ دَفَعَ يَعْقُوبَ إِلَى ٱلسَّلَبِ وَإِسْرَائِيلَ إِلَى ٱلنَّاهِبِينَ؟ أَلَيْسَ ٱلرَّبُّ ٱلَّذِي أَخْطَأْنَا إِلَيْهِ وَلَمْ يَشَاءُوا أَنْ يَسْلُكُوا فِي طُرُقِهِ وَلَمْ يَسْمَعُوا لِشَرِيعَتِهِ. | ٢٤ 24 |
কে যাকোবকে লুণ্ঠনের বিষয় হওয়ার জন্য সমর্পণ করেছেন এবং ইস্রায়েলকে লুণ্ঠনকারীদের হাতে সমর্পণ করেছেন? তিনি কি সদাপ্রভু নন, যাঁর বিরুদ্ধে আমরা পাপ করেছি? কারণ তারা তাঁর পথসকলে চলতে চায়নি, তারা তাঁর বিধান মান্য করেনি।
فَسَكَبَ عَلَيْهِ حُمُوَّ غَضَبِهِ وَشِدَّةَ ٱلْحَرْبِ، فَأَوْقَدَتْهُ مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ وَلَمْ يَعْرِفْ، وَأَحْرَقَتْهُ وَلَمْ يَضَعْ فِي قَلْبِهِ. | ٢٥ 25 |
তাই তিনি তাঁর প্রজ্বলিত ক্রোধ, যুদ্ধের হিংস্রতা তাদের উপরে ঢেলে দিয়েছেন। তা তাদের আগুনের শিখায় আবৃত করল, তবুও তারা বুঝতে পারল না; তা তাদের গ্রাস করল, তবুও তারা শিক্ষা নিল না।