< إِشَعْيَاءَ 40 >
عَزُّوا، عَزُّوا شَعْبِي، يَقُولُ إِلَهُكُمْ. | ١ 1 |
সান্ত্বনা দাও, আমার প্রজাদের সান্ত্বনা দাও তোমাদের ঈশ্বর বলছেন।
طَيِّبُوا قَلْبَ أُورُشَلِيمَ وَنَادُوهَا بِأَنَّ جِهَادَهَا قَدْ كَمُلَ، أَنَّ إِثْمَهَا قَدْ عُفِيَ عَنْهُ، أَنَّهَا قَدْ قَبِلَتْ مِنْ يَدِ ٱلرَّبِّ ضِعْفَيْنِ عَنْ كُلِّ خَطَايَاهَا. | ٢ 2 |
কোমলভাবে জেরুশালেমের সঙ্গে কথা বলো ও তার কাছে ঘোষণা করো যে, তার কঠোর পরিশ্রমের সময় সম্পূর্ণ হয়েছে, আর তার পাপের মূল্য চোকানো হয়েছে, কারণ সে সদাপ্রভুর হাত থেকে তার সমস্ত পাপের দ্বিগুণ শাস্তি পেয়েছে।
صَوْتُ صَارِخٍ فِي ٱلْبَرِّيَّةِ: «أَعِدُّوا طَرِيقَ ٱلرَّبِّ. قَوِّمُوا فِي ٱلْقَفْرِ سَبِيلًا لِإِلَهِنَا. | ٣ 3 |
একজনের কণ্ঠস্বর ঘোষণা করছে: তোমরা মরুভূমিতে সদাপ্রভুর জন্য পথ প্রস্তুত করো; তোমরা মরুপ্রান্তরে আমাদের ঈশ্বরের জন্য রাজপথগুলি সরল করো।
كُلُّ وَطَاءٍ يَرْتَفِعُ، وَكُلُّ جَبَلٍ وَأَكَمَةٍ يَنْخَفِضُ، وَيَصِيرُ ٱلْمُعْوَجُّ مُسْتَقِيمًا، وَٱلْعَرَاقِيبُ سَهْلًا. | ٤ 4 |
প্রত্যেক উপত্যকাকে উপরে তোলা হবে, প্রত্যেক পর্বত ও উপপর্বতকে নিচু করা হবে; এবড়োখেবড়ো জমিকে সমান করা হবে, অমসৃণ স্থানগুলি সমতল হবে।
فَيُعْلَنُ مَجْدُ ٱلرَّبِّ وَيَرَاهُ كُلُّ بَشَرٍ جَمِيعًا، لِأَنَّ فَمَ ٱلرَّبِّ تَكَلَّمَ». | ٥ 5 |
তখন সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হবে, সমস্ত মানবকুল একসঙ্গে তা প্রত্যক্ষ করবে। কারণ সদাপ্রভুর মুখ একথা বলেছেন।
صَوْتُ قَائِلٍ: «نَادِ». فَقَالَ: «بِمَاذَا أُنَادِي؟» «كُلُّ جَسَدٍ عُشْبٌ، وَكُلُّ جَمَالِهِ كَزَهْرِ ٱلْحَقْلِ. | ٦ 6 |
একজনের কণ্ঠস্বর বলছে, “ঘোষণা করো।” আমি বললাম, “আমি কী ঘোষণা করব?” “সব মানুষই ঘাসের মতো আর তাদের সমস্ত বিশ্বস্ততা মাঠের ফুলের মতো।
يَبِسَ ٱلْعُشْبُ، ذَبُلَ ٱلزَّهْرُ، لِأَنَّ نَفْخَةَ ٱلرَّبِّ هَبَّتْ عَلَيْهِ. حَقًّا ٱلشَّعْبُ عُشْبٌ! | ٧ 7 |
ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুল ঝরে পড়ে, কারণ সদাপ্রভুর নিশ্বাস তাদের উপরে বয়ে যায়। সত্যিই সব মানুষ ঘাসের মতো।
يَبِسَ ٱلْعُشْبُ، ذَبُلَ ٱلزَّهْرُ. وَأَمَّا كَلِمَةُ إِلَهِنَا فَتَثْبُتُ إِلَى ٱلْأَبَدِ». | ٨ 8 |
ঘাস শুকিয়ে যায় ও ফুলগুলি ঝরে পড়ে, কিন্তু আমাদের ঈশ্বরের বাক্য থাকে চিরকাল।”
عَلَى جَبَلٍ عَالٍ ٱصْعَدِي، يَا مُبَشِّرَةَ صِهْيَوْنَ. ٱرْفَعِي صَوْتَكِ بِقُوَّةٍ، يَا مُبَشِّرَةَ أُورُشَلِيمَ. ٱرْفَعِي لَا تَخَافِي. قُولِي لِمُدُنِ يَهُوذَا: «هُوَذَا إِلَهُكِ. | ٩ 9 |
যারা সিয়োনের কাছে সুসংবাদ বয়ে আনো, তোমরা উঁচু পাহাড়ে উঠে যাও। যারা জেরুশালেমের কাছে সুসংবাদ বয়ে আনো, তোমরা জোর গলায় চিৎকার করো, কণ্ঠস্বর উচ্চে তোলো, ভয় পেয়ো না; যিহূদার নগরগুলিকে বলো, “তোমাদের ঈশ্বর এখানে!”
هُوَذَا ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ بِقُوَّةٍ يَأْتِي وَذِرَاعُهُ تَحْكُمُ لَهُ. هُوَذَا أُجْرَتُهُ مَعَهُ وَعُمْلَتُهُ قُدَّامَهُ. | ١٠ 10 |
দেখো, সার্বভৌম সদাপ্রভু পরাক্রমের সঙ্গে আসছেন, তাঁর বাহু তাঁর হয়ে শাসন করে। দেখো, তাঁর দেয় পুরস্কার তাঁর কাছে আছে, তাঁর দেয় প্রতিদান তাঁর সঙ্গেই থাকে।
كَرَاعٍ يَرْعَى قَطِيعَهُ. بِذِرَاعِهِ يَجْمَعُ ٱلْحُمْلَانَ، وَفِي حِضْنِهِ يَحْمِلُهَا، وَيَقُودُ ٱلْمُرْضِعَاتِ». | ١١ 11 |
মেষপালকের মতোই তিনি তাঁর পালকে চরান: মেষশাবকদের তিনি তাঁর কোলে একত্র করেন ও তাঁর বুকের কাছে তিনি তাদের বহন করেন; যাদের ছোটো বাচ্চা আছে, তাদের তিনি ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যান।
مَنْ كَالَ بِكَفِّهِ ٱلْمِيَاهَ، وَقَاسَ ٱلسَّمَاوَاتِ بِٱلشِّبْرِ، وَكَالَ بِٱلْكَيْلِ تُرَابَ ٱلْأَرْضِ، وَوَزَنَ ٱلْجِبَالَ بِٱلْقَبَّانِ، وَٱلْآكَامَ بِٱلْمِيزَانِ؟ | ١٢ 12 |
কে তার করতলে সমুদ্রের জলরাশি পরিমাপ করেছে, কিংবা তার বিঘত দিয়ে আকাশমণ্ডল নিরূপণ করেছে? কে বালতিতে ধারণ করেছে পৃথিবীর সব ধুলো, কিংবা দাঁড়িপাল্লায় ওজন করেছে পর্বতসকল এবং তরাজুতে যত পাহাড়?
مَنْ قَاسَ رُوحَ ٱلرَّبِّ، وَمَنْ مُشِيرُهُ يُعَلِّمُهُ؟ | ١٣ 13 |
সদাপ্রভুর মন কে বুঝতে পেরেছে, কিংবা মন্ত্রণাদাতা হয়ে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছে?
مَنِ ٱسْتَشَارَهُ فَأَفْهَمَهُ وَعَلَّمَهُ فِي طَرِيقِ ٱلْحَقِّ، وَعَلَّمَهُ مَعْرِفَةً وَعَرَّفَهُ سَبِيلَ ٱلْفَهْمِ.؟ | ١٤ 14 |
উপদেশ গ্রহণের জন্য তিনি কার সঙ্গে পরামর্শ করেছেন এবং কে তাঁকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছে? কে তাঁকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে কিংবা দেখিয়েছে বিচারবুদ্ধির পথ?
هُوَذَا ٱلْأُمَمُ كَنُقْطَةٍ مِنْ دَلْوٍ، وَكَغُبَارِ ٱلْمِيزَانِ تُحْسَبُ. هُوَذَا ٱلْجَزَائِرُ يَرْفَعُهَا كَدُقَّةٍ! | ١٥ 15 |
জাতিগুলি নিশ্চয়ই কলসের এক ফোঁটা জলের মতো; তাদের মনে করা হয় দাঁড়িপাল্লায় লাগা ধূলিকণার মতোই; তিনি সূক্ষ্ম ধূলিকণার মতোই ওজন করেন সব দ্বীপ।
وَلُبْنَانُ لَيْسَ كَافِيًا لِلْإِيقَادِ، وَحَيَوَانُهُ لَيْسَ كَافِيًا لِمُحْرَقَةٍ. | ١٦ 16 |
বেদির আগুনের জন্য লেবাননের সব কাঠ, কিংবা হোমবলির জন্য তার পশুসকল পর্যাপ্ত নয়।
كُلُّ ٱلْأُمَمِ كَلَا شَيْءٍ قُدَّامَهُ. مِنَ ٱلْعَدَمِ وَٱلْبَاطِلِ تُحْسَبُ عِنْدَهُ. | ١٧ 17 |
তাঁর সামনে সব জাতি কোনো কিছুর মধ্যেই গণ্য নয়; তিনি তাদের নিকৃষ্ট এবং সবকিছু থেকে অসার মনে করেন।
فَبِمَنْ تُشَبِّهُونَ ٱللهَ، وَأَيَّ شَبَهٍ تُعَادِلُونَ بِهِ؟ | ١٨ 18 |
তাহলে, তোমরা কার সঙ্গে ঈশ্বরের তুলনা করবে? কোন মূর্তির সঙ্গে তাঁর তুলনা দেবে?
اَلصَّنَمُ يَسْبِكُهُ ٱلصَّانِعُ، وَٱلصَّائِغُ يُغَشِّيهِ بِذَهَبٍ وَيَصُوغُ سَلَاسِلَ فِضَّةٍ. | ١٩ 19 |
কোনো মূর্তির তৈরির সময়, শিল্পকর তা ছাঁচে ঢালে, স্বর্ণকার তার উপরে সোনার প্রলেপ দেয় এবং রুপোর শৃঙ্খল দিয়ে তাকে সুশোভিত করে।
ٱلْفَقِيرُ عَنِ ٱلتَّقْدِمَةِ يَنْتَخِبُ خَشَبًا لَا يُسَوِّسُ، يَطْلُبُ لَهُ صَانِعًا مَاهِرًا لِيَنْصُبَ صَنَمًا لَا يَتَزَعْزَعُ! | ٢٠ 20 |
যে মানুষ ভীষণ দরিদ্র ও এরকম উপহার দিতে পারে না, সে এমন কাঠ বেছে নেয়, যা সহজে পচে যায় না; সে, টলবে না এমন এক প্রতিমার জন্য, এক কুশলী শিল্পকারের অন্বেষণ করে।
أَلَا تَعْلَمُونَ؟ أَلَا تَسْمَعُونَ؟ أَلَمْ تُخْبَرُوا مِنَ ٱلْبَدَاءَةِ؟ أَلَمْ تَفْهَمُوا مِنْ أَسَاسَاتِ ٱلْأَرْضِ؟ | ٢١ 21 |
তোমরা কি একথা জানো না? তোমরা কি তা কখনও শোনোনি? প্রথম থেকেই কি একথা তোমাদের বলা হয়নি? পৃথিবীর গোড়াপত্তন থেকে তোমরা কি তা বুঝতে পারোনি?
ٱلْجَالِسُ عَلَى كُرَةِ ٱلْأَرْضِ وَسُكَّانُهَا كَٱلْجُنْدُبِ. ٱلَّذِي يَنْشُرُ ٱلسَّمَاوَاتِ كَسَرَادِقَ، وَيَبْسُطُهَا كَخَيْمَةٍ لِلسَّكَنِ. | ٢٢ 22 |
তিনি পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবেশন করেন, এর অধিবাসীরা সকলে ফড়িংয়ের মতো। তিনি চন্দ্রাতপের মতো আকাশমণ্ডলকে প্রসারিত করেন, বসবাসের জন্য সেগুলিকে তাঁবুর মতো খাটিয়ে দেন।
ٱلَّذِي يَجْعَلُ ٱلْعُظَمَاءَ لَا شَيْئًا، وَيُصَيِّرُ قُضَاةَ ٱلْأَرْضِ كَٱلْبَاطِلِ. | ٢٣ 23 |
তিনি রাজন্যবর্গকে বিলুপ্ত করেন এবং জগতের শাসকদের শূন্য করেন।
لَمْ يُغْرَسُوا بَلْ لَمْ يُزْرَعُوا وَلَمْ يَتَأَصَّلْ فِي ٱلْأَرْضِ سَاقُهُمْ. فَنَفَخَ أَيْضًا عَلَيْهِمْ فَجَفُّوا، وَٱلْعَاصِفُ كَٱلْعَصْفِ يَحْمِلُهُمْ. | ٢٤ 24 |
তাদের রোপণ করা মাত্র এবং যেই তাদের বপন করা হয়, যে মুহূর্তে তারা মাটিতে মূল বিস্তার করে, তিনি তাদের উপরে ফুঁ দেন ও তারা শুকিয়ে যায়, ঘূর্ণিঝড় তুষের মতোই তাদের উড়িয়ে নিয়ে যায়।
«فَبِمَنْ تُشَبِّهُونَنِي فَأُسَاوِيَهُ؟» يَقُولُ ٱلْقُدُّوسُ. | ٢٥ 25 |
“তোমরা কার সঙ্গে আমার তুলনা করবে? কিংবা, আমার সমতুল্য কে?” বলেন সেই পবিত্রতম জন।
ٱرْفَعُوا إِلَى ٱلْعَلَاءِ عُيُونَكُمْ وَٱنْظُرُوا، مَنْ خَلَقَ هَذِهِ؟ مَنِ ٱلَّذِي يُخْرِجُ بِعَدَدٍ جُنْدَهَا، يَدْعُو كُلَّهَا بِأَسْمَاءٍ؟ لِكَثْرَةِ ٱلْقُوَّةِ وَكَوْنِهِ شَدِيدَ ٱلْقُدْرَةِ لَا يُفْقَدُ أَحَدٌ. | ٢٦ 26 |
তোমরা চোখ তুলে আকাশমণ্ডলের দিকে তাকাও: এগুলি কে সৃষ্টি করেছে? তিনি তারকারাজিকে এক এক করে বের করে আনেন এবং তাদের প্রত্যেকটির নাম ধরে ডাকেন। তাঁর মহাপরাক্রম ও প্রবল শক্তির কারণে তাদের একটিও হারিয়ে যায় না।
لِمَاذَا تَقُولُ يَا يَعْقُوبُ وَتَتَكَلَّمُ يَا إِسْرَائِيلُ: «قَدِ ٱخْتَفَتْ طَرِيقِي عَنِ ٱلرَّبِّ وَفَاتَ حَقِّي إِلَهِي»؟ | ٢٧ 27 |
ওহে যাকোব, তুমি কেন অভিযোগ করো? ওহে ইস্রায়েল, তুমি কেন বলো, “আমার পথ সদাপ্রভুর কাছ থেকে গুপ্ত; আমার অধিকার আমার ঈশ্বরের কাছে অবজ্ঞার বিষয়?”
أَمَا عَرَفْتَ أَمْ لَمْ تَسْمَعْ؟ إِلَهُ ٱلدَّهْرِ ٱلرَّبُّ خَالِقُ أَطْرَافِ ٱلْأَرْضِ لَا يَكِلُّ وَلَا يَعْيَا. لَيْسَ عَنْ فَهْمِهِ فَحْصٌ. | ٢٨ 28 |
তুমি কি জানো না? তুমি কি কখনও শোনোনি? সদাপ্রভুই সনাতন ঈশ্বর, তিনি পৃথিবীর প্রান্তসীমার সৃষ্টিকর্তা। তিনি শ্রান্ত হবেন না, ক্লান্ত হবেন না, তাঁর বুদ্ধির গভীরতা কেউ পরিমাপ করতে পারে না।
يُعْطِي ٱلْمُعْيِيَ قُدْرَةً، وَلِعَدِيمِ ٱلْقُوَّةِ يُكَثِّرُ شِدَّةً. | ٢٩ 29 |
তিনি ক্লান্ত ব্যক্তিকে শক্তি দেন, দুর্বলের শক্তিবৃদ্ধি করেন।
اَلْغِلْمَانُ يُعْيُونَ وَيَتْعَبُونَ، وَٱلْفِتْيَانُ يَتَعَثَّرُونَ تَعَثُّرًا. | ٣٠ 30 |
এমনকি, যুবকেরাও শ্রান্ত ও ক্লান্ত হয়, তরুণেরা হোঁচট খেয়ে পতিত হয়;
وَأَمَّا مُنْتَظِرُو ٱلرَّبِّ فَيُجَدِّدُونَ قُوَّةً. يَرْفَعُونَ أَجْنِحَةً كَٱلنُّسُورِ. يَرْكُضُونَ وَلَا يَتْعَبُونَ. يَمْشُونَ وَلَا يُعْيُونَ. | ٣١ 31 |
কিন্তু যারা সদাপ্রভুতে প্রত্যাশা রাখে, তারা তাদের শক্তি নবায়িত করবে। তারা ঈগল পাখির মতোই ডানা মেলবে, তারা দৌড়াবে, কিন্তু ক্লান্ত হবে না, তারা চলাফেরা করবে, কিন্তু মূর্ছিত হবে না।