< حِزْقِيَال 7 >
وَكَانَ إِلَيَّ كَلَامُ ٱلرَّبِّ قَائِلًا: | ١ 1 |
সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল,
«وَأَنْتَ يَا ٱبْنَ آدَمَ، فَهَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ لِأَرْضِ إِسْرَائِيلَ: نِهَايَةٌ! قَدْ جَاءَتِ ٱلنِّهَايَةُ عَلَى زَوَايَا ٱلْأَرْضِ ٱلْأَرْبَعِ. | ٢ 2 |
“হে মানবসন্তান, ইস্রায়েল দেশের প্রতি সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “‘শেষ সময়! দেশের চার কোনায় শেষ সময় উপস্থিত হয়েছে!
اَلْآنَ ٱلنِّهَايَةُ عَلَيْكِ، وَأُرْسِلُ غَضَبِي عَلَيْكِ، وَأَحْكُمُ عَلَيْكِ كَطُرُقِكِ، وَأَجْلِبُ عَلَيْكِ كُلَّ رَجَاسَاتِكِ. | ٣ 3 |
এখন সেই সময় তোমার উপর এসে পড়েছে এবং তোমার বিরুদ্ধে আমি আমার ক্রোধ ঢেলে দেব। তোমার আচরণ অনুসারে আমি তোমার বিচার করব এবং তোমার সমস্ত জঘন্য কাজের জন্য তোমাকে শাস্তি দেব।
فَلَا تَشْفُقُ عَلَيْكِ عَيْنِي، وَلَا أَعْفُو، بَلْ أَجْلِبُ عَلَيْكِ طُرُقَكِ وَتَكُونُ رَجَاسَاتُكِ فِي وَسْطِكِ، فَتَعْلَمُونَ أَنِّي أَنَا ٱلرَّبُّ. | ٤ 4 |
আমি তোমার প্রতি করুণা দেখাব না; ক্ষমা করব না। আমি নিশ্চয়ই তোমার আচরণ ও তোমার মধ্যেকার জঘন্য কাজের জন্য তোমাকে শাস্তি দেব। “‘তখন তুমি জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।’
«هَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ: شَرٌّ! شَرٌّ وَحِيدٌ هُوَذَا قَدْ أَتَى. | ٥ 5 |
“সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “‘বিপর্যয়! যে বিপর্যয়ের কথা শোনা যায়নি! দেখো, তা আসছে!
نِهَايَةٌ قَدْ جَاءَتْ. جَاءَتِ ٱلنِّهَايَةُ. ٱنْتَبَهَتْ إِلَيْكِ. هَا هِيَ قَدْ جَاءَتْ. | ٦ 6 |
শেষ সময় এসে পড়েছে! শেষ সময় এসে পড়েছে! তোমাদের বিরুদ্ধে তা জেগে উঠেছে। দেখো, তা আসছে!
ٱنْتَهَى ٱلدَّوْرُ إِلَيْكَ أَيُّهَا ٱلسَّاكِنُ فِي ٱلْأَرْضِ. بَلَغَ ٱلْوَقْتُ. ٱقْتَرَبَ يَوْمُ ٱضْطِرَابٍ، لَا هُتَافُ ٱلْجِبَالِ. | ٧ 7 |
তোমাদের উপর সর্বনাশ এসে পড়েছে, তোমরা যারা এই দেশে বসবাস করো। সময় উপস্থিত! সেদিন কাছে এসেছে! পর্বতের উপরে আনন্দ নেই, আছে আতঙ্ক।
اَلْآنَ عَنْ قَرِيبٍ أَصُبُّ رِجْزِي عَلَيْكِ، وَأُتَمِّمُ سَخَطِي عَلَيْكِ، وَأَحْكُمُ عَلَيْكِ كَطُرُقِكِ، وَأَجْلِبُ عَلَيْكِ كُلَّ رَجَاسَاتِكِ. | ٨ 8 |
আমি তোমার উপর আমার ক্রোধ ঢালতে যাচ্ছি ও আমার রাগ তোমার উপর ব্যয় করব; তোমার আচরণ অনুসারে আমি তোমার বিচার করব এবং তোমার সমস্ত জঘন্য কাজের জন্য তোমাকে শাস্তি দেব।
فَلَا تَشْفُقُ عَيْنِي، وَلَا أَعْفُو، بَلْ أَجْلِبُ عَلَيْكِ كَطُرُقِكِ، وَرَجَاسَاتُكِ تَكُونُ فِي وَسْطِكِ، فَتَعْلَمُونَ أَنِّي أَنَا ٱلرَّبُّ ٱلضَّارِبُ. | ٩ 9 |
আমি তোমার প্রতি করুণা দেখাব না; আমি ক্ষমা করব না। আমি তোমার আচরণ ও তোমার মধ্যেকার জঘন্য কাজের পাওনা তোমাকে দেব। “‘তখন তুমি জানবে যে আমি সদাপ্রভুই তোমাকে আঘাত করি।
«هَا هُوَذَا ٱلْيَوْمُ، هَا هُوَذَا قَدْ جَاءَ! دَارَتِ ٱلدَّائِرَةُ. أَزْهَرَتِ ٱلْعَصَا. أَفْرَخَتِ ٱلْكِبْرِيَاءُ. | ١٠ 10 |
“‘দেখো, দিন এসেছে! তা এসে পড়েছে! সর্বনাশ ফেটে বেরিয়েছে, লাঠিতে কুঁড়ি ধরেছে, অহংকারের ফুল ফুটেছে!
قَامَ ٱلظُّلْمُ إِلَى عَصَا ٱلشَّرِّ. لَا يَبْقَى مِنْهُمْ وَلَا مِنْ ثَرْوَتِهِمْ وَلَا مِنْ ضَجِيجِهِمْ، وَلَا نَوْحٌ عَلَيْهِمْ. | ١١ 11 |
হিংস্রতা উঠে এসেছে অন্যায়কারীদের লাঠি দ্বারা শাস্তি দেওয়া হবে; কোনও মানুষ বাদ যাবে না, কোনও জনসাধারণও না, তাদের কোনও ধনসম্পদ, মূল্যবান কিছুই না।
قَدْ جَاءَ ٱلْوَقْتُ. بَلَغَ ٱلْيَوْمُ. فَلَا يَفْرَحَنَّ ٱلشَّارِي، وَلَا يَحْزَنَنَّ ٱلْبَائِعُ، لِأَنَّ ٱلْغَضَبَ عَلَى كُلِّ جُمْهُورِهِمْ. | ١٢ 12 |
সময় হয়েছে! সেদিন এসে গেছে! ক্রেতা আনন্দ না করুক বা বিক্রেতা শোক না করুক, কারণ আমার ক্রোধ সমস্ত জনসাধারণের উপরে।
لِأَنَّ ٱلْبَائِعَ لَنْ يَعُودَ إِلَى ٱلْمَبِيعِ، وَإِنْ كَانُوا بَعْدُ بَيْنَ ٱلْأَحْيَاءِ. لِأَنَّ ٱلرُّؤْيَا عَلَى كُلِّ جُمْهُورِهَا فَلَا يَعُودُ، وَٱلْإِنْسَانُ بِإِثْمِهِ لَا يُشَدِّدُ حَيَاتَهُ. | ١٣ 13 |
বিক্রেতা ফেরত পাবে না যে জমি বিক্রি হয়েছে, যতক্ষণ বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই বেঁচে থাকে। কারণ সমস্ত লোকের জন্য এই দর্শনে পরিবর্তন হবে না। তাদের পাপের জন্য একজনও তার জীবন রক্ষা করতে পারবে না।
قَدْ نَفَخُوا فِي ٱلْبُوقِ وَأَعَدُّوا ٱلْكُلَّ، وَلَا ذَاهِبَ إِلَى ٱلْقِتَالِ، لِأَنَّ غَضَبِي عَلَى كُلِّ جُمْهُورِهِمْ. | ١٤ 14 |
“‘যদিও তারা তূরী বাজিয়ে সবকিছু প্রস্তুত করেছে, কিন্তু কেউ যুদ্ধে যাবে না, কারণ সমস্ত জনসাধারণের উপরে আমার ক্রোধ আছে।
«اَلسَّيْفُ مِنْ خَارِجٍ، وَٱلْوَبَأُ وَٱلْجُوعُ مِنْ دَاخِلٍ. ٱلَّذِي هُوَ فِي ٱلْحَقْلِ يَمُوتُ بِٱلسَّيْفِ، وَٱلَّذِي هُوَ فِي ٱلْمَدِينَةِ يَأْكُلُهُ ٱلْجُوعُ وَٱلْوَبَأُ. | ١٥ 15 |
বাইরে তরোয়াল; ভিতরে দুর্ভিক্ষ ও মহামারি, যারা দেশের ভিতরে থাকবে তারা তরোয়াল দ্বারা মারা পড়বে, যারা নগরের ভিতরে থাকবে তাদের দুর্ভিক্ষ ও মহামারি গ্রাস করবে।
وَيَنْفَلِتُ مِنْهُمْ مُنْفَلِتُونَ وَيَكُونُونَ عَلَى ٱلْجِبَالِ كَحَمَامِ ٱلْأَوْطِئَةِ. كُلُّهُمْ يَهْدِرُونَ كُلُّ وَاحِدٍ عَلَى إِثْمِهِ. | ١٦ 16 |
যারা পালাতে পারবে তারা পাহাড়ে পালাবে। উপত্যকার ঘুঘুর মতো, তারা বিলাপ করবে, প্রত্যেকে নিজেদের পাপের জন্য।
كُلُّ ٱلْأَيْدِي تَرْتَخِي، وَكُلُّ ٱلرُّكَبِ تَصِيرُ مَاءً. | ١٧ 17 |
প্রত্যেকের হাত অবশ হয়ে যাবে; প্রত্যেকের হাঁটু জলের মতো দুর্বল হয়ে পড়বে।
وَيَتَنَطَّقُونَ بِٱلْمَسْحِ وَيَغْشَاهُمْ رُعْبٌ، وَعَلَى جَمِيعِ ٱلْوُجُوهِ خِزْيٌ، وَعَلَى جَمِيعِ رُؤُوسِهِمْ قَرَعٌ. | ١٨ 18 |
তারা চট পরবে ও ভীষণ ভয়ে কাঁপবে। লজ্জায় তাদের প্রত্যেকের মুখ ঢাকা পড়বে ও তাদের প্রত্যেকের মাথা কামানো হবে।
يُلْقُونَ فِضَّتَهُمْ فِي ٱلشَّوَارِعِ، وَذَهَبُهُمْ يَكُونُ لِنَجَاسَةٍ. لَا تَسْتَطِيعُ فِضَّتُهُمْ وَذَهَبُهُمْ إِنْقَاذَهُمْ فِي يَوْمِ غَضَبِ ٱلرَّبِّ. لَا يُشْبِعُونَ مِنْهُمَا أَنْفُسَهُمْ، وَلَا يَمْلَأُونَ جَوْفَهُمْ، لِأَنَّهُمَا صَارَا مَعْثَرَةَ إِثْمِهِمْ. | ١٩ 19 |
“‘তারা রাস্তায় তাদের রুপো ফেলে দেবে এবং তাদের সোনা অশুচি জিনিস হবে। সদাপ্রভুর ক্রোধের দিন তাদের রুপো ও সোনা তাদের রক্ষা করতে পারবে না। তা দিয়ে তাদের খিদে মিটবে না বা পেট ভরবে না, কারণ সেগুলিই তাদের পাপের মধ্যে ফেলেছে।
أَمَّا بَهْجَةُ زِينَتِهِ فَجَعَلَهَا لِلْكِبْرِيَاءِ. جَعَلُوا فِيهَا أَصْنَامَ مَكْرُهَاتِهِمْ، رَجَاسَاتِهِمْ، لِأَجْلِ ذَلِكَ جَعَلْتُهَا لَهُمْ نَجَاسَةً. | ٢٠ 20 |
তাদের সুন্দর গহনার জন্য তারা গর্ববোধ করত এবং সেগুলি ব্যবহার করে ঘৃণ্য প্রতিমা। তারা সেগুলি দিয়ে জঘন্য মূর্তি তৈরি করত; সুতরাং আমি তাদের জন্য সেগুলি অশুচি করে দেব।
أُسْلِمُهَا إِلَى أَيْدِي ٱلْغُرَبَاءِ لِلنَّهْبِ، وَإِلَى أَشْرَارِ ٱلْأَرْضِ سَلْبًا فَيُنَجِّسُونَهَا. | ٢١ 21 |
আমি তাদের সম্পদ লুট হিসেবে বিদেশিদের হাতে দেব এবং লুটের জিনিস হিসেবে পৃথিবীর দুষ্ট লোকদের হাতে তুলে দেব, তারা সেগুলি অপবিত্র করবে।
وَأُحَوِّلُ وَجْهِي عَنْهُمْ فَيُنَجِّسُونَ سِرِّي، وَيَدْخُلُهُ ٱلْمُعْتَنِفُونَ وَيُنَجِّسُونَهُ. | ٢٢ 22 |
আমি তাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেব, এবং যে স্থান আমি ধন বলে মনে করি চোরেরা তা অপবিত্র করবে, তারা সেখানে ঢুকবে এবং তা অপবিত্র করবে।
«اِصْنَعِ ٱلسِّلْسِلَةَ لِأَنَّ ٱلْأَرْضَ قَدِ ٱمْتَلَأَتْ مِنْ أَحْكَامِ ٱلدَّمِ، وَٱلْمَدِينَةُ ٱمْتَلَأَتْ مِنَ ٱلظُّلْمِ. | ٢٣ 23 |
“‘শিকল প্রস্তুত করো! কেননা দেশ রক্তপাতে পূর্ণ এবং নগর হিংস্রতায় পরিপূর্ণ।
فَآتِي بِأَشَرِّ ٱلْأُمَمِ فَيَرِثُونَ بُيُوتَهُمْ، وَأُبِيدُ كِبْرِيَاءَ ٱلْأَشِدَّاءِ فَتَتَنَجَّسُ مَقَادِسُهُمْ. | ٢٤ 24 |
তাদের ঘরবাড়ি দখল করার জন্য আমি জাতিদের মধ্যে সবচেয়ে দুষ্ট জাতিকে নিয়ে আসব; আমি শক্তিশালীদের অহংকার ভেঙে দেব, আর তাদের পবিত্র জায়গাগুলি অপবিত্র হবে।
اَلرُّعْبُ آتٍ فَيَطْلُبُونَ ٱلسَّلَامَ وَلَا يَكُونُ. | ٢٥ 25 |
সন্ত্রাস আসলে, তারা বৃথা শান্তির খোঁজ করবে।
سَتَأْتِي مُصِيبَةٌ عَلَى مُصِيبَةٍ، وَيَكُونُ خَبَرٌ عَلَى خَبَرٍ، فَيَطْلُبُونَ رُؤْيَا مِنَ ٱلنَّبِيِّ، وَٱلشَّرِيعَةُ تُبَادُ عَنِ ٱلْكَاهِنِ، وَٱلْمَشُورَةُ عَنِ ٱلشُّيُوخِ. | ٢٦ 26 |
বিপদের উপর বিপদ আসবে, এবং গুজবের উপর গুজব। তারা ভাববাদীর কাছ থেকে দর্শন পাবার জন্য যাবে; প্রাচীন লোকদের উপদেশের মতন যাজকদের বিধান সম্বন্ধে শিক্ষা হারিয়ে যাবে।
ٱلْمَلِكُ يَنُوحُ وَٱلرَّئِيسُ يَلْبَسُ حَيْرَةً، وَأَيْدِي شَعْبِ ٱلْأَرْضِ تَرْجُفُ. كَطَرِيقِهِمْ أَصْنَعُ بِهِمْ، وَكَأَحْكَامِهِمْ أَحْكُمُ عَلَيْهِمْ، فَيَعْلَمُونَ أَنِّي أَنَا ٱلرَّبُّ». | ٢٧ 27 |
রাজা বিলাপ করবে, রাজকুমার হতাশাগ্রস্ত হবে, আর দেশের লোকদের হাত কাঁপবে। আমি তাদের আচরণ অনুযায়ী তাদের সঙ্গে ব্যবহার করব, আর তাদের মানদণ্ড অনুযায়ী আমি তাদের বিচার করব। “‘তখন তারা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু।’”