< صَمُوئِيلَ ٱلْأَوَّلُ 9 >
وَكَانَ رَجُلٌ مِنْ بَنْيَامِينَ ٱسْمُهُ قَيْسُ بْنُ أَبِيئِيلَ بْنِ صَرُورَ بْنِ بَكُورَةَ بْنِ أَفِيحَ، ٱبْنُ رَجُلٍ بَنْيَامِينِيٍّ جَبَّارَ بَأْسٍ. | ١ 1 |
সেখানে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত বিন্যামীন বংশীয় একজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁর নাম কীশ। কীশ অবীয়েলের ছেলে, অবীয়েল সরোরের ছেলে, সরোর বখোরতের ছেলে, বখোরত বিন্যামীন বংশীয় অফিয়ের ছেলে ছিলেন।
وَكَانَ لَهُ ٱبْنٌ ٱسْمُهُ شَاوُلُ، شَابٌّ وَحَسَنٌ، وَلَمْ يَكُنْ رَجُلٌ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَحْسَنَ مِنْهُ. مِنْ كَتِفِهِ فَمَا فَوْقُ كَانَ أَطْوَلَ مِنْ كُلِّ ٱلشَّعْبِ. | ٢ 2 |
কীশের এক ছেলে ছিল, যাঁর নাম শৌল। তিনি এত সুদর্শন ছিলেন যে ইস্রায়েল দেশে কোথাও তাঁর মতো একজনও যুবক খুঁজে পাওয়ার উপায় ছিল না, এবং তিনি অন্য সবার চেয়ে বেশ কিছুটা লম্বা ছিলেন।
فَضَلَّتْ أُتُنُ قَيْسَ أَبِي شَاوُلَ. فَقَالَ قَيْسُ لِشَاوُلَ ٱبْنِهِ: «خُذْ مَعَكَ وَاحِدًا مِنَ ٱلْغِلْمَانِ وَقُمِ ٱذْهَبْ فَتِّشْ عَلَى ٱلْأُتُنِ». | ٣ 3 |
শৌলের বাবা কীশের কয়েকটি গাধি হারিয়ে গিয়েছিল, তাই কীশ তাঁর ছেলে শৌলকে বললেন, “দাসদের মধ্যে একজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে গাধিগুলির খোঁজ করো।”
فَعَبَرَ فِي جَبَلِ أَفْرَايِمَ، ثُمَّ عَبَرَ فِي أَرْضِ شَلِيشَةَ فَلَمْ يَجِدْهَا. ثُمَّ عَبَرَا فِي أَرْضِ شَعَلِيمَ فَلَمْ تُوجَدْ. ثُمَّ عَبَرَا فِي أَرْضِ بَنْيَامِينَ فَلَمْ يَجِدَاهَا. | ٤ 4 |
তাই তিনি ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকা হয়ে শালিশা অঞ্চলে এক চক্কর ঘুরে এলেন, কিন্তু সেগুলির খোঁজ পেলেন না। তখন তাঁরা শালীম প্রদেশ পর্যন্ত গেলেন, কিন্তু গাধিগুলি সেখানেও ছিল না। পরে তিনি বিন্যামিনীয়দের এলাকাতেও গেলেন, কিন্তু সেগুলির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
وَلَمَّا دَخَلَا أَرْضَ صُوفٍ قَالَ شَاوُلُ لِغُلَامِهِ ٱلَّذِي مَعَهُ: «تَعَالَ نَرْجِعْ لِئَّلَا يَتْرُكَ أَبِي ٱلْأُتُنَ وَيَهْتَمَّ بِنَا». | ٥ 5 |
তাঁরা যখন সূফ জেলায় পৌঁছালেন, শৌল তখন তাঁর সঙ্গে চলা দাসকে বললেন, “এসো, আমরা ফিরে যাই, তা না হলে আমার বাবা গাধিগুলির জন্য চিন্তা করা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের জন্যই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।”
فَقَالَ لَهُ: «هُوَذَا رَجُلُ ٱللهِ فِي هَذِهِ ٱلْمَدِينَةِ، وَٱلرَّجُلُ مُكَرَّمٌ، كُلُّ مَا يَقُولُهُ يَصِيرُ. لِنَذْهَبِ ٱلْآنَ إِلَى هُنَاكَ لَعَلَّهُ يُخْبِرُنَا عَنْ طَرِيقِنَا ٱلَّتِي نَسْلُكُ فِيهَا». | ٦ 6 |
কিন্তু সেই দাস উত্তর দিল, “দেখুন, এই নগরে ঈশ্বরের একজন লোক আছেন; তাঁকে সবাই খুব সম্মান করে, এবং তিনি যা যা বলেন, সব সত্যি হয়। চলুন না, সেখানে একবার যাওয়া যাক। হয়তো তিনি আমাদের বলে দেবেন কোন পথে যেতে হবে।”
فَقَالَ شَاوُلُ لِلْغُلَامِ: «هُوَذَا نَذْهَبُ، فَمَاذَا نُقَدِّمُ لِلرَّجُلِ؟ لِأَنَّ ٱلْخُبْزَ قَدْ نَفَدَ مِنْ أَوْعِيَتِنَا وَلَيْسَ مِنْ هَدِيَّةٍ نُقَدِّمُهَا لِرَجُلِ ٱللهِ. مَاذَا مَعَنَا؟» | ٧ 7 |
শৌল তাঁর দাসকে বললেন, “আমরা সেখানে গিয়ে ভদ্রলোককে কী-ই বা দিতে পারব? আমাদের থলিতে রাখা সব খাবারদাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। ঈশ্বরের লোকের কাছে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো উপহারও আমাদের কাছে নেই। আমাদের কাছে কিছু আছে কি?”
فَعَادَ ٱلْغُلَامُ وَأَجَابَ شَاوُلَ وَقَالَ: «هُوَذَا يُوجَدُ بِيَدِي رُبْعُ شَاقِلِ فِضَّةٍ فَأُعْطِيهِ لِرَجُلِ ٱللهِ فَيُخْبِرُنَا عَنْ طَرِيقِنَا». | ٨ 8 |
দাস আবার তাঁকে উত্তর দিল। সে বলল, “দেখুন, আমার কাছে এক শেকলের চার ভাগের এক ভাগ রুপো আছে। আমি সেটি ঈশ্বরের লোককে দিয়ে দেব যেন তিনি আমাদের বলে দেন, কোন পথে আমাদের যেতে হবে।”
سَابِقًا فِي إِسْرَائِيلَ هَكَذَا كَانَ يَقُولُ ٱلرَّجُلُ عِنْدَ ذَهَابِهِ لِيَسْأَلَ ٱللهَ: «هَلُمَّ نَذْهَبْ إِلَى ٱلرَّائِي». لِأَنَّ ٱلنَّبِيَّ ٱلْيَوْمَ كَانَ يُدْعَى سَابِقًا ٱلرَّائِيَ. | ٩ 9 |
(প্রাচীনকালে ইস্রায়েল দেশে, যদি কেউ ঈশ্বরের কাছে কোনো কিছুর খোঁজ নিতে যেত, তখন তারা বলত, “এসো, দর্শকের কাছে যাওয়া যাক,” কারণ বর্তমানে যাদের ভাববাদী বলা হয়, আগে তাদের দর্শক বলা হত।)
فَقَالَ شَاوُلُ لِغُلَامِهِ: «كَلَامُكَ حَسَنٌ. هَلُمَّ نَذْهَبْ». فَذَهَبَا إِلَى ٱلْمَدِينَةِ ٱلَّتِي فِيهَا رَجُلُ ٱللهِ. | ١٠ 10 |
শৌল তাঁর দাসকে বললেন, “ঠিক আছে, চলো, সেখানে যাওয়া যাক।” অতএব তাঁরা সেই নগরটির উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলেন, যেখানে ঈশ্বরের লোক তখন ছিলেন।
وَفِيمَا هُمَا صَاعِدَانِ فِي مَطْلَعِ ٱلْمَدِينَةِ صَادَفَا فَتَيَاتٍ خَارِجَاتٍ لِٱسْتِقَاءِ ٱلْمَاءِ. فَقَالَا لَهُنَّ: «أَهُنَا ٱلرَّائِي؟» | ١١ 11 |
পাহাড় পেরিয়ে যখন তাঁরা নগরটির দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁরা এমন কয়েকজন যুবতী মহিলার দেখা পেলেন যারা জল ভরতে যাচ্ছিল। তাঁরা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “দর্শক কি এখানে আছেন?”
فَأَجَبْنَهُمَا وَقُلْنَ: «نَعَمْ. هُوَذَا هُوَ أَمَامَكُمَا. أَسْرِعَا ٱلْآنَ، لِأَنَّهُ جَاءَ ٱلْيَوْمَ إِلَى ٱلْمَدِينَةِ لِأَنَّهُ ٱلْيَوْمَ ذَبِيحَةٌ لِلشَّعْبِ عَلَى ٱلْمُرْتَفَعَةِ. | ١٢ 12 |
তারা উত্তর দিল, “হ্যাঁ, তিনি আপনাদের থেকে একটু আগেই আছেন। তাড়াতাড়ি যান; তিনি একটু আগেই আমাদের নগরে এসেছেন, কারণ টিলার উপর আজ লোকেরা এক বলি উৎসর্গ করবে।
عِنْدَ دُخُولِكُمَا ٱلْمَدِينَةَ لِلْوَقْتِ تَجِدَانِهِ قَبْلَ صُعُودِهِ إِلَى ٱلْمُرْتَفَعَةِ لِيَأْكُلَ، لِأَنَّ ٱلشَّعْبَ لَا يَأْكُلُ حَتَّى يَأْتِيَ لِأَنَّهُ يُبَارِكُ ٱلذَّبِيحَةَ. بَعْدَ ذَلِكَ يَأْكُلُ ٱلْمَدْعُوُّونَ. فَٱلْآنَ ٱصْعَدَا لِأَنَّكُمَا فِي مِثْلِ ٱلْيَوْمِ تَجِدَانِهِ». | ١٣ 13 |
তিনি টিলায় ভোজনপান করতে যাচ্ছেন। তিনি সেখানে যাওয়ার আগে, নগরে প্রবেশ করলেই আপনারা তাঁর দেখা পাবেন। তিনি না আসা পর্যন্ত লোকেরা ভোজনপান শুরু করবে না, কারণ প্রথমে তাঁকেই বলির নৈবেদ্যটিতে আশীর্বাদ বর্ষণ করতে হবে; পরে নিমন্ত্রিত লোকেরা ভোজনপান করবে। এখনই চলে যান; অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর দেখা পেয়ে যাবেন।”
فَصَعِدَا إِلَى ٱلْمَدِينَةِ. وَفِيمَا هُمَا آتِيَانِ فِي وَسَطِ ٱلْمَدِينَةِ إِذَا بِصَمُوئِيلَ خَارِجٌ لِلِقَائِهِمَا لِيَصْعَدَ إِلَى ٱلْمُرْتَفَعَةِ. | ١٤ 14 |
তাঁরা নগরটির দিকে যাচ্ছিলেনই, আর ঠিক যখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করবেন, শমূয়েল টিলায় চড়ার পথে তাঁদের দিকে এগিয়ে এলেন।
وَٱلرَّبُّ كَشَفَ أُذُنَ صَمُوئِيلَ قَبْلَ مَجِيءِ شَاوُلَ بِيَوْمٍ قَائِلًا: | ١٥ 15 |
এদিকে শৌল আসার একদিন আগেই সদাপ্রভু শমূয়েলের কাছে একথা প্রকাশ করে দিয়েছিলেন:
«غَدًا فِي مِثْلِ ٱلْآنَ أُرْسِلُ إِلَيْكَ رَجُلًا مِنْ أَرْضِ بَنْيَامِينَ، فَٱمْسَحْهُ رَئِيسًا لِشَعْبِي إِسْرَائِيلَ، فَيُخَلِّصَ شَعْبِي مِنْ يَدِ ٱلْفِلِسْطِينِيِّينَ، لِأَنِّي نَظَرْتُ إِلَى شَعْبِي لِأَنَّ صُرَاخَهُمْ قَدْ جَاءَ إِلَيَّ». | ١٦ 16 |
“আগামীকাল প্রায় এইসময়েই আমি তোমার কাছে বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত অঞ্চল থেকে একজন লোককে পাঠাব। তুমি তাকে আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর শাসনকর্তা পদে অভিষিক্ত করবে; সে ফিলিস্তিনীদের হাত থেকে তাদের মুক্ত করবে। আমি আমার প্রজাদের দিকে দৃষ্টিপাত করেছি, কারণ তাদের আর্তনাদ আমার কাছে পৌঁছে গিয়েছে।”
فَلَمَّا رَأَى صَمُوئِيلُ شَاوُلَ أَجَابَهُ ٱلرَّبُّ: «هُوَذَا ٱلرَّجُلُ ٱلَّذِي كَلَّمْتُكَ عَنْهُ. هَذَا يَضْبِطُ شَعْبِي». | ١٧ 17 |
শৌলের দিকে শমূয়েলের চোখ পড়ার সাথে সাথেই সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “এই লোকটির কথাই আমি তোমাকে বলেছিলাম; এই আমার প্রজাদের পরিচালনা করবে।”
فَتَقَدَّمَ شَاوُلُ إِلَى صَمُوئِيلَ فِي وَسَطِ ٱلْبَابِ وَقَالَ: «أَطْلُبُ إِلَيْكَ: أَخْبِرْنِي أَيْنَ بَيْتُ ٱلرَّائِي؟» | ١٨ 18 |
সদর দরজায় গিয়ে শৌল শমূয়েলের কাছাকাছি পৌঁছে জিজ্ঞাসা করলেন, “দয়া করে আমায় জানাবেন কি, দর্শকের বাড়িটি কোথায়?”
فَأَجَابَ صَمُوئِيلُ شَاوُلَ وَقَالَ: «أَنَا ٱلرَّائِي. اِصْعَدَا أَمَامِي إِلَى ٱلْمُرْتَفَعَةِ فَتَأْكُلَا مَعِيَ ٱلْيَوْمَ، ثُمَّ أُطْلِقَكَ صَبَاحًا وَأُخْبِرَكَ بِكُلِّ مَا فِي قَلْبِكَ. | ١٩ 19 |
শমূয়েল তাঁকে উত্তর দিলেন, “আমিই সেই দর্শক। আমার আগে আগে টিলায় চড়, কারণ আজ তোমরা আমার সঙ্গে ভোজনপান করবে, আর সকালবেলায় আমি তোমাদের বিদায় দেব ও তোমার মনে যা যা আছে সব বলে দেব।
وَأَمَّا ٱلْأُتُنُ ٱلضَّالَّةُ لَكَ مُنْذُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فَلَا تَضَعْ قَلْبَكَ عَلَيْهَا لِأَنَّهَا قَدْ وُجِدَتْ. وَلِمَنْ كُلُّ شَهِيِّ إِسْرَائِيلَ؟ أَلَيْسَ لَكَ وَلِكُلِّ بَيْتِ أَبِيكَ؟» | ٢٠ 20 |
তিন দিন আগে তোমাদের যে গাধিগুলি হারিয়ে গিয়েছিল, সেগুলির সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা কোরো না; সেগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর ইস্রায়েলের সব বাসনা কার দিকে ঘুরে গিয়েছে, সে কি তোমার ও তোমার সব পরিবার-পরিজনের দিকে নয়?”
فَأَجَابَ شَاوُلُ وَقَالَ: «أَمَا أَنَا بَنْيَامِينِيٌّ مِنْ أَصْغَرِ أَسْبَاطِ إِسْرَائِيلَ، وَعَشِيرَتِي أَصْغَرُ كُلِّ عَشَائِرِ أَسْبَاطِ بَنْيَامِينَ؟ فَلِمَاذَا تُكَلِّمُنِي بِمِثْلِ هَذَا ٱلْكَلَامِ؟». | ٢١ 21 |
শৌল উত্তর দিলেন, “আমি কি সেই বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত নই, যা ইস্রায়েলের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো গোষ্ঠী, এবং আমার বংশই কি বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত সব বংশের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো বংশ নয়? তবে কেন আপনি আমাকে এ ধরনের কথা বলছেন?”
فَأَخَذَ صَمُوئِيلُ شَاوُلَ وَغُلَامَهُ وَأَدْخَلَهُمَا إِلَى ٱلْمَنْسَكِ وَأَعْطَاهُمَا مَكَانًا فِي رَأْسِ ٱلْمَدْعُوِّينَ، وَهُمْ نَحْوُ ثَلَاثِينَ رَجُلًا. | ٢٢ 22 |
তখন শমূয়েল, শৌল ও তাঁর দাসকে বড়ো খাবার ঘরে নিয়ে এসে নিমন্ত্রিত—প্রায় ত্রিশজন অতিথির মধ্যে সম্মানজনক স্থানে তাঁদের বসিয়ে দিলেন।
وَقَالَ صَمُوئِيلُ لِلطَّبَّاخِ: «هَاتِ ٱلنَّصِيبَ ٱلَّذِي أَعْطَيْتُكَ إِيَّاهُ، ٱلَّذِي قُلْتُ لَكَ عَنْهُ ضَعْهُ عِنْدَكَ». | ٢٣ 23 |
শমূয়েল রাঁধুনীকে বললেন, “মাংসের যে টুকরোটি আমি তোমায় সরিয়ে রাখতে বলেছিলাম, সেটি নিয়ে এসো।”
فَرَفَعَ ٱلطَّبَّاخُ ٱلسَّاقَ مَعَ مَا عَلَيْهَا وَجَعَلَهَا أَمَامَ شَاوُلَ. فَقَالَ: «هُوَذَا مَا أُبْقِيَ. ضَعْهُ أَمَامَكَ وَكُلْ. لِأَنَّهُ إِلَى هَذَا ٱلْمِيعَادِ مَحْفُوظٌ لَكَ مِنْ حِينٍ قُلْتُ دَعَوْتُ ٱلشَّعْبَ». فَأَكَلَ شَاوُلُ مَعَ صَمُوئِيلَ فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ. | ٢٤ 24 |
অতএব রাঁধুনী রানের টুকরোটি ও সেটির সঙ্গে লেগে থাকা মাংস এনে শৌলের পাতে সাজিয়ে দিল। শমূয়েল বললেন, “এগুলি তোমারই জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। খাও, কারণ ‘আমি অতিথিদের নিমন্ত্রণ করেছি,’ একথা বলার সময় থেকে শুরু করে এখন এই উপলক্ষের জন্যই এগুলি সরিয়ে রাখা হয়েছে।” সেদিন শৌল শমূয়েলের সঙ্গে ভোজনপান করলেন।
وَلَمَّا نَزَلُوا مِنَ ٱلْمُرْتَفَعَةِ إِلَى ٱلْمَدِينَةِ تَكَلَّمَ مَعَ شَاوُلَ عَلَى ٱلسَّطْحِ. | ٢٥ 25 |
টিলা থেকে তাঁরা নগরে নেমে আসার পর, শমূয়েল তাঁর বাড়ির ছাদে উঠে শৌলের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন।
وَبَكَّرُوا. وَكَانَ عِنْدَ طُلُوعِ ٱلْفَجْرِ أَنَّ صَمُوئِيلَ دَعَا شَاوُلَ عَنِ ٱلسَّطْحِ قَائِلًا: «قُمْ فَأَصْرِفَكَ». فَقَامَ شَاوُلُ وَخَرَجَا كِلَاهُمَا، هُوَ وَصَمُوئِيلُ إِلَى خَارِجٍ. | ٢٦ 26 |
ভোর প্রায় হয়ে আসছিল, তখনই তাঁরা উঠে পড়লেন, এবং শমূয়েল শৌলকে ছাদেই ডেকে বললেন, “তৈরি হয়ে নাও, আমি তোমাদের বাড়িতে ফেরত পাঠাব।” শৌল তৈরি হওয়ার পর তিনি ও শমূয়েল একসঙ্গেই বাইরে বের হলেন।
وَفِيمَا هُمَا نَازِلَانِ بِطَرَفِ ٱلْمَدِينَةِ قَالَ صَمُوئِيلُ لِشَاوُلَ: «قُلْ لِلْغُلَامِ أَنْ يَعْبُرَ قُدَّامَنَا». فَعَبَرَ. «وَأَمَّا أَنْتَ فَقِفِ ٱلْآنَ فَأُسْمِعَكَ كَلَامَ ٱللهِ». | ٢٧ 27 |
তাঁরা নগরের প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই শমূয়েল শৌলকে বললেন, “দাসটিকে একটু এগিয়ে যেতে বলো,” আর দাসও তেমনটিই করল, “কিন্তু তুমি এখানে কিছুক্ষণ থেকে যাও, যেন আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা একটি বাণী তোমাকে দিতে পারি।”