< ١ كورنثوس 4 >
هَكَذَا فَلْيَحْسِبْنَا ٱلْإِنْسَانُ كَخُدَّامِ ٱلْمَسِيحِ، وَوُكَلَاءِ سَرَائِرِ ٱللهِ، | ١ 1 |
তাহলে, লোকেরা আমাদের অবশ্যই খ্রীষ্টের পরিচারক ও ঈশ্বরের গোপন বিষয়সমূহের ধারক বলে মনে করুক।
ثُمَّ يُسْأَلُ فِي ٱلْوُكَلَاءِ لِكَيْ يُوجَدَ ٱلْإِنْسَانُ أَمِينًا. | ٢ 2 |
এখন, যাকে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার বিশ্বস্ততা প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক।
وَأَمَّا أَنَا فَأَقَلُّ شَيْءٍ عِنْدِي أَنْ يُحْكَمَ فِيَّ مِنْكُمْ، أَوْ مِنْ يَوْمِ بَشَرٍ. بَلْ لَسْتُ أَحْكُمُ فِي نَفْسِي أَيْضًا. | ٣ 3 |
তোমাদের কাছে, কিংবা মানুষের কোনও আদালতে যদি আমার বিচার হয়, আমি তা নগণ্য বিষয় বলেই মনে করি। প্রকৃতপক্ষে, আমি নিজেরও বিচার করি না।
فَإِنِّي لَسْتُ أَشْعُرُ بِشَيْءٍ فِي ذَاتِي. لَكِنَّنِي لَسْتُ بِذَلِكَ مُبَرَّرًا. وَلَكِنَّ ٱلَّذِي يَحْكُمُ فِيَّ هُوَ ٱلرَّبُّ. | ٤ 4 |
আমার বিবেক পরিষ্কার, কিন্তু তা আমাকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করে না। যিনি আমার বিচার করেন, তিনি প্রভু।
إِذًا لَا تَحْكُمُوا فِي شَيْءٍ قَبْلَ ٱلْوَقْتِ، حَتَّى يَأْتِيَ ٱلرَّبُّ ٱلَّذِي سَيُنِيرُ خَفَايَا ٱلظَّلَامِ وَيُظْهِرُ آرَاءَ ٱلْقُلُوبِ. وَحِينَئِذٍ يَكُونُ ٱلْمَدْحُ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنَ ٱللهِ. | ٥ 5 |
অতএব, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে তোমরা কোনো কিছুরই বিচার কোরো না। প্রভুর আগমন পর্যন্ত অপেক্ষা করো। অন্ধকারে যা গুপ্ত আছে, তা তিনি আলোয় নিয়ে আসবেন এবং সব মানুষের হৃদয়ের অভিপ্রায় উদ্ঘাটিত করবেন। সেই সময় প্রত্যেকে ঈশ্বর থেকে তার প্রশংসা লাভ করবে।
فَهَذَا أَيُّهَا ٱلْإِخْوَةُ حَوَّلْتُهُ تَشْبِيهًا إِلَى نَفْسِي وَإِلَى أَبُلُّوسَ مِنْ أَجْلِكُمْ، لِكَيْ تَتَعَلَّمُوا فِينَا: «أَنْ لَا تَفْتَكِرُوا فَوْقَ مَا هُوَ مَكْتُوبٌ»، كَيْ لَا يَنْتَفِخَ أَحَدٌ لِأَجْلِ ٱلْوَاحِدِ عَلَى ٱلْآخَرِ. | ٦ 6 |
এখন ভাইবোনেরা, আমি তোমাদের উপকারের জন্য এ সমস্ত বিষয় নিজের ও আপল্লোর উপরে প্রয়োগ করেছি, যেন তোমরা আমাদের কাছ থেকে এই প্রবচনের অর্থ শিখতে পারো, “যা লেখা আছে, তা অতিক্রম কোরো না।” তখন তোমরা কোনো একজনের পক্ষে আর অন্য কারও বিপক্ষে গর্ব করতে পারবে না।
لِأَنَّهُ مَنْ يُمَيِّزُكَ؟ وَأَيُّ شَيْءٍ لَكَ لَمْ تَأْخُذْهُ؟ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ أَخَذْتَ، فَلِمَاذَا تَفْتَخِرُ كَأَنَّكَ لَمْ تَأْخُذْ؟ | ٧ 7 |
কারণ কে তোমাদের অন্য কারও চেয়ে বিশিষ্ট করেছে? তোমাদের এমন কী আছে যা ঈশ্বর তোমদের দান করেননি? আর যদি তা পেয়েছ, তাহলে নিজেরা তা অর্জন করেছ ভেবে গর্ব করো কেন?
إِنَّكُمْ قَدْ شَبِعْتُمْ! قَدِ ٱسْتَغْنَيْتُمْ! مَلَكْتُمْ بِدُونِنَا! وَلَيْتَكُمْ مَلَكْتُمْ لِنَمْلِكَ نَحْنُ أَيْضًا مَعَكُمْ! | ٨ 8 |
তোমরা যা চাও, ইতিমধ্যে তা তোমাদের কাছে আছে। তোমরা এরই মধ্যে সম্পদশালী হয়েছ! তোমরা রাজা হয়েছ—তাও আমাদের বাদ দিয়েই! আমি কত না ইচ্ছা করি যে তোমরা সত্যিসত্যিই রাজা হয়ে ওঠো, যেন আমরাও তোমাদের সঙ্গে রাজা হতে পারি!
فَإِنِّي أَرَى أَنَّ ٱللهَ أَبْرَزَنَا نَحْنُ ٱلرُّسُلَ آخِرِينَ، كَأَنَّنَا مَحْكُومٌ عَلَيْنَا بِٱلْمَوْتِ. لِأَنَّنَا صِرْنَا مَنْظَرًا لِلْعَالَمِ، لِلْمَلَائِكَةِ وَٱلنَّاسِ. | ٩ 9 |
কিন্তু আমার মনে হয়, শোভাযাত্রার শেষে বধ্যভূমিতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মতো, ঈশ্বর আমাদের, অর্থাৎ প্রেরিতশিষ্যদের দর্শনীয় বস্তুরূপে প্রদর্শন করছেন। আমরা সমস্ত বিশ্ব, স্বর্গদূত ও সেই সঙ্গে সব মানুষের কাছে উপহাসের পাত্র হয়েছি।
نَحْنُ جُهَّالٌ مِنْ أَجْلِ ٱلْمَسِيحِ، وَأَمَّا أَنْتُمْ فَحُكَمَاءُ فِي ٱلْمَسِيحِ! نَحْنُ ضُعَفَاءُ، وَأَمَّا أَنْتُمْ فَأَقْوِيَاءُ! أَنْتُمْ مُكَرَّمُونَ، وَأَمَّا نَحْنُ فَبِلَا كَرَامَةٍ! | ١٠ 10 |
আমরা খ্রীষ্টের জন্য মূর্খ, কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টে কত বুদ্ধিমান! আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা সবল! তোমরা সম্মানিত, আমরা অপমানিত!
إِلَى هَذِهِ ٱلسَّاعَةِ نَجُوعُ وَنَعْطَشُ وَنَعْرَى وَنُلْكَمُ وَلَيْسَ لَنَا إِقَامَةٌ، | ١١ 11 |
এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত হয়ে আছি, আমাদের পোশাক জীর্ণ, আমাদের প্রতি নির্মম ব্যবহার করা হয়েছে, আমরা গৃহহীন।
وَنَتْعَبُ عَامِلِينَ بِأَيْدِينَا. نُشْتَمُ فَنُبَارِكُ. نُضْطَهَدُ فَنَحْتَمِلُ. | ١٢ 12 |
আমরা নিজেদের হাত দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করি। আমাদের অভিশাপ দেওয়া হলে, আমরা আশীর্বাদ করি, যখন আমাদের নির্যাতন করা হয়, আমরা সহ্য করি।
يُفْتَرَى عَلَيْنَا فَنَعِظُ. صِرْنَا كَأَقْذَارِ ٱلْعَالَمِ وَوَسَخِ كُلِّ شَيْءٍ إِلَى ٱلْآنَ. | ١٣ 13 |
আমাদের যখন নিন্দা করা হয়, আমরা নম্রতায় তার উত্তর দিই। এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা সমাজের আবর্জনা, জগতের জঞ্জাল হয়ে আছি।
لَيْسَ لِكَيْ أُخَجِّلَكُمْ أَكْتُبُ بِهَذَا، بَلْ كَأَوْلَادِي ٱلْأَحِبَّاءِ أُنْذِرُكُمْ. | ١٤ 14 |
তোমাদের লজ্জা দেওয়ার জন্য আমি এই পত্র লিখছি না, কিন্তু আমার প্রিয় সন্তানতুল্য মনে করে তোমাদের সতর্ক করার জন্যই লিখছি।
لِأَنَّهُ وَإِنْ كَانَ لَكُمْ رَبَوَاتٌ مِنَ ٱلْمُرْشِدِينَ فِي ٱلْمَسِيحِ، لَكِنْ لَيْسَ آبَاءٌ كَثِيرُونَ. لِأَنِّي أَنَا وَلَدْتُكُمْ فِي ٱلْمَسِيحِ يَسُوعَ بِٱلْإِنْجِيلِ. | ١٥ 15 |
খ্রীষ্টে যদিও তোমাদের দশ হাজার অভিভাবক থাকে কিন্তু তোমাদের অনেক পিতা থাকতে পারে না, কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের মাধ্যমে আমি তোমাদের জন্ম দিয়েছি।
فَأَطْلُبُ إِلَيْكُمْ أَنْ تَكُونُوا مُتَمَثِّلِينَ بِي. | ١٦ 16 |
সেই কারণে, আমি তোমাদের কাছে অনুনয় করি, তোমরা আমাকে অনুকরণ করো।
لِذَلِكَ أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ تِيمُوثَاوُسَ، ٱلَّذِي هُوَ ٱبْنِي ٱلْحَبِيبُ وَٱلْأَمِينُ فِي ٱلرَّبِّ، ٱلَّذِي يُذَكِّرُكُمْ بِطُرُقِي فِي ٱلْمَسِيحِ كَمَا أُعَلِّمُ فِي كُلِّ مَكَانٍ، فِي كُلِّ كَنِيسَةٍ. | ١٧ 17 |
এই উদ্দেশ্যে আমি আমার পুত্রসম তিমথিকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি, যাঁকে আমি ভালোবাসি; তিনি প্রভুতে বিশ্বস্ত। তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে আমার জীবনযাপনের কথা তোমাদের মনে করিয়ে দেবেন, যা আমি সর্বত্র প্রতিটি মণ্ডলীতে আমি যা শিক্ষা দিই তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
فَٱنْتَفَخَ قَوْمٌ كَأَنِّي لَسْتُ آتِيًا إِلَيْكُمْ. | ١٨ 18 |
তোমাদের কাছে আমি আসব না মনে করে তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্ধত হয়ে উঠেছে।
وَلَكِنِّي سَآتِي إِلَيْكُمْ سَرِيعًا إِنْ شَاءَ ٱلرَّبُّ، فَسَأَعْرِفُ لَيْسَ كَلَامَ ٱلَّذِينَ ٱنْتَفَخُوا بَلْ قُوَّتَهُمْ. | ١٩ 19 |
কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা হলে, খুব শীঘ্রই আমি তোমাদের কাছে যাব। তখন এই উদ্ধত লোকেরা কীভাবে কথা বলছে, শুধু তাই নয়, তাদের ক্ষমতা কতটুকু, তাও আমি দেখব।
لِأَنَّ مَلَكُوتَ ٱللهِ لَيْسَ بِكَلَامٍ، بَلْ بِقُوَّةٍ. | ٢٠ 20 |
কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কথা বলার বিষয় নয়, কিন্তু পরাক্রমের।
مَاذَا تُرِيدُونَ؟ أَبِعَصًا آتِي إِلَيْكُمْ أَمْ بِٱلْمَحَبَّةِ وَرُوحِ ٱلْوَدَاعَةِ؟ | ٢١ 21 |
তোমরা কী চাও? তোমাদের কাছে আমি কি চাবুক নিয়ে যাব, না ভালোবাসায় ও কোমল মানসিকতার সঙ্গে যাব?