< ١ كورنثوس 11 >
كُونُوا مُتَمَثِّلِينَ بِي كَمَا أَنَا أَيْضًا بِٱلْمَسِيحِ. | ١ 1 |
তোমরা আমার আদর্শ অনুকরণ করো, যেমন আমিও খ্রীষ্টের আদর্শ অনুকরণ করি।
فَأَمْدَحُكُمْ أَيُّهَا ٱلْإِخْوَةُ عَلَى أَنَّكُمْ تَذْكُرُونَنِي فِي كُلِّ شَيْءٍ، وَتَحْفَظُونَ ٱلتَّعَالِيمَ كَمَا سَلَّمْتُهَا إِلَيْكُمْ. | ٢ 2 |
আমি তোমাদের প্রশংসা করি, কারণ তোমরা সব বিষয়ে আমাকে স্মরণ করে থাকো ও তোমাদের যে শিক্ষা আমি দিই, তা হুবহু তোমরা মেনে চলো।
وَلَكِنْ أُرِيدُ أَنْ تَعْلَمُوا أَنَّ رَأْسَ كُلِّ رَجُلٍ هُوَ ٱلْمَسِيحُ، وَأَمَّا رَأْسُ ٱلْمَرْأَةِ فَهُوَ ٱلرَّجُلُ، وَرَأْسُ ٱلْمَسِيحِ هُوَ ٱللهُ. | ٣ 3 |
এখন আমি চাই, তোমরা যেন উপলব্ধি করো যে, প্রত্যেক পুরুষের মস্তকস্বরূপ হলেন খ্রীষ্ট এবং নারীর মস্তকস্বরূপ হল পুরুষ, আবার খ্রীষ্টের মস্তকস্বরূপ হলেন ঈশ্বর।
كُلُّ رَجُلٍ يُصَلِّي أَوْ يَتَنَبَّأُ وَلَهُ عَلَى رَأْسِهِ شَيْءٌ، يَشِينُ رَأْسَهُ. | ٤ 4 |
যে পুরুষ তার মস্তক আবৃত রেখে প্রার্থনা করে বা ভাববাণী বলে, সে তার মস্তকের অবমাননা করে।
وَأَمَّا كُلُّ ٱمْرَأَةٍ تُصَلِّي أَوْ تَتَنَبَّأُ وَرَأْسُهَا غَيْرُ مُغُطَّى، فَتَشِينُ رَأْسَهَا، لِأَنَّهَا وَٱلْمَحْلُوقَةَ شَيْءٌ وَاحِدٌ بِعَيْنِهِ. | ٥ 5 |
আবার, কোনো নারী যখন মস্তক অনাবৃত রেখে প্রার্থনা করে বা ভাববাণী বলে, সে তার মস্তকের অবমাননা করে—এ যেন তার মস্তক মুণ্ডন করা হয়েছে, সেরকম।
إِذِ ٱلْمَرْأَةُ، إِنْ كَانَتْ لَا تَتَغَطَّى، فَلْيُقَصَّ شَعَرُهَا. وَإِنْ كَانَ قَبِيحًا بِٱلْمَرْأَةِ أَنْ تُقَصَّ أَوْ تُحْلَقَ، فَلْتَتَغَطَّ. | ٦ 6 |
কোনো নারী যদি তার মস্তক আবৃত না করে, তাহলে তার চুল কেটে ফেলাই উচিত; কিন্তু চুল কেটে ফেলা বা মুণ্ডন করা যদি নারীর কাছে অবমাননাকর বলে মনে হয়, সে তার মস্তকে আবরণ দিক।
فَإِنَّ ٱلرَّجُلَ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُغَطِّيَ رَأْسَهُ لِكَوْنِهِ صُورَةَ ٱللهِ وَمَجْدَهُ. وَأَمَّا ٱلْمَرْأَةُ فَهِيَ مَجْدُ ٱلرَّجُلِ. | ٧ 7 |
কোনো পুরুষ অবশ্যই তার মস্তক আবৃত করবে না, কারণ সে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি ও গৌরব; কিন্তু নারী পুরুষের গৌরব।
لِأَنَّ ٱلرَّجُلَ لَيْسَ مِنَ ٱلْمَرْأَةِ، بَلِ ٱلْمَرْأَةُ مِنَ ٱلرَّجُلِ. | ٨ 8 |
কারণ পুরুষের উদ্ভব নারী থেকে নয়, কিন্তু নারীর উদ্ভব পুরুষ থেকে।
وَلِأَنَّ ٱلرَّجُلَ لَمْ يُخْلَقْ مِنْ أَجْلِ ٱلْمَرْأَةِ، بَلِ ٱلْمَرْأَةُ مِنْ أَجْلِ ٱلرَّجُلِ. | ٩ 9 |
আবার, পুরুষের সৃষ্টি নারীর জন্য হয়নি, কিন্তু নারীর সৃষ্টি হয়েছে পুরুষের জন্য।
لِهَذَا يَنْبَغِي لِلْمَرْأَةِ أَنْ يَكُونَ لَهَا سُلْطَانٌ عَلَى رَأْسِهَا، مِنْ أَجْلِ ٱلْمَلَائِكَةِ. | ١٠ 10 |
এই কারণে ও স্বর্গদূতদের জন্য, নারী তার মস্তকে কর্তৃত্বের চিহ্ন রাখবে।
غَيْرَ أَنَّ ٱلرَّجُلَ لَيْسَ مِنْ دُونِ ٱلْمَرْأَةِ، وَلَا ٱلْمَرْأَةُ مِنْ دُونِ ٱلرَّجُلِ فِي ٱلرَّبِّ. | ١١ 11 |
অবশ্য, প্রভুতে নারীও পুরুষ থেকে স্বতন্ত্র নয়, আবার পুরুষও নারী থেকে স্বতন্ত্র নয়।
لِأَنَّهُ كَمَا أَنَّ ٱلْمَرْأَةَ هِيَ مِنَ ٱلرَّجُلِ، هَكَذَا ٱلرَّجُلُ أَيْضًا هُوَ بِٱلْمَرْأَةِ. وَلَكِنَّ جَمِيعَ ٱلْأَشْيَاءِ هِيَ مِنَ ٱللهِ. | ١٢ 12 |
কারণ যেমন নারী এসেছে পুরুষ থেকে, তেমনই পুরুষেরও জন্ম হয়েছে নারী থেকে। কিন্তু ঈশ্বর থেকে সকলই উদ্ভূত হয়।
ٱحْكُمُوا فِي أَنْفُسِكُمْ: هَلْ يَلِيقُ بِٱلْمَرْأَةِ أَنْ تُصَلِّيَ إِلَى ٱللهِ وَهِيَ غَيْرُ مُغَطَّاةٍ؟ | ١٣ 13 |
তোমরা নিজেরাই বিচার করো: মস্তক অনাবৃত রেখে কোনো নারীর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা কি যথাযথ?
أَمْ لَيْسَتِ ٱلطَّبِيعَةُ نَفْسُهَا تُعَلِّمُكُمْ أَنَّ ٱلرَّجُلَ إِنْ كَانَ يُرْخِي شَعْرَهُ فَهُوَ عَيْبٌ لَهُ؟ | ١٤ 14 |
স্বয়ং প্রকৃতিও কি এই বিষয়ের শিক্ষা দেয় না যে, যদি কোনও পুরুষ লম্বা চুল রাখে, তাহলে তা তার পক্ষে অসম্মানজনক বিষয়,
وَأَمَّا ٱلْمَرْأَةُ إِنْ كَانَتْ تُرْخِي شَعْرَهَا فَهُوَ مَجْدٌ لَهَا، لِأَنَّ ٱلشَّعْرَ قَدْ أُعْطِيَ لَهَا عِوَضَ بُرْقُعٍ. | ١٥ 15 |
কিন্তু কোনো নারীর যদি লম্বা চুল থাকে, তাহলে, তা তার গৌরবের বিষয়, কারণ লম্বা চুল তাকে আবরণের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে।
وَلَكِنْ إِنْ كَانَ أَحَدٌ يُظْهِرُ أَنَّهُ يُحِبُّ ٱلْخِصَامَ، فَلَيْسَ لَنَا نَحْنُ عَادَةٌ مِثْلُ هَذِهِ، وَلَا لِكَنَائِسِ ٱللهِ. | ١٦ 16 |
কেউ যদি এ বিষয়ে বিবাদ করতে চায়, তাহলে আমাদের অন্য কোনও আচরণ-বিধি নেই, কিংবা ঈশ্বরের মণ্ডলীরও নেই।
وَلَكِنَّنِي إِذْ أُوصِي بِهَذَا، لَسْتُ أَمْدَحُ، كَوْنَكُمْ تَجْتَمِعُونَ لَيْسَ لِلْأَفْضَلِ بَلْ لِلْأَرْدَإِ. | ١٧ 17 |
পরবর্তী নির্দেশগুলি দেওয়ার সময়, আমি তোমাদের প্রশংসা করি না, কারণ তোমাদের সমবেত হওয়া ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে।
لِأَنِّي أَوَّلًا حِينَ تَجْتَمِعُونَ فِي ٱلْكَنِيسَةِ، أَسْمَعُ أَنَّ بَيْنَكُمُ ٱنْشِقَاقَاتٍ، وَأُصَدِّقُ بَعْضَ ٱلتَّصْدِيقِ، | ١٨ 18 |
প্রথমত, আমি শুনতে পাচ্ছি, তোমরা যখন মণ্ডলীগতভাবে সমবেত হও, তোমাদের মধ্যে দলাদলি হয়ে থাকে এবং এর কিছুটা আমি বিশ্বাসও করি।
لِأَنَّهُ لَا بُدَّ أَنْ يَكُونَ بَيْنَكُمْ بِدَعٌ أَيْضًا، لِيَكُونَ ٱلْمُزَكَّوْنَ ظَاهِرِينَ بَيْنَكُمْ. | ١٩ 19 |
কোনো সন্দেহ নেই, তোমাদের মধ্যে মতবিরোধ হতেই হবে, যেন তোমাদের মধ্যে যারা ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করেছে, তাদের বুঝতে পারা যায়।
فَحِينَ تَجْتَمِعُونَ مَعًا لَيْسَ هُوَ لِأَكْلِ عَشَاءِ ٱلرَّبِّ، | ٢٠ 20 |
তোমরা যখন একত্রে সমবেত হও, তোমরা যে প্রভুর ভোজ গ্রহণ করো, তা নয়,
لِأَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ يَسْبِقُ فَيَأْخُذُ عَشَاءَ نَفْسِهِ فِي ٱلْأَكْلِ، فَٱلْوَاحِدُ يَجُوعُ وَٱلْآخَرُ يَسْكَرُ. | ٢١ 21 |
কারণ যখন তোমরা ভোজন করো, তখন তোমাদের প্রত্যেকে অন্য কারও জন্য অপেক্ষা না করে, নিজেরাই প্রথমে ভোজন করে থাকো। একজন থাকে ক্ষুধার্ত, অপর একজন মত্ত হয়।
أَفَلَيْسَ لَكُمْ بُيُوتٌ لِتَأْكُلُوا فِيهَا وَتَشْرَبُوا؟ أَمْ تَسْتَهِينُونَ بِكَنِيسَةِ ٱللهِ وَتُخْجِلُونَ ٱلَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ؟ مَاذَا أَقُولُ لَكُمْ؟ أَأَمْدَحُكُمْ عَلَى هَذَا؟ لَسْتُ أَمْدَحُكُمْ! | ٢٢ 22 |
ভোজনপান করার জন্য কি তোমাদের ঘরবাড়ি নেই? নাকি, তোমরা ঈশ্বরের মণ্ডলীকে অবজ্ঞা করছ ও যাদের কিছু নেই, তাদের লজ্জা দিচ্ছ? তোমাদের আমি কী বলব? এর জন্য আমি কি তোমাদের প্রশংসা করব? কোনোমতেই নয়!
لِأَنَّنِي تَسَلَّمْتُ مِنَ ٱلرَّبِّ مَا سَلَّمْتُكُمْ أَيْضًا: إِنَّ ٱلرَّبَّ يَسُوعَ فِي ٱللَّيْلَةِ ٱلَّتِي أُسْلِمَ فِيهَا، أَخَذَ خُبْزًا | ٢٣ 23 |
কারণ প্রভু থেকে আমি যে শিক্ষা লাভ করেছি, তোমাদের কাছে আমি তাই সমর্পণ করছি। যে রাত্রিতে প্রভু যীশুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তিনি রুটি নিলেন
وَشَكَرَ فَكَسَّرَ، وَقَالَ: «خُذُوا كُلُوا هَذَا هُوَ جَسَدِي ٱلْمَكْسُورُ لِأَجْلِكُمُ. ٱصْنَعُوا هَذَا لِذِكْرِي». | ٢٤ 24 |
এবং ধন্যবাদ দিয়ে তা ভাঙলেন ও বললেন, “এ আমার দেহ, এ তোমাদেরই জন্য; তোমরা আমার স্মরণার্থে এরকম কোরো।”
كَذَلِكَ ٱلْكَأْسَ أَيْضًا بَعْدَمَا تَعَشَّوْا، قَائِلًا: «هَذِهِ ٱلْكَأْسُ هِيَ ٱلْعَهْدُ ٱلْجَدِيدُ بِدَمِي. ٱصْنَعُوا هَذَا كُلَّمَا شَرِبْتُمْ لِذِكْرِي». | ٢٥ 25 |
একইভাবে, খাবারের পরে তিনি পানপাত্র নিয়ে বললেন, “এই পানপাত্র আমার রক্তে নতুন নিয়ম, তোমরা যখনই এটা পান করবে, আমার স্মরণার্থেই তা করবে।”
فَإِنَّكُمْ كُلَّمَا أَكَلْتُمْ هَذَا ٱلْخُبْزَ وَشَرِبْتُمْ هَذِهِ ٱلْكَأْسَ، تُخْبِرُونَ بِمَوْتِ ٱلرَّبِّ إِلَى أَنْ يَجِيءَ. | ٢٦ 26 |
কারণ যখনই তোমরা এই রুটি ভোজন করো ও এই পানপাত্র থেকে পান করো, তোমরা প্রভুর মৃত্যু ঘোষণা করে থাকো, যতদিন পর্যন্ত তিনি না আসেন।
إِذًا أَيُّ مَنْ أَكَلَ هَذَا ٱلْخُبْزَ، أَوْ شَرِبَ كَأْسَ ٱلرَّبِّ، بِدُونِ ٱسْتِحْقَاقٍ، يَكُونُ مُجْرِمًا فِي جَسَدِ ٱلرَّبِّ وَدَمِهِ. | ٢٧ 27 |
অতএব, যে কেউ যদি অযোগ্যরূপে এই রুটি ভোজন করে, বা প্রভুর পানপাত্র থেকে পান করে, সে প্রভুর দেহ ও প্রভুর রক্তের বিরুদ্ধে পাপ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে।
وَلَكِنْ لِيَمْتَحِنِ ٱلْإِنْسَانُ نَفْسَهُ، وَهَكَذَا يَأْكُلُ مِنَ ٱلْخُبْزِ وَيَشْرَبُ مِنَ ٱلْكَأْسِ. | ٢٨ 28 |
সেই রুটি ভোজন ও পানপাত্র থেকে পান করার পূর্বে কোনো মানুষের অবশ্যই নিজেকে পরীক্ষা করে দেখা উচিত,
لِأَنَّ ٱلَّذِي يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ بِدُونِ ٱسْتِحْقَاقٍ يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ دَيْنُونَةً لِنَفْسِهِ، غَيْرَ مُمَيِّزٍ جَسَدَ ٱلرَّبِّ. | ٢٩ 29 |
কারণ কেউ যদি প্রভুর দেহ উপলব্ধি না করে ভোজন ও পান করে, সে নিজেরই উপরে বিচারের শাস্তি ভোজন ও পান করে।
مِنْ أَجْلِ هَذَا فِيكُمْ كَثِيرُونَ ضُعَفَاءُ وَمَرْضَى، وَكَثِيرُونَ يَرْقُدُونَ. | ٣٠ 30 |
এই কারণেই তোমাদের মধ্যে অনেকে দুর্বল ও পীড়িত এবং বেশ কয়েকজন নিদ্রাগত হয়েছে।
لِأَنَّنَا لَوْ كُنَّا حَكَمْنَا عَلَى أَنْفُسِنَا لَمَا حُكِمَ عَلَيْنَا، | ٣١ 31 |
কিন্তু যদি আমরা নিজেদের বিচার করতাম, তাহলে বিচারের দায়ে পড়তাম না।
وَلَكِنْ إِذْ قَدْ حُكِمَ عَلَيْنَا، نُؤَدَّبُ مِنَ ٱلرَّبِّ لِكَيْ لَا نُدَانَ مَعَ ٱلْعَالَمِ. | ٣٢ 32 |
যখন আমরা প্রভুর দ্বারা বিচারিত হই, আমরা শাসিত হই, যেন আমরা জগতের সঙ্গে শাস্তিপ্রাপ্ত না হই।
إِذًا يَا إِخْوَتِي، حِينَ تَجْتَمِعُونَ لِلْأَكْلِ، ٱنْتَظِرُوا بَعْضُكُمْ بَعْضًا. | ٣٣ 33 |
তাই, আমার ভাইবোনেরা, তোমরা যখন প্রভুর ভোজের জন্য সমবেত হও, পরস্পরের জন্য অপেক্ষা করো। কেউ ক্ষুধার্ত থাকলে সে তার নিজের বাড়িতেই আহার করুক,
إِنْ كَانَ أَحَدٌ يَجُوعُ فَلْيَأْكُلْ فِي ٱلْبَيْتِ، كَيْ لَا تَجْتَمِعُوا لِلدَّيْنُونَةِ. وَأَمَّا ٱلْأُمُورُ ٱلْبَاقِيَةُ فَعِنْدَمَا أَجِيءُ أُرَتِّبُهَا. | ٣٤ 34 |
যেন তোমাদের সমবেত হওয়া বিচারের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। এরপর আমি উপস্থিত হলে তোমাদের আরও সব নির্দেশ দেব।