< ରୂତ 3 >
1 ଏଥିଉତ୍ତାରେ ତାହାର ଶାଶୁ ନୟମୀ ତାହାକୁ କହିଲା, “ଆହେ ମୋହର କନ୍ୟା, ଯେଉଁଥିରେ ତୁମ୍ଭର ମଙ୍ଗଳ ହେବ, ଏପରି ଆଶ୍ରୟ ସ୍ଥାନ ମୁଁ କି ତୁମ୍ଭ ପାଇଁ ଚେଷ୍ଟା କରିବି ନାହିଁ?
একদিন রূতের শাশুড়ি নয়মী তাকে বলল, “বাছা আমার, আমি কি তোমার জন্য এমন একটি ঘর দেখব না যেখানে তোমার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই তুমি পেতে পারবে?
2 ତୁମ୍ଭେ ଯେଉଁ ବୋୟଜର ଦାସୀଗଣ ସଙ୍ଗରେ ଥିଲ, ସେ କି ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ଜ୍ଞାତି ନୁହେଁ? ଦେଖ, ସେ ଆଜି ରାତ୍ରି ନିଜ ଖଳାରେ ଯବ ଝାଡ଼ିବାକୁ ଉଦ୍ୟତ ଅଛି।
বোয়স আমাদেরই পরিবারের লোক যাঁর দাসীদের সঙ্গে তুমি সারাদিন ছিলে। আজ রাতে তিনি খামারে যব ঝাড়াই করবেন।
3 ଏଣୁ ତୁମ୍ଭେ ଏବେ ସ୍ନାନ କର ଓ ତୈଳ ମର୍ଦ୍ଦନ କର ଓ ନିଜ (ଉତ୍ତମ) ବସ୍ତ୍ର ପରିଧାନ କରି ସେହି ଖଳାକୁ ଯାଅ; ମାତ୍ର ସେ ମନୁଷ୍ୟ ଭୋଜନପାନ ନ ସାରିବା ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ତାହାକୁ ନିଜର ପରିଚୟ ଦିଅ ନାହିଁ।
তাই তেল মেখে চান করো ও গায়ে আতর লাগাও এবং তোমার সব থেকে সুন্দর কাপড়টি পরে নাও। তারপর খামারে নেমে যাও, কিন্তু সাবধান, যতক্ষণ না বোয়স খাবার খেয়ে জলপান করছেন, ততক্ষণ তিনি যেন জানতে না পারেন যে তুমি সেখানে আছ।
4 ସେ ଯେତେବେଳେ ଶୟନ କରିବ, ସେତେବେଳେ ତୁମ୍ଭେ ତାହାର ଶୟନ ସ୍ଥାନ ଦେଖି ନିର୍ଣ୍ଣୟ କର; ତହୁଁ ସେଠାକୁ ଯାଇ ତାହାର ଚରଣ ସମୀପସ୍ଥ ସ୍ଥାନ ଅନାବୃତ କରି ଶୟନ କର, ତହିଁରେ ତୁମ୍ଭକୁ କʼଣ କରିବାକୁ ହେବ, ତାହା ସେ ଜଣାଇବ।”
যখন তিনি শুতে যাবেন, ভালো করে দেখবে তিনি কোথায় শুয়েছেন। ভিতরে গিয়ে তাঁর পায়ের চাদর সরিয়ে, তুমি তাঁর পায়ের তলায় শোবে। তখন তিনি তোমাকে কী করতে হবে তা বলে দেবেন।”
5 ସେ ଉତ୍ତର କଲା, “ତୁମ୍ଭେ ଯାହା କହୁଅଛ, ସେସମସ୍ତ ମୁଁ କରିବି।”
রূত তার শাশুড়িকে উত্তর দিল, “আপনি আমাকে যা কিছু বললেন আমি তাই করব।”
6 ଏଣୁ ସେ ସେହି ଖଳାକୁ ଯାଇ ନିଜ ଶାଶୁର ଆଦେଶାନୁସାରେ ସମସ୍ତ କର୍ମ କଲା।
তাই রূত খামারে নেমে গেল এবং তার শাশুড়ির কথামতো সবকিছু করল।
7 ପୁଣି ଭୋଜନପାନ ସାରି ବୋୟଜର ମନ ଆନନ୍ଦିତ ହୁଅନ୍ତେ, ସେ ଶସ୍ୟରାଶିର ଏକ ପ୍ରାନ୍ତଭାଗରେ ଶୟନ କରିବାକୁ ଗଲା, ତହିଁରେ ରୂତ ଧୀରେ ଧୀରେ ଯାଇ ତାହାର ଚରଣ ସମୀପସ୍ଥ ସ୍ଥାନ ଅନାବୃତ କରି ଶୟନ କଲା।
যখন বোয়স খাওয়াদাওয়া শেষ করে খামারের এক পাশে কোনাতে শুতে গেলেন, তাঁর মন খুব খুশি ছিল। পরে রূত চুপিচুপি খামারের ভিতরে এল। তারপর বোয়সের পায়ের চাদর সরিয়ে, তাঁর পায়ের তলায় শুয়ে পড়ল।
8 ତହୁଁ ମଧ୍ୟରାତ୍ରି ସମୟରେ ସେ ପୁରୁଷ ଚମତ୍କୃତ ହୋଇ ଉଠି ଅନାଇଲା, ଆଉ ଦେଖ, ତାହାର ପାଦ ନିକଟରେ ଜଣେ ସ୍ତ୍ରୀ ଶୟନ କରିଅଛି। ତହିଁରେ ସେ ପଚାରିଲା, “ତୁମ୍ଭେ କିଏ?”
গভীর রাতে যখন বোয়স পাশ ফিরলেন তিনি ভয়ে চমকে উঠলেন, তিনি দেখলেন যে একজন মহিলা তাঁর পায়ের তলায় শুয়ে আছে।
9 ସେ ଉତ୍ତର କଲା, “ମୁଁ ଆପଣଙ୍କର ଦାସୀ ରୂତ; ଏଣୁ ନିଜ ଚାଦର ଆପଣଙ୍କ ଦାସୀ ଉପରେ ବିସ୍ତାର କରନ୍ତୁ, କାରଣ ଆପଣ ମୁକ୍ତିକର୍ତ୍ତା ଜ୍ଞାତି ଅଟନ୍ତି।”
বোয়স তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে তুমি?” সে উত্তর দিল, “আমি আপনার দাসী রূত, আপনার দাসীর উপর আপনার চাদর ঢেকে দিন। কারণ আপনি আমাদের পরিবারের একজন মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি।”
10 ସେ କହିଲା, “ଆହେ ମୋହର କନ୍ୟା, ତୁମ୍ଭେ ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କର ଆଶୀର୍ବାଦପାତ୍ରୀ ହୁଅ, ଯେହେତୁ ତୁମ୍ଭେ ଧନବାନ କି ଦରିଦ୍ର କୌଣସି ଯୁବାପୁରୁଷର ଅନୁଗାମିନୀ ନ ହୋଇ ପ୍ରଥମାପେକ୍ଷା ଶେଷରେ ଅଧିକ ସାଧୁତା ଦେଖାଇଅଛ।
বোয়স বললেন, “বাছা আমার, সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন। ধনী বা দরিদ্র কোনও যুবকের পিছনে না গিয়ে তুমি প্রথমে যে দয়া দেখিয়েছিলে তার থেকে এই দয়াটি মহৎ।
11 ଏଣୁ ଆହେ ମୋହର କନ୍ୟା, ଭୟ କର ନାହିଁ, ତୁମ୍ଭେ ଯାହା କହିଲ, ମୁଁ ତୁମ୍ଭ ପାଇଁ ସେସମସ୍ତ କରିବି;
এখন বাছা আমার, ভয় কোরো না। তুমি যা বলবে আমি তোমার জন্য তাই করব। কারণ এই নগরের সবাই জানে যে তুমি আদর্শ চরিত্রবিশিষ্ট এক মহিলা।
12 ଯେହେତୁ ତୁମ୍ଭେ ଯେ ସମ୍ମାନୀୟ ସ୍ତ୍ରୀ, ଏହା ମୋହର ନଗରସ୍ଥ ସମସ୍ତ ଲୋକ ଜାଣନ୍ତି। ମୁଁ ମୁକ୍ତିକର୍ତ୍ତା ଜ୍ଞାତି ଅଟେ, ଏହା ସତ୍ୟ, ମାତ୍ର ମୋʼ ଠାରୁ ନିକଟ ସମ୍ପର୍କୀୟ ଆଉ ଜଣେ ମୁକ୍ତିକର୍ତ୍ତା ଜ୍ଞାତି ଅଛି।
একথা সত্যি যে আমি তোমার মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি কিন্তু আমার থেকেও একজন আরও খুব কাছের মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি এই নগরে আছেন।
13 ଏହି ରାତ୍ରି ଥାଅ; ସକାଳେ ସେ ଯେବେ ତୁମ୍ଭକୁ ମୁକ୍ତ କରେ, ତେବେ ଭଲ, ସେ ମୁକ୍ତ କରୁ; ମାତ୍ର ଯେବେ ସେ ତୁମ୍ଭକୁ ମୁକ୍ତ ନ କରେ, ତେବେ ଜୀବିତ ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କ ନାମରେ ସତ୍ୟ କହୁଅଛି ଯେ, ମୁଁ ତୁମ୍ଭକୁ ମୁକ୍ତ କରିବି; ତୁମ୍ଭେ ସକାଳ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ଶୟନ କର।”
আজ রাতটি এখানে কাটাও। সকালে আমি তাঁকে বলবো, যদি তিনি তোমাকে তাঁর নিজের করে গ্রহণ করেন তবে ভালো, কিন্তু তিনি যদি গ্রহণ না করেন তবে জীবিত সদাপ্রভুর নামে আমি তোমাকে আমার নিজের করে গ্রহণ করব! তাই সকাল পর্যন্ত এখানে শুয়ে থাকো।”
14 ତହିଁରେ ରୂତ ସକାଳ ଯାଏ ତାହାର ପାଦ ନିକଟରେ ଶୋଇ ରହିଲା, ପୁଣି କେହି କାହାକୁ ଚିହ୍ନି ପାରିବା ସମୟ ପୂର୍ବେ ସେ ଉଠିଲା କାରଣ ବୋୟଜ କହିଲା, “ଖଳାକୁ ଏ ସ୍ତ୍ରୀ ଯେ ଆସିଥିଲା, ଏହା ଜଣା ନ ଯାଉ।”
তাই রূত সকাল পর্যন্ত বোয়সের পায়ের তলায় শুয়ে থাকল, কিন্তু যখন লোকে একে অপরকে চিনতে পারে সেই সময় খুব অন্ধকার থাকতে সে উঠল; কারণ বোয়স তাকে বলেছিলেন, “দেখো কেউ যেন জানতে না পারে যে একজন মহিলা খামারে এসেছিল।”
15 ସେ ଆହୁରି କହିଲା, “ତୁମ୍ଭର ଆବରଣୀୟ ବସ୍ତ୍ର ବିଛାଇ ଧର,” ତହିଁରେ ରୂତ ତାହା ବିଛାଇ ଧରନ୍ତେ, ସେ ଛଅ ପାତ୍ର ଯବ ମାପି ତାହାର ମସ୍ତକରେ ଦେଇ ନଗରକୁ ଚାଲିଗଲା।
তিনি আরও বললেন, “তোমার গায়ের শালটি আমার কাছে এনে মেলে ধরো।” সে তাই করল, বোয়স তাকে ছয় মান যব দিলেন। এরপর সে নগরে চলে গেল।
16 ତହୁଁ ରୂତ ନିଜ ଶାଶୁ ନିକଟକୁ ଆସନ୍ତେ, ସେ କହିଲା, “ଆହେ ଆମ୍ଭର କନ୍ୟା, କଅଣ ହେଲା?” ତହିଁରେ ସେ ନିଜ ପ୍ରତି ସେହି ପୁରୁଷର କୃତ ସମସ୍ତ କର୍ମ ତାହାକୁ ଜଣାଇଲା।
যখন রূত তার শাশুড়ির কাছে ফিরে এল, নয়মী তাকে জিজ্ঞাসা করল, “বাছা আমার, তোমার কী হল?” তখন রূত তার প্রতি যা কিছু ঘটেছিল, সব তার শাশুড়িকে বলল।
17 ପୁଣି ଆହୁରି କହିଲା, “ଶାଶୁ ନିକଟକୁ ମୁକ୍ତ ହସ୍ତରେ ନ ଯାଅ” ବୋଲି କହି ସେ ମୋତେ ଏହି ଛଅ ପାତ୍ର ଯବ ଦେଇଅଛନ୍ତି।
রূত আরও বলল, “তিনি এই ছয় মান যব আমাকে দিয়ে বললেন, ‘তোমার শাশুড়ির কাছে খালি হাতে যেয়ো না।’”
18 ତହୁଁ ତାହାର ଶାଶୁ ତାହାକୁ କହିଲା, “ଆହେ ଆମ୍ଭର କନ୍ୟା, ଏ ବିଷୟ କʼଣ ହେବ, ଏହା ତୁମ୍ଭକୁ ଜଣା ହେବା ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ବସିଥାଅ; କାରଣ ସେ ମନୁଷ୍ୟ ଆଜି ଏ କର୍ମ ସମାପ୍ତ ନ କରି ବିଶ୍ରାମ କରିବ ନାହିଁ।”
এরপর নয়মী তাকে বলল, “বাছা আমার, এবার তুমি অপেক্ষা করো আর দেখো কী হয়। কারণ যতক্ষণ না আজ কিছু স্থির হয়, তিনি আরাম করবেন না।”