< ହିତୋପଦେଶ 8 >

1 ଜ୍ଞାନ କʼଣ ଡାକେ ନାହିଁ? ବୁଦ୍ଧି କʼଣ ଉଚ୍ଚସ୍ୱର କରେ ନାହିଁ?
প্রজ্ঞা কি ডাক দেয় না? বিচক্ষণতা কি তার সুর চড়ায় না?
2 ସେ ପଥପାର୍ଶ୍ୱସ୍ଥ ଉଚ୍ଚସ୍ଥାନ ମୁଣ୍ଡରେ, ବାଟସବୁର ସଂଯୋଗ ସ୍ଥାନରେ ଠିଆ ହୁଏ।
পথ বরাবর সবচেয়ে উঁচু জায়গায়, পথগুলি যেখানে মিলিত হয়, সেখানে গিয়ে সে দাঁড়ায়;
3 ସେ ନଗର-ଦ୍ୱାର ନିକଟରେ, ନଗରର ପ୍ରବେଶ-ଦ୍ୱାରରେ, ଦ୍ୱାରର ପ୍ରବେଶ ସ୍ଥାନରେ ଥାଇ ଉଚ୍ଚସ୍ୱରେ ଡାକି କହେ,
যে দরজা দিয়ে নগরে ঢোকা হয়, তার পাশে দাঁড়িয়ে, প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে, সে জোরে চিৎকার করে:
4 “ହେ ମନୁଷ୍ୟଗଣ, ମୁଁ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କୁ ଡାକୁଅଛି; ପୁଣି, ମନୁଷ୍ୟ-ସନ୍ତାନଗଣ ପ୍ରତି ମୋହର ରବ ଅଛି।
“ওহে জনতা, আমি তোমাদেরই ডাকছি; সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশে আমি সুর চড়াচ্ছি।
5 ହେ ନିର୍ବୋଧ ଲୋକେ, ସତର୍କତାର କଥା ବୁଝ; ହେ ମୂର୍ଖ ଲୋକେ, ତୁମ୍ଭେମାନେ ସୁବିବେକୀମନା ହୁଅ।
তোমরা যারা অনভিজ্ঞ, তোমরা দূরদর্শিতা অর্জন করো; তোমরা যারা মূর্খ, তোমরা এতে মন দাও।
6 ଶୁଣ, ଯେହେତୁ ମୁଁ ଉତ୍କୃଷ୍ଟ ବିଷୟ କହିବି; ମୁଁ ଓଷ୍ଠାଧର ଫିଟାଇ ଯଥାର୍ଥ କଥା କହିବି।
শোনো, কারণ আমার কিছু নির্ভরযোগ্য কথা বলার আছে; যা সঠিক তা বলার জন্য আমি আমার ঠোঁট খুলেছি।
7 ଯେହେତୁ ମୋହର ମୁଖ ସତ୍ୟ କହିବ, ଦୁଷ୍ଟତା ମୋʼ ଓଷ୍ଠାଧରର ଘୃଣାର ବିଷୟ।
যা সত্যি আমার মুখ তাই বলে, কারণ আমার ঠোঁট দুষ্টতা ঘৃণা করে।
8 ମୋʼ ମୁଖର ସମସ୍ତ କଥା ଧର୍ମମୟ; ତହିଁ ମଧ୍ୟରେ ବକ୍ର କିମ୍ବା କୁଟିଳ କିଛି ନାହିଁ।
আমার মুখের সব কথা ন্যায্য; সেগুলির মধ্যে একটিও কুটিল বা বিকৃত নয়।
9 ଯେ ତାହା ବୁଝେ, ତାହା ପ୍ରତି ସେହି ସବୁ ସ୍ପଷ୍ଟ; ପୁଣି, ବିଦ୍ୟାପ୍ରାପ୍ତ ଲୋକଙ୍କ ପ୍ରତି ତାହା ଯଥାର୍ଥ ଅଟେ।
বিচক্ষণের কাছে সেসব কথা সঠিক; যারা জ্ঞান লাভ করেছে তাদের কাছে সেগুলি ন্যায্য।
10 ରୂପା ଅପେକ୍ଷା ମୋହର ଉପଦେଶ ଏବଂ ମନୋନୀତ ସୁବର୍ଣ୍ଣ ଅପେକ୍ଷା ଜ୍ଞାନ ଗ୍ରହଣ କର।
রুপোর পরিবর্তে আমার নির্দেশ, উৎকৃষ্ট সোনার পরিবর্তে বরং জ্ঞান মনোনীত করো,
11 ଯେହେତୁ ଜ୍ଞାନ ମୁକ୍ତାଠାରୁ ଉତ୍ତମ ଓ ସମସ୍ତ ଇଷ୍ଟବସ୍ତୁ ତାହା ସଙ୍ଗେ ତୁଲ୍ୟ ହେବାକୁ ଯୋଗ୍ୟ ନୁହେଁ।
কারণ প্রজ্ঞা পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি মূল্যবান, ও তোমার আকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুর সাথেই তার তুলনা হয় না।
12 ମୁଁ ଜ୍ଞାନ, ସତର୍କତାକୁ ଆପଣା ବାସସ୍ଥାନ କରିଅଛି, ପୁଣି, ଜ୍ଞାନ ଓ ପରିଣାମଦର୍ଶିତା ପାଇଥାଏ।
“আমি, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতার সঙ্গেই বসবাস করি; আমিই জ্ঞান ও বিচক্ষণতার অধিকারী।
13 ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କ ବିଷୟକ ଭୟ, ମନ୍ଦତା ପ୍ରତି ଘୃଣା; ଅହଙ୍କାର, ଦାମ୍ଭିକତା ଓ କୁପଥ ଏବଂ କୁଟିଳ ମୁଖ ମୁଁ ଘୃଣା କରେ।
সদাপ্রভুকে ভয় করার অর্থ মন্দকে ঘৃণা করা; আমি অহংকার ও দাম্ভিকতাকে ঘৃণা করি, মন্দ আচরণ ও সত্যভ্রষ্ট কথাবার্তাকেও করি।
14 ମନ୍ତ୍ରଣା ଓ ତତ୍ତ୍ୱଜ୍ଞାନ ମୋʼ ଠାରେ ଥାଏ; ମୁଁ ହିଁ ସୁବିବେଚନା; ମୋʼ ଠାରେ ବଳ ଅଛି।
পরামর্শ ও সুবিচার আমার অধিকারভুক্ত; আমার কাছে দূরদর্শিতা ও ক্ষমতা আছে।
15 ମୋʼ ଦ୍ୱାରା ରାଜାମାନେ ରାଜତ୍ୱ କରନ୍ତି ଓ ଭୂପତିମାନେ ଯଥାର୍ଥ ବିଚାର କରନ୍ତି।
আমার দ্বারাই রাজারা রাজত্ব করেন ও শাসনকর্তারা ন্যায়সংগত হুকুম জারি করেন;
16 ମୋʼ ଦ୍ୱାରା ଅଧିପତିମାନେ, କୁଳୀନମାନେ ଓ ପୃଥିବୀର ସମସ୍ତ ବିଚାରକର୍ତ୍ତୃଗଣ ଶାସନ କରନ୍ତି।
আমার দ্বারাই অধিপতিরা প্রভুত্ব করেন, ও সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা—যারা সবাই পৃথিবীতে শাসন করেন।
17 ଯେଉଁମାନେ ମୋତେ ପ୍ରେମ କରନ୍ତି, ମୁଁ ସେମାନଙ୍କୁ ପ୍ରେମ କରେ, ପୁଣି ଯେଉଁମାନେ ଯତ୍ନରେ ମୋହର ଅନ୍ୱେଷଣ କରନ୍ତି, ସେମାନେ ମୋତେ ପାଇବେ।
যারা আমাকে ভালোবাসে আমিও তাদের ভালোবাসি, ও যারা আমার খোঁজ করে তারা আমাকে খুঁজে পায়।
18 ମୋʼ ଠାରେ ଧନ ଓ ସମ୍ଭ୍ରମ, ପୁଣି, ଅକ୍ଷୟ ସମ୍ପତ୍ତି ଓ ଧାର୍ମିକତା ଅଛି।
আমার কাছেই আছে ধনসম্পত্তি ও সম্মান, চিরস্থায়ী সম্পদ ও সমৃদ্ধি।
19 ମୋହର ଫଳ ସୁବର୍ଣ୍ଣ, ହଁ, ଶୁଦ୍ଧ ସୁବର୍ଣ୍ଣ ଅପେକ୍ଷା ଉତ୍ତମ; ପୁଣି, ମୋହର ଆୟ ଉତ୍କୃଷ୍ଟ ରୂପା ଅପେକ୍ଷା ଭଲ।
আমার ফল খাঁটি সোনার চেয়েও সেরা; আমি যা উৎপাদন করি তা অসাধারণ রুপোকেও ছাপিয়ে যায়।
20 ମୁଁ ଧାର୍ମିକତାର ମାର୍ଗରେ, ବିଚାରର ପଥ ମଧ୍ୟରେ ଗମନ କରେ,
আমি ধার্মিকতার পথে চলি, ন্যায়ের পথ ধরে চলি,
21 ଆଉ ଯେଉଁମାନେ ମୋତେ ପ୍ରେମ କରନ୍ତି, ସେମାନଙ୍କୁ ସାରା ସମ୍ପତ୍ତିର ଅଧିକାରୀ କରେ ଓ ସେମାନଙ୍କ ଭଣ୍ଡାର ପରିପୂର୍ଣ୍ଣ କରେ;
যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের আমি প্রচুর উত্তরাধিকার দান করি ও তাদের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে দিই।
22 ସଦାପ୍ରଭୁ ନିଜ ଗତିର ଆରମ୍ଭରେ, ତାହାଙ୍କ କର୍ମସକଳର ପୂର୍ବରେ ମୋତେ ଅଧିକାର କରିଥିଲେ।
“সদাপ্রভু তাঁর কর্মের প্রথম ফলরূপে, প্রাচীনকালে তাঁর করা সব কাজকর্মের আগেই আমাকে উৎপন্ন করেছিলেন;
23 ଅନାଦିକାଳରୁ ଅବା ଆଦ୍ୟକାଳଠାରୁ ଅବା ପୃଥିବୀର ମୂଳସ୍ଥାପନର ପୂର୍ବରୁ ମୁଁ ସ୍ଥାପିତ ଅଛି।
বহুকাল আগেই আমাকে তৈরি করা হয়েছিল, একেবারে শুরুতেই, যখন এই জগৎ পত্তন হয়েছিল তখনই হয়েছিল।
24 ବାରିଧିସକଳ ନ ଥିବା ସମୟରେ, ନିର୍ଝରସକଳ ଜଳପୂର୍ଣ୍ଣ ନ ଥିବା ସମୟରେ ମୁଁ ଜନ୍ମିଅଛି;
যখন অতল জলের কোনো অস্তিত্বও ছিল না, তখন আমাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল, যখন জলে উপচে পড়া কোনো জলের উৎসের অস্তিত্ব ছিল না;
25 ପୁଣି, ପର୍ବତଗଣ ଓ ଉପପର୍ବତଗଣ ସ୍ଥାପିତ ହେବା ପୂର୍ବରେ ମୁଁ ଜନ୍ମ ପାଇଅଛି;
পর্বতগুলি স্বস্থানে স্থাপিত হওয়ার আগে, পাহাড়গুলি উৎপন্ন হওয়ার আগেই,
26 ସେହି ସମୟରେ ଭୂମି, କିମ୍ବା ପ୍ରାନ୍ତର, କିମ୍ବା ଜଗତସ୍ଥ ଧୂଳିର ଅଗ୍ରିମାଂଶ ସଦାପ୍ରଭୁ ସୃଷ୍ଟି କରି ନ ଥିଲେ।
সদাপ্রভু এই জগৎ বা এখানকার মাঠঘাট বা পৃথিবীর একমুঠো ধুলোবালি তৈরি করার আগেই আমাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল।
27 ଯେଉଁ ସମୟରେ ସେ ଆକାଶମଣ୍ଡଳ ସ୍ଥାପନ କଲେ, ସେହି ସମୟରେ ମୁଁ ସେଠାରେ ଥିଲି, ଯେଉଁ ସମୟରେ ସେ ବାରିଧି ଉପରେ ଚକ୍ରାକାର ସୀମା ନିରୂପଣ କଲେ,
যখন তিনি আকাশমণ্ডলকে স্বস্থানে স্থাপন করলেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম, যখন তিনি অতল জলরাশির বুকে দিগন্তের চিহ্ন এঁকে দিলেন,
28 ପୁଣି ଉପରିସ୍ଥ ଆକାଶମଣ୍ଡଳକୁ ଦୃଢ଼ କଲେ ଓ ବାରିଧିର ପ୍ରବାହସକଳ ପ୍ରବଳ ହେଲା;
যখন তিনি ঊর্ধ্বস্থ মেঘরাশি স্থাপন করলেন ও অতল জলরাশির উৎসগুলি শক্ত করে বেঁধে দিলেন,
29 ଜଳସମୂହ ଯେପରି ତାହାଙ୍କ ଆଜ୍ଞାଲଙ୍ଘନ କରି ନ ପାରେ, ଏଥିପାଇଁ ଯେଉଁ ସମୟରେ ସେ ସମୁଦ୍ରର ସୀମା ନିରୂପଣ କଲେ ଓ ଯେଉଁ ସମୟରେ ଜଗତର ମୂଳଦୁଆ ଚିହ୍ନିତ କଲେ;
যখন তিনি সমুদ্রের সীমা স্থির করলেন যেন জলরাশি তাঁর আদেশ লঙ্ঘন না করে, ও যখন তিনি পৃথিবীর ভিত্তিমূল চিহ্নিত করলেন।
30 ସେହି ସମୟରେ ମୁଁ ତାହାଙ୍କ ନିକଟରେ ରାଜମିସ୍ତ୍ରୀ ଥିଲି; ପୁଣି, ମୁଁ ପ୍ରତିଦିନ ଆନନ୍ଦଦାୟୀ ହୋଇ ତାହାଙ୍କ ସମ୍ମୁଖରେ ସର୍ବଦା ଆନନ୍ଦ କଲି।
তখন আমি প্রতিনিয়ত তাঁর পাশেই ছিলাম। দিনের পর দিন আমি আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে থাকতাম, সর্বক্ষণ তাঁর উপস্থিতিতে আনন্দ উপভোগ করতাম,
31 ପୁଣି, ତାହାଙ୍କ ଭୂମଣ୍ଡଳରେ ଆନନ୍ଦ କଲି ଓ ମନୁଷ୍ୟ-ସନ୍ତାନଗଣ ସଙ୍ଗରେ ମୋହର ଆମୋଦ ଥିଲା।
তাঁর সমগ্র এই জগৎ নিয়ে আনন্দ করতাম ও মানবজাতিকে নিয়েও আনন্দে মেতে উঠতাম।
32 ଏନିମନ୍ତେ ହେ ମୋହର ପୁତ୍ରମାନେ, ମୋହର ବାକ୍ୟ ଶୁଣ, ଯେହେତୁ ଯେଉଁମାନେ ମୋହର ପଥ ଧରନ୍ତି, ସେମାନେ ଧନ୍ୟ।
“তবে এখন, হে আমার বাছারা, আমার কথা শোনো; যারা আমার পথে চলে তারা ধন্য।
33 ଉପଦେଶ ଶୁଣି ଜ୍ଞାନବାନ ହୁଅ; ପୁଣି, ତାହା ଅଗ୍ରାହ୍ୟ କର ନାହିଁ।
আমার নির্দেশ শোনো ও জ্ঞানবান হও; তা উপেক্ষা কোরো না।
34 ଯେ ମୋʼ କଥା ଶୁଣେ ଓ ମୋʼ ଦ୍ୱାର ନିକଟରେ ନିତ୍ୟ ଜଗି ରହେ, ମୋʼ ଦ୍ୱାରର ଚୌକାଠ ନିକଟରେ ଅନୁସରଣ କରେ, ସେହି ଲୋକ ଧନ୍ୟ।
যারা আমার কথা শোনে, যারা প্রতিদিন আমার দরজায় দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করে, আমার দরজায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে তারা ধন্য।
35 ଯେହେତୁ ଯେ ମୋତେ ପାଏ, ସେ ଜୀବନ ପାଏ ଏବଂ ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କର ଅନୁଗ୍ରହପ୍ରାପ୍ତ ହେବ।
কারণ যারা আমাকে খুঁজে পায় তারা জীবন খুঁজে পায় ও সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভ করে।
36 ମାତ୍ର ଯେ ମୋʼ ବିରୁଦ୍ଧରେ ପାପ କରେ, ସେ ଆପଣା ପ୍ରାଣର କ୍ଷତି କରେ; ଯେଉଁ ସମସ୍ତ ଲୋକ ମୋତେ ଘୃଣା କରନ୍ତି, ସେମାନେ ମୃତ୍ୟୁକୁ ଭଲ ପାଆନ୍ତି।”
কিন্তু যারা আমাকে খুঁজে পায় না তারা নিজেদেরই ক্ষতিসাধন করে; যেসব লোক আমাকে ঘৃণা করে তারা মৃত্যু ভালোবাসে।”

< ହିତୋପଦେଶ 8 >