१ राजाहरू 17
1 गिलादको तिश्बेका तिश्बी एलियाले आहाबलाई भने, “इस्राएलका परमेश्वर परमप्रभु जसको सामु म खडा छु, उहाँको नाउँमा म भन्दछु कि मैले नभनेसम्म पानी पर्ने छैन वा शीत पर्ने छैन ।”
ইত্যবসরে গিলিয়দের তিশবী থেকে আসা তিশবীয় এলিয় আহাবকে বললেন, “আমি যাঁর সেবা করি, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি না বলা পর্যন্ত পরবর্তী কয়েক বছর দেশে শিশির বা বৃষ্টি, কিছুই পড়বে না।”
2 परमप्रभुको वचन एलियाकहाँ आयो,
পরে এলিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য এসেছিল:
3 “यस ठाउँलाई छाडेर पूर्वतिर जा । यर्दनको पूर्वमा पर्ने करीत खोलामा लुकेर बस् ।
“এই স্থানটি ছেড়ে চলে যাও, পূর্বদিকে ফিরে জর্ডন নদীর পূর্বপারে করীতের সরু গিরিখাতে গিয়ে লুকিয়ে থাকো।
4 तैँले त्यही खोलाबाट पानी पिउने छस्, र मैले तँलाई खुवाउन कागहरूलाइ आज्ञा गरेको छु ।”
তুমি সেই স্রোতের জল পান করবে, এবং আমি দাঁড়কাকদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, তারা সেখানে তোমাকে খাবার জোগাবে।”
5 एलिया गए, र परमप्रभुले आज्ञा गर्नुभएझैँ तिनले गरे । तिनी यर्दनको पूर्वमा पर्ने केरीत खोलानेर बस्न गए ।
সদাপ্রভু তাঁকে যা বললেন, তিনি তাই করলেন। তিনি জর্ডন নদীর পূর্বপারে করীতের সরু গিরিখাতের দিকে গিয়ে সেখানেই থেকে গেলেন।
6 कागहरूले तिनलाई बिहान र बेलुका रोटी र मासु ल्याए, अनि तिनले खोलाबाट पानी पिए ।
দাঁড়কাকেরা সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর কাছে রুটি ও মাংস নিয়ে আসত, এবং তিনি সেই স্রোতের জল পান করতেন।
7 तर देशमा पानी नपरेकोले केही समय बितेपछि खोला सुक्यो ।
দেশে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কিছুদিন পর সেই স্রোতটি শুকিয়ে গেল।
8 परमप्रभुको वचन तिनीकहाँ आयो,
তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য তাঁর কাছে এসেছিল:
9 “उठेर सीदोनको सारपातमा जा, र त्यही बस् । हेर्, तेरो खानाको बन्दोवस्त मिलाउन मैले त्यहाँ एउटी विधवालाई आज्ञा दिएको छु ।”
“এক্ষুনি তুমি সীদোনের এলাকাভুক্ত সারিফতে চলে যাও ও সেখানে গিয়েই থাকো। আমি সেখানে একজন বিধবাকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, সে তোমাকে খাবার জোগাবে।”
10 त्यसैले तिनी उठेर सारपातमा गए । तिनी सहरको मुल ढोकामा आइपुग्दा एउटी विधवाले दाउरा बटुल्दै थिइन् । तिनले उनलाई डाकेर भने, “मलाई पिउनलाई यो भाँडोमा थोरै पानी ल्याइदिनुहुन्छ कि?”
অতএব তিনি সারিফতে চলে গেলেন। তিনি যখন নগরের সিংহদুয়ারে পৌঁছালেন, একজন বিধবা সেখানে তখন কাঠকুটো সংগ্রহ করছিল। তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি আমার জন্য এক পাত্র জল এনে দিতে পারবে, যেন আমি তা পান করতে পারি?”
11 उनी पानी लिन जाँदै गर्दा तिनले उनलाई भने, “तपाईंको हातमा रोटीको टुक्रा पनि ल्याइदिनुहोस् ।”
সে যখন জল আনতে যাচ্ছিল তখন তিনি আবার তাকে ডেকে বললেন, “আর দয়া করে আমার জন্য এক টুকরো রুটিও এনো।”
12 उनले भनिन्, “परमप्रभु तपाईंका परमेश्वरको नाउँमा म भन्दछु, कि मसित कुनै रोटी छैन, तर भाँडामा एक मुट्ठी पिठो र ढुङ्ग्रोमा अलकति तेल छ । हेर्नुहोस्, म र मेरो छोरोको लागि खाना बनाई खाएर हामी नमरूँ भनी मैले दुईचार टुक्रा दाउरा बटुल्दै छु ।”
“আপনার ঈশ্বর জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,” সে উত্তর দিয়েছিল, “আমার কাছে কোনও রুটি নেই—আছে শুধু একটি পাত্রে পড়ে থাকা একমুঠো ময়দা আর একটি বয়ামে পড়ে থাকা সামান্য একটু জলপাই তেল। আমি ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকটি কাঠকুটো কুড়াচ্ছি, যেন আমার ও আমার ছেলের জন্য একটু খাবার তৈরি করে আমরা তা খেয়ে মরি।”
13 एलियाले उनलाई भने, “नडराऊ । गएर मैले भनेझैँ गर, तर पहिले मेरो निम्ति सानो रोटी बनाएर ल्याऊ । त्यसपछि तिमी र तिम्रो छोरोको निम्ती केही रोटी बनाऊ ।
এলিয় তাকে বললেন, “ভয় পেয়ো না। ঘরে গিয়ে তোমার কথামতোই কাজ করো। কিন্তু তোমার কাছে যা আছে তা দিয়ে প্রথমে আমার জন্য ছোটো এক টুকরো রুটি তৈরি করে সেটি আমার কাছে নিয়ে এসো, পরে তোমার নিজের ও তোমার ছেলের জন্য কিছু তৈরি কোরো।
14 किनकि इस्राएलका परमेश्वर परमप्रभु भन्नुहुन्छ, 'परमप्रभुले पृथ्वीमा वृष्टि नपठाउञ्जेलसम्म पिठोको भाँडो रित्तो हुने छैन, न त ढुङ्ग्रोबाट तेल आउन रोकिने छ ।”
কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘যতদিন না সদাপ্রভু দেশে বৃষ্টি পাঠাচ্ছেন, ততদিন ময়দার এই পাত্র শূন্য হবে না ও তেলের বয়ামও শুকিয়ে যাবে না।’”
15 त्यसैले उनले एलियाले भनेझैँ गरिन् । उनी र एलियालगायत उनको घरानाले धेरै दिनसम्म खाए ।
সে গিয়ে এলিয়ের কথামতোই কাজ করল। তাতে প্রতিদিন সেখানে এলিয়ের এবং সেই মহিলা ও তার ছেলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা হল।
16 परमप्रभुले एलियाद्वारा बोल्नुभएको वचनले भनेझैँ पिठोको भाँडो रित्तो भएन, न त ढुङ्ग्रोबाट तेल आउन रोकियो ।
কারণ এলিয়ের মাধ্যমে বলা সদাপ্রভুর সেই কথা সত্যি প্রমাণিত করে ময়দার সেই পাত্র শূন্য হয়নি এবং তেলের বয়ামও শুকিয়ে যায়নি।
17 यी कुरापछि ती स्त्री अर्थात् त्यस घरको मालिक्नीको छोरो बिरामी पर्यो । त्यसको रोग यति गम्भीर थियो कि त्यसले सास फेर्नै छोड्यो ।
পরে কোনও এক সময় সেই বাড়ির কর্ত্রী মহিলাটির ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছিল, এবং শেষ পর্যন্ত তার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল।
18 त्यसैले त्यसकी आमाले एलियालाई भनिन्, “हे परमेश्वरका जन, मेरो विरुद्धमा तपाईंसित के छ? के तपाईं मेरो पापलाई स्मरण गराई मेरो छोरोलाई मार्न आउनुभएको हो?”
সেই মহিলাটি এলিয়কে বলল, “হে ঈশ্বরের লোক, আমি আপনার কী ক্ষতি করেছি? আপনি কি আমার পাপের কথা মনে করাতে ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে এখানে এসেছেন?”
19 तब एलियाले उनलाई जवाफ दिए, “तपाईंको छोरो मलाई दिनुहोस् ।” तिनले उनका पाखुराबाट शरीरलाई लिई आफू बसेको कोठामा लगे, र आफ्नै ओछ्यानमा सुताए ।
“তোমার ছেলেকে আমার হাতে তুলে দাও,” এলিয় উত্তর দিলেন। তিনি তার হাত থেকে ছেলেটিকে নিয়ে উপরের সেই ঘরটিতে চলে গেলেন, যেখানে তিনি থাকার জন্য উঠেছিলেন, এবং ছেলেটিকে নিজের বিছানায় শুইয়ে দিলেন।
20 तिनले परमप्रभुलाई पुकारे, “हे परमप्रभु मेरा परमेश्वर, के तपाईंले म जुन विधवासित बसिरहेको छु, उनको छोरोलाई मारेर उनीमाथि विपत्ति ल्याउनुभएको हो?”
পরে তিনি সদাপ্রভুর কাছে চিৎকার করে বললেন, “হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি এই বিধবা মহিলাটির ছেলেকে মেরে ফেলে তার জীবনে বিপর্যয় আনতে চাইছ, যার ঘরে আমি এখন এসে থাকছি?”
21 त्यसपछि एलिया त्यस बालकमाथि तिन पटक लम्पसार परेर सुते । तिनले परमप्रभुलाई पुकारे, “हे परमप्रभु मेरा परमेश्वर, यो बालकको जीवन फर्कोस् भनी म तपाईंलाई बिन्ती गर्दछु ।”
একথা বলে তিনি তিনবার ছেলেটির উপর শুয়ে পড়েছিলেন ও চিৎকার করে সদাপ্রভুকে বললেন, “হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, এই ছেলেটির শরীরে প্রাণ ফিরে আসুক!”
22 परमप्रभुले एलियाको कुरा सुन्नुभयो । बालकको जीवन फर्केर आयो र त्यो जीवित भयो ।
সদাপ্রভু এলিয়ের আর্তনাদ শুনেছিলেন, এবং ছেলেটির শরীরে তার প্রাণ ফিরে এসেছিল, ও সে বেঁচে উঠেছিল।
23 एलियाले बालकलाई लिई कोठाबाट बाहिर ल्याए । बालकलाई त्यसकी आमाको जिम्मा लगाएर तिनले भने, “हेर, तिम्रो छोरो बाँचेको छ ।”
এলিয় ছেলেটিকে কোলে তুলে নিয়ে সেই ঘর থেকে নিচে বাড়িতে নেমে এলেন। তাকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়ে তিনি বললেন, “এই দেখো, তোমার ছেলে বেঁচে আছে!”
24 ती स्त्रीले एलियालाई भनिन्, “अब मलाई थाहा भयो, कि तपाईं परमेश्वरका जन हुनुहुँदोरहेछ र तपाईंको बोलीमा भएको परमप्रभुको वचन तपाईंको मुखमा साँचो रहेछ ।”
তখন সেই মহিলাটি এলিয়কে বলল, “এখন আমি বুঝলাম যে আপনি ঈশ্বরের লোক এবং আপনার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা সদাপ্রভুর বাক্যই সত্যি।”
