< Πραξεις 25 >
1 φηστος ουν επιβας τη επαρχια μετα τρεις ημερας ανεβη εις ιεροσολυμα απο καισαρειας
সেই প্রদেশে উপস্থিত হওয়ার তিন দিন পর ফীষ্ট কৈসরিয়া থেকে জেরুশালেমে গেলেন।
2 ενεφανισαν δε αυτω οι αρχιερεις και οι πρωτοι των ιουδαιων κατα του παυλου και παρεκαλουν αυτον
সেখানে প্রধান যাজকেরা ও ইহুদি নেতৃবৃন্দ তাঁর নিকটে উপস্থিত হয়ে পৌলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করলেন।
3 αιτουμενοι χαριν κατ αυτου οπως μεταπεμψηται αυτον εις ιερουσαλημ ενεδραν ποιουντες ανελειν αυτον κατα την οδον
তাঁরা ফীষ্টের কাছে জরুরি অনুরোধ জানালেন যে, তাঁদের প্রতি অনুগ্রহ দেখিয়ে পৌলকে যেন জেরুশালেমে স্থানান্তরিত করা হয় কারণ তাঁরা পথের মধ্যেই পৌলকে হত্যা করার জন্য ওত পাতার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
4 ο μεν ουν φηστος απεκριθη τηρεισθαι τον παυλον εν καισαρεια εαυτον δε μελλειν εν ταχει εκπορευεσθαι
ফীষ্ট উত্তর দিলেন, “পৌল কৈসরিয়াতে বন্দি আছে, আমিও স্বয়ং শীঘ্রই সেখানে যাচ্ছি।
5 οι ουν δυνατοι εν υμιν φησιν συγκαταβαντες ει τι εστιν εν τω ανδρι τουτω κατηγορειτωσαν αυτου
তোমাদের কয়েকজন নেতা আমার সঙ্গে আসুক, সেই লোকটি কোনো অন্যায় করে থাকলে, তোমরা সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করবে।”
6 διατριψας δε εν αυτοις ημερας πλειους η δεκα καταβας εις καισαρειαν τη επαυριον καθισας επι του βηματος εκελευσεν τον παυλον αχθηναι
সেখানে তাঁদের সঙ্গে আট-দশদিন কাটিয়ে, তিনি কৈসরিয়ায় চলে গেলেন। পরের দিনই তিনি বিচারসভা আহ্বান করলেন এবং আদেশ দিলেন যেন পৌলকে তাঁর সামনে নিয়ে আসা হয়।
7 παραγενομενου δε αυτου περιεστησαν οι απο ιεροσολυμων καταβεβηκοτες ιουδαιοι πολλα και βαρεα αιτιαματα φεροντες κατα του παυλου α ουκ ισχυον αποδειξαι
পৌল উপস্থিত হলে, জেরুশালেম থেকে আগত ইহুদিরা তাঁর চারপাশে দাঁড়াল। তারা তাঁর বিরুদ্ধে বহু গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করতে লাগল, কিন্তু কোনো প্রমাণ দিতে পারল না।
8 απολογουμενου αυτου οτι ουτε εις τον νομον των ιουδαιων ουτε εις το ιερον ουτε εις καισαρα τι ημαρτον
তখন পৌল আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন: “আমি ইহুদিদের বিধানের বিরুদ্ধে বা মন্দিরের বিরুদ্ধে বা কৈসরের বিরুদ্ধে কোনো অন্যায় করিনি।”
9 ο φηστος δε τοις ιουδαιοις θελων χαριν καταθεσθαι αποκριθεις τω παυλω ειπεν θελεις εις ιεροσολυμα αναβας εκει περι τουτων κρινεσθαι υπ εμου
ফীষ্ট ইহুদিদের প্রতি সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশে পৌলকে বললেন, “তুমি কি জেরুশালেমে গিয়ে এসব অভিযোগের জন্য আমার সামনে বিচারের জন্য দাঁড়াতে চাও?”
10 ειπεν δε ο παυλος επι του βηματος καισαρος εστως ειμι ου με δει κρινεσθαι ιουδαιους ουδεν ηδικησα ως και συ καλλιον επιγινωσκεις
পৌল উত্তর দিলেন, “আমি এখন কৈসরের বিচারালয়ে দাঁড়িয়ে আছি, আমার বিচার এখানেই হওয়া উচিত। আপনি স্বয়ং ভালোভাবেই জানেন যে, আমি ইহুদিদের প্রতি কোনও অন্যায় করিনি।
11 ει μεν γαρ αδικω και αξιον θανατου πεπραχα τι ου παραιτουμαι το αποθανειν ει δε ουδεν εστιν ων ουτοι κατηγορουσιν μου ουδεις με δυναται αυτοις χαρισασθαι καισαρα επικαλουμαι
তা সত্ত্বেও, যদি আমি মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য কোনো অপরাধ করে থাকি, তাহলে মৃত্যুবরণ করতে অস্বীকার করি না। কিন্তু ইহুদিদের দ্বারা নিয়ে আসা এসব অভিযোগ যদি সত্যি না হয়, তাহলে আমাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। আমি কৈসরের কাছে আপিল করছি।”
12 τοτε ο φηστος συλλαλησας μετα του συμβουλιου απεκριθη καισαρα επικεκλησαι επι καισαρα πορευση
ফীষ্ট তাঁর মন্ত্রণা-পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই রায় ঘোষণা করলেন, “তুমি কৈসরের কাছে আপিল করেছ, তুমি কৈসরের কাছেই যাবে।”
13 ημερων δε διαγενομενων τινων αγριππας ο βασιλευς και βερνικη κατηντησαν εις καισαρειαν ασπασομενοι τον φηστον
কয়েক দিন পর রাজা আগ্রিপ্প ও বার্নিস, ফীষ্টকে তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্য কৈসরিয়ায় উপস্থিত হলেন।
14 ως δε πλειους ημερας διετριβον εκει ο φηστος τω βασιλει ανεθετο τα κατα τον παυλον λεγων ανηρ τις εστιν καταλελειμμενος υπο φηλικος δεσμιος
সেখানে তাঁরা বেশ কিছুদিন কাটানোর সময়, ফীষ্ট রাজার সঙ্গে পৌলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, “এখানে এক ব্যক্তি আছে, যাকে ফীলিক্স বন্দি রেখে গেছেন।
15 περι ου γενομενου μου εις ιεροσολυμα ενεφανισαν οι αρχιερεις και οι πρεσβυτεροι των ιουδαιων αιτουμενοι κατ αυτου δικην
আমি যখন জেরুশালেমে গেলাম, প্রধান যাজকেরা ও ইহুদিদের প্রাচীনেরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে তার শাস্তি চেয়েছিল।
16 προς ους απεκριθην οτι ουκ εστιν εθος ρωμαιοις χαριζεσθαι τινα ανθρωπον εις απωλειαν πριν η ο κατηγορουμενος κατα προσωπον εχοι τους κατηγορους τοπον τε απολογιας λαβοι περι του εγκληματος
“আমি তাদের বললাম যে, কোনো মানুষকে সমর্পণ করা রোমীয়দের প্রথা নয়, যতক্ষণ না সে তার অভিযোগকারীদের সম্মুখীন হয় ও তাদের উত্থাপিত অভিযোগের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করে।
17 συνελθοντων ουν αυτων ενθαδε αναβολην μηδεμιαν ποιησαμενος τη εξης καθισας επι του βηματος εκελευσα αχθηναι τον ανδρα
তারা যখন এখানে আমার সঙ্গে এল, আমি মামলাটি নিয়ে দেরি করলাম না, পরের দিনই বিচারসভা আহ্বান করে সেই ব্যক্তিকে নিয়ে আসার আদেশ দিলাম।
18 περι ου σταθεντες οι κατηγοροι ουδεμιαν αιτιαν επεφερον ων υπενοουν εγω
অভিযোগকারীরা কথা বলতে উঠে দাঁড়ালে, আমি যে রকম আশা করেছিলাম, তারা সে ধরনের কোনও অভিযোগ উত্থাপন করল না।
19 ζητηματα δε τινα περι της ιδιας δεισιδαιμονιας ειχον προς αυτον και περι τινος ιησου τεθνηκοτος ον εφασκεν ο παυλος ζην
বরং, তারা তাদের নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত বিষয় এবং যীশু নামে এক মৃত ব্যক্তি যাকে পৌল জীবিত বলে দাবি করে, সেই নিয়ে তার সঙ্গে তর্কবিতর্কের প্রসঙ্গ উত্থাপন করল।
20 απορουμενος δε εγω περι την τουτων ζητησιν ελεγον ει βουλοιτο πορευεσθαι εις ιερουσαλημ κακει κρινεσθαι περι τουτων
এ ধরনের বিষয় কীভাবে অনুসন্ধান করতে হবে, তা বুঝতে না পেরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এসব অভিযোগের বিচারের জন্য সে জেরুশালেম যেতে ইচ্ছুক কি না।
21 του δε παυλου επικαλεσαμενου τηρηθηναι αυτον εις την του σεβαστου διαγνωσιν εκελευσα τηρεισθαι αυτον εως ου πεμψω αυτον προς καισαρα
পৌল যখন সম্রাটের সিদ্ধান্ত লাভের জন্য আপিল করল, কৈসরের কাছে না পাঠানো পর্যন্ত আমি তাকে বন্দি করে রাখারই আদেশ দিলাম।”
22 αγριππας δε προς τον φηστον εφη εβουλομην και αυτος του ανθρωπου ακουσαι ο δε αυριον φησιν ακουση αυτου
তখন আগ্রিপ্প ফীষ্টকে বললেন, “আমি নিজে এই লোকটির কথা শুনতে চাই।” তিনি উত্তর দিলেন, “আগামীকালই আপনি তার কথা শুনবেন।”
23 τη ουν επαυριον ελθοντος του αγριππα και της βερνικης μετα πολλης φαντασιας και εισελθοντων εις το ακροατηριον συν τε τοις χιλιαρχοις και ανδρασιν τοις κατ εξοχην ουσιν της πολεως και κελευσαντος του φηστου ηχθη ο παυλος
পরদিন আগ্রিপ্প ও বার্নিস, মহাসমারোহের সঙ্গে সেখানে এলেন ও উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীদের ও নগরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সভাকক্ষে প্রবেশ করলেন। ফীষ্টের আদেশে পৌলকে সেখানে নিয়ে আসা হল।
24 και φησιν ο φηστος αγριππα βασιλευ και παντες οι συμπαροντες ημιν ανδρες θεωρειτε τουτον περι ου παν το πληθος των ιουδαιων ενετυχον μοι εν τε ιεροσολυμοις και ενθαδε επιβοωντες μη δειν ζην αυτον μηκετι
ফীষ্ট বললেন, “মহারাজ আগ্রিপ্প ও আমাদের সঙ্গে উপস্থিত সকলে, আপনারা এই ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছেন! সমস্ত ইহুদি সম্প্রদায় জেরুশালেমে ও এখানে এই কৈসরিয়ায় আমার কাছে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেছে, চিৎকার করে বলেছে যে এর আর বেঁচে থাকা উচিত নয়।
25 εγω δε καταλαβομενος μηδεν αξιον θανατου αυτον πεπραχεναι και αυτου δε τουτου επικαλεσαμενου τον σεβαστον εκρινα πεμπειν αυτον
আমি দেখেছি, এ মৃত্যুদণ্ড পেতে পারে এমন কোনো অপরাধ করেনি, কিন্তু যেহেতু সে সম্রাটের কাছে তার আপিল করেছে, আমি তাকে রোমে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
26 περι ου ασφαλες τι γραψαι τω κυριω ουκ εχω διο προηγαγον αυτον εφ υμων και μαλιστα επι σου βασιλευ αγριππα οπως της ανακρισεως γενομενης σχω τι γραψαι
কিন্তু মাননীয় সম্রাটের কাছে তার সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে লেখার কিছু নেই। সেই কারণে, তাকে আমি আপনাদের সকলের কাছে, বিশেষভাবে মহারাজ আগ্রিপ্প, আপনার কাছে নিয়ে এসেছি, যেন এই তদম্তের ফলে আমি তার বিষয়ে লেখার মতো কিছু পাই।
27 αλογον γαρ μοι δοκει πεμποντα δεσμιον μη και τας κατ αυτου αιτιας σημαναι
কারণ আমি মনে করি, কোনো বন্দির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তাকে রোমে পাঠানো যুক্তিসম্মত নয়।”