< Markus 15 >
1 Und alsbald in der Frühe faßten die Hohenpriester mit den Ältesten und Schriftgelehrten und dem ganzen Hohen Rat einen Beschluß und führten Jesus gebunden hin und überantworteten ihn dem Pilatus.
খুব ভোরবেলায়, প্রধান যাজকেরা, লোকদের প্রাচীনবর্গ ও শাস্ত্রবিদরা সমস্ত মহাসভার সঙ্গে এক সিদ্ধান্তে উপনীত হল। তারা যীশুকে বেঁধে পীলাতের কাছে নিয়ে গেল ও তাঁর হাতে তাঁকে সমর্পণ করল।
2 Und Pilatus fragte ihn: Bist du der König der Juden? Er antwortete und sprach zu ihm: Du sagst es!
পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমিই কি ইহুদিদের রাজা?” যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বললে।”
3 Und die Hohenpriester brachten viele Anklagen wider ihn vor.
প্রধান যাজকেরা তাঁকে অনেক বিষয়ে অভিযুক্ত করল।
4 Pilatus aber fragte ihn abermal und sprach: Antwortest du nichts? Siehe, wie vieles sie gegen dich vorbringen!
তাই পীলাত আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? দেখো, ওরা তোমার বিরুদ্ধে কত অভিযোগ করছে।”
5 Jesus aber antwortete nichts mehr, so daß sich Pilatus verwunderte.
যীশু তবুও কোনো উত্তর দিলেন না দেখে পীলাত বিস্মিত হলেন।
6 Aber auf das Fest pflegte er ihnen einen Gefangenen loszugeben, welchen sie begehrten.
লোকেদের পর্বের সময় সকলের অনুরোধে এক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রথা প্রচলিত ছিল।
7 Es lag aber ein gewisser Barabbas gefangen samt den Aufrührern, die im Aufruhr einen Mord begangen hatten.
তখন বারাব্বা নামে এক ব্যক্তি অন্য কয়েকজন বিদ্রোহীর সঙ্গে কারারুদ্ধ ছিল। তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার সময় নরহত্যাও করেছিল।
8 Und das Volk zog hinauf und fing an zu verlangen, [daß er täte, ] wie er ihnen allezeit getan.
লোকেরা সামনে এসে পীলাতকে অনুরোধ করল, তিনি সাধারণত যা করে থাকেন, তাদের জন্য যেন তাই করেন।
9 Pilatus aber antwortete ihnen und sprach: Wollt ihr, daß ich euch den König der Juden freigebe?
পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি চাও যে, ‘ইহুদিদের রাজাকে’ আমি তোমাদের জন্য মুক্ত করে দিই?”
10 Denn er wußte, daß die Hohenpriester ihn aus Neid überantwortet hatten.
কারণ তিনি জানতেন, প্রধান যাজকেরা ঈর্ষাবশত যীশুকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল।
11 Aber die Hohenpriester wiegelten das Volk auf, daß er ihnen lieber den Barabbas losgeben solle.
কিন্তু প্রধান যাজকেরা সকলকে উত্তেজিত করে পীলাতকে বলতে বলল যে তারা যেন বারাব্বার মুক্তি চায়।
12 Pilatus antwortete und sprach wiederum zu ihnen: Was wollt ihr nun, daß ich mit dem tue, welchen ihr König der Juden nennet?
পীলাত তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে, তোমরা যাকে ইহুদিদের রাজা বলো, তাকে নিয়ে আমি কী করব?”
13 Sie aber schrieen wiederum: Kreuzige ihn!
তারা চিৎকার করে বলল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
14 Pilatus sprach zu ihnen: Was hat er denn Böses getan? Sie aber schrieen noch viel mehr: Kreuzige ihn!
পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন, ও কী অপরাধ করেছে?” কিন্তু তারা আরও জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
15 Da nun Pilatus das Volk befriedigen wollte, gab er ihnen den Barabbas los und überantwortete Jesus, nachdem er ihn hatte geißeln lassen, daß er gekreuzigt werde.
লোকসকলকে সন্তুষ্ট করার জন্য পীলাত তাদের কাছে বারাব্বাকে মুক্ত করে দিলেন। তিনি যীশুকে চাবুক দিয়ে প্রহার করিয়ে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করলেন।
16 Die Kriegsknechte aber führten ihn hinein in den Hof, das ist das Amthaus, und riefen die ganze Rotte zusammen,
সৈন্যরা যীশুকে প্রাঙ্গণে, অর্থাৎ শাসক-ভবনের ভিতরে নিয়ে গেল। তারা সৈন্যবাহিনীর সবাইকে ডেকে একত্র করল।
17 legten ihm einen Purpur um, flochten eine Dornenkrone und setzten sie ihm auf.
তারা তাঁর গায়ে বেগুনি রংয়ের এক পোশাক পরিয়ে দিল। তারপর পাক দিয়ে একটি কাঁটার মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় পরিয়ে দিল।
18 Und sie fingen an, ihn zu begrüßen: Sei gegrüßt, König der Juden!
তারা তাঁকে অভিবাদন করে বলতে লাগল, “ইহুদি-রাজ, নমস্কার!”
19 Und schlugen sein Haupt mit einem Rohr, spieen ihn an, beugten die Knie und fielen vor ihm nieder.
একটি নলখাগড়া দিয়ে বারবার তারা তাঁর মাথায় আঘাত করল ও তাঁর গায়ে থুতু দিল। তারপর তারা নতজানু হয়ে তাঁকে প্রণাম করল।
20 Und nachdem sie ihn verspottet hatten, zogen sie ihm den Purpur aus und legten ihm seine eigenen Kleider an und führten ihn hinaus, um ihn zu kreuzigen.
তাঁকে নিয়ে বিদ্রুপের পর্ব এভাবে শেষ হলে, তারা বেগুনি রংয়ের পোশাকটি খুলে নিল ও তাঁর নিজের পোশাক তাঁকে পরিয়ে দিল। তারপর তারা তাঁকে ক্রুশার্পিত করার জন্য নিয়ে গেল।
21 Und sie zwangen einen Vorübergehenden, der vom Felde kam, Simon von Kyrene, den Vater von Alexander und Rufus, ihm das Kreuz zu tragen.
কুরীণ থেকে আগত শিমোন নামে জনৈক ব্যক্তি গ্রামাঞ্চল থেকে সেই পথে আসছিল। সে আলেকজান্ডার ও রূফের পিতা। তারা ক্রুশ বয়ে নিয়ে যেতে তাকে বাধ্য করল।
22 Und sie brachten ihn auf den Platz Golgatha (das heißt übersetzt Schädelstätte).
তারা যীশুকে গলগথা নামে একটি স্থানে নিয়ে এল (নামটির অর্থ, “মাথার খুলির স্থান”)।
23 Und sie gaben ihm Myrrhenwein zu trinken, aber er nahm ihn nicht.
সেখানে তারা যীশুকে গন্ধরস মেশানো দ্রাক্ষারস পান করতে দিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করলেন না।
24 Und nachdem sie ihn gekreuzigt hatten, teilten sie seine Kleider und warfen das Los darüber, was ein jeder bekommen sollte.
এরপর তারা তাঁকে ক্রুশে দিল। তাঁর পোশাকগুলি ভাগ করে নিয়ে কে কোন অংশ নেবে, তার জন্য তারা গুটিকাপাত করল।
25 Es war aber die dritte Stunde, als sie ihn kreuzigten.
সকাল নয়টার সময় তারা তাঁকে ক্রুশে দিল।
26 Und die Überschrift, welche seine Schuld anzeigte, lautete also: Der König der Juden.
তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র টাঙিয়ে দেওয়া হল: ইহুদিদের রাজা।
27 Und mit ihm kreuzigten sie zwei Räuber, einen zu seiner Rechten und einen zu seiner Linken.
তারা তাঁর সঙ্গে আরও দুজন দস্যুকে ক্রুশার্পিত করল, একজনকে তাঁর ডানদিকে, অন্যজনকে তাঁর বাঁদিকে।
28 Da wurde die Schrift erfüllt, die da spricht: «Und er ist unter die Übeltäter gerechnet worden.»
তখন এই শাস্ত্রীয় বাণী পূর্ণ হল, “তিনি অধর্মীদের সঙ্গে গণিত হলেন।”
29 Und die Vorübergehenden lästerten ihn, schüttelten die Köpfe und sprachen:
যারা সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করছিল, তারা মাথা নাড়তে নাড়তে তাঁকে অপমান করে বলতে লাগল, “তাহলে তুমিই সেই লোক, যে মন্দির ধ্বংস করে তিনদিনে তা পুনর্নির্মাণ করতে পারো!
30 Ha, der du den Tempel zerstörst und in drei Tagen aufbaust, hilf dir selbst und steige vom Kreuz herab!
এখন ক্রুশ থেকে নেমে এসো ও নিজেকে রক্ষা করো।”
31 Gleicherweise spotteten auch die Hohenpriester untereinander samt den Schriftgelehrten und sprachen: Andern hat er geholfen, sich selbst kann er nicht helfen.
একইভাবে প্রধান যাজকেরা ও শাস্ত্রবিদরাও তাঁকে বিদ্রুপ করে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল; তারা বলল, “ও অন্যদের বাঁচাত, কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারে না।
32 Der Christus, der König Israels, steige nun vom Kreuze herab, auf daß wir sehen und glauben! Auch die, welche mit ihm gekreuzigt waren, schmähten ihn.
এখন এই খ্রীষ্ট, ইস্রায়েলের রাজা, ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, যেন আমরাও তা দেখে বিশ্বাস করতে পারি।” যারা তাঁর সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিল, তারাও তাঁকে অনেক অপমান করল।
33 Als aber die sechste Stunde kam, brach eine Finsternis herein über das ganze Land bis zur neunten Stunde.
বেলা বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশে অন্ধকার ছেয়ে গেল।
34 Und um die neunte Stunde rief Jesus mit lauter Stimme: Eloi, Eloi, lama sabachthani? Das heißt übersetzt: Mein Gott, mein Gott, warum hast du mich verlassen?
আর বেলা তিনটের সময়, যীশু উচ্চকণ্ঠে বলে উঠলেন, “এলী, এলী, লামা শবক্তানী?” যার অর্থ, “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ?”
35 Und etliche der Umstehenden, die es hörten, sprachen: Siehe, er ruft den Elia!
সেখানে দাঁড়িয়েছিল এমন কয়েকজন যখন একথা শুনল, তারা বলল, “শোনো, ও এলিয়কে ডাকছে।”
36 Einer aber lief und füllte einen Schwamm mit Essig, steckte ihn auf ein Rohr, tränkte ihn und sprach: Halt! laßt uns sehen, ob Elia kommt, um ihn herabzunehmen!
আর একজন লোক দৌড়ে গিয়ে একটি স্পঞ্জ সিরকায় পূর্ণ করে, একটি নলখাগড়ার সাহায্যে যীশুকে পান করতে দিল। সে বলল, “ওকে ছেড়ে দাও, এসো দেখি, এলিয় ওকে নামাতে আসেন কি না।”
37 Jesus aber stieß einen lauten Schrei aus und verschied.
এরপর যীশু উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে তাঁর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করলেন।
38 Und der Vorhang im Tempel riß entzwei, von obenan bis untenaus.
মন্দিরের পর্দাটি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চিরে দু-টুকরো হল।
39 Als aber der Hauptmann, der ihm gegenüberstand, sah, daß er auf solche Weise verschied, sprach er: Wahrhaftig, dieser Mensch war Gottes Sohn!
আর যে শত-সেনাপতি সেখানে যীশুর সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর চিৎকার শুনে এবং তিনি কীভাবে মৃত্যুবরণ করলেন, তা দেখে বলে উঠলেন, “নিশ্চিতরূপেই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।”
40 Es sahen aber auch Frauen von ferne zu, unter ihnen auch Maria Magdalena und Maria, des jüngern Jakobus und Joses Mutter, und Salome,
কয়েকজন নারী দূর থেকে সব লক্ষ্য করছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাগ্দালাবাসী মরিয়ম, কনিষ্ঠ যাকোব ও যোষির মা মরিয়ম ও শালোমি।
41 die ihm, als er in Galiläa war, nachgefolgt waren und ihm gedient hatten, auch viele andere, die mit ihm nach Jerusalem hinaufgezogen waren.
গালীলে এসব নারী তাঁকে অনুসরণ করে তাঁর পরিচর্যা করতেন। আরও অনেক নারী, যারা তাঁর সঙ্গে জেরুশালেমে এসেছিলেন, তাঁরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
42 Und da es schon Abend geworden (es war nämlich Rüsttag, das ist der Tag vor dem Sabbat),
সেদিন ছিল প্রস্তুতির দিন (অর্থাৎ, বিশ্রামদিনের আগের দিন)। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে,
43 kam Joseph von Arimathia, ein angesehener Ratsherr, der auch selbst auf das Reich Gottes wartete; der wagte es, ging zu Pilatus hinein und bat um den Leib Jesu.
আরিমাথিয়ার যোষেফ, যিনি বিচার-পরিষদের একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন, তিনি সাহসের সঙ্গে পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর দেহটি চাইলেন। ইনি নিজেও ঈশ্বরের রাজ্যের প্রতীক্ষায় ছিলেন।
44 Pilatus aber wunderte sich, daß er schon gestorben sein sollte, und rief den Hauptmann und fragte ihn, ob er schon lange gestorben sei.
যীশু ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন শুনে পীলাত বিস্মিত হলেন। শত-সেনাপতিকে তলব করে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সত্যিই এর মধ্যে যীশুর মৃত্যু হয়েছে কি না।
45 Und als er es von dem Hauptmann erfahren, schenkte er dem Joseph den Leichnam.
শত-সেনাপতির কাছে সেকথার সত্যতা জেনে তিনি যীশুর দেহটি যোষেফের হাতে তুলে দিলেন।
46 Und dieser kaufte Leinwand, nahm ihn herab, wickelte ihn in die Leinwand und legte ihn in eine Gruft, die in einen Felsen gehauen war, und wälzte einen Stein vor den Eingang der Gruft.
তাই যোষেফ কিছু লিনেন কাপড় কিনে আনলেন, দেহটি নামিয়ে লিনেন কাপড়ে আবৃত করলেন। তারপরে বড়ো পাথরে খোদিত এক সমাধিতে তা রাখলেন। পরে তিনি সমাধির প্রবেশপথে বড়ো একটি পাথর গড়িয়ে দিলেন।
47 Maria Magdalena aber und Maria, Joses' Mutter, sahen zu, wo er hingelegt wurde.
কোথায় তাঁকে রাখা হল, তা মগ্দলিনী মরিয়ম ও যোষির মা মরিয়ম দেখতে পেলেন।