< 1 Rois 22 >
1 Trois ans se passèrent donc sans guerre entre la Syrie et Israël.
তিন বছর অরাম ও ইস্রায়েলের মধ্যে কোনও যুদ্ধ হয়নি।
2 Mais, en la troisième année, Josaphat, roi de Juda, descendit vers le roi d’Israël.
কিন্তু তৃতীয় বছরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজার সাথে দেখা করতে গেলেন।
3 (Et le roi d’Israël dit à ses serviteurs: Ignorez-vous que la ville de Ramoth en Galaad est à nous, et nous négligeons de l’enlever de la main du roi de Syrie?)
ইস্রায়েলের রাজা তাঁর কর্মকর্তাদের বললেন, “তোমরা কি জানো না যে রামোৎ-গিলিয়দ আমাদেরই, আর তাও আমরা অরামের রাজার হাত থেকে সেটি পুনরাধিকার করার জন্য কিছুই করছি না?”
4 Et il demanda à Josaphat: Viendrez-vous avec moi pour combattre contre Ramoth-Galaad?
তাই তিনি যিহোশাফটকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার সাথে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে উত্তর দিলেন, “আমি, আপনারই মতো, আমার প্রজারাও আপনার প্রজাদেরই মতো, তথা আমার ঘোড়াগুলি আপনার ঘোড়াগুলির মতোই।”
5 Et Josaphat répondit au roi d’Israël: Comme je suis, ainsi vous êtes vous-même: mon peuple et votre peuple sont une seule chose, et ma cavalerie est votre cavalerie. Il dit encore au roi d’Israël: Consultez, je vous prie, aujourd’hui la parole du Seigneur.
কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এও বললেন, “প্রথমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিন।”
6 Le roi d’Israël assembla donc les prophètes, environ quatre cents hommes, et il leur dit: Dois-je aller combattre contre Ramoth-Galaad, ou me tenir en repos? Ceux-ci lui répondirent: Montez, et le Seigneur la mettra dans la main du roi.
অতএব ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের—প্রায় চারশো জনকে—একত্রিত করলেন, এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, নাকি বিরত থাকব?” “যান,” তারা উত্তর দিয়েছিল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি মহারাজের হাতে তুলে দেবেন।”
7 Mais Josaphat lui demanda: N’y a-t-il pas ici quelque prophète du Seigneur, afin que nous le consultions par lui?
কিন্তু যিহোশাফট জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর এমন কোনও ভাববাদী আর নেই, যাঁর কাছে আমরা খোঁজখবর নিতে পারব?”
8 Et le roi d’Israël répondit à Josaphat: Il est demeuré un homme par qui nous pouvons consulter le Seigneur; mais, moi, je le hais, parce qu’il ne me prophétise point du bien, mais du mal: c’est Michée, fils de Jemla. Josaphat lui dit: Ne parlez pas ainsi, ô roi.
ইস্রায়েলের রাজা, যিহোশাফটকে উত্তর দিলেন, “আরও একজন ভাববাদী আছেন, যার মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর কাছে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, যেহেতু সে কখনোই আমার বিষয়ে ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু সবসময় খারাপ ভাববাণীই করে। সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়।” “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন। “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন।
9 Le roi d’Israël appela donc un certain eunuque, et lui dit: Hâte-toi d’amener Michée, fils de Jemla.
তখন ইস্রায়েলের রাজা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে বললেন, “এক্ষুনি গিয়ে যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে আনো।”
10 Mais le roi d’Israël et Josaphat, roi de Juda, étaient assis chacun sur leur trône, vêtus avec une magnificence royale, dans une aire près de la porte de Samarie, et tous les prophètes prophétisaient en leur présence.
রাজপোশাক পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট, দুজনেই শমরিয়ার সিংহদুয়ারের কাছে খামারবাড়িতে তাদের সিংহাসনে বসেছিলেন, এবং ভাববাদীরা সবাই তাদের সামনে ভাববাণী করে যাচ্ছিল।
11 Sédécias, fils de Chanaana se fit aussi des cornes de fer, et dit: Voici ce que dit le Seigneur: Tu agiteras la Syrie avec ces cornes, jusqu’à ce que tu l’aies détruite.
ইত্যবসরে কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় লোহার দুটি শিং তৈরি করল এবং সে ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘অরামীয়রা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এগুলি দিয়েই আপনি তাদের গুঁতাবেন।’”
12 Et tous les prophètes prophétisaient de même, disant: Montez contre Ramoth-Galaad, et marchez heureusement, et le Seigneur la mettra dans la main du roi.
অন্যান্য সব ভাববাদীও একই ভাববাণী করল। “রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন এবং বিজয়ী হোন,” তারা বলল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
13 Or le messager qui était allé pour appeler Michée, lui parla, disant: Voilà que les paroles des prophètes prédisent unanimement au roi de bonnes choses: que votre parole soit donc semblable à la leur, et dites de bonnes choses.
যে দূত মীখায়কে ডাকতে গেল, সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই কোনও আপত্তি না জানিয়ে রাজার পক্ষে সফলতার ভাববাণী করছে। আপনার কথাও যেন তাদেরই মতো হয়, এবং আপনিও সুবিধাজনক কথাই বলুন।”
14 Michée lui répondit: Le Seigneur vit! tout ce que m’aura dit le Seigneur, c’est ce que je dirai.
কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, সদাপ্রভু আমাকে যা বলেছেন, আমি তাঁকে শুধু সেকথাই বলতে পারব।”
15 Michée vint donc vers le roi, et le roi lui dit: Michée, devons-nous aller contre Ramoth-Galaad pour combattre, ou nous reposer? Celui-ci lui répondit: Montez, marchez heureusement, et le Seigneur la mettra dans la main du roi.
তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর রাজামশাই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করব, কি না?” “আক্রমণ করে জয়ী হোন,” তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ সদাপ্রভু মহারাজের হাতে সেটি তুলে দেবেন।”
16 Mais le roi lui dit: Je t’adjure de nouveau et encore de nouveau de ne me dire que ce qui est vrai, au nom du Seigneur.
রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে দিয়ে শপথ করাব যে তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্যিকথা ছাড়া আর কিছুই বলবে না?”
17 Alors il lui dit: J’ai vu tout Israël dispersé dans les montagnes, comme des brebis qui n’ont point de pasteur; et le Seigneur a dit: Ceux-ci n’ont pas de maître; que chacun retourne dans sa maison en paix.
তখন মীখায় উত্তর দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, ইস্রায়েলীরা সবাই পাহাড়ের উপর পালকবিহীন মেষের পালের মতো হয়ে আছে, এবং সদাপ্রভু বলেছেন, ‘এই লোকজনের কোনও মনিব নেই। শান্তিতে যে যার ঘরে ফিরে যাক।’”
18 (Le roi d’Israël dit donc à Josaphat: Ne vous ai-je pas dit qu’il ne me prophétise point du bien, mais du mal?)
ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে সে আমার বিষয়ে কখনও ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু শুধু খারাপ ভাববাণীই করে?”
19 Mais Michée continuant, dit: C’est pourquoi écoutez la parole du Seigneur: J’ai vu le Seigneur assis sur son trône, et toute l’armée du ciel se tenant près de lui à droite et à gauche;
মীখায় আরও বললেন, “এজন্য সদাপ্রভুর এই বাক্য শুনুন: আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং স্বর্গের জনতা তাঁর চারদিকে, তাঁর ডানদিকে ও বাঁদিকে দাঁড়িয়ে আছে।
20 Et le Seigneur a dit: Qui trompera Achab, roi d’Israël, afin qu’il monte et qu’il succombe à Ramoth-Galaad? Et l’un dit de telles choses, et l’autre autrement.
সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মরতে যাওয়ার জন্য কে আহাবকে প্ররোচিত করবে?’ “তখন কেউ একথা, কেউ সেকথা বলল।
21 Mais l’esprit malin sortit, et se tint devant le Seigneur, et dit: C’est moi qui le tromperai. Le Seigneur lui dit: En quoi?
শেষে, একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমি তাকে লোভ দেখাব।’
22 Et il répondit: Je sortirai, et je serai un esprit menteur dans la bouche de tous ses prophètes. Et le Seigneur dit: Tu le tromperas et tu prévaudras. Sors, et fais ainsi.
“কিন্তু কীভাবে? সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন। “‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা হব,’ সে বলল। “‘তাকে লোভ দেখাতে তুমি সফল হবে,’ সদাপ্রভু বললেন। ‘যাও, ওরকমই করো।’
23 Maintenant donc, voilà que le Seigneur a mis un esprit de mensonge dans la bouche de tous vos prophètes qui sont ici, et le Seigneur a prononcé contre vous malheur.
“তাই এখন সদাপ্রভু আপনার এইসব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা দিয়েছেন। সদাপ্রভু আপনার জন্য বিপর্যয়ের বিধান দিয়েছেন।”
24 Or Sédécias, fils de Chanaana, s’approcha et frappa Michée sur la joue, et dit: Est-ce donc moi que l’esprit du Seigneur a quitté, et t’a-t-il parlé à toi?
তখন কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরেছিল। “সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসা আত্মা তোর সাথে কথা বলার জন্য কোন পথে আমার কাছ থেকে গেলেন?” সে জিজ্ঞাসা করল।
25 Et Michée dit: Vous le verrez au jour même où vous entrerez dans une chambre, qui est dans une chambre, pour vous cacher.
মীখায় উত্তর দিলেন, “সেদিনই তুমি তা জানতে পারবে, যেদিন তুমি ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকাবে।”
26 Alors le roi d’Israël dit: Prenez Michée, et qu’il demeure chez Amon, gouverneur de la ville, et chez Joas, fils d’Amélech,
ইস্রায়েলের রাজা তখন আদেশ দিলেন, “মীখায়কে নগরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দাও
27 Et dites-leur: Voici ce que dit le roi: Envoyez cet homme dans la prison, et sustentez-le d’un pain de tribulation et d’une eau d’angoisse, jusqu’à ce que je revienne en paix.
এবং তাদের বোলো, ‘রাজা একথাই বলেছেন: একে জেলখানায় রেখে দাও এবং যতদিন না আমি নিরাপদে ফিরে আসছি, ততদিন একে রুটি ও জল ছাড়া আর কিছুই দিয়ো না।’”
28 Et Michée dit: Si vous revenez en paix, le Seigneur n’a point parlé par moi. Et il ajouta: Peuples, tous tant que vous êtes, écoutez.
মীখায় ঘোষণা করলেন, “আপনি যদি নিরাপদে কখনও ফিরে আসেন, তবে জানবেন, সদাপ্রভু আমার মাধ্যমে কথা বলেননি।” পরে তিনি আরও বললেন, “ওহে লোকজন, তোমরা সবাই আমার কথাগুলি মনে গেঁথে রাখো!”
29 Le roi d’Israël monta donc, et Josaphat, roi de Juda, contre Ramoth-Galaad.
অতএব ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে চলে গেলেন।
30 C’est pourquoi le roi d’Israël dit à Josaphat: Prenez vos armes, entrez au combat, et revêtez-vous de vos vêtements. Mais le roi d’Israël changea ses vêtements, puis entra au combat.
ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাক পরে থাকুন।” এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধে গেলেন।
31 Or le roi de Syrie avait ordonné aux trente-deux commandants de ses chariots, disant: Ne combattez point contre un petit et un grand, quel qu’il soit, si ce n’est contre le roi d’Israël seul.
ইত্যবসরে অরামের রাজা তাঁর রথের বত্রিশজন সেনাপতিকে আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া, ছোটো বা বড়ো, কোনো লোকের সাথে যুদ্ধ করবে না।”
32 Lors donc que les commandants des chariots eurent vu Josaphat, ils supposèrent que c’était le roi d’Israël; et, se précipitant, ils combattaient contre lui; alors Josaphat jeta un grand cri;
রথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিল, “ইনিই নিশ্চয় ইস্রায়েলের রাজা।” তাই তাঁকে আক্রমণ করার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু যিহোশাফট যখন চিৎকার করে উঠেছিলেন,
33 Et les commandants des chariots reconnurent que ce n’était pas le roi d’Israël, et ils le laissèrent.
রথের সেনাপতিরা যখন দেখেছিল যে তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তারা তাঁর পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
34 Mais un certain homme tendit son arc, tirant une flèche à l’aventure, et par hasard, il frappa le roi d’Israël entre le poumon et l’estomac. Mais le roi dit au conducteur de son char: Tourne ta main, et retire-moi de l’armée, parce que je suis grièvement blessé.
কিন্তু কেউ একজন আন্দাজে ধনুক চালিয়ে ইস্রায়েলের রাজার দেহে যেখানে বর্মের ঘেরাটোপ ছিল না, সেখানেই আঘাত করে বসেছিল। রাজামশাই তাঁর রথের সারথিকে বললেন, “রথের মুখ ঘুরিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে নিয়ে যাও। আমি আহত হয়েছি।”
35 Le combat fut donc engagé ce jour-là, et le roi d’Israël se tenait sur son char en face des Syriens, et il mourut vers le soir; or le sang de la plaie coulait dans l’intérieur du char.
সারাদিন ধরে তুমুল যুদ্ধ চলেছিল, এবং অরামীয়দের দিকে মুখ করে রাজামশাইকে তাঁর রথে ঠেস দিয়ে খাড়া করে রাখা হল। তাঁর ক্ষতস্থান থেকে ঝরে পড়া রক্তে রথের মেঝে ভেসে গেল, এবং সেই সন্ধ্যায় তিনি মারা গেলেন।
36 Et le héraut, avant que le soleil fût couché; sonna de la trompette dans toute l’armée, disant: Que chacun retourne en sa ville et en sa terre.
সূর্য যখন অস্ত যাচ্ছিল, তখন সৈন্যদলে এই হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছিল, “প্রত্যেকে নিজের নিজের নগরে ফিরে যাও। প্রত্যেকে নিজের নিজের দেশে ফিরে যাও!”
37 Le roi mourut donc, et il fut porté à Samarie; ainsi, on ensevelit le roi à Samarie.
অতএব রাজামশাই মারা গেলেন ও তাঁর দেহ শমরিয়ায় আনা হল, এবং লোকেরা তাঁকে সেখানেই কবর দিয়েছিল।
38 Et on lava son char dans la piscine de Samarie, et les chiens léchèrent son sang, et on lava les rênes, selon la parole que le Seigneur avait dite.
তারা শমরিয়ার একটি পুকুরে রথটি ধুয়েছিল (যেখানে বারবণিতারা স্নান করত), আর সদাপ্রভুর ঘোষিত কথানুসারে কুকুরেরা তাঁর রক্ত চেটে খেয়েছিল।
39 Mais le reste des actions d’Achab, et tout ce qu’il fit, la maison d’ivoire qu’il bâtit, et toutes les villes qu’il construisit, n’est-ce pas écrit dans le Livre des actions des jours des rois d’Israël?
আহাবের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, এছাড়াও তিনি যা যা করলেন, যে প্রাসাদ তিনি তৈরি করলেন ও হাতির দাঁত দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন, এবং যেসব নগর তিনি সুরক্ষিত করলেন—তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
40 Achab dormit donc avec ses pères, et Ochozias, son fils, régna en sa place.
আহাব তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে অহসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
41 Or Josaphat, fils d’Asa, avait commencé à régner sur Juda la quatrième année d’Achab, roi d’Israël.
ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চতুর্থ বছরে আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদায় রাজা হলেন।
42 Il avait trente-cinq ans lorsqu’il commença à régner, et il régna vingt-cinq ans dans Jérusalem. Le nom de sa mère était Azuba, fille de Salaï.
যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা। তিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
43 Et il marcha dans toute la voie d’Aza son père, et il ne s’en détourna point, et il fit ce qui était droit en la présence du Seigneur. Cependant il ne détruisit pas les hauts lieux; car le peuple sacrifiait encore et brûlait de l’encens sur les hauts lieux.
সবকিছুতেই তিনি তাঁর বাবা আসার পথে চলেছিলেন এবং সেগুলি থেকে সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করলেন। অবশ্য প্রতিমাপূজার উঁচু উঁচু স্থানগুলি সরানো হয়নি, এবং লোকজন তখনও সেগুলিতে পশুবলি উৎসর্গ করে যাচ্ছিল ও ধূপও জ্বালিয়ে যাচ্ছিল।
44 Et Josaphat eut la paix avec le roi d’Israël.
ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গেও যিহোশাফটের শান্তি বজায় ছিল।
45 Mais le reste des actions de Josaphat, et ses œuvres qu’il fit, et ses combats, n’est-ce pas écrit dans le Livre des actions des jours des rois de Juda?
যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা অর্জন করলেন ও তাঁর সামরিক উজ্জ্বল সব কীর্তি—তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
46 Mais aussi les restes des efféminés qui étaient demeurés dans les jours d’Asa son père, il les enleva de la terre.
তাঁর বাবা আসার রাজত্বকালে দেবদাসদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পরেও দেশে যেসব দেবদাস থেকে গেল, যিহোশাফট তাদেরও দূর করে দিলেন।
47 Et il n’y avait point alors de roi établi dans Edom.
ইদোমে তখন কোনও রাজা ছিল না; একজন প্রাদেশিক শাসনকর্তা সেখানে শাসন চালাচ্ছিলেন।
48 Or le roi Josaphat avait construit des flottes sur la mer, lesquelles firent voile vers Ophir, pour en apporter l’or; et elles ne purent pas y aller, parce qu’elles furent brisées à Asiongaber.
ইত্যবসরে ওফীর থেকে সোনা আনার জন্য যিহোশাফট বাণিজ্যতরির এক নৌবহর তৈরি করলেন, কিন্তু সেগুলির আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি—কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি সমুদ্রে ডুবে গেল।
49 Alors Ochozias, fils d’Achab, dit à Josaphat: Que mes serviteurs aillent sur les vaisseaux avec les vôtres. Mais Josaphat ne voulut pas.
সেই সময় আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকজন আপনার লোকজনের সাথে সমুদ্রে পাড়ি দিক,” কিন্তু যিহোশাফট এতে রাজি হননি।
50 Et Josaphat dormit avec ses pères, et il fut enseveli avec eux dans la cité de David, son père; et Joram, son fils, régna en sa place.
পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই সাথে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
51 Or Ochozias, fils d’Achab, avait commencé à régner sur Israël dans Samarie la dix-septième année de Josaphat, roi de Juda, et il régna deux ans sur Israël.
যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরতম বছরে আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি দুই বছর ইস্রায়েলে রাজত্ব করলেন।
52 Et il fit le mal en la présence du Seigneur; il marcha dans la voie de son père et de sa mère, et dans la voie de Jéroboam, fils de Nabath, qui fit pécher Israël.
সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন, কারণ তিনি তাঁর বাবা, মা, ও নবাটের ছেলে সেই যারবিয়ামের পথেই চলেছিলেন, যারা ইস্রায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন।
53 Il servit aussi Baal et l’adora, et il irrita le Seigneur Dieu d’Israël, selon tout ce que son père avait fait.
তিনি তাঁর বাবার মতোই বায়ালের সেবা ও পুজো করলেন, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।