< যোহন 5 >
1 যীশু কিছুদিন পর ইহুদিদের একটি পর্ব উপলক্ষে জেরুশালেমে গেলেন।
Hierauf fand ein Fest der Juden statt, und Jesus zog nach Jerusalem hinauf.
2 সেখানে মেষদ্বারের কাছে একটি সরোবর আছে। অরামীয় ভাষায় একে বলা হয় বেথেসদা। পাঁচটি আচ্ছাদিত ঘাট সরোবরটিকে ঘিরে রেখেছিল।
Nun liegt in Jerusalem am Schaftor ein Teich, der auf hebräisch Bethesda heißt und fünf Hallen hat.
3 সেখানে বহু প্রতিবন্ধী—অন্ধ, খোঁড়া, পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোকেরা শুয়ে থাকত।
In diesen lagen Kranke in großer Zahl, Blinde, Lahme und Schwindsüchtige [die auf die Bewegung des Wassers warteten.
4 সময়ে সময়ে প্রভুর এক দূত সেখানে নেমে আসতেন এবং জল কাঁপাতেন। সেই সময় প্রথম যে ব্যক্তি প্রথমে সরোবরের জলে নামত, সে যে কোনো রকমের রোগ থেকে মুক্ত হত।
Ein Engel des Herrn stieg nämlich von Zeit zu Zeit in den Teich hinab und setzte das Wasser in Bewegung. Wer dann nach der Bewegung des Wassers zuerst hineinstieg, der wurde gesund, gleichviel mit welchem Leiden er behaftet war].
5 সেখানে আটত্রিশ বছরের এক পঙ্গু ব্যক্তি ছিল।
Nun lag dort ein Mann, der schon achtunddreißig Jahre an seiner Krankheit gelitten hatte.
6 যীশু তাকে সেখানে শুয়ে থাকতে দেখে এবং দীর্ঘদিন ধরেই তার এরকম অবস্থা জেনে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি সুস্থ হতে চাও?”
Als Jesus diesen daliegen sah und erfuhr, daß er schon so lange Zeit als Kranker dort zugebracht hatte, fragte er ihn: »Willst du gesund werden?«
7 পঙ্গু লোকটি উত্তর দিল, “মহাশয়, জল কেঁপে ওঠার সময় সরোবরের জলে নামতে আমাকে সাহায্য করার মতো কেউ নেই। আমি জলে নামার চেষ্টা করতে করতেই অন্য কেউ আমার আগে নেমে পড়ে।”
Der Kranke antwortete ihm: »Ach, Herr, ich habe keinen Menschen, der mich in den Teich schafft, wenn das Wasser in Bewegung gerät; während ich aber hingehe, steigt immer schon ein anderer vor mir hinab.«
8 যীশু তখন তাকে বললেন, “ওঠো, তোমার খাট তুলে নিয়ে চলে যাও।”
Jesus sagte zu ihm: »Steh auf, nimm dein Bett auf dich und bewege dich frei!«
9 লোকটি সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে গেল। সে তার খাট তুলে নিয়ে হাঁটতে লাগল। যেদিন এই ঘটনা ঘটে, সেদিন ছিল বিশ্রামদিন।
Da wurde der Mann sogleich gesund, nahm sein Bett auf sich und ging umher. Es war aber (gerade) Sabbat an jenem Tage.
10 তাই, যে লোকটি রোগ থেকে সুস্থ হয়েছিল, ইহুদিরা তাকে বলল, “আজ বিশ্রামদিন। বিধান অনুসারে আজ শয্যা বয়ে নেওয়া তোমার পক্ষে অনুচিত।”
Daher sagten die Juden zu dem Geheilten: »Heute ist Sabbat; da darfst du das Bett nicht tragen!«
11 কিন্তু সে উত্তর দিল, “যে ব্যক্তি আমাকে সুস্থ করেছেন, তিনিই আমাকে বললেন, ‘তোমার বিছানা তুলে নিয়ে চলে যাও।’”
Doch er antwortete ihnen: »Der Mann, der mich gesund gemacht hat, der hat zu mir gesagt: ›Nimm dein Bett auf dich und bewege dich frei!‹«
12 অতএব, তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “যে তোমাকে বিছানা তুলে নিয়ে চলে যেতে বলেছে, সে কে?”
Sie fragten ihn: »Wer ist der Mann, der zu dir gesagt hat: ›Nimm es auf dich und gehe umher!‹?«
13 যে লোকটি সুস্থ হয়েছিল, যীশুর বিষয়ে তার কোনো ধারণাই ছিল না, কারণ যীশু সেখানে উপস্থিত সকলের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন।
Der Geheilte wußte aber nicht, wer es war; denn Jesus hatte sich in der Menschenmenge, die sich an dem Orte befand, unbemerkt entfernt.
14 পরে যীশু তাকে মন্দিরে দেখতে পেয়ে বললেন, “দেখো, তুমি এবার সুস্থ হয়ে উঠেছ। আর পাপ কোরো না, না হলে তোমার জীবনে এর থেকেও বেশি অমঙ্গল ঘটতে পারে।”
Später traf Jesus ihn im Tempel wieder und sagte zu ihm: »Du bist nun gesund geworden; sündige fortan nicht mehr, damit dir nicht noch Schlimmeres widerfährt!«
15 লোকটি ফিরে গিয়ে ইহুদিদের বলল যে, যীশু তাকে সুস্থ করেছেন।
Da ging der Mann hin und teilte den Juden mit, Jesus sei es, der ihn gesund gemacht habe.
16 যীশু বিশ্রামদিনে এই সমস্ত কাজ করছিলেন বলে ইহুদিরা তাঁকে তাড়না করল এবং হত্যা করারও চেষ্টা করল।
Deshalb verfolgten die Juden Jesus, weil er solche Werke (auch) am Sabbat tat.
17 যীশু তাদের বললেন, “আমার পিতা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, আর আমিও কাজ করে চলেছি।”
Jesus aber antwortete ihnen: »Mein Vater wirkt (ununterbrochen) bis zu dieser Stunde; darum wirke ich auch.«
18 এই কারণে ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার আপ্রাণ চেষ্টা করল, কারণ তিনি যে শুধু বিশ্রামদিন লঙ্ঘন করছিলেন, তা নয়, তিনি ঈশ্বরকে তাঁর পিতা বলেও সম্বোধন করে নিজেকে ঈশ্বরের সমতুল্য করেছিলেন।
Deshalb trachteten die Juden ihm um so mehr nach dem Leben, weil er nicht nur den Sabbat brach, sondern auch Gott seinen eigenen Vater nannte und sich damit Gott gleichstellte.
19 যীশু তাদের এই উত্তর দিলেন: “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, পুত্র নিজে থেকে কিছুই করেন না, কিন্তু পিতাকে যা করতে দেখেন, তিনি কেবল তাই করতে পারেন, কারণ পিতা যা করেন, পুত্রও তাই করেন।
Daher sprach sich Jesus ihnen gegenüber so aus: »Wahrlich, wahrlich ich sage euch: der Sohn vermag von sich selber aus nichts zu tun, als was er den Vater tun sieht; denn was jener tut, das tut in gleicher Weise auch der Sohn.
20 পিতা পুত্রকে প্রেম করেন এবং তিনি যা করেন, তা পুত্রকে দেখান। হ্যাঁ, তোমরা অবাক বিস্ময়ে দেখবে, তিনি এর চেয়েও মহৎ মহৎ বিষয় তাঁকে দেখাচ্ছেন।
Denn der Vater hat den Sohn lieb und läßt ihn alles sehen, was er selbst tut; und er wird ihn noch größere Werke als diese sehen lassen, damit ihr euch wundert.
21 পিতা যেমন মৃতদের উত্থাপিত করে জীবন দান করেন, পুত্রও তেমনই যাকে ইচ্ছা তাকে জীবন দান করেন।
Denn wie der Vater die Toten auferweckt und lebendig macht, ebenso macht auch der Sohn lebendig, welche er will.
22 আর পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার পুত্রের উপর দিয়েছেন,
Denn auch der Vater ist es nicht, der jemand richtet; sondern er hat das Gericht ganz dem Sohne übertragen,
23 যেন তারা যেমন পিতাকে সম্মান করে, তেমনই সকলে পুত্রকেও সম্মান করে। যে ব্যক্তি পুত্রকে সম্মান করে না, সে সেই পিতাকেও সম্মান করে না, যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।
damit alle den Sohn ebenso ehren, wie sie den Vater ehren. Wer den Sohn nicht ehrt, ehrt auch den Vater nicht, der ihn gesandt hat.
24 “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যে আমার বাক্য শোনে এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁকে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে। সে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবে না, কারণ সে মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়েছে। (aiōnios )
Wahrlich, wahrlich ich sage euch: Wer mein Wort hört und dem glaubt, der mich gesandt hat, der hat ewiges Leben und kommt nicht ins Gericht, sondern ist aus dem Tode ins Leben hinübergegangen. (aiōnios )
25 আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সময় আসছে, বরং তা এসে গেছে, যখন মৃতেরা ঈশ্বর পুত্রের রব শুনতে পাবে; আর যারা শুনবে, তারা জীবিত হবে।
Wahrlich, wahrlich ich sage euch: Es kommt die Stunde, ja sie ist jetzt schon da, wo die Toten die Stimme des Sohnes Gottes hören werden, und die, welche auf sie hören, werden leben.
26 কারণ পিতার মধ্যে যেমন জীবন আছে, তেমনই তিনি পুত্রকেও তাঁর মধ্যে জীবন রাখার অধিকার দিয়েছেন।
Denn wie der Vater (das) Leben in sich selbst hat, so hat er auch dem Sohne verliehen, (das) Leben in sich selbst zu haben;
27 পিতা পুত্রকে বিচার করার অধিকার দিয়েছেন, কারণ তিনি মনুষ্যপুত্র।
und er hat ihm Vollmacht gegeben, Gericht abzuhalten, weil er ein Menschensohn ist.
28 “তোমরা একথায় বিস্মিত হোয়ো না, কারণ এমন এক সময় আসছে, যখন কবরস্থ লোকেরা সকলে তাঁর কণ্ঠস্বর শুনবে এবং
Wundert euch nicht hierüber! Denn die Stunde kommt, in der alle, die in den Gräbern ruhen, seine Stimme hören werden,
29 যারা সৎকাজ করেছে, তারা জীবনের পুনরুত্থানের জন্য, আর যারা দুষ্কর্ম করেছে, তারা বিচারের পুনরুত্থানের জন্য বের হয়ে আসবে।
und es werden hervorgehen: die einen, die das Gute getan haben, zur Auferstehung für das Leben, die anderen aber, die das Böse betrieben haben, zur Auferstehung für das Gericht.
30 আমি আমার ইচ্ছামতো কিছুই করতে পারি না। আমি যেমন শুনি, কেবল তেমনই বিচার করি। আর আমার বিচার ন্যায্য কারণ আমি নিজের নয়, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁরই ইচ্ছা পালনের চেষ্টা করি।
Ich vermag nichts von mir selbst aus zu tun; nein, wie ich es (vom Vater) höre, so richte ich, und mein Gericht ist gerecht, weil ich nicht meinen Willen (durchzuführen) suche, sondern den Willen dessen, der mich gesandt hat.«
31 “আমি যদি নিজের বিষয়ে সাক্ষ্য দিই, তাহলে আমার এই সাক্ষ্য সত্য নয়।
»Wenn ich über mich selbst Zeugnis ablege, so ist mein Zeugnis ungültig.
32 আর একজন আছেন, যিনি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আমি জানি, আমার বিষয়ে তাঁর সাক্ষ্য সত্য।
(Nein) ein anderer ist es, der mit seinem Zeugnis für mich eintritt, und ich weiß, daß das Zeugnis, das er über mich ablegt, wahr ist.
33 “তোমরা যোহনের কাছে লোক পাঠিয়েছিলে। তিনি সত্যের পক্ষেই সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Ihr habt zu Johannes gesandt, und er hat Zeugnis für die Wahrheit abgelegt;
34 আমি যে মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করি তা নয়, কিন্তু তোমরা যেন পরিত্রাণ লাভ করতে পারো, সেজন্য এর উল্লেখ করছি।
ich aber nehme das Zeugnis von einem Menschen nicht an, sondern erwähne dies nur deshalb, damit ihr gerettet werdet.
35 যোহন ছিলেন এক প্রদীপ যিনি জ্যোতি প্রদান করেছিলেন এবং কিছু সময় তোমরা তার জ্যোতি উপভোগ করতে চেয়েছিলে।
Jener war wirklich die Leuchte, die mit hellem Schein brannte; ihr aber wolltet euch nur eine Zeitlang an ihrem Lichtschein vergnügen.«
36 “সেই যোহনের সাক্ষ্যের চেয়েও এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য আমার আছে। পিতা আমাকে যে কাজ সম্পাদন করতে দিয়েছেন এবং যে কাজ সম্পূর্ণ করতে আমি নিয়োজিত, সেই কাজই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন।
»Ich aber habe ein Zeugnis, das gewichtiger ist als das des Johannes; denn die Werke, die der Vater mir zu vollführen übertragen hat, eben die Werke, die ich vollbringe, bezeugen von mir, daß der Vater mich gesandt hat.
37 পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনি স্বয়ং আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তোমরা কখনও তাঁর স্বর শোনোনি, তাঁর রূপও দেখোনি।
So ist also, der mich gesandt hat, der Vater selbst, mit seinem Zeugnis für mich eingetreten. Ihr habt weder seine Stimme jemals gehört noch seine Gestalt gesehen;
38 তোমাদের মধ্যে তাঁর বাক্য বিরাজ করে না। কারণ তিনি যাঁকে পাঠিয়েছেন, তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করো না।
und auch sein Wort habt ihr nicht als bleibenden Besitz in euch, weil ihr dem nicht glaubt, den er gesandt hat.
39 তোমরা মনোযোগ সহকারে শাস্ত্র পাঠ করে থাকো, কারণ তোমরা মনে করো যে, তার মাধ্যমেই তোমরা অনন্ত জীবন লাভ করেছ। সেই শাস্ত্র আমারই সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছে। (aiōnios )
Ihr durchforscht (wohl) die (heiligen) Schriften, weil ihr in ihnen ewiges Leben zu haben vermeint, und sie sind es auch wirklich, die von mir Zeugnis ablegen; (aiōnios )
40 তবু তোমরা জীবন পাওয়ার জন্য আমার কাছে আসতে চাও না।
aber trotzdem wollt ihr nicht zu mir kommen, um wirklich Leben zu haben.«
41 “মানুষের প্রশংসা আমি গ্রহণ করি না।
»Ehre von Menschen nehme ich nicht an,
42 কিন্তু আমি তোমাদের চিনি। আমি জানি, তোমাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রেম নেই।
vielmehr habe ich bei euch erkannt, daß ihr die Liebe zu Gott nicht in euch tragt.
43 আমি আমার পিতার নামে এসেছি, কিন্তু তোমরা আমাকে গ্রহণ করলে না। অন্য কেউ যদি তার নিজের নামে আসে, তোমরা তাকে গ্রহণ করবে।
Ich bin im Namen meines Vaters gekommen, doch ihr nehmt mich nicht an; wenn ein anderer in seinem eigenen Namen kommt, den werdet ihr annehmen.
44 তোমরা যদি পরস্পরের কাছ থেকে গৌরবলাভের জন্য সচেষ্ট হও অথচ যে গৌরব কেবলমাত্র ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া যায়, তা পাওয়ার জন্য যদি কোনো প্রয়াস না করো, তাহলে কীভাবে তোমরা বিশ্বাস করতে পারো?
Wie könnt ihr zum Glauben kommen, da ihr Ehre voneinander annehmt, aber nach der Ehrung, die vom alleinigen Gott kommt, kein Verlangen tragt?
45 “তোমরা মনে কোরো না যে, পিতার সামনে আমি তোমাদের অভিযুক্ত করব। যার উপর তোমাদের প্রত্যাশা, সেই মোশিই তোমাদের অভিযুক্ত করবেন।
Denkt nicht, daß ich euer Ankläger beim Vater sein werde! Nein, es ist (ein anderer) da, der euch anklagt, nämlich Mose, auf den ihr eure Hoffnung gesetzt habt.
46 তোমরা যদি মোশিকে বিশ্বাস করতে, তাহলে আমাকেও বিশ্বাস করতে, কারণ তিনি আমারই বিষয়ে লিখেছেন।
Denn wenn ihr Mose glaubtet, dann würdet ihr auch mir glauben; denn ich bin es, von dem er geschrieben hat.
47 তার লিখিত বাণী তোমরা বিশ্বাস না করলে, আমার মুখের কথা তোমরা কীভাবে বিশ্বাস করবে?”
Wenn ihr aber seinen Schriften nicht glaubt, wie solltet ihr da meinen Worten Glauben schenken?«