< যোয়েল ভাববাদীর বই 2 >

1 তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও; আমার পবিত্র পর্বতে সিংহনাদ তোলো। দেশে বসবাসকারী সকলে ভয়ে কাঁপুক, কারণ সদাপ্রভুর দিন এসে পড়েছে। হ্যাঁ, সেদিন কাছে এসে পড়েছে—
তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও এবং আমার পবিত্র পর্বতে বিপদের সংকেত দাও৷ সমস্ত দেশনিবাসী ভয়ে কাঁপুক কারণ সদাপ্রভুর দিন আসছে; সত্যিই, সেই দিন কাছাকাছি৷
2 তা অন্ধকার ও নিরানন্দের দিন, মেঘের ও গাঢ় অন্ধকারের দিন।
এটি অন্ধকার এবং বিষন্নতার একটি দিন ৷ মেঘ ও ঘোর অন্ধকারের দিন, পর্বতের উপরে ছড়িয়ে পড়া ভোরের মত৷ একটি বড় ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী এগিয়ে আসছে, এর মত বড় সেনাবাহিনী না এর আগে ছিল না এর পরে হবে এমনকি অনেক প্রজন্ম ধরেও এমন হবে না৷
3 তাদের সামনে আগুন গ্রাস করে, তাদের পিছনে আগুনের শিখা জ্বলে। তাদের সামনে দেশ হয় যেন এদন উদ্যানের মতো, তাদের পিছনে থাকে এক পরিত্যক্ত মরুপ্রান্তর— কোনো কিছুই তাদের কাছ থেকে রেহাই পায় না।
তাদের সামনে আগুন সমস্ত কিছু গ্রাস করছে এবং তাদের পিছনে জ্বলছে জ্বলন্ত আগুনের শিখা৷ এর সামনে সেই দেশটা এদন বাগানের মত, আর তাদের পিছনে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মরুভূমি, বাস্তবেই কোনো কিছুই তা থেকে রক্ষা পাবে না৷
4 তাদের আকার অশ্বের মতো, তারা অশ্বারোহী সৈন্যদের মতো ছুটে চলে।
সেনাবাহিনীর চেহারা ঘোড়ার মত এবং তারা ঘোড়াচালকের মত ছুটে চলে৷
5 বহু রথের শব্দের মতো ধ্বনি তুলে, নাড়া গ্রাসকারী আগুনের মতো শব্দ তুলে, তারা পাহাড়ের চূড়ায় লাফ দেয়, তারা যেন যুদ্ধের উদ্দেশে শ্রেণীভূত পরাক্রমী সৈন্যদলের মতো।
তাদের লাফানোর শব্দ পর্বতের উপরে রথের শব্দের মত, জ্বলন্ত অগ্নিশিখার শব্দের মত যা খড়কুটো গ্রাস করে৷ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত একটি শক্তি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মত৷
6 তাদের দেখামাত্র জাতিসমূহ মনস্তাপে দগ্ধ হয়; প্রত্যেকের মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়।
তাদের সামনে জাতিরা যন্ত্রণা পাচ্ছে; সকলের মুখ বিবর্ণ হয়ে গেছে৷
7 তারা বীর যোদ্ধাদের মতো দৌড়ায়, সৈন্যদের মতো তারা প্রাচীর পরিমাপ করে। তারা সুশৃঙ্খলভাবে সমরাভিযান করে, কেউই তার স্থান থেকে বিচ্যুত হয় না।
তারা শক্তিশালী যোদ্ধাদের মত দৌড়ায়, সৈন্যদের মত দেয়ালে ওঠে৷ তারা সারিবদ্ধ হয়ে, একসঙ্গে যাত্রা করে এবং তাদের সারি ভাঙ্গে না৷
8 তারা একে অন্যের উপরে চাপাচাপি করে পড়ে না, প্রত্যেকেই সোজা চলাপথে অগ্রসর হয়। প্রতিরোধ ব্যবস্থা তারা ভেদ করে, কেউই তার লাইন ভেঙে ফেলে না।
তারা একে অন্যের উপর চাপাচাপি করে না; প্রত্যেকে নিজের সারিতে সারিবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যায়৷ তারা প্রতিরোধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তারা সারিবদ্ধ থাকে৷
9 তারা নগরের মধ্যে দ্রুত দৌড়ে যায়, তারা প্রাচীরের উপরে দৌড়াতে থাকে। তারা ঘরবাড়ির উপরে চড়ে, চোরের মতো জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে।
তারা শহরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, দেয়ালের উপরে দৌড়ায়; তারা ঘরগুলিতে বেয়ে ওঠে যায় এবং চোরের মত জানলা দিয়ে প্রবেশ করে৷
10 তাদের সামনে পৃথিবী কম্পিত হয়, আকাশমণ্ডল কাঁপতে থাকে, সূর্য ও চাঁদ অন্ধকার হয়ে যায়, নক্ষত্রেরা আর দীপ্তি দেয় না।
১০তাদের সামনে পৃথিবী কাঁপে, আকাশ ভয়ে কাঁপতে থাকে, চাঁদ ও সূর্য্য অন্ধকার হয়ে যায় এবং তারাগুলো আলো দেওয়া বন্ধ করে দেয়৷
11 সদাপ্রভু তাঁর সৈন্যদলের পুরোভাগে বজ্রধ্বনি করেন; তাঁর সৈন্যসংখ্যা গণনার অতীত, যারা তাঁর আদেশ পালন করে, তারা পরাক্রমী বীর। সদাপ্রভুর দিন অতি মহৎ; তা ভয়ংকর। কে তা সহ্য করতে পারে?
১১সদাপ্রভু তাঁর সেনাবাহিনীর সামনে তাঁর কন্ঠের স্বর শোনালেন; তাঁর যোদ্ধারা অসংখ্য, কারণ তারা শক্তিশালী, যারা তাঁর আদেশ পালন করে৷ সদাপ্রভুর দিন মহান এবং খুবই ভয়ঙ্কর; কে তা সহ্য করতে পারে?
12 সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, “তোমরা এখনই, তোমাদের সম্পূর্ণ মনেপ্রাণে আমার কাছে ফিরে এসো, তোমরা উপবাস ও কান্নার সঙ্গে, শোক করতে করতে ফিরে এসো।”
১২সদাপ্রভু বললেন, “এমনকি এখন,” তোমাদের সমস্ত হৃদয়ের সঙ্গে ফিরে এস, উপবাস কর, কাঁদো ও বিলাপ করো৷
13 তোমাদের পোশাক নয়, কিন্তু তোমরা নিজের নিজের হৃদয় বিদীর্ণ করো। তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এসো, কারণ তিনি অনুগ্রহকারী ও সহানুভূতিশীল, বিলম্বে ক্রোধ করেন ও সীমাহীন তাঁর ভালোবাসা। তিনি বিপর্যয় প্রেরণ করে দয়ার্দ্র হন।
১৩শুধু তোমাদের পোশাক নয় কিন্তু তোমাদের হৃদয়ও ছিঁড়ে ফেল এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে এস, কারণ তিনি অনুগ্রহে পূর্ণ ও দয়ালু; তিনি ক্রোধে ধীর এবং প্রেমে পূর্ণ৷ এবং তিনি অমঙ্গলের বিষয় অনুশোচনা করেন না৷
14 কে জানে? তিনি ফিরে আবার করুণা করবেন এবং পিছনে আশীর্বাদ রেখে যাবেন— ভক্ষ্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য।
১৪কে জানে? হয়তো তিনি আবার ফিরবেন এবং দয়া করবেন, নিজের পিছনে আশীর্বাদ রেখে যাবেন, যাতে তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে শস্য নৈবেদ্য ও পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ কর৷
15 তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও, পবিত্র উপবাস-পর্ব ঘোষণা করো, এক পবিত্র সভার করো আহ্বান।
১৫তোমরা সিয়োনে সিঙ্গা বাজাও, পবিত্র উপবাসের ব্যবস্থা কর, একটা বিশেষ সভা ডাক৷
16 লোকেদের সমবেত করো, জনসমাজকে পবিত্র করো; প্রবীণদের এক স্থানে নিয়ে এসো, স্তন্যপায়ী শিশুদেরও এক স্থানে সমবেত করো। বর তার বাসগৃহ ও কনে তার নিবাস-কক্ষ ত্যাগ করুক।
১৬লোকেদের একত্র কর, পবিত্র সভা কর, প্রাচীনদের ডাক, শিশুদের একত্র কর এবং দুধ পান করা শিশুদের একত্র কর, বর নিজের বাড়ি থেকে এবং কন্যা নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসুক৷
17 সদাপ্রভুর সাক্ষাতে পরিচর্যাকারী যাজকেরা, মন্দিরের বারান্দা ও বেদির মাঝখানে ক্রন্দন করুক। তারা বলুক, “হে সদাপ্রভু, তোমার প্রজাদের নিষ্কৃতি দাও। তোমার অধিকারকে নিন্দার পাত্র হতে ও জাতিসমূহের মধ্যে প্রবাদের আস্পদ হতে দিয়ো না। তারা কেন জাতিবৃন্দের কাছে বলবে, ‘তোমার ঈশ্বর কোথায়?’”
১৭যাজকেরা, সদাপ্রভুর দাসেরা, বারান্দা ও বেদির মাঝে কাঁদুক, তারা বলুক, সদাপ্রভু, নিজের লোকেদের উপর মমতা কর, আর তোমার উত্তরাধিকারকে লজ্জায় ফেল না, যাতে তারা তাদের উপরে শাসন করে৷ জাতিগুলোর মধ্যে তারা কেন বলবে, “তাদের ঈশ্বর কোথায়?” ঈশ্বরের দয়া, তাঁর সেবকদের মঙ্গল এবং শত্রুদের ধ্বংস৷
18 তারপরে সদাপ্রভু তাঁর দেশের বিষয়ে উদ্যোগী হলেন এবং তাঁর প্রজাদের প্রতি দয়া করলেন।
১৮তখন সদাপ্রভু তাঁর যিরুশালেম দেশের জন্য আগ্রহী হবেন এবং তাঁর লোকেদের প্রতি মমতা করবেন৷
19 সদাপ্রভু তাদের প্রত্যুত্তর করবেন: “আমি তোমাদের কাছে শস্য, নতুন দ্রাক্ষারস ও তেল প্রেরণ করতে চলেছি, যা তোমাদের পরিতৃপ্ত করার জন্য পর্যাপ্ত হবে; আমি আর কখনও তোমাদের অন্যান্য জাতির কাছে নিন্দার পাত্র করব না।
১৯সদাপ্রভু তাঁর লোকেদের উত্তর দিলেন, “দেখ, আমি তোমাদের কাছে শস্য, নতুন আঙ্গুর রস এবং তেল পাঠাচ্ছি, তাতে তোমরা সম্পূর্ণভাবে তৃপ্ত হবে; আমি অন্যান্য জাতিদের কাছে আর তোমাদের অপমানের পাত্র করব না৷
20 “উত্তরের সৈন্যদলকে আমি তোমাদের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেব, তাদের এক শুকনো ও অনুর্বর দেশে নিক্ষেপ করব, পূর্ব সমুদ্রের দিকে তার সামনের ভাগ ও পশ্চিম সমুদ্রের দিকে তার পেছনের ভাগ নিক্ষেপ করব। তার দুর্গন্ধ উপরে উঠে যাবে, তার পূতিগন্ধ উঠতে থাকবে।”
২০আমি উত্তর দিক থেকে আক্রমণকারীদের তোমাদের কাছ থেকে দূর করে দেব; শুকনো ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশে তাদের তাড়িয়ে দেব৷ তাদের সৈন্যবাহিনীর সামনের অংশ পূর্ব সমুদ্রে আর পিছনের অংশকে পশ্চিম সমুদ্রে ফেলে দেব৷ তার দুর্গন্ধ উঠবে এবং তা থেকে পচা গন্ধ উঠবে, কারণ আমি মহান কাজ করব৷”
21 ওহে দেশ, ভয় কোরো না; আনন্দিত হও ও উল্লাস করো। সদাপ্রভু নিশ্চয়ই মহৎ সব কাজ করেছেন।
২১হে দেশ, ভয় করো না; খুশি হও এবং আনন্দ কর, কারণ সদাপ্রভু মহান কাজ করেছেন৷
22 ওহে বুনো পশুরা, তোমরা ভয় কোরো না, কারণ খোলা চারণভূমিগুলি সবুজ হয়ে উঠছে। গাছগুলি তাদের ফল উৎপন্ন করছে, ডুমুর গাছ ও দ্রাক্ষালতা তাদের ফলভারে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
২২ক্ষেত্রে পশুরা, ভয় করো না, কারণ চারণভূমি ঘাসে ভরে উঠেবে৷ গাছ তাদের ফল বহন করবে, ডুমুর গাছ ও আঙ্গুরলতা প্রচুর ফল দেবে৷
23 ওহে সিয়োনের অধিবাসীরা, তোমরা আনন্দিত হও, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে আনন্দিত হও, কারণ তিনি তাঁর ধর্মশীলতায় তোমাদের অগ্রিম বৃষ্টি দান করবেন। তিনি তোমাদের কাছে প্রচুর বৃষ্টি প্রেরণ করবেন, পূর্বের মতোই প্রথম ও শেষ বর্ষা প্রেরণ করবেন।
২৩সিয়োনের লোকেরা, আনন্দিত হও, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে আনন্দ কর, কারণ তিনি তোমাদের ধার্মিকতার নির্ধারিত পরিমাণে শরৎকালে বৃষ্টি দেবেন এবং তোমাদের জন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আগের মত শরৎকালে ও বসন্তকালে বৃষ্টি দেবেন৷
24 খামারগুলি শস্যে পরিপূর্ণ হবে; ভাঁটিগুলি নতুন দ্রাক্ষারসে ও তেলে উপচে পড়বে।
২৪খামারগুলোর মেঝে গমে ভরে যাবে; পাত্র থেকে আঙ্গুর রস আর তেল উপচে পড়বে৷
25 “বছর বছর ধরে পঙ্গপালে যা খেয়েছে, তা আমি ফিরিয়ে দেব— অর্থাৎ বড়ো পঙ্গপাল, ও অল্পবয়স্ক পঙ্গপাল, অন্যান্য পঙ্গপাল ও পঙ্গপালের ঝাঁক— আমার মহা সৈন্যদল, যাদের আমি প্রেরণ করেছিলাম।
২৫আমি তোমাকে ফসলের বছরগুলো ফিরিয়ে দেব, যা পঙ্গপালের শূককীট, বড় পঙ্গপালের দল, ফড়িং, শুঁয়োপোকাতে যত বছর ধরে তোমাদের ফসল খেয়েছে তা আমি পরিশোধ করব৷
26 যতক্ষণ না তোমরা তৃপ্ত হবে, তোমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে আহার করবে, আর তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে, যিনি তোমাদের জন্য বিস্ময়কর সব কর্ম করেছেন; আমার প্রজারা আর কখনও লজ্জিত হবে না।
২৬তোমরা পেট ভরে খেয়ে তৃপ্ত হবে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে, যিনি তোমাদের জন্য আশ্চর্য্য কাজ করেছেন; আমার লোকেরা কখনও লজ্জিত হবে না৷
27 তখন তোমরা জানতে পারবে যে আমি ইস্রায়েলের মধ্যবর্তী আছি, যে আমিই সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, আর কোনো ঈশ্বর নেই; আমার প্রজারা আর কখনও লজ্জিত হবে না।
২৭তুমি জানতে পারবে যে, আমি ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে আছি এবং আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এবং অন্য কেউ নয় এবং আমার লোকেরা কখনও লজ্জিত হবে না৷
28 “আর তারপর, আমি সমস্ত মানুষের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব। তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের প্রবীণেরা স্বপ্ন দেখবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে।
২৮তারপরে আমি এইরকম ঘটাব, আমার আত্মা সমস্ত প্রাণীদের উপরে ঢেলে দেব৷ এবং তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের বয়ষ্ক লোকেরা স্বপ্ন দেখবে ও তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে৷
29 এমনকি, আমার দাস-দাসীদেরও উপরে, সেইসব দিনে আমি আমার আত্মা ঢেলে দেব।
২৯এমনকি, ঐ দিনের, দাস ও দাসীদের উপরে আমি আমার আত্মা ঢেলে দেব৷
30 আমি আকাশমণ্ডলে ও পৃথিবীর উপরে আশ্চর্য সব নিদর্শন দেখাব, রক্ত ও আগুন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখাব।
৩০আমি আকাশে ও পৃথিবীতে অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবো, রক্ত, আগুন এবং ধোঁয়ার স্তম্ভ দেখাব৷
31 সদাপ্রভুর সেই মহৎ ও ভয়ংকর দিনের আগমনের পূর্বে, সূর্য অন্ধকার ও চাঁদ রক্তবর্ণ হয়ে যাবে।
৩১সদাপ্রভুর সেই মহান ও ভয়ঙ্কর দিন আসবার আগে সূর্য্য অন্ধকার হয়ে যাবে ও চাঁদ রক্তের মত হবে৷
32 আর যে কেউ সদাপ্রভুর নামে ডাকবে, সেই পরিত্রাণ পাবে; কারণ সদাপ্রভুর কথামতো সিয়োন পর্বত ও জেরুশালেমে, কিছু মুক্তিপ্রাপ্ত লোকের দল থাকবে; আর অবশিষ্ট লোকেদের মধ্যেও থাকবে, যাদের সদাপ্রভু আহ্বান করেছেন।”
৩২যে কেউ সদাপ্রভুর নামে ডাকবে সেই রক্ষা পাবে, সদাপ্রভুর কথা মত সিয়োন পর্বত ও যিরূশালেমে দল মুক্তি পাবে৷ এবং পালিয়ে যাওয়া লোকেদের মধ্যে এমন লোক থাকবে যাদের সদাপ্রভু ডাকবেন৷

< যোয়েল ভাববাদীর বই 2 >