< ইয়োবের বিবরণ 38 >
1 পরে সদাপ্রভু ঝড়ের মধ্যে থেকে ইয়োবের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন:
respondens autem Dominus Iob de turbine dixit
2 “এ কে যে অজ্ঞানের মতো কথা বলে আমার পরিকল্পনাগুলি ম্লান করে দিচ্ছে?
quis est iste involvens sententias sermonibus inperitis
3 পুরুষমানুষের মতো নিজেকে মজবুত করো; আমি তোমাকে প্রশ্ন করব, ও তুমি আমাকে উত্তর দেবে।
accinge sicut vir lumbos tuos interrogabo te et responde mihi
4 “আমি যখন পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছিলাম তুমি তখন কোথায় ছিলে? যদি বুঝেছো, তবে আমায় বলো।
ubi eras quando ponebam fundamenta terrae indica mihi si habes intellegentiam
5 পৃথিবীর মাত্রা কে চিহ্নিত করল? তুমি নিশ্চয় তা জানো! তার উপরে কে সীমারেখা টানলো?
quis posuit mensuras eius si nosti vel quis tetendit super eam lineam
6 কীসের উপরে তার অবস্থান খাড়া হল, বা কে তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলো—
super quo bases illius solidatae sunt aut quis dimisit lapidem angularem eius
7 যখন শুকতারারা একসাথে গেয়ে উঠল ও স্বর্গদূতেরা সবাই আনন্দে চিৎকার করে উঠল?
cum me laudarent simul astra matutina et iubilarent omnes filii Dei
8 “কে দরজার আড়ালে সমুদ্রকে অবরুদ্ধ করল যখন তা গর্ভ থেকে বের হয়ে এল,
quis conclusit ostiis mare quando erumpebat quasi de vulva procedens
9 যখন আমি মেঘরাশিকে তার পোশাক বানালাম ও তা ঘন অন্ধকারে ঢেকে দিলাম,
cum ponerem nubem vestimentum eius et caligine illud quasi pannis infantiae obvolverem
10 যখন আমি তার জন্য সীমা নির্দিষ্ট করলাম এবং তার দরজা ও খিল যথাস্থানে লাগালাম।
circumdedi illud terminis meis et posui vectem et ostia
11 যখন আমি বললাম, ‘এই পর্যন্তই তুমি আসতে পারবে, আর নয়; এখানেই তোমার তরঙ্গের গর্ব থেমে যাবে’?
et dixi usque huc venies et non procedes amplius et hic confringes tumentes fluctus tuos
12 “তুমি কি কখনও সকালকে আদেশ দিয়েছ, বা ভোরবেলাকে তার স্থান দেখিয়ে দিয়েছ
numquid post ortum tuum praecepisti diluculo et ostendisti aurorae locum suum
13 যেন তা পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে ও সেখান থেকে দুষ্টদের ঝেড়ে ফেলে?
et tenuisti concutiens extrema terrae et excussisti impios ex ea
14 পৃথিবী সিলমোহরের তলায় লেগে থাকা মাটির মতো আকার নেয়; তার বৈশিষ্ট্য এক পোশাকের মতো ফুটে ওঠে।
restituetur ut lutum signaculum et stabit sicut vestimentum
15 দুষ্টদের আলো দেওয়া হয় না, ও তারা যে হাত উঁচুতে তুলে ধরে তা ভেঙে যায়।
auferetur ab impiis lux sua et brachium excelsum confringetur
16 “তুমি কি সমুদ্রের উৎসে যাত্রা করেছ বা সমুদ্রতলবর্তী গর্তে হাঁটাহাঁটি করেছ?
numquid ingressus es profunda maris et in novissimis abyssis deambulasti
17 মৃত্যুর দরজা কি তোমার কাছে প্রকাশিত হয়েছে? তুমি কি গাঢ় অন্ধকারের দরজা দেখেছ?
numquid apertae tibi sunt portae mortis et ostia tenebrosa vidisti
18 পৃথিবীর সুবিশাল বিস্তারের বিষয়টি কি তুমি বুঝে ফেলেছ? এসব কিছু যদি তুমি জানো, তবে আমায় বলো।
numquid considerasti latitudines terrae indica mihi si nosti omnia
19 “আলোর বাসস্থানে যাওয়ার পথ কোনটি? আর অন্ধকার কোথায় বসবাস করে?
in qua via habitet lux et tenebrarum quis locus sit
20 তুমি কি তাদের স্বস্থানে নিয়ে যেতে পারো? তুমি কি তাদের ঘরের পথ জান?
ut ducas unumquodque ad terminos suos et intellegas semitas domus eius
21 নিশ্চয় জানো, কারণ তখন তো তোমার জন্ম হয়ে গিয়েছিল! তুমি তো বহু বছর ধরে বেঁচে আছ!
sciebas tunc quod nasciturus esses et numerum dierum tuorum noveras
22 “তুমি কি তুষারের আড়তে প্রবেশ করেছ বা শিলাবৃষ্টির গুদাম দেখেছ,
numquid ingressus es thesauros nivis aut thesauros grandinis aspexisti
23 যা আমি সংকটকালের জন্য, যুদ্ধবিগ্রহের দিনের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছি?
quae praeparavi in tempus hostis in diem pugnae et belli
24 কোনও পথ ধরে সেখানে যাওয়া যায়, যেখান থেকে বিজলি বিচ্ছুরিত হয়, বা যেখান থেকে পূর্বীয় বাতাস সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে?
per quam viam spargitur lux dividitur aestus super terram
25 প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য কে খাল খুঁড়েছে, ও বজ্রঝড়ের জন্য কে পথ তৈরি করে দিয়েছে,
quis dedit vehementissimo imbri cursum et viam sonantis tonitrui
26 যেন জনমানবহীন দেশ, বসতিহীন মরুভূমি জলসিক্ত হয়,
ut plueret super terram absque homine in deserto ubi nullus mortalium commoratur
27 যেন ঊষর পতিত জমি তৃপ্ত হয় ও সেখানে কচি ঘাস অঙ্কুরিত হয়?
ut impleret inviam et desolatam et produceret herbas virentes
28 বৃষ্টির কি বাবা আছে? কে শিশিরকণার জন্ম দিয়েছে?
quis est pluviae pater vel quis genuit stillas roris
29 কার গর্ভ থেকে বরফ বের হয়েছে? আকাশ থেকে ঝড়ে পড়া তুষারের জন্মই বা কে দিয়েছে
de cuius utero egressa est glacies et gelu de caelo quis genuit
30 যখন জল জমে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়, যখন জলরাশির উপরের স্তর জমাট বেঁধে যায়?
in similitudinem lapidis aquae durantur et superficies abyssi constringitur
31 “তুমি কি কৃত্তিকার হার গাঁথতে পারো? তুমি কি কালপুরুষের বাঁধন আলগা করতে পারো?
numquid coniungere valebis micantes stellas Pliadis aut gyrum Arcturi poteris dissipare
32 তুমি কি নক্ষত্রপুঞ্জকে তাদের নিজস্ব ঋতুতে চালাতে পার বা শাবকসুদ্ধ ভালুককে তার পথ দেখাতে পারো?
numquid producis luciferum in tempore suo et vesperum super filios terrae consurgere facis
33 তুমি কি আকাশমণ্ডলের বিধান জানো? তুমি কি পৃথিবীতে ঈশ্বরের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পারো?
numquid nosti ordinem caeli et pones rationem eius in terra
34 “তুমি কি মেঘ পর্যন্ত তোমার আওয়াজ তুলতে পারো ও নিজেকে জলপ্লাবন দিয়ে ঢেকে ফেলতে পারো?
numquid elevabis in nebula vocem tuam et impetus aquarum operiet te
35 তুমি কি বজ্রবিদ্যুৎ ঝলসাতে পারবে? সেগুলি কি জবাবে তোমাকে বলবে, ‘আমরা এখানে’?
numquid mittes fulgura et ibunt et revertentia dicent tibi adsumus
36 কে দোচরাকে বিজ্ঞতা দিয়েছে বা মোরগকে বোধশক্তি দিয়েছে?
quis posuit in visceribus hominis sapientiam vel quis dedit gallo intellegentiam
37 কার কাছে মেঘরাশি গণনা করার বিজ্ঞতা আছে? কে তখন আকাশের জলে ভরা ঘড়াগুলি উল্টাতে পারে
quis enarravit caelorum rationem et concentum caeli quis dormire faciet
38 যখন ধুলো শক্ত হয়ে যায় ও মাটির ঢেলা একসঙ্গে জুড়ে যায়?
quando fundebatur pulvis in terram et glebae conpingebantur
39 “তুমি কি সিংহীর জন্য শিকারের খোঁজ করবে ও সিংহদের খিদে মিটাবে
numquid capies leaenae praedam et animam catulorum eius implebis
40 যখন তারা গুহায় গুড়ি মেরে পড়ে থাকে বা ঘন ঝোপে অপেক্ষা করে বসে থাকে?
quando cubant in antris et in specubus insidiantur
41 কে দাঁড়কাকের জন্য খাবার জোগায় যখন তার শাবকেরা ঈশ্বরের কাছে আর্তনাদ করে ও খাবারের অভাবে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়?
quis praeparat corvo escam suam quando pulli eius ad Deum clamant vagantes eo quod non habeant cibos