< যাত্রাপুস্তক 16 >
1 ইস্রায়েলীদের সমগ্র জনসমাজ মিশর থেকে বের হয়ে আসার পর দ্বিতীয় মাসের পঞ্চদশতম দিনে এলীম থেকে বের হয়ে সেই সীন মরুভূমিতে এল, যা এলীম ও সীনয়ের মাঝখানে অবস্থিত।
১পরে তারা এলীম থেকে যাত্রা করল। আর মিশর দেশ থেকে চলে যাবার পর দ্বিতীয় মাসের পনেরোতম দিনের ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী সীন মরুপ্রান্তে উপস্থিত হল, তা এলীমের ও সীনয়ের মাঝখানে।
2 সেই মরুভূমিতে সমগ্র জনসমাজ মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল।
২তখন ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে মরুপ্রান্তে অভিযোগ করল;
3 ইস্রায়েলীরা তাঁদের বলল, “হায় আমরা কেন মিশরেই সদাপ্রভুর হাতে মারা পড়িনি! সেখানে আমরা মাংসের হাঁড়ি ঘিরেই বসে থাকতাম ও আমাদের চাহিদানুসারেই সব খাবারদাবার খেতাম, কিন্তু তোমরা সমগ্র এই জনসমাজকে অনাহারে মেরে ফেলার জন্য আমাদের এই মরুভূমিতে নিয়ে এসেছ।”
৩আর ইস্রায়েল সন্তানেরা তাঁদেরকে বলল, “হায়, হায়, আমরা মিশর দেশে সদাপ্রভুর হাতে কেন মারা যাই নি? তখন মাংসের হাঁড়ীর কাছে বসতাম, রুটি খেয়ে সন্তুষ্ট হতাম, তোমরা তো আমাদের সমস্ত গোষ্ঠীকে না খাইয়ে মারার জন্য বের করে এই মরুপ্রান্তে এনেছ।”
4 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি তোমাদের জন্য স্বর্গ থেকে খাদ্য বর্ষণ করব। লোকদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হবে এবং সেদিনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে তা কুড়াতে হবে। এইভাবে আমি তাদের পরীক্ষা করব ও দেখব তারা আমার নির্দেশাবলি পালন করে কি না।
৪তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “দেখ, আমি তোমাদের জন্য স্বর্গ থেকে খাদ্য দ্রব্য বর্ষণ করব; লোকেরা বাইরে গিয়ে প্রতিদিন সেইদিনের র জন্য খাদ্য কুড়োবে; যেন আমি তাদের এই পরীক্ষা নিই যে, তারা আমার ব্যবস্থাতে চলবে কি না।
5 ষষ্ঠ দিনে তারা যেটুকু কুড়াবে সেটুকুই রান্না করবে, এবং তা হবে অন্যান্য দিনে কুড়ানো খাদ্যের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি।”
৫ষষ্ঠ দিনের তারা যা আনবে, সেটা রান্না করলে প্রতিদিন যা কুড়ায়, তার দ্বিগুন হবে।”
6 অতএব মোশি ও হারোণ সব ইস্রায়েলীকে বললেন, “সন্ধ্যাবেলায় তোমরা জানতে পারবে যে সদাপ্রভুই তোমাদের মিশর থেকে বের করে এনেছেন,
৬পরে মোশি ও হারোণ সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানকে বললেন, “সন্ধ্যাবেলায় তোমরা জানবে যে, সদাপ্রভু তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।
7 এবং সকালবেলায় তোমরা সদাপ্রভুর মহিমা দেখতে পাবে, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে তোমাদের গজ্গজানি তিনি শুনেছেন। আমরা কে, যে তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছ?”
৭আর সকালে তোমরা সদাপ্রভুর প্রতাপ দেখতে পাবে, কারণ সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা তিনি শুনেছেন। আমরা কে যে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর?”
8 মোশি এও বললেন, “যখন তিনি সন্ধ্যাবেলায় তোমাদের মাংস খেতে দেবেন ও সকালবেলায় তোমাদের চাহিদানুসারে সব খাদ্য দেবেন তখনই তোমরা জানতে পারবে যে তা সদাপ্রভুই দিয়েছেন, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে করা তোমাদের গজ্গজানি তিনি শুনেছেন। আমরা কে? তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছ না, কিন্তু সদাপ্রভুর বিরুদ্ধেই জানাচ্ছ।”
৮পরে মোশি বললেন, “সদাপ্রভু সন্ধ্যাবেলা খাওয়ার জন্য তোমাদেরকে মাংস দেবেন ও সকালে তৃপ্তি সহকারে রুটি দেবেন; সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তোমরা যে অভিযোগ করছ, তা তিনি শুনেছেন; আমরা কে? তোমরা যে অভিযোগ করছ, সেটা আমাদের বিরুদ্ধে নয়, সদাপ্রভুরই বিরুদ্ধে করছ।”
9 তখন মোশি হারোণকে বললেন, “সমগ্র ইস্রায়েলী জনসমাজকে বলো, ‘সদাপ্রভুর সামনে এসো, কারণ তিনি তোমাদের গজ্গজানি শুনেছেন।’”
৯পরে মোশি হারোণকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বলো, ‘তোমরা সদাপ্রভুর সামনে এস; কারণ তিনি তোমাদের অভিযোগ শুনেছেন’।”
10 হারোণ যখন সমগ্র ইস্রায়েলী জনসমাজের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তারা মরুভূমির দিকে তাকাল, এবং সেখানে সদাপ্রভুর মহিমা মেঘে আবির্ভূত হল।
১০পরে হারোণ যখন ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে এটা বলছিলেন, তখন তারা মরুপ্রান্তের দিকে মুখ ফেরাল; আর দেখ, মেঘস্তম্ভের মধ্যে সদাপ্রভুর প্রতাপ দেখা গেল।
11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
১১আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
12 “আমি ইস্রায়েলীদের গজ্গজানি শুনেছি। তাদের বলো, ‘গোধূলিবেলায় তোমরা মাংস খাবে, এবং সকালবেলায় তোমরা খাদ্যে পরিপূর্ণ হবে। তখন তোমরা জানবে যে আমিই সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।’”
১২“আমি ইস্রায়েল সন্তানদের অভিযোগ শুনেছি; তুমি তাদেরকে বলো, সন্ধ্যাবেলায় তোমরা মাংস খাবে ও সকালে রুটি খেয়ে তৃপ্ত হবে; তখন জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।”
13 সেই সন্ধ্যায় ভারুই পাখির দল এল এবং শিবির ঢেকে ফেলল, এবং সকালবেলায় শিবিরের চারপাশে শিশিরের এক পরত পড়েছিল।
১৩পরে সন্ধ্যাকালে তিতির পাখি উড়ে এসে শিবির ঢেকে দিল এবং সকালে শিবিরের চারিদিকে শিশির পড়ল।
14 শিশির সরে যাওয়ার পর, মরুভূমির জমিতে হিমকণার মতো পাতলা আঁশ আবির্ভূত হল।
১৪যখন শিশির শুকিয়ে গেল, দেখ, মাটিতে তুষারের মত সরু বীজের মত বস্তু মরুপ্রান্তের উপরে পড়ে আছে।
15 ইস্রায়েলীরা যখন তা দেখল, তখন তারা পরস্পরকে বলল, “এটি কী?” কারণ সেটি কী তা তারা জানতে পারেনি। মোশি তাদের বললেন, “এ হল সেই খাদ্য যা সদাপ্রভু তোমাদের খেতে দিয়েছেন।
১৫আর সেটা দেখে ইস্রায়েল সন্তানরা একে অপরকে বলল, “এটা কি?” কারণ সেটা কি, তারা জানত না। তখন মোশি বললেন, “এটা সেই রুটি, যা সদাপ্রভু তোমাদেরকে খাবার জন্য দিয়েছেন।
16 সদাপ্রভু এই আদেশই দিয়েছেন: ‘প্রত্যেকে তাদের প্রয়োজন অনুসারেই কুড়াবে। তোমাদের তাঁবুতে থাকা এক একজনের জন্য এক ওমর করে কুড়াও।’”
১৬এর বিষয়ে সদাপ্রভু এই আদেশ দিয়েছেন, তোমরা প্রত্যেক জন নিজেদের প্রয়োজন মত তা কুড়াও; তোমরা প্রত্যেকে নিজেদের তাঁবুতে থাকা লোকেদের সংখ্যা অনুসারে এক এক জনের জন্য এক এক ওমর পরিমাপে তা কুড়াও।”
17 ইস্রায়েলীরা তাই করল যা তাদের করতে বলা হয়েছিল; কয়েকজন বেশি পরিমাণে কুড়াল এবং কয়েকজন কম পরিমাণে কুড়াল।
১৭তাতে ইস্রায়েল সন্তানেরা সেই রকম করল; কেউ বেশি, কেউ কম কুড়ালো।
18 আর যখন তারা তা ওমর দিয়ে মাপল, তখন যে বেশি পরিমাণে কুড়িয়েছিল তার কাছে খুব বেশি ছিল না, এবং যে কম পরিমাণে কুড়িয়েছিল তার কাছে খুব কম ছিল না। প্রত্যেকে ঠিক তাদের চাহিদা অনুসারেই কুড়িয়েছিল।
১৮পরে ওমরে তা মেপে দেখলে, যে বেশি সংগ্রহ করেছিল, তার অভাব হল না; তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কুড়িয়েছিল।
19 পরে মোশি তাদের বললেন, “সকাল পর্যন্ত কেউ এর কোনো কিছুই রাখবে না।”
১৯আর মোশি বললেন, “তোমরা কেউ সকালের জন্য এর কিছু রেখো না।”
20 অবশ্য, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মোশির কথায় মনোযোগ দেয়নি; তারা সকাল পর্যন্ত এর অংশবিশেষ রেখে দিয়েছিল, কিন্তু তাতে পোকা লেগে গেল এবং দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করল। অতএব মোশি তাদের উপর ক্রুদ্ধ হলেন।
২০তবুও কেউ কেউ মোশির কথা না মেনে সকালের জন্য কিছু কিছু রাখল, তখন তাতে পোকা জন্মালো ও দুর্গন্ধ হল; আর মোশি তাঁদের উপরে খুব রাগ করলেন।
21 প্রত্যেকদিন সকালবেলায় প্রত্যেকে তাদের চাহিদা অনুসারে কুড়াত, আর সূর্য যখন প্রখর হত, তখন তা গলে যেত।
২১আর প্রত্যেকদিন সকালে তারা নিজের নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কুড়াত, কিন্তু খুব রোদ হলে তা গলে যেত।
22 ষষ্ঠ দিনে, তারা দ্বিগুণ পরিমাণে কুড়াল—প্রত্যেকের জন্য দুই ওমর করে—এবং সমাজের নেতারা এসে মোশিকে এই সংবাদ দিলেন।
২২পরে ছয় দিনের র দিন তারা দ্বিগুন খাদ্য সংগ্রহ করত, প্রত্যেক জন দুই ওমর করে কুড়াল, আর মণ্ডলীর অধ্যক্ষেরা সবাই এসে মোশিকে জানালেন।
23 তিনি তাঁদের বললেন, “সদাপ্রভু এই আদেশই দিয়েছেন: ‘আগামীকাল হবে সাব্বাথ বিশ্রামের দিন, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক পবিত্র সাব্বাথ। তাই যা যা তোমরা সেঁকতে চাও তা সেঁকে নাও এবং যা যা জলে সিদ্ধ করতে চাও তা সিদ্ধ করো। যা যা অবশিষ্ট থাকবে তা বাঁচিয়ে সকাল পর্যন্ত রেখে দাও।’”
২৩তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, সদাপ্রভু তাই বলেছেন; কাল বিশ্রামপর্ব, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র বিশ্রামবার; তোমাদের যা ভাজবার আছে তা ভাজ ও যা রান্না করবার আছে পাক কর এবং যা অতিরিক্তও, তা সকালের জন্য তুলে রাখ।
24 অতএব সকাল পর্যন্ত তারা তা বাঁচিয়ে রাখল, ঠিক যেমনটি মোশি আদেশ দিয়েছিলেন, এবং তাতে দুর্গন্ধ ছড়ায়নি বা তাতে কোনো পোকাও লাগেনি।
২৪তাতে তারা মোশির আজ্ঞানুযায়ী সকাল পর্যন্ত তা রাখল, তখন তাতে দুর্গন্ধ হল না, পোকাও জন্মালো না।
25 “আজ এটি খেয়ে নাও,” মোশি বললেন, “কারণ আজ সদাপ্রভুর উদ্দেশে পালনীয় এক সাব্বাথবার। মাঠে আজ তোমরা এর একটিও খুঁজে পাবে না।
২৫পরে মোশি বললেন, আজ তোমরা এটা ভোজন কর, কারণ আজ সদাপ্রভুর বিশ্রামবার; আজ মাঠে এটা পাবে না।
26 ছয় দিন তোমরা এটি কুড়াবে, কিন্তু সপ্তম দিনে, সাব্বাথবারে, কিছুই থাকবে না।”
২৬তোমরা ছয় দিন তা কুড়াবে; কিন্তু সাত দিনের র দিন বিশ্রামবার, সে দিন তা পাবে না।
27 তা সত্ত্বেও, কয়েকজন লোক সপ্তম দিনেও তা কুড়ানোর জন্য বাইরে গেল, কিন্তু তারা কিছুই পেল না।
২৭তা সত্বেও সাত দিনের র দিনের লোকদের মধ্যে কেউ কেউ তা কুড়াবার জন্য বের হল; কিন্তু কিছুই পেল না।
28 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আর কত দিন তুমি আমার আদেশগুলি ও আমার নির্দেশাবলি পালন করতে অস্বীকার করবে?
২৮তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তোমরা আমার আদেশ ও ব্যবস্থা পালন করতে কতকাল অস্বীকার করতে থাকবে?
29 মনে রেখো যে সদাপ্রভুই তোমাদের সাব্বাথবার দিয়েছেন; সেজন্যই ষষ্ঠ দিনে তিনি তোমাদের দুই দিনের খাদ্য দেন। সপ্তম দিনে যে যেখানে আছে তাকে সেখানেই থাকতে হবে; কেউ যেন বাইরে না যায়।”
২৯দেখ, সদাপ্রভুই তোমাদেরকে বিশ্রামবার দিয়েছেন, তাই তিনি ছয় দিনের র দিন দুই দিনের র খাদ্য তোমাদেরকে দিয়ে থাকেন; তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় থাক; সাত দিনের র দিন কেউ নিজের জায়গা থেকে বাইরে যাবে না।
30 অতএব লোকেরা সপ্তম দিনে বিশ্রাম নিল।
৩০তাতে লোকেরা সাত দিনের র দিন বিশ্রাম করল।
31 ইস্রায়েলীরা সেই খাদ্যকে মান্না নাম দিল। এটি দেখতে সাদা রংয়ের ধনে বীজের মতো এবং স্বাদে মধু মাখানো চাকতির মতো হত।
৩১আর ইস্রায়েলের বংশ ঐ খাদ্যের নাম মান্না রাখল; তা ধনে বীজের মত সাদা এবং তাঁর স্বাদ মধুমেশানো বিস্কুটের মত ছিল।
32 মোশি বললেন, “সদাপ্রভু এই আদেশই দিয়েছেন: ‘এক ওমর মান্না নাও এবং সেটি পরবর্তী প্রজন্মগুলির জন্য রেখে দাও, যেন তারা সেই খাদ্যটি দেখতে পায় যা মিশর দেশ থেকে তোমাদের বের করে আনার পর, মরুভূমিতে আমি তোমাদের খেতে দিয়েছিলাম।’”
৩২পরে মোশি বললেন, “সদাপ্রভু এই আদেশ করেছেন, ‘তোমরা বংশপরম্পরা অনুসারে ওর এক ওমর পরিমাণ তুলে রেখো, যেন আমি তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে আনার দিনের দূরের নির্জন জায়গায় যে খাবার খেতে দিতাম, তারা তা দেখতে পায়’।”
33 অতএব মোশি হারোণকে বললেন, “একটি বয়াম নাও এবং তাতে এক ওমর মান্না ভরে রাখো। পরে পরবর্তী প্রজন্মগুলির জন্য সেটি রক্ষা করে রাখার জন্য সদাপ্রভুর সামনে সাজিয়ে রাখো।”
৩৩তখন মোশি হারোণকে বললেন, “তুমি একটা পাত্র নিয়ে পূর্ণ এক ওমর পরিমাপের সমান মান্না সদাপ্রভুর সামনে রাখ; তা তোমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়মের জন্য রাখা যাবে।”
34 মোশিকে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশানুসারে, হারোণ বিধিনিয়মের ফলকগুলি সমেত সেই মান্না সাজিয়ে রাখলেন, যেন তা সংরক্ষিত থাকে।
৩৪তখন, সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন, সেইভাবে হারোণ সাক্ষ্য সিন্দুকের কাছে থাকবার জন্য তা তুলে রাখলেন।
35 ইস্রায়েলীরা যতদিন না স্থায়ী এক দেশে এল, ততদিন চল্লিশ বছর ধরে মান্না খেয়েছিল; কনানের সীমানায় পৌঁছানো পর্যন্ত তারা মান্না খেয়েছিল।
৩৫ইস্রায়েল সন্তানেরা চল্লিশ বছর, যতক্ষণ না বসবাসকারী দেশে উপস্থিত হল, ততক্ষণ সেই মান্না খেল; কনান দেশের সীমাতে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তারা মান্না খেত।
36 (এক ওমর এক ঐফার এক-দশমাংশ।)
৩৬এখন এক ওমর সমান হলো ঐফার দশমাংশ।