< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 29 >

1 হিষ্কিয় পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে উনত্রিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অবিয়। তিনি সখরিয়ের মেয়ে ছিলেন।
হিষ্কিয় পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হয়ে রাজত্ব শুরু করেন এবং যিরূশালেমে ঊনত্রিশ বছর পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল অবিয়া; তিনি ছিলেন সখরিয়ের মেয়ে।
2 হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের মতোই সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ঠিক, তাই করতেন।
হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মতই সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু ভাল তাই করতেন।
3 তাঁর রাজত্বকালের প্রথম বছরের প্রথম মাসে তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজাগুলি খুলে দিলেন ও সেগুলি মেরামতও করলেন।
তাঁর রাজত্বের প্রথম বছরের প্রথম মাসেই তিনি সদাপ্রভুর ঘরের দরজাগুলি খুলে দিলেন এবং সারাই করলেন।
4 তিনি যাজক ও লেবীয়দের ফিরিয়ে এনেছিলেন, পূর্বদিকের চকে তাদের সমবেত করলেন
তিনি পূর্ব দিকের উঠানে যাজক ও লেবীয়দের একত্রে জড়ো করলেন।
5 এবং তাদের বললেন: “হে লেবীয়েরা, আমার কথা শোনো! এখন তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করো এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মন্দিরটিও উৎসর্গ করো। পবিত্র পীঠস্থান থেকে সব দূষণ দূর করো।
তিনি তাদের বললেন এখন “লেবীয়েরা, আমার কথা শোন; তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের নিজেদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘরটি শুচি কর। এই পবিত্র জায়গা থেকে সমস্ত অশুচি জিনিস দূর করে দাও।
6 আমাদের পূর্বপুরুষরা অবিশ্বস্ত হলেন; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে তারা মন্দ কাজকর্ম করলেন ও তাঁকে পরিত্যাগও করলেন। সদাপ্রভুর বাসস্থানের দিক থেকে তারা তাদের মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন ও তাঁর দিকে পিঠ ফিরিয়েছিলেন।
কারণ আমাদের পূর্বপুরুষেরা সত্যকে অস্বীকার করেছেন এবং আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তাঁরা সেই সব কাজ করেছেন এবং তাঁকে ত্যাগ করেছেন। সদাপ্রভুর বাসজায়গা থেকে তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং তাঁর দিকে পিছন ফিরিয়েছেন।
7 এছাড়াও তারা দ্বারমণ্ডপের দরজাগুলি বন্ধ করে দিলেন এবং প্রদীপগুলিও নিভিয়ে দিলেন। ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে পবিত্র পীঠস্থানে তারা ধূপও জ্বালাননি বা কোনও হোমবলিও উৎসর্গ করেননি।
তাঁরা বারান্দার দরজাগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বাতিগুলো নিভিয়ে দিয়েছেন। এই পবিত্র জায়গায় তাঁরা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালান নি কিম্বা কোনো হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠান করেন নি।
8 তাই, যিহূদা ও জেরুশালেমের উপর সদাপ্রভুর ক্রোধ নেমে এসেছে; তিনি তাদের আতঙ্কের ও প্রবল বিতৃষ্ণার ও অবজ্ঞার এক পাত্রে পরিণত করেছেন, যা তোমরা স্বচক্ষেই দেখতে পাচ্ছ।
সেই জন্য যিহূদা ও যিরূশালেমের উপর সদাপ্রভুর ক্রোধ নেমে এসেছে। সেই জন্য তোমরা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছ যে, তিনি তাদের ভীষণ ভয়ের ও ঘৃণার পাত্র করেছেন; তাদের দেখে লোকেরা বিস্মিত হচ্ছে।
9 এজন্যই আমাদের পূর্বপুরুষেরা তরোয়ালের আঘাতে মারা পড়েছেন এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা ও আমাদের স্ত্রীরা বন্দি হয়েছে।
এই জন্য আমাদের পূর্বপুরুষেরা খড়গ দ্বারা মারা পড়েছেন এবং আমাদের স্ত্রী, ছেলেরা ও মেয়েরা বন্দী হয়ে আছে।
10 এখন আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সাথে এক নিয়ম স্থির করতে চলেছি, যেন তাঁর ভয়ংকর ক্রোধ আমাদের কাছ থেকে সরে যায়।
১০এখন হৃদয় থেকে চাই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সঙ্গে একটা চুক্তি করতে যাতে তাঁর ভয়ঙ্কর ক্রোধ আমাদের উপর থেকে দূরে চলে যায়।
11 ওহে বাছারা, এখন আর অসতর্ক হোয়ো না, কারণ সদাপ্রভু তাঁর সামনে দাঁড়ানোর ও তাঁর সেবা করার, তাঁর সামনে পরিচর্যা করার ও ধূপ জ্বালানোর জন্য তোমাদেরই মনোনীত করেছেন।”
১১হে আমার সন্তানেরা, তোমরা এখন আর অলস হয়ে থেকো না, কারণ সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়াতে এবং তাঁর পরিচারক হিসাবে তাঁর কাজ করতে ও ধূপ জ্বালাতে তিনি তোমাদেরই বেছে নিয়েছেন।”
12 তখন এইসব লেবীয় কাজে লেগে গেল: কহাতীয়দের মধ্যে থেকে, অমাসয়ের ছেলে মাহৎ ও অসরিয়ের ছেলে যোয়েল; মরারীয়দের মধ্যে থেকে, অব্দির ছেলে কীশ ও যিহলিলেলের ছেলে অসরিয়; গের্শোনীয়দের মধ্যে থেকে, সিম্মের ছেলে যোয়াহ ও যোয়াহের ছেলে এদন;
১২তখন সেই সব লেবীয়েরা উঠে কাজে লাগলেন: কহাতীয়দের মধ্য থেকে অমাসয়ের ছেলে মাহৎ ও অসরিয়ের ছেলে যোয়েল; মরারিরদের মধ্য থেকে অব্দির ছেলে কীশ এবং যিহলিলেলের ছেলে অসরিয়; গের্শোনীয়দের মধ্য থেকে সিম্মার ছেলে যোয়াহ ও যোয়াহের ছেলে এদন;
13 ইলীষাফণের বংশধরদের মধ্যে থেকে, সিম্রি ও যিয়ূয়েল; আসফের বংশধরদের মধ্যে থেকে, সখরিয় ও মত্তনিয়;
১৩ইলীষাফণের বংশধরদের মধ্য থেকে শিম্রি ও যিয়ূয়েল; আসফের বংশধরদের মধ্য থেকে সখরিয় ও মত্তনিয়;
14 হেমনের বংশধরদের মধ্যে থেকে, যিহূয়েল ও শিমিয়ি; যিদূথূনের বংশধরদের মধ্যে থেকে, শময়িয় ও উষীয়েল।
১৪হেমনের বংশধরদের মধ্য থেকে যিহূয়েল ও শিমিয়ি এবং যিদূথূনের বংশধরদের মধ্য থেকে শময়িয় ও উষীয়েল।
15 তারা তাদের সমগোত্রীয় লেবীয়দের এক স্থানে একত্রিত করল ও ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গও করল। পরে তারা রাজার আদেশানুসারে, সদাপ্রভুর কথার বাধ্য হয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরটিও শুচিশুদ্ধ করতে গেল।
১৫তাঁরা তাঁদের লেবীয় ভাইদের একত্রে জড়ো করলেন, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের পবিত্র করলেন। তারপর সদাপ্রভুর কথামত রাজার আদেশ অনুযায়ী তাঁরা সদাপ্রভুর ঘর শুচি করবার জন্য ভিতরে গেলেন।
16 সদাপ্রভুর পবিত্র পীঠস্থানটি শুচিশুদ্ধ করার জন্য যাজকেরা মন্দিরের ভিতরে গেলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের মধ্যে তারা যত অশুচি জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছিলেন, সেসব তারা সদাপ্রভুর মন্দিরের উঠোনে বের করে এনেছিলেন। লেবীয়েরা সেগুলি সংগ্রহ করে বাইরে কিদ্রোণ উপত্যকায় বয়ে নিয়ে গেল।
১৬যাজকেরা সেখানে যে সব অশুচি জিনিস সদাপ্রভুর গৃহে পেলেন সেগুলো সবই সদাপ্রভুর ঘরের উঠানে বের করে নিয়ে আসলেন। পরে লেবীয়রা সেগুলো বয়ে নিয়ে কিদ্রোণ উপত্যকায় গেল।
17 প্রথম মাসের প্রথম দিনে তারা এই শুদ্ধকরণের কাজ শুরু করলেন, এবং মাসের অষ্টম দিনে তারা সদাপ্রভুর দ্বারমণ্ডপে পৌঁছে গেলেন। আরও আট দিন ধরে তারা সদাপ্রভুর মন্দিরটিকেই শুচিশুদ্ধ করে গেলেন, এবং প্রথম মাসের ষোড়শতম দিনে সে কাজ তারা সমাপ্ত করলেন।
১৭আর তাঁরা প্রথম মাসের প্রথম দিনের সদাপ্রভুর ঘর শুচি করতে শুরু করলেন এবং মাসের আট দিনের র দিন ঘরের বারান্দা পর্যন্ত আসলেন। আর আটদিনের র মধ্যে তাঁরা সদাপ্রভুর ঘরটি শুচি করলেন এবং প্রথম মাসের ষোল দিনের র দিন সেগুলি শেষ করলেন।
18 পরে তারা রাজা হিষ্কিয়ের কাছে গিয়ে এই খবর দিলেন: “হোমবলির বেদি ও সেখানকার সব বাসনপত্র, এবং উৎসর্গীকৃত রুটি সাজিয়ে রাখার টেবিল ও সেটির সব জিনিসপত্র সমেত আমরা সদাপ্রভুর গোটা মন্দিরটিই শুচিশুদ্ধ করে দিয়েছি।
১৮তারপর তাঁরা রাজার বাড়িতে গিয়ে হিষ্কিয়ের কাছে বললেন, “আমরা সদাপ্রভুর সমস্ত ঘর হোম উৎসর্গের বেদী ও তার বাসন পত্র এবং দর্শন রুটি রাখবার টেবিল ও তার সব জিনিসপত্র সুদ্ধ সদাপ্রভুর ঘরটি শুচি করেছি।
19 রাজা আহস, রাজা থাকার সময় তাঁর অবিশ্বস্ততায় যেসব জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছিলেন, আমরা সেগুলি ঠিকঠাক করে আবার শুচিশুদ্ধ করে দিয়েছি। সেগুলি এখন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির সামনে রাখা আছে।”
১৯সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে রাজা আহস তাঁর রাজত্বের দিন যে সব জিনিস বাদ দিয়েছিলেন সেগুলো আমরা আবার ঠিক করে শুচি করে নিয়েছি। সেগুলি এখন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদীর সামনে রয়েছে।”
20 পরদিন ভোরবেলায় রাজা হিষ্কিয় নগরের কর্মকর্তাদের একত্রিত করে, তাদের সাথে নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে গেলেন।
২০পরের দিন ভোরবেলায় রাজা হিষ্কিয় শহরের উঁচু পদের কর্মচারীদের জড়ো করলেন এবং তিনি সদাপ্রভুর গৃহে গেলেন।
21 রাজ্যের, পবিত্র পীঠস্থানের ও যিহূদার জন্য তারা পাপার্থক বলিরূপে সাতটি বলদ, সাতটি মদ্দা মেষ, মেষের সাতটি মদ্দা শাবক ও সাতটি পাঁঠা নিয়ে এলেন। হারোণের বংশধর সেই যাজকদের রাজা আদেশ দিলেন, তারা যেন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিতে সেগুলি বলি দেন।
২১তাঁরা রাজ্যের জন্য, উপাসনা ঘরের জন্য ও যিহূদার লোকদের জন্য পাপের জন্য বলি উৎসর্গ হিসাবে সাতটা ষাঁড়, সাতটা ভেড়া, সাতটা ভেড়ার বাচ্চা ও সাতটা ছাগল নিয়ে আসলেন। আর পরে তিনি যাজকদের অর্থাৎ হারোণের বংশধরদের সদাপ্রভুর বেদির উপর হোম উৎসর্গ করবার জন্য আদেশ দিলেন।
22 অতএব তারা সেই বলদগুলি বধ করলেন, এবং যাজকেরা রক্ত নিয়ে তা বেদিতে ছিটিয়ে দিলেন; পরে তারা মদ্দা মেষগুলি বধ করলেন ও সেগুলির রক্ত বেদিতে ছিটিয়ে দিলেন; পরে তারা মেষশাবকগুলিও বধ করলেন ও সেগুলির রক্ত বেদিতে ছিটিয়ে দিলেন।
২২সুতরাং যাজকেরা প্রথমে সেই ষাঁড়গুলো কেটে তাদের রক্ত নিয়ে বেদির গায়ে ছিটিয়ে দিলেন; তারপর ভেড়াগুলো ও শেষে ভেড়ার বাচ্চাগুলো বলি দিয়ে সেগুলোর রক্তও বেদির উপর ছিটিয়ে দিলেন।
23 পাপার্থক বলির পাঁঠাগুলি রাজার ও জনসমাজের সামনে এনে রাখা হল, এবং সেগুলির উপর তারা হাত রেখেছিলেন।
২৩তারপর যাজকেরা পাপের জন্য উৎসর্গের উদ্দেশ্যে ছাগলগুলো রাজা ও সব জনগনের সামনে আনলেন; তাঁরা সেগুলোর মাথার উপর হাত রাখলেন।
24 যাজকেরা পরে সেই পাঁঠাগুলি বধ করে সেগুলির রক্ত সমগ্র ইস্রায়েলের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাপার্থক বলিরূপে বেদিতে উৎসর্গ করলেন, কারণ রাজা সমগ্র ইস্রায়েলের জন্য হোমবলি ও পাপার্থক বলি উৎসর্গ করার আদেশ দিলেন।
২৪এর পরে যাজক সেই ছাগলগুলো বলি দিলেন এবং সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের পাপ ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে বেদির উপরে সেই রক্ত দিয়ে পাপের জন্য উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলেন। সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের জন্য হোম উৎসর্গ ও পাপের জন্য উৎসর্গ করবার আদেশ রাজাই দিয়েছিলেন।
25 দাউদ এবং রাজার দর্শক গাদ ও ভাববাদী নাথন ঠিক যেমনটি বলে দিলেন, সেইমতোই তিনি সুরবাহার, বীণা ও খঞ্জনি নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে লেবীয়দের দাঁড় করিয়ে দিলেন; সদাপ্রভুই তাঁর ভাববাদীদের মাধ্যমে এই আদেশ দিলেন।
২৫আর তিনি রাজা দায়ূদ, তাঁর দর্শক গাদ এবং ভাববাদী নাথনের আদেশ অনুসারে রাজা হিষ্কিয় লেবীয়দের বললেন যেন তারা করতাল, বীণা ও নেবল নিয়ে সদাপ্রভুর ঘরে রাখলেন। কারণ সদাপ্রভু তাঁর ভাববাদীদের মধ্য দিয়ে এই আদেশই দিয়েছিলেন।
26 অতএব লেবীয়েরা দাউদের বাজনাগুলি নিয়ে প্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এবং যাজকেরাও তাদের শিঙাগুলি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
২৬সেইজন্য লেবীয়েরা দায়ূদের বাজনাগুলো নিয়ে আর যাজকেরা তাঁদের তূরী হাতে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালেন।
27 হিষ্কিয় যজ্ঞবেদিতে হোমবলি উৎসর্গ করার আদেশ দিলেন। বলিদান শুরু হওয়ার সাথে সাথে সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গাওয়াও শুরু হল, গানের সাথে শিঙা ও ইস্রায়েলের রাজা দাউদের বাজনাগুলিও বাজানো হল।
২৭তারপর হিষ্কিয় বেদির উপরে হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠানের আদেশ দিলেন। আর উৎসর্গের অনুষ্ঠান আরম্ভ হলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গানও আরম্ভ হল আর তার সঙ্গে ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের বাজনা ও তূরী বাজানো হল।
28 যখন বাদ্যকরেরা বাজনা বাজাচ্ছিল ও শিঙাগুলিও বাজানো হচ্ছিল, তখন সমগ্র জনসমাজ আরাধনায় নতমস্তক হল। হোমবলি উৎসর্গ করা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব চালিয়ে যাওয়া হল।
২৮আর গায়কেরা গান করতে ও তূরী বাদকেরা তূরী বাজাতে থাকল এবং সব লোক মাটিতে উপুড় হয়ে সদাপ্রভুকে আরাধনা করলো। হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সবই চলতে থাকল।
29 বলিদানের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর, রাজা ও তাঁর সাথে সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকে নতজানু হয়ে আরাধনা করলেন।
২৯পরে হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠান শেষ হলে রাজা এবং তাঁর সাথীরা সকলে হাঁটু পেতে সদাপ্রভুকে প্রণাম করলেন।
30 রাজা হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মকর্তারা লেবীয়দের আদেশ দিলেন, তারা যেন দাউদের ও দর্শক আসফের লেখা গান গেয়ে সদাপ্রভুর প্রশংসা করে। অতএব তারা খুশিমনে প্রশংসার গান গেয়েছিল এবং মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে আরাধনা করল।
৩০রাজা হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মচারীরা দায়ূদের এবং দর্শক আসফের বাক্য দ্বারা গান দিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা করবার জন্য লেবীয়দের আদেশ দিলেন। তখন তারা খুশী হয়ে প্রশংসা গান করল এবং তারা মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সদাপ্রভুকে প্রণাম করলো।
31 তখন হিষ্কিয় বললেন, “এখন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়েছ। কাছে এসে সদাপ্রভুর মন্দিরে বলির নৈবেদ্য ও ধন্যবাদ-বলি নিয়ে এসো।” অতএব সেই জনসমাজ বলির নৈবেদ্য ও ধন্যবাদ-বলি এনেছিল, এবং যাদের যাদের অন্তরে ইচ্ছা জাগল, তারা হোমবলিও এনেছিল।
৩১তার পর হিষ্কিয় উত্তর দিয়ে বললেন, “এখন আপনারা সদাপ্রভুর কাছে নিজেদের দিয়ে দিয়েছেন। এখানে আপনারা এসে সদাপ্রভুর ঘরে পশু বলি ও ধন্যবাদ উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জিনিস আনুন।” তখন লোকেরা পশু বলি ও ধন্যবাদ উত্সর্গের এবং যাদের হৃদয় চাইল তারা হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জিনিসও আনল।
32 সেই জনসমাজ যে হোমবলি এনেছিল, তার সংখ্যা হল সত্তরটি বলদ, একশোটি মদ্দা মেষ ও মেষের 200-টি মদ্দা শাবক—এসবই সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলিরূপে আনা হল।
৩২লোকেরা হোম উৎসর্গের জন্য সত্তরটা ষাঁড়, একশোটা ভেড়া ও দুইশোটা ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে আসল। এই সব ছিল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যোগ্য হোমবলি।
33 বলিরূপে যেসব পশু উৎসর্গ করা হল, সেগুলির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল 600 বলদ ও 3,000 মেষ ও ছাগল।
৩৩উৎসর্গের জন্য যে সব পশু পবিত্র করা হলো সেগুলোর সংখ্যা হল ছয়শো ষাঁড় ও তিন হাজার ভেড়া।
34 সব হোমবলির ছাল ছাড়ানোর জন্য অবশ্য যাজকদের সংখ্যা কম পড়ে গেল; তাই যতদিন না সে কাজ সম্পূর্ণ হল ও অন্যান্য যাজকদের ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল, ততদিন তাদের আত্মীয় সেই লেবীয়েরা তাদের সাহায্য করল, কারণ যাজকদের তুলনায় সেই লেবীয়েরাই ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করার ক্ষেত্রে বেশি ন্যায়নিষ্ঠ হল।
৩৪কিন্তু যাজকদের সংখ্যা কম হওয়ায় তাঁরা সব হোম উৎসর্গের পশুর চামড়া ছাড়াতে পারলেন না; ফলে কাজ শেষ না হওয়া অবধি এবং অন্য যাজকেরা শুচি না হওয়া অবধি তাঁদের লেবীয় ভাইয়েরা তাঁদের কাজে সাহায্য করল, কারণ নিজেদের শুচি করবার জন্য যাজকদের থেকেও লেবীয়েরা আরও অধিক বিশ্বস্ত ছিল।
35 সেখানে অপর্যাপ্ত হোমবলি ছিল, এবং সাথে সাথে মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্যের চর্বি ও হোমবলির আনুষঙ্গিক পেয়-নৈবেদ্যও ছিল। অতএব সদাপ্রভুর মন্দিরের সেবাকাজ আবার নতুন করে শুরু হল।
৩৫আর মঙ্গলের জন্য উৎসর্গের পশুর চর্বি পোড়ানো অনুষ্ঠানও হোম উৎসর্গের অনুষ্ঠান এবং তার সঙ্গেকার নৈবেদ্য উৎসর্গের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকগুলো উৎসর্গের অনুষ্ঠান হল। এই ভাবে সদাপ্রভুর ঘরের সেবার কাজ সুন্দর ভাবে করা হল।
36 ঈশ্বর তাঁর প্রজাদের জন্য কী ঘটিয়েছেন, তা দেখে হিষ্কিয় ও দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করলেন, কারণ এসব কিছুই খুব তাড়াতাড়ি করা হল।
৩৬আর ঈশ্বর তাঁর লোকদের জন্য এই সব কাজ খুব তাড়াতাড়ি করেছিলেন বলে হিষ্কিয় ও তাঁর সবলোকেরা আনন্দ করলেন।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 29 >