< শমূয়েলের প্রথম বই 17 >

1 ফিলিস্তিনীরা যুদ্ধ করার জন্য যিহূদা প্রদেশের সোখোতে তাদের সৈন্যদল একত্রিত করল। সোখো ও অসেকার মাঝখানে অবস্থিত এফস-দম্মীমে তারা সৈন্যশিবির স্থাপন করল।
Συνήθροισαν δε οι Φιλισταίοι τα στρατεύματα αυτών διά πόλεμον και ήσαν συνηθροισμένοι εν Σοκχώ, ήτις είναι του Ιούδα, και εστρατοπέδευσαν μεταξύ Σοκχώ και Αζηκά, εν Εφές-δαμμείμ.
2 শৌল ও ইস্রায়েলীরা একত্রিত হয়ে এলা উপত্যকায় শিবির স্থাপন করে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে সৈন্য সমাবেশ করলেন।
Ο δε Σαούλ και οι άνδρες Ισραήλ συνηθροίσθησαν, και εστρατοπέδευσαν εν τη κοιλάδι Ηλά, και παρετάχθησαν εις μάχην εναντίον των Φιλισταίων.
3 মাঝখানে উপত্যকাটিকে রেখে ফিলিস্তিনীরা একটি টিলা এবং ইস্রায়েলীরা অপর একটি টিলা অধিকার করল।
Και οι μεν Φιλισταίοι ίσταντο επί του όρους εντεύθεν, ο δε Ισραήλ ίστατο επί του όρους εκείθεν· η δε κοιλάς ήτο μεταξύ αυτών.
4 ফিলিস্তিনীদের শিবির থেকে গাৎ নিবাসী গলিয়াত নামক একজন বীরপুরুষ বের হয়ে এসেছিল। সে ছিল প্রায় তিন মিটার লম্বা।
Και εξήλθεν ανήρ προμαχητής εκ του στρατοπέδου των Φιλισταίων ονομαζόμενος Γολιάθ, εκ της Γαθ, ύψους εξ πηχών και σπιθαμής·
5 তার মাথায় ছিল ব্রোঞ্জের শিরস্ত্রাণ ও সে অঙ্গে ধারণ করেছিল 5,000 শেকল ওজনের ব্রোঞ্জের তৈরি আঁশের মতো দেখতে এক বর্ম;
είχε δε περικεφαλαίαν χαλκίνην επί της κεφαλής αυτού και ήτο ενδεδυμένος θώρακα αλυσιδωτόν· και το βάρος του θώρακος ήτο πέντε χιλιάδες σίκλων χαλκού·
6 তার পায়ে ছিল ব্রোঞ্জের বর্ম ও তার পিঠে ঝুলছিল ব্রোঞ্জের একটি বল্লম।
και κνημίδας χαλκίνας επί των σκελών αυτού και ασπίδα χαλκίνην μεταξύ των ώμων αυτού.
7 তার বর্শার হাতলটি ছিল তাঁতির দণ্ডের মতো, ও বর্শার লোহার ডগাটিরই ওজন ছিল 600 শেকল। তার ঢাল বহনকারী তার আগে আগে যাচ্ছিল।
Και το κοντάριον του δόρατος αυτού ήτο ως αντίον υφαντού· και η λόγχη του δόρατος αυτού εζύγιζεν εξακοσίους σίκλους σιδήρου· εις δε κρατών τον θυρεόν προεπορεύετο αυτού.
8 গলিয়াত দাঁড়িয়ে পড়ে ইস্রায়েলের সৈন্যদলের উদ্দেশে চিৎকার করে বলে উঠল, “তোমরা কেন এখানে এসে যুদ্ধ করার জন্য সৈন্য সাজিয়েছ? আমি কি একজন ফিলিস্তিনী নই, আর তোমরাও কি শৌলের দাস নও? তোমরা একজনকে বেছে নাও আর সে আমার কাছে নেমে আসুক।
Και σταθείς εβόησε προς τας παρατάξεις του Ισραήλ και είπε προς αυτούς, Διά τι εξέρχεσθε να παραταχθήτε εις μάχην; δεν είμαι εγώ ο Φιλισταίος, και σεις δούλοι του Σαούλ; εκλέξατε εις εαυτούς άνδρα, και ας καταβή προς εμέ·
9 সে যদি যুদ্ধ করে আমাকে মারতে পারে, তবে আমরা তোমাদের বশ্যতাস্বীকার করব; কিন্তু আমি যদি পরাজিত করে তাকে মারতে পারি, তোমরা আমাদের বশ্যতাস্বীকার করে আমাদের দাসত্ব করবে।”
εάν μεν δυνηθή να πολεμήση μετ' εμού και με θανατώση, τότε ημείς θέλομεν είσθαι δούλοί σας· αλλ' εάν εγώ υπερισχύσω κατ' αυτού και θανατώσω αυτόν, τότε σεις θέλετε είσθαι δούλοι ημών και θέλετε δουλεύει ημάς.
10 পরে সেই ফিলিস্তিনী বলল, “আজ আমি ইস্রায়েলের সৈন্যদলকে দ্বন্দ্বে আহ্বান করছি! আমাকে একজন লোক দাও আর আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করি।”
Και είπεν ο Φιλισταίος, Εγώ εξουθένησα τας παρατάξεις του Ισραήλ την ημέραν ταύτην· δότε εις εμέ άνδρα, διά να μονομαχήσωμεν.
11 সেই ফিলিস্তিনীর কথা শুনে শৌল ও ইস্রায়েলীরা সবাই বিমর্ষ ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লেন।
Ότε ήκουσεν ο Σαούλ και πας ο Ισραήλ εκείνους τους λόγους του Φιλισταίου, εξέστησαν και εφοβήθησαν σφόδρα.
12 এদিকে দাউদ ছিলেন যিহূদা প্রদেশের বেথলেহেম নিবাসী ইফ্রাথীয় যিশয়ের ছেলে। যিশয়ের আটটি ছেলে ছিল, এবং শৌলের রাজত্ব চলাকালীন তিনি খুব বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
Ήτο δε Δαβίδ ο υιός εκείνου του Εφραθαίου εκ Βηθλεέμ Ιούδα, ονομαζομένου Ιεσσαί· είχε δε οκτώ υιούς· και ο άνθρωπος εις τας ημέρας του Σαούλ είχε τάξιν γέροντος μεταξύ των ανθρώπων.
13 যিশয়ের ছেলেদের মধ্যে প্রথম তিনজন শৌলের অনুগামী হয়ে যুদ্ধে গেলেন: তাঁর বড়ো ছেলের নাম ইলীয়াব; দ্বিতীয়জনের নাম অবীনাদব; ও তৃতীয় জনের নাম শম্ম।
Και υπήγαν οι τρεις υιοί του Ιεσσαί οι μεγαλήτεροι ακολουθούντες τον Σαούλ εις την μάχην· και τα ονόματα των τριών υιών αυτού οίτινες υπήγαν εις την μάχην ήσαν Ελιάβ ο πρωτότοκος, και ο δεύτερος αυτού Αβιναδάβ, και ο τρίτος Σαμμά.
14 দাউদ ছিলেন সবচেয়ে ছোটো। বড়ো তিনজন শৌলের অনুগামী হলেন,
Ο δε Δαβίδ ήτο ο νεώτερος· και οι τρεις οι μεγαλήτεροι ηκολούθουν τον Σαούλ.
15 কিন্তু দাউদ শৌলের কাছ থেকে বেথলেহেমে তাঁর বাবার মেষপাল দেখাশোনা করার জন্য যাওয়া-আসা করতেন।
Και ανεχώρει ο Δαβίδ και επέστρεφεν από του Σαούλ, διά να ποιμαίνη τα πρόβατα του πατρός αυτού εν Βηθλεέμ.
16 সেই ফিলিস্তিনী চল্লিশ দিন ধরে রোজ সকালে বিকেলে এগিয়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়ত।
Ο δε Φιλισταίος επλησίαζε πρωΐ και εσπέρας και εστηλόνετο τεσσαράκοντα ημέρας.
17 একদিন যিশয় তাঁর ছেলে দাউদকে বললেন, “তুমি তোমার দাদাদের জন্য এই এক ঐফা সেঁকা শস্য ও এই দশ টুকরো রুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি তাদের সৈন্যশিবিরে যাও।
Και είπεν Ιεσσαί προς Δαβίδ τον υιόν αυτού, Λάβε τώρα διά τους αδελφούς σου εν εφά εκ τούτου του πεφρυγανισμένου σίτου και τους δέκα τούτους άρτους, και τρέξον εις το στρατόπεδον προς τους αδελφούς σου·
18 এই দশ তাল পনীরও তাদের সহস্র-সেনাপতির কাছে নিয়ে যাও। দেখে এসো তোমার দাদারা কেমন আছে এবং তাদের কাছ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসো।
και τα δέκα ταύτα νωπά τυρία φέρε προς τον χιλίαρχον, και ιδέ αν υγιαίνωσιν οι αδελφοί σου και λάβε σημείον παρ' αυτών.
19 তারা শৌল ও ইস্রায়েলের সৈন্যদলের সঙ্গে থেকে এলা উপত্যকায় ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।”
Ο δε Σαούλ και αυτοί και πάντες οι άνδρες Ισραήλ ήσαν εν τη κοιλάδι Ηλά, μαχόμενοι μετά των Φιλισταίων.
20 পরদিন ভোরবেলায় দাউদ একজন রাখালের হাতে পশুপালের ভার সঁপে দিয়ে যিশয়ের নির্দেশানুসারে সবকিছু নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন। ঠিক যখন সৈন্যরা রণহুঙ্কার দিতে দিতে সম্মুখসমরে নামতে যাচ্ছিল, তিনি সৈন্যশিবিরে গিয়ে পৌঁছালেন।
Και εξηγέρθη ο Δαβίδ ενωρίς το πρωΐ· και αφήσας τα πρόβατα εις φύλακα, έλαβε και υπήγε, καθώς προσέταξεν αυτόν ο Ιεσσαί· και ήλθεν εις το περιχαράκωμα, ενώ το στράτευμα εξήρχετο εις παράταξιν· και ηλάλαξαν προς την μάχην·
21 ইস্রায়েল ও ফিলিস্তিনীরা সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য পরস্পরের মুখোমুখি হল।
διότι παρετάχθησαν ο Ισραήλ και οι Φιλισταίοι, στράτευμα κατά πρόσωπον στρατεύματος.
22 দাউদ তাঁর জিনিসপত্র রসদ দেখাশোনাকারী একজন লোকের কাছে ফেলে রেখে যুদ্ধক্ষেত্রে দৌড়ে গেলেন ও তাঁর দাদাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তারা কেমন আছেন।
Και ο Δαβίδ, αφήσας επάνωθεν αυτού τα σκεύη εις την χείρα του σκευοφύλακος, έδραμε προς το στράτευμα και ήλθε και ηρώτησε τους αδελφούς αυτού πως έχουσι.
23 তিনি যখন তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন গাৎ নিবাসী ফিলিস্তিনী বীরপুরুষ গলিয়াত তার অভ্যাসমতো সামনে এগিয়ে এসে চিৎকার করে তাদের টিটকিরি দিচ্ছিল, এবং দাউদ তা শুনেছিলেন।
Και ενώ ωμίλει μετ' αυτών, ιδού, ανέβαινεν ο προμαχητής, ο Φιλισταίος ο εκ της Γαθ, Γολιάθ το όνομα, εκ των στρατευμάτων των Φιλισταίων, και ελάλησε κατά τους αυτούς λόγους· και ήκουσεν ο Δαβίδ.
24 ইস্রায়েলীরা সেই লোকটিকে দেখামাত্র খুব ভয় পেয়ে গিয়ে সবাই তার সামনে থেকে পালিয়ে গেল।
Πάντες δε οι άνδρες Ισραήλ, ως είδον τον άνδρα, έφυγον από προσώπου αυτού και εφοβήθησαν σφόδρα.
25 ইস্রায়েলীরা বলাবলি করছিল, “দেখছ, কীভাবে এই লোকটি বারবার বের হয়ে আসছে? এ ইস্রায়েলকে টিটকিরি দেওয়ার জন্যই বের হয়ে আসছে। যে একে মারতে পারবে তাকে রাজামশাই প্রচুর ধনসম্পদ দেবেন। তিনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে তার বিয়েও দেবেন ও তার পরিবারকে ইস্রায়েলে খাজনা দেওয়ার হাত থেকেও নিষ্কৃতি দেওয়া হবে।”
Και έλεγον οι άνδρες Ισραήλ, Είδετε τον άνδρα τούτον τον αναβαίνοντα; βεβαίως ανέβη διά να εξουθενήση τον Ισραήλ· και όστις θανατώση αυτόν, τούτον θέλει πλουτίσει ο βασιλεύς με πλούτη μεγάλα, και την θυγατέρα αυτού θέλει δώσει εις αυτόν, και τον οίκον του πατρός αυτού θέλει κάμει ελεύθερον μεταξύ του Ισραήλ.
26 দাউদ তাঁর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন, “যে এই ফিলিস্তিনীকে হত্যা করবে ও ইস্রায়েল থেকে এই অপযশ দূর করবে তার প্রতি কী করা হবে? এই বিধর্মী ফিলিস্তিনীটি কে যে এ জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকিরি দিচ্ছে?”
Και είπεν ο Δαβίδ προς τους άνδρας τους ισταμένους πλησίον αυτού, λέγων, Τι θέλει γείνει εις τον άνδρα, όστις πατάξη τον Φιλισταίον τούτον και αφαιρέση το όνειδος από του Ισραήλ; διότι τις είναι ο Φιλισταίος ούτος ο απερίτμητος, ώστε να εξουθενή τα στρατεύματα του Θεού του ζώντος;
27 তারা যা যা বলেছিল তা আরও একবার তাঁকে বলে শোনাল এবং তাঁকে এও বলল, “যে তাকে হত্যা করতে পারবে তার প্রতি এমনটিই করা হবে।”
Και απεκρίθη προς αυτόν ο λαός κατά τον λόγον τούτον, λέγων, ούτω θέλει γείνει εις τον άνδρα, όστις πατάξη αυτόν.
28 দাউদের বড়ো দাদা ইলীয়াব যখন তাঁকে লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে শুনেছিলেন, তখন তিনি তাঁর প্রতি রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুই কেন এখানে নেমে এসেছিস? কার কাছেই বা তুই মরুপ্রান্তরে সেই অল্প কয়েকটি মেষ ছেড়ে এসেছিস? আমি জানি তুই কত দাম্ভিক আর তোর মন কত দুষ্টুমিতে ভরা; তুই শুধু যুদ্ধ দেখতে এসেছিস।”
Και ήκουσεν Ελιάβ ο αδελφός αυτού ο μεγαλήτερος, ενώ ελάλει προς τους άνδρας· και εξήφθη ο θυμός του Ελιάβ εναντίον του Δαβίδ, και είπε, Διά τι κατέβης ενταύθα; και εις ποίον αφήκες τα ολίγα εκείνα πρόβατα εν τη ερήμω; εγώ εξεύρω την υπερηφανίαν σου και την πονηρίαν της καρδίας σου· βεβαίως διά να ιδής την μάχην κατέβης.
29 “আমি আবার কী করলাম?” দাউদ বললেন। “আমি কি কথাও বলতে পারব না?”
Και είπεν ο Δαβίδ, Τι έκαμα τώρα; δεν είναι αιτία;
30 এই বলে তিনি অন্য একজনের দিকে ফিরে একই বিষয় উত্থাপন করলেন, এবং লোকেরা আগেকার মতোই উত্তর দিল।
Και εστράφη απ' αυτού προς άλλον και ελάλησε κατά τον αυτόν τρόπον· και ο λαός απεκρίθη πάλιν προς αυτόν κατά τον πρώτον λόγον.
31 কেউ আড়ি পেতে দাউদের বলা কথাগুলি শুনেছিল ও শৌলকে গিয়ে খবর দিয়েছিল, এবং শৌল তাঁকে ডেকে পাঠালেন।
Και ότε ηκούσθησαν οι λόγοι, τους οποίους ελάλησεν ο Δαβίδ, ανήγγειλαν προς τον Σαούλ· και παρέλαβεν αυτόν.
32 দাউদ শৌলকে বললেন, “এই ফিলিস্তিনীর জন্য কাউকে মন খারাপ করতে হবে না; আপনার এই দাস গিয়েই তার সঙ্গে যুদ্ধ করবে।”
Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Σαούλ, Μηδενός ανθρώπου η καρδία ας μη ταπεινόνηται διά τούτον· ο δούλός σου θέλει υπάγει και πολεμήσει μετά του Φιλισταίου τούτου.
33 শৌল উত্তর দিলেন, “তোমার পক্ষে এই ফিলিস্তিনীর বিরুদ্ধে গিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়; তুমি তো এক বাচ্চা ছেলে, আর সে ছেলেবেলা থেকেই যুদ্ধ করে আসছে।”
Και είπεν ο Σαούλ προς τον Δαβίδ, Δεν δύνασαι να υπάγης εναντίον του Φιλισταίου τούτου διά να πολεμήσης μετ' αυτού· διότι συ είσαι παιδίον, αυτός δε ανήρ πολεμιστής εκ νεότητος αυτού.
34 কিন্তু দাউদ শৌলকে উত্তর দিলেন, “আপনার এই দাস তার বাবার মেষপাল দেখাশোনা করে আসছে। যখন যখন কোনো সিংহ বা ভালুক পাল থেকে মেষ উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে,
Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Σαούλ, Ο δούλός σου έβοσκε τα πρόβατα του πατρός αυτού, και ήλθε λέων και άρκτος και ήρπασε πρόβατον εκ του ποιμνίου·
35 আমি সেগুলির পিছু ধাওয়া করেছি, আঘাত করে সেগুলির মুখ থেকে মেষটিকে উদ্ধার করে এনেছি। সেটি আমার দিকে ঘুরে দাঁড়াতেই আমি সেটির কেশর জাপটে ধরে মারতে মারতে শেষ করে ফেলেছি।
και εξήλθον κατόπιν αυτού και επάταξα αυτόν και ηλευθέρωσα αυτό εκ του στόματος αυτού· και καθώς εσηκώθη εναντίον μου, ήρπασα αυτόν από της σιαγόνος και επάταξα αυτόν και εθανάτωσα αυτόν·
36 আপনার এই দাস সিংহ ও ভালুক—দুটিকেই মেরে ফেলেছে; এই বিধর্মী ফিলিস্তিনীও তো ওদের মতোই একজন হবে, কারণ সে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকিরি দিয়েছে।
επάταξεν ο δούλός σου και τον λέοντα και την άρκτον· και ο Φιλισταίος ούτος ο απερίτμητος θέλει είσθαι ως εν εκ τούτων, επειδή εξουθένησε τα στρατεύματα του Θεού του ζώντος.
37 যে সদাপ্রভু আমাকে সিংহের থাবা থেকে ও ভালুকের থাবা থেকেও রক্ষা করেছেন তিনিই আমাকে এই ফিলিস্তিনীর হাত থেকেও রক্ষা করবেন।” শৌল দাউদকে বললেন, “যাও, সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে থাকুন।”
Και είπεν ο Δαβίδ, Ο Κύριος ο ελευθερώσας με εκ χειρός του λέοντος και εκ χειρός της άρκτου, ούτος θέλει με ελευθερώσει εκ χειρός του Φιλισταίου τούτου. Και είπεν ο Σαούλ προς τον Δαβίδ, Ύπαγε, και ο Κύριος ας ήναι μετά σου.
38 পরে শৌল দাউদকে নিজের পোশাকটি পরিয়ে দিলেন। তিনি দাউদের গায়ে যুদ্ধের সাজ ও মাথায় ব্রোঞ্জের শিরস্ত্রাণ চাপিয়ে দিলেন।
Και ώπλισεν ο Σαούλ τον Δαβίδ με την πανοπλίαν αυτού και έβαλε χαλκίνην περικεφαλαίαν επί της κεφαλής αυτού· και ενέδυσεν αυτόν θώρακα.
39 দাউদ পোশাকের উপর তাঁর তরোয়ালটি বেঁধে চলাফেরা করার চেষ্টা করলেন, কারণ তিনি এতে খুব একটা অভ্যস্ত ছিলেন না। “এগুলি নিয়ে আমি চলতে পারছি না,” তিনি শৌলকে বললেন, “কারণ আমি এতে খুব একটা অভ্যস্ত নই।” তাই তিনি সেগুলি খুলে ফেললেন।
Και εζώσθη ο Δαβίδ την ρομφαίαν αυτού επάνωθεν της πανοπλίας αυτού και ηθέλησε να περιπατήση· διότι δεν είχε δοκιμάσει. Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Σαούλ, Δεν δύναμαι να περιπατήσω με ταύτα· διότι δεν εδοκίμασα ποτέ. Και εξεδύθη ο Δαβίδ αυτά επάνωθεν αυτού.
40 পরে তিনি হাতে নিজের লাঠিটি নিয়ে, জলস্রোত থেকে পাঁচটি মসৃণ নুড়ি-পাথর বেছে নিয়ে সেগুলি রাখালেরা যে থলি রাখে, নিজের কাছে থাকা সেরকমই একটি থলিতে রেখে দিলেন, এবং হাতে নিজের গুলতিটি নিয়ে সেই ফিলিস্তিনীর দিকে এগিয়ে গেলেন।
Και έλαβε την ράβδον αυτού εν τη χειρί αυτού, και εξέλεξεν εις εαυτόν πέντε λίθους ομαλούς εκ του χειμάρρου, και θέσας αυτούς εις το ποιμενικόν αυτού σακκίον και θυλάκιον, την δε σφενδόνην αυτού εις την χείρα αυτού, επλησίαζε προς τον Φιλισταίον.
41 এদিকে, সেই ফিলিস্তিনী তার ঢাল বহনকারীকে সামনে রেখে দাউদের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করল।
Ο δε Φιλισταίος ήρχετο προχωρών και επλησίαζε προς τον Δαβίδ· και ο ανήρ ο ασπιδοφόρος έμπροσθεν αυτού.
42 সে দাউদের দিকে ভালো করে তাকিয়ে যখন দেখল যে তাঁর বয়স খুব অল্প এবং তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও রূপবান, তখন সে তাঁকে অবজ্ঞা করল।
Και ότε περιέβλεψεν ο Φιλισταίος και είδε τον Δαβίδ, κατεφρόνησεν αυτόν· διότι ήτο παιδίον και ξανθός και ώραίος την όψιν.
43 সে দাউদকে বলল, “আমি কি কুকুর নাকি, যে তুই লাঠি নিয়ে আমার কাছে এসেছিস?” আর সেই ফিলিস্তিনী নিজের দেবতাদের নাম নিয়ে দাউদকে গালাগালি দিল।
Και είπεν ο Φιλισταίος προς τον Δαβίδ, Κύων είμαι εγώ, ώστε έρχεσαι προς εμέ με ράβδους; Και κατηράσθη ο Φιλισταίος τον Δαβίδ εις τους θεούς αυτού.
44 “এখানে আয়,” সে বলল, “আর আমি তোর মাংস পাখি ও বন্যপশুদের খাওয়াব!”
Και είπεν ο Φιλισταίος προς τον Δαβίδ, Ελθέ προς εμέ, και θέλω παραδώσει τας σάρκας σου εις τα πετεινά του ουρανού και εις τα θηρία του αγρού.
45 দাউদ সেই ফিলিস্তিনীকে বললেন, “তুমি তরোয়াল, বর্শা ও বল্লম নিয়ে আমার বিরুদ্ধে লড়তে এসেছ, কিন্তু আমি ইস্রায়েলের সৈন্যদলের ঈশ্বর সেই সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর নামে তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছি, তুমি যাঁর নামে টিটকিরি দিয়েছ।
Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Φιλισταίον, Συ έρχεσαι εναντίον μου με ρομφαίαν και δόρυ και ασπίδα· εγώ δε έρχομαι εναντίον σου εν τω ονόματι του Κυρίου των δυνάμεων, του Θεού των στρατευμάτων του Ισραήλ, τα οποία συ εξουθένησας·
46 আজকের এই দিনে সদাপ্রভু তোমাকে আমার হাতে সমর্পণ করে দেবেন, আর আমি তোমাকে আঘাত করে তোমার মাথা কেটে ফেলব। আজই আমি ফিলিস্তিনী সৈন্যদের মৃতদেহ পাখি ও বন্যপশুদের খাওয়াব, আর সমগ্র জগৎসংসার জানবে যে ইস্রায়েলে একজন ঈশ্বর আছেন।
την ημέραν ταύτην θέλει σε παραδώσει ο Κύριος εις την χείρα μου· και θέλω σε πατάξει και αφαιρέσει από σου την κεφαλήν σου· και θέλω παραδώσει τα πτώματα του στρατοπέδου των Φιλισταίων την ημέραν ταύτην εις τα πετεινά του ουρανού, και εις τα θηρία της γής· διά να γνωρίση πάσα η γη ότι είναι Θεός εις τον Ισραήλ·
47 এখানে যারা যারা উপস্থিত আছে তারা সবাই জানবে যে সদাপ্রভু তরোয়াল বা বর্শা দিয়ে উদ্ধার দেন না; কারণ যুদ্ধ তো সদাপ্রভুরই, আর তিনিই তোমাদের সবাইকে আমাদের হাতে সমর্পণ করে দেবেন।”
και θέλει γνωρίσει παν το πλήθος τούτο ότι ο Κύριος δεν σώζει με ρομφαίαν και δόρυ· διότι του Κυρίου είναι η μάχη, και αυτός θέλει σας παραδώσει εις την χείρα ημών.
48 সেই ফিলিস্তিনী যেই দাউদকে আক্রমণ করার জন্য তাঁর দিকে এগিয়ে এল, তিনি চট করে তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য সামনে দৌড়ে গেলেন।
Και ότε εσηκώθη ο Φιλισταίος και ήρχετο και επλησίαζεν εις συνάντησιν του Δαβίδ, ο Δαβίδ έσπευσε και έδραμε προς μάχην εναντίον του Φιλισταίου.
49 তিনি থলি থেকে একটি পাথর বের করে গুলতিতে ভরে সেই ফিলিস্তিনীর কপাল লক্ষ্য করে সেটি ছুঁড়ে মারলেন। পাথরটি তার কপাল ভেদ করে ভিতরে ঢুকে গেল, এবং সে উবুড় হয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
Και εκτείνας ο Δαβίδ την χείρα αυτού εις το σακκίον, έλαβεν εκείθεν λίθον και εσφενδόνησε και εκτύπησε τον Φιλισταίον κατά το μέτωπον αυτού, ώστε ο λίθος ενεπήχθη εις το μέτωπον αυτού· και έπεσε κατά πρόσωπον εις την γην.
50 অতএব দাউদ একটি গুলতি ও একটি পাথর নিয়েই সেই ফিলিস্তিনীর উপর জয়লাভ করলেন; হাতে কোনও তরোয়াল না নিয়েই তিনি সেই ফিলিস্তিনীকে আঘাত করে তাকে মেরে ফেললেন।
και υπερίσχυσεν ο Δαβίδ κατά του Φιλισταίου διά της σφενδόνης και διά του λίθου, και εκτύπησε τον Φιλισταίον και εθανάτωσεν αυτόν. Αλλά δεν ήτο ρομφαία εν τη χειρί του Δαβίδ·
51 দাউদ দৌড়ে গিয়ে তার উপর উঠে দাঁড়ালেন। তিনি সেই ফিলিস্তিনীর তরোয়ালটি ধরে সেটি খাপ থেকে বের করে আনলেন। তাকে হত্যা করার পর তিনি তরোয়াল দিয়ে তার মাথাটি কেটে ফেললেন। ফিলিস্তিনীরা যখন দেখল তাদের বীরপুরুষ মারা পড়েছে, তখন তারা পিছু ফিরে পালালো।
όθεν ο Δαβίδ έδραμε και σταθείς επί τον Φιλισταίον, έλαβε την ρομφαίαν αυτού και έσυρεν αυτήν εκ της θήκης αυτής, και θανατώσας αυτόν, απέκοψε την κεφαλήν αυτού με αυτήν. Ιδόντες δε οι Φιλισταίοι, ότι απέθανεν ο ισχυρός αυτών, έφυγον·
52 পরে ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকজন প্রবল উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে সামনে এগিয়ে গিয়ে গাতের প্রবেশদ্বার ও ইক্রোণের ফটক পর্যন্ত ফিলিস্তিনীদের পশ্চাদ্ধাবন করল। তাদের শবগুলি গাত ও ইক্রোণ পর্যন্ত শারয়িমের পথে পথে ছড়িয়ে পড়ল।
Τότε εσηκώθησαν οι άνδρες του Ισραήλ και του Ιούδα και ηλάλαξαν και κατεδίωξαν τους Φιλισταίους, έως της εισόδου της κοιλάδος, και έως των πυλών της Ακκαρών. Και έπεσον οι τραυματισμένοι των Φιλισταίων εν τη οδώ Σααραείμ, έως Γαθ και έως Ακκαρών.
53 ইস্রায়েলীরা ফিলিস্তিনীদের তাড়িয়ে দিয়ে ফিরে আসার পথে তাদের সৈন্যশিবিরে লুঠতরাজ চালাল।
Και επέστρεψαν οι υιοί Ισραήλ εκ της καταδιώξεως των Φιλισταίων και διήρπασαν τα στρατόπεδα αυτών.
54 দাউদ সেই ফিলিস্তিনীর মাথাটি তুলে এনে সেটি জেরুশালেমে নিয়ে এলেন; তিনি সেই ফিলিস্তিনীর অস্ত্রশস্ত্র এনে নিজের তাঁবুতে রেখে দিলেন।
Ο δε Δαβίδ έλαβε την κεφαλήν του Φιλισταίου, και έφερεν αυτήν εις Ιερουσαλήμ· την δε πανοπλίαν αυτού έβαλεν εν τη σκηνή αυτού.
55 শৌল দাউদকে সেই ফিলিস্তিনীর মুখোমুখি হওয়ার জন্য যেতে দেখে সৈন্যদলের সহস্র-সেনাপতি অবনেরকে বললেন, “অবনের, এই যুবকটি কার ছেলে?” অবনের উত্তর দিলেন, “মহারাজ, আপনার প্রাণের দিব্যি, আমি জানি না।”
Ότε δε είδεν ο Σαούλ τον Δαβίδ εξερχόμενον εναντίον του Φιλισταίου, είπε προς Αβενήρ, τον αρχηγόν του στρατεύματος, Αβενήρ, τίνος υιός είναι ο νέος ούτος; Και ο Αβενήρ είπε, Ζη η ψυχή σου, βασιλεύ, δεν εξεύρω.
56 রাজামশাই বললেন, “খুঁজে বের করো এই যুবকটি কার ছেলে।”
Και είπεν ο βασιλεύς, Ερώτησον συ, τίνος υιός είναι ο νεανίσκος ούτος.
57 দাউদ সেই ফিলিস্তিনীকে হত্যা করে ফিরে আসার পর মুহূর্তেই অবনের তাঁকে নিয়ে শৌলের কাছে পৌঁছে গেলেন। দাউদের হাতে তখনও সেই ফিলিস্তিনীর কাটা মাথাটি ধরা ছিল।
Και καθώς επέστρεψεν ο Δαβίδ, πατάξας τον Φιλισταίον, παρέλαβεν αυτόν ο Αβενήρ και έφερεν αυτόν ενώπιον του Σαούλ· και η κεφαλή του Φιλισταίου ήτο εν τη χειρί αυτού.
58 “ওহে যুবক, তুমি কার ছেলে?” শৌল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। দাউদ বললেন, “আমি আপনার দাস বেথলেহেম নিবাসী যিশয়ের ছেলে।”
Και είπε προς αυτόν ο Σαούλ, Τίνος υιός είσαι, νέε; και απεκρίθη ο Δαβίδ, Ο υιός του δούλου σου Ιεσσαί του Βηθλεεμίτου.

< শমূয়েলের প্রথম বই 17 >