< ১ম যোহন 2 >
1 আমার প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের এসব লিখছি, যেন তোমরা পাপ না করো। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে, তাহলে আমাদের একজন পক্ষসমর্থনকারী আছেন; তিনি আমাদের হয়ে পিতার কাছে মিনতি করেন। তিনি যীশু খ্রীষ্ট, সেই ধার্মিক পুরুষ।
2 তিনি আমাদের সব পাপের প্রায়শ্চিত্ত, শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয়, কিন্তু সমস্ত জগতের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন।
3 আমরা যদি তাঁর আদেশ পালন করি, তাহলেই বুঝতে পারব যে আমরা তাঁকে জেনেছি।
4 যে ব্যক্তি বলে, “আমি তাঁকে জানি,” কিন্তু তাঁর আদেশ পালন করে না, সে মিথ্যাচারী, তার অন্তরে সত্য নেই।
5 কিন্তু যে তাঁর বাক্য পালন করে, তার অন্তরে ঈশ্বরের প্রেম প্রকৃত অর্থেই পূর্ণতা লাভ করেছে। এভাবেই আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁর মধ্যে আছি।
6 তাঁর মধ্যে বাস করছে বলে যে দাবি করে, সে অবশ্যই তেমন জীবনাচরণ করবে ঠিক যেমন যীশু করতেন।
7 প্রিয় বন্ধুরা, আমি তোমাদের কাছে নতুন আদেশ নয়, কিন্তু এক পুরোনো আদেশ সম্পর্কেই লিখছি, যা তোমরা প্রথম থেকেই পেয়েছ। এই পুরোনো আদেশই সেই বাণী, যা তোমরা শুনেছ,
8 তবুও, তোমাদের কাছে আমি এক নতুন আদেশ সম্পর্কে লিখছি; এর সত্যতা তাঁর এবং তোমাদের জীবনে প্রত্যক্ষ হয়েছে, কারণ অন্ধকার ক্রমশ কেটে যাচ্ছে এবং প্রকৃত জ্যোতি এখন প্রকাশ পাচ্ছে।
9 যে সেই জ্যোতিতে বাস করে বলে দাবি করে, অথচ তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে এখনও অন্ধকারেই আছে।
10 যে তার ভাইবোনকে ভালোবাসে, সে জ্যোতির মধ্যেই জীবনযাপন করে, তার হোঁচট খাওয়ার কোনো কারণ নেই।
11 কিন্তু যে তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে অন্ধকারেই বাস করে এবং অন্ধকারেই পথ চলে। সে কোথায় যাচ্ছে তা জানে না, কারণ অন্ধকার তাকে অন্ধ করে দিয়েছে।
12 প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের লিখছি, কারণ তাঁর নামের গুণে তোমাদের সব পাপের ক্ষমা হয়েছে।
13 পিতারা, আমি তোমাদের লিখছি, কারণ যিনি আদি থেকে আছেন, তাঁকে তোমরা জানো। যুবকেরা, আমি তোমাদের লিখছি, কারণ সেই পাপাত্মাকে তোমরা জয় করেছ।
14 প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের লিখছি, কারণ তোমরা পিতাকে জানো। পিতারা, আমি তোমাদের লিখছি, কারণ আদি থেকে যিনি আছেন, তোমরা তাঁকে জানো। যুবকেরা, আমি তোমাদের লিখছি, কারণ তোমরা বলবান, আর তোমাদের মধ্যেই ঈশ্বরের বাক্য বাস করে এবং তোমরা সেই পাপাত্মাকে জয় করেছ।
15 জগৎকে বা জাগতিক কোনো কিছুই তোমরা ভালোবেসো না। কেউ যদি জগৎকে ভালোবাসে, তাহলে পিতার প্রেম তার অন্তরে নেই।
16 কারণ এ জগতের সমস্ত বিষয়—শারীরিক অভিলাষ, চোখের অভিলাষ ও জীবনের অহংকার—পিতা থেকে নয়, কিন্তু জগৎ থেকে আসে।
17 আর জগৎ ও তার কামনাবাসনা বিলুপ্ত হবে, কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে চিরকাল জীবিত থাকবে। (aiōn )
18 প্রিয় সন্তানেরা, এ সেই শেষ সময় এবং তোমরা যেমন শুনেছ, খ্রীষ্টারির আগমন সন্নিকট, বরং এখনই বহু খ্রীষ্টারি উপস্থিত হয়েছে। এভাবেই আমরা জানতে পারি যে, এখনই শেষ সময়।
19 আমাদের মধ্য থেকেই তারা বেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা আমাদের ছিল না। কারণ তারা যদি আমাদের হত, তাহলে আমাদের সঙ্গেই তারা থাকত। কিন্তু তাদের চলে যাওয়ার ফলে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা আমাদের ছিল না।
20 কিন্তু তোমরা সেই পবিত্রজন থেকে অভিষিক্ত হয়েছ এবং তোমরা সবাই সত্যকে জানো।
21 তোমরা সত্য জানো না বলে নয়, বরং তোমরা তা জানো বলেই আমি তোমাদের লিখছি। সত্য থেকে কোনো মিথ্যার উদ্ভব হতে পারে না।
22 মিথ্যাবাদী কে? যে অস্বীকার করে যে যীশুই খ্রীষ্ট। এরকম মানুষই খ্রীষ্টারি—যে পিতা ও পুত্রকে অস্বীকার করে।
23 পুত্রকে যে অস্বীকার করে, সে পিতাকে পায়নি; পুত্রকে যে স্বীকার করে, সে পিতাকে পেয়েছে।
24 দেখো, প্রথম থেকেই তোমরা যা শুনেছ, তা যেন তোমাদের অন্তরে থাকে। যদি তা থাকে, তোমরা পুত্রতে ও পিতাতে থাকবে।
25 আর আমাদের যা তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা হল অনন্ত জীবন। (aiōnios )
26 যারা তোমাদের বিপথে চালিত করতে সচেষ্ট, তাদেরই বিষয়ে আমি এসব কথা লিখছি।
27 তোমাদের বিষয়ে বলি, তাঁর কাছ থেকে যে অভিষেক তোমরা পেয়েছ তা তোমাদের মধ্যেই রয়েছে এবং আর কারও কাছ থেকে তোমাদের শিক্ষাগ্রহণের প্রয়োজন নেই। তাঁর সেই অভিষেক সব বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দেয় এবং সেই অভিষেক প্রকৃত, কৃত্রিম নয়। তাই এই অভিষেক তোমাদের যেমন শিক্ষা দিয়েছে, তোমরা তেমনই তাঁর মধ্যে থাকো।
28 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা এখন তাঁর মধ্যেই থাকো, যেন তাঁর আবির্ভাবকালে আমরা নিঃসংশয় থাকতে পারি এবং তাঁর আগমনের সময় তাঁর সাক্ষাতে যেন লজ্জিত না হই।
29 তিনি ধর্মময় তা যদি তোমরা জেনে থাকো, তাহলে একথাও জেনো, যারা ধর্মাচরণ করে তারা সবাই ঈশ্বর থেকে জাত।