< ২য় করিন্থীয় 5 >
1 ১ আমরা জানি যে, এই পৃথিবীতে যে তাঁবুতে বাস করি অর্থাৎ যে দেহে থাকি সেটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে ঈশ্বরের তৈরী আমাদের জন্য একটা ঘর আছে সেটি মানুষের হাতে তৈরী নয় কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী যা স্বর্গে আছে। (aiōnios )
2 ২ এই দৈহিক শরীরে আমরা যন্ত্রণায় চীত্কার করছি এবং সমস্ত অন্তকরণ দিয়ে ইচ্ছা করছি যে স্বর্গের সেই দেহ দিয়ে আমাদের ঢেকে দিক;
3 ৩ কারণ আমরা যখন সেটা পরব তখন আর উলঙ্গ থাকব না।
4 ৪ আর এটা সত্যি যে আমরা এই জীবনে কষ্ট পাচ্ছি ও যন্ত্রণায় চীত্কার করছি; কারণ আমরা বস্ত্র বিহীন হতে চাই না, কিন্তু সেই নতুন বস্ত্র পরতে চাই, যাতে মৃত্যুর অধীনে থাকা দেহ যেন জীবিত থাকা দেহে বদলে যায়।
5 ৫ যিনি আমাদের এই জন্য সৃষ্টি করেছেন তিনি হলেন ঈশ্বর, আর তিনি বায়না হিসাবে আমাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
6 ৬ সেইজন্য আমরা সবদিন সাহস করছি, আর আমরা জানি যে, যত দিন এই দেহে বাস করছি ততদিন প্রভুর থেকে দূরে আছি;
7 ৭ কারণ আমরা বিশ্বাসের মাধ্যমে চলাফেরা করি, যা দেখা যায় তার মাধ্যমে নয়।
8 ৮ সুতরাং আমাদের সাহস আছে এবং দেহের ঘর থেকে দূর হয়ে আমরা প্রভুর সঙ্গে বাস করা ভালো মনে করছি।
9 ৯ সেইজন্য আমাদের লক্ষ্য হলো, আমরা ঘরে বাস করি কিংবা প্রবাসী হই যেন, তাঁকেই খুশী করি।
10 ১০ কারণ অবশ্যই আমাদের সবাইকে খ্রীষ্টের বিচার আসনের সামনে হাজির হতে হবে, যেন এই দেহে থাকতে যা কিছু করেছি তা ভালো কাজ হোক বা খারাপ কাজ হোক সেই হিসাবে আমরা সবাই সেই মত ফল পাই।
11 ১১ অতএব প্রভুর ভয় যে কি সেটা জানাবার জন্য আমরা মানুষকে বোঝাবার চেষ্টা করছি। আমরা যে কি তা ঈশ্বর স্পষ্ট জানেন এবং আমার আশা তোমাদের বিবেকের কাছেও সেটা স্পষ্ট হয়ে আছে।
12 ১২ আমরা আবার তোমাদের কাছে নিজেদেরকে প্রশংসা করছি না কিন্তু তোমরা যেন আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারো তার জন্য কারণ দিচ্ছি, সুতরাং যারা হৃদয় দেখে নয় কিন্তু বাহির দেখে গর্ব করে, তোমরা যেন তাদেরকে উত্তর দিতে পারো।
13 ১৩ কারণ যদি আমরা হতবুদ্ধি হয়ে থাকি, তবে সেটা ঈশ্বরের জন্য; এবং যদি সুস্থ মনে থাকি তবে সেটা তোমাদের জন্যই।
14 ১৪ কারণ খ্রীষ্টের প্রেম আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে; কারণ আমরা ভাল করে বুঝেছি যে, একজন সবার জন্য মৃত্যুবরণ করলেন তাই সবাই মৃত্যুবরণ করল।
15 ১৫ আর খ্রীষ্ট সবার জন্য মৃত্যুবরণ করলেন, যেন, যারা বেঁচে আছে তারা আর নিজেদের জন্য নয় কিন্তু যিনি তাদের জন্য মৃত্যুবরণ করলেন ও উত্থাপিত হলেন তাঁরই জন্য বেঁচে থাকে।
16 ১৬ আর এই কারণে এখন থেকে আমরা আর কাউকেও মানুষের অনুসারে বিচার করি না; যদিও খ্রীষ্টকে একদিন মানুষের অনুসারে বিচার করেছিলাম, কিন্তু এখন আর কাউকে এই ভাবে বিচার করি না।
17 ১৭ সাধারণত, যদি কেউ খ্রীষ্টেতে থাকে, তবে সে নতুন ভাবে সৃষ্টি হয়েছে; তার পুরানো বিষয়গুলি শেষ হয়ে গেছে, দেখ, সেগুলি নতুন হয়ে উঠেছে।
18 ১৮ আর এই সবগুলি ঈশ্বর থেকেই হয়েছে; যিনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে আমাদের মিলন করলেন এবং অন্যদের সঙ্গে মিলন করার জন্য পরিচর্য্যার কাজ আমাদের দিয়েছেন;
19 ১৯ এর মানে হলো, ঈশ্বর খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে পৃথিবীর মিলন করছিলেন, তাদের পাপের ভুলগুলি আর তাদের বলে গণ্য করলেন না এবং সেই মিলনের সুখবর প্রচার করার দায়িত্ব আমাদের দিলেন।
20 ২০ সুতরাং খ্রীষ্টের রাজদূত হিসাবে আমরা তাঁর কাজ করছি; আর ঈশ্বর যেন আমাদের মাধ্যমে নিজেই তাঁর অনুরোধ করছেন, আমরা খ্রীষ্টের হয়ে এই বিনতি করছি যে তোমরাও ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হও।
21 ২১ যিনি পাপ জানেন না, সেই খ্রীষ্ট যীশুকে তিনি আমাদের পাপের সহভাগী হলেন, যেন আমরা খ্রীষ্টেতে ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতায় ধার্মিক হই।