< يَعقُوب 4 >
مِنْ أَيْنَ ٱلْحُرُوبُ وَٱلْخُصُومَاتُ بَيْنَكُمْ؟ أَلَيْسَتْ مِنْ هُنَا: مِنْ لَذَّاتِكُمُ ٱلْمُحَارِبَةِ فِي أَعْضَائِكُمْ؟ | ١ 1 |
তোমাদের মধ্যে কী কারণে সংঘর্ষ ও বিবাদ ঘটে? তোমাদের মধ্যে যেসব অভিলাষ যুদ্ধ করে সেসব থেকেই কি তার উৎস নয়?
تَشْتَهُونَ وَلَسْتُمْ تَمْتَلِكُونَ. تَقْتُلُونَ وَتَحْسِدُونَ وَلَسْتُمْ تَقْدِرُونَ أَنْ تَنَالُوا. تُخَاصِمُونَ وَتُحَارِبُونَ وَلَسْتُمْ تَمْتَلِكُونَ، لِأَنَّكُمْ لَا تَطْلُبُونَ. | ٢ 2 |
তোমরা কিছু পেতে চাও, কিন্তু তা পাও না। তোমরা হত্যা করো, লোভ করো, কিন্তু যা পেতে চাও, তা তোমরা পাও না। তোমরা বিবাদ করো ও সংঘর্ষে লিপ্ত হও। তোমরা ঈশ্বরের কাছে কিছু চাও না, তাই তোমরা পাও না।
تَطْلُبُونَ وَلَسْتُمْ تَأْخُذُونَ، لِأَنَّكُمْ تَطْلُبُونَ رَدِيًّا لِكَيْ تُنْفِقُوا فِي لَذَّاتِكُمْ. | ٣ 3 |
তোমরা যখন চাও, তখন তোমরা পাও না, কারণ তোমরা মন্দ উদ্দেশ্যে সেসব চেয়ে থাকো, যেন প্রাপ্ত বিষয়গুলি নিয়ে নিজেদের সুখাভিলাষের জন্য ব্যবহার করতে পারো।
أَيُّهَا ٱلزُّنَاةُ وَٱلزَّوَانِي، أَمَا تَعْلَمُونَ أَنَّ مَحَبَّةَ ٱلْعَالَمِ عَدَاوَةٌ لِلهِ؟ فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يَكُونَ مُحِبًّا لِلْعَالَمِ، فَقَدْ صَارَ عَدُوًّا لِلهِ. | ٤ 4 |
ব্যভিচারীর দল, তোমরা কি জানো না, জগতের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল ঈশ্বরের প্রতি ঘৃণার নিদর্শন? কোনো ব্যক্তি যদি জগতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে বেছে নেয়, সে ঈশ্বরের শত্রু হয়ে ওঠে।
أَمْ تَظُنُّونَ أَنَّ ٱلْكِتَابَ يَقُولُ بَاطِلًا: ٱلرُّوحُ ٱلَّذِي حَلَّ فِينَا يَشْتَاقُ إِلَى ٱلْحَسَدِ؟ | ٥ 5 |
তোমরা কি জানো না যে শাস্ত্র কী বলে? যে আত্মাকে তিনি আমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করতে দিয়েছেন, তিনি চান যেন তিনি শুধু তাঁরই হয়ে থাকেন। ঈশ্বর এই আত্মাকে আমাদের মধ্যে বসবাস করতে দিয়েছেন। তোমাদের কি মনে হয় না যে শাস্ত্রে একথা বলার এক কারণ আছে?
وَلَكِنَّهُ يُعْطِي نِعْمَةً أَعْظَمَ. لِذَلِكَ يَقُولُ: «يُقَاوِمُ ٱللهُ ٱلْمُسْتَكْبِرِينَ، وَأَمَّا ٱلْمُتَوَاضِعُونَ فَيُعْطِيهِمْ نِعْمَةً». | ٦ 6 |
কিন্তু তিনি আমাদের আরও বেশি অনুগ্রহ-দান করেন। এই কারণেই শাস্ত্র বলে: “ঈশ্বর অহংকারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নতনম্রদের অনুগ্রহ-দান করেন।”
فَٱخْضَعُوا لِلهِ. قَاوِمُوا إِبْلِيسَ فَيَهْرُبَ مِنْكُمْ. | ٧ 7 |
অতএব, তোমরা ঈশ্বরের বশ্যতাধীন হও। দিয়াবলের প্রতিরোধ করো, আর সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
اِقْتَرِبُوا إِلَى ٱللهِ فَيَقْتَرِبَ إِلَيْكُمْ. نَقُّوا أَيْدِيَكُمْ أَيُّهَا ٱلْخُطَاةُ، وَطَهِّرُوا قُلُوبَكُمْ يَا ذَوِي ٱلرَّأْيَيْنِ. | ٨ 8 |
ঈশ্বরের কাছে এসো, তিনিও তোমাদের কাছে আসবেন। পাপীরা, তোমরা তোমাদের হাত ধুয়ে ফেলো ও দ্বিধাগ্রস্ত ব্যক্তিরা, তোমরা তোমাদের অন্তর পরিশুদ্ধ করো।
ٱكْتَئِبُوا وَنُوحُوا وَٱبْكُوا. لِيَتَحَوَّلْ ضَحِكُكُمْ إِلَى نَوْحٍ، وَفَرَحُكُمْ إِلَى غَمٍّ. | ٩ 9 |
তোমরা দুঃখকাতর হও, শোক ও বিলাপ করো। তোমাদের হাসিকে কান্নায় ও আনন্দকে বিষাদে পরিবর্তন করো।
ٱتَّضِعُوا قُدَّامَ ٱلرَّبِّ فَيَرْفَعَكُمْ. | ١٠ 10 |
তোমরা প্রভুর কাছে নিজেদের নতনম্র করো, তিনিই তোমাদের উন্নীত করবেন।
لَا يَذُمَّ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُّهَا ٱلْإِخْوَةُ. ٱلَّذِي يَذُمُّ أَخَاهُ وَيَدِينُ أَخَاهُ يَذُمُّ ٱلنَّامُوسَ وَيَدِينُ ٱلنَّامُوسَ. وَإِنْ كُنْتَ تَدِينُ ٱلنَّامُوسَ، فَلَسْتَ عَامِلًا بِٱلنَّامُوسِ، بَلْ دَيَّانًا لَهُ. | ١١ 11 |
ভাইবোনেরা, তোমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে কুৎসা-রটনা থেকে দূরে থাকো। যে তার ভাইয়ের (বা বোনের) বিরুদ্ধে কথা বলে, কিংবা তার বিচার করে, সে বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলে ও তা বিচার করে। তোমরা যখন বিধানের বিচার করো, তোমরা তা আর পালন না করে তা নিয়ে বিচার করতে বসো।
وَاحِدٌ هُوَ وَاضِعُ ٱلنَّامُوسِ، ٱلْقَادِرُ أَنْ يُخَلِّصَ وَيُهْلِكَ. فَمَنْ أَنْتَ يَا مَنْ تَدِينُ غَيْرَكَ؟ | ١٢ 12 |
বিধানদাতা ও বিচারক কেবলমাত্র একজনই যিনি রক্ষা বা ধ্বংস উভয়ই করতে সক্ষম। কিন্তু তুমি, তুমি কে যে, তোমার প্রতিবেশীর বিচার করো?
هَلُمَّ ٱلْآنَ أَيُّهَا ٱلْقَائِلُونَ: «نَذْهَبُ ٱلْيَوْمَ أَوْ غَدًا إِلَى هَذِهِ ٱلْمَدِينَةِ أَوْ تِلْكَ، وَهُنَاكَ نَصْرِفُ سَنَةً وَاحِدَةً وَنَتَّجِرُ وَنَرْبَحُ». | ١٣ 13 |
এখন শোনো, তোমরা যারা বলে থাকো, “আজ বা আগামীকাল আমরা এই নগরে বা ওই নগরে যাব, সেখানে এক বছর থাকব, ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করব।”
أَنْتُمُ ٱلَّذِينَ لَا تَعْرِفُونَ أَمْرَ ٱلْغَدِ! لِأَنَّهُ مَا هِيَ حَيَاتُكُمْ؟ إِنَّهَا بُخَارٌ، يَظْهَرُ قَلِيلًا ثُمَّ يَضْمَحِلُّ. | ١٤ 14 |
কেন, তোমরা তা জানোই না যে আগামীকাল কী ঘটবে! তোমাদের জীবন কী ধরনের? তোমরা তো কুয়াশার মতো, যা সামান্য সময়ের জন্য দেখা দিয়েই মিলিয়ে যায়।
عِوَضَ أَنْ تَقُولُوا: «إِنْ شَاءَ ٱلرَّبُّ وَعِشْنَا نَفْعَلُ هَذَا أَوْ ذَاكَ». | ١٥ 15 |
বরং তোমাদের বলা উচিত, “যদি প্রভুর ইচ্ছা হয়, আমরা বেঁচে থেকে এ কাজ বা ও কাজ করব।”
وَأَمَّا ٱلْآنَ فَإِنَّكُمْ تَفْتَخِرُونَ فِي تَعَظُّمِكُمْ. كُلُّ ٱفْتِخَارٍ مِثْلُ هَذَا رَدِيءٌ. | ١٦ 16 |
কিন্তু যেমন দেখা যাচ্ছে, তোমরা দম্ভ ও বড়াই করছ। এ ধরনের সমস্ত গর্ব হল মন্দ বিষয়।
فَمَنْ يَعْرِفُ أَنْ يَعْمَلَ حَسَنًا وَلَا يَعْمَلُ، فَذَلِكَ خَطِيَّةٌ لَهُ. | ١٧ 17 |
তাহলে, সৎকর্ম করতে জেনেও যে তা করে না, সে পাপ করে।