< عَامُوس 5 >
اِسْمَعُوا هَذَا ٱلْقَوْلَ ٱلَّذِي أَنَا أُنَادِي بِهِ عَلَيْكُمْ، مَرْثَاةً يَا بَيْتَ إِسْرَائِيلَ: | ١ 1 |
ওহে ইস্রায়েল কুল, তোমরা এই বাণী শোনো। এই বিলাপ-গীতি আমি তোমাদের সম্পর্কে করতে চলেছি:
«سَقَطَتْ عَذْرَاءُ إِسْرَائِيلَ. لَا تَعُودُ تَقُومُ. ٱنْطَرَحَتْ عَلَى أَرْضِهَا لَيْسَ مَنْ يُقِيمُهَا». | ٢ 2 |
“কুমারী-ইস্রায়েল পতিত হয়েছে, সে আর কখনও উঠতে পারবে না; সে তার নিজের দেশেই পরিত্যক্ত হয়েছে, তাকে তুলে ধরার জন্য কেউই নেই।”
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ: «ٱلْمَدِينَةُ ٱلْخَارِجَةُ بِأَلْفٍ، يَبْقَى لَهَا مِئَةٌ، وَٱلْخَارِجَةُ بِمِئَةٍ يَبْقَى لَهَا عَشَرَةٌ مِنْ بَيْتِ إِسْرَائِيلَ». | ٣ 3 |
সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা ইস্রায়েলকে বলেন: “তোমার নগরের লোকেরা সহস্র হয়ে সমরাভিযান করে, তাদের কেবলমাত্র শতজন অবশিষ্ট থাকবে; তোমার নগর একশত জন হয়ে যুদ্ধযাত্রা করে, তারা কেবলমাত্র দশজন অবশিষ্ট থাকবে।”
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ لِبَيْتِ إِسْرَائِيلَ: «ٱطْلُبُوا فَتَحْيَوْا. | ٤ 4 |
সদাপ্রভু এই কথা ইস্রায়েলকে বলেন: “আমার অন্বেষণ করো ও বাঁচো;
وَلَا تَطْلُبُوا بَيْتَ إِيلَ، وَإِلَى ٱلْجِلْجَالِ لَا تَذْهَبُوا، وَإِلَى بِئْرَ سَبْعٍ لَا تَعْبُرُوا. لِأَنَّ ٱلْجِلْجَالَ تُسْبَى سَبْيًا، وَبَيْتَ إِيلَ تَصِيرُ عَدَمًا». | ٥ 5 |
বেথেলের অন্বেষণ কোরো না, তোমরা গিল্গলে যেয়ো না, বের-শেবা পর্যন্ত যাত্রা কোরো না। কারণ গিল্গল অবশ্যই নির্বাসিত হবে, বেথেল অসার প্রতিপন্ন হবে।”
اُطْلُبُوا ٱلرَّبَّ فَتَحْيَوْا لِئَلَّا يَقْتَحِمَ بَيْتَ يُوسُفَ كَنَارٍ تُحْرِقُ، وَلَا يَكُونُ مَنْ يُطْفِئُهَا مِنْ بَيْتِ إِيلَ. | ٦ 6 |
তোমরা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করো ও বাঁচো, নইলে, তিনি আগুনের মতো যোষেফের কুল বিনষ্ট করবেন, তা তাকে গ্রাস করবে, আর তা নির্বাপিত করার জন্য বেথেলে কেউই থাকবে না।
يَا أَيُّهَا ٱلَّذِينَ يُحَوِّلُونَ ٱلْحَقَّ أَفْسَنْتِينًا، وَيُلْقُونَ ٱلْبِرَّ إِلَى ٱلْأَرْضِ. | ٧ 7 |
তোমরা যারা ন্যায়বিচারকে তিক্ততায় পরিণত করো, ও ধার্মিকতাকে ভূমিতে নিক্ষেপ করো,
اَلَّذِي صَنَعَ ٱلثُّرَيَّا وَٱلْجَبَّارَ، وَيُحَوِّلُ ظِلَّ ٱلْمَوْتِ صُبْحًا، وَيُظْلِمُ ٱلنَّهَارَ كَٱللَّيْلِ. ٱلَّذِي يَدْعُو مِيَاهَ ٱلْبَحْرِ وَيَصُبُّهَا عَلَى وَجْهِ ٱلْأَرْضِ، يَهْوَهُ ٱسْمُهُ. | ٨ 8 |
যিনি কৃত্তিকা ও কালপুরুষ নক্ষত্রমণ্ডলী নির্মাণ করেছেন, যিনি মধ্য রাত্রিকে প্রভাতে পরিণত করেন ও দিনকে রাতের মতো অন্ধকারময় করেন, যিনি সমুদ্রের জলরাশিকে আহ্বান করেন ও ভূপৃষ্ঠের উপরে তাদের ঢেলে দেন— সদাপ্রভু তাঁর নাম।
ٱلَّذِي يُفْلِحُ ٱلْخَرِبَ عَلَى ٱلْقَوِيِّ، فَيَأْتِي ٱلْخَرِبُ عَلَى ٱلْحِصْنِ. | ٩ 9 |
তিনি দৃঢ় দুর্গের উপরে দ্রুত সর্বনাশ নামিয়ে আনেন ও সুরক্ষিত নগরীকে ধ্বংস করে থাকেন,
إِنَّهُمْ فِي ٱلْبَابِ يُبْغِضُونَ ٱلْمُنْذِرَ، وَيَكْرَهُونَ ٱلْمُتَكَلِّمَ بِٱلصِّدْقِ. | ١٠ 10 |
তোমরা তাকে ঘৃণা করো, যে ন্যায়ালয়ে তিরস্কার করে ও যে সত্যিকথা বলে, তাকে অবজ্ঞা করো।
لِذَلِكَ مِنْ أَجْلِ أَنَّكُمْ تَدُوسُونَ ٱلْمِسْكِينَ، وَتَأْخُذُونَ مِنْهُ هَدِيَّةَ قَمْحٍ، بَنَيْتُمْ بُيُوتًا مِنْ حِجَارَةٍ مَنْحُوتَةٍ وَلَا تَسْكُنُونَ فِيهَا، وَغَرَسْتُمْ كُرُومًا شَهِيَّةً وَلَا تَشْرَبُونَ خَمْرَهَا. | ١١ 11 |
তোমরা দরিদ্রদের পদদলিত করো ও জোর করে তাদের কাছ থেকে শস্য কেড়ে নাও। তাই, তোমরা যদিও পাথরের অট্টালিকা নির্মাণ করেছ, তোমরা সেগুলির মধ্যে বসবাস করতে পারবে না; তোমরা যদিও রম্য দ্রাক্ষাকুঞ্জ রোপণ করেছ, তা থেকে উৎপন্ন দ্রাক্ষারস তোমরা পান করতে পারবে না।
لِأَنِّي عَلِمْتُ أَنَّ ذُنُوبَكُمْ كَثِيرَةٌ وَخَطَايَاكُمْ وَافِرَةٌ أَيُّهَا ٱلْمُضَايِقُونَ ٱلْبَارَّ، ٱلْآخِذُونَ ٱلرَّشْوَةَ، ٱلصَّادُّونَ ٱلْبَائِسِينَ فِي ٱلْبَابِ. | ١٢ 12 |
কারণ আমি তোমাদের অপরাধের মাত্রা ও তোমাদের পাপসকল কত ব্যাপক, তা জানি। তোমরা ধার্মিক ব্যক্তিকে নিপীড়ন করো ও ঘুস নাও, তোমরা ন্যায়ালয়ে দরিদ্রদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করো।
لِذَلِكَ يَصْمُتُ ٱلْعَاقِلُ فِي ذَلِكَ ٱلزَّمَانِ لِأَنَّهُ زَمَانٌ رَدِيءٌ. | ١٣ 13 |
সেই কারণে বিচক্ষণ মানুষ এসব সময়ে চুপ করে থাকে, কারণ সময় সব মন্দ।
اُطْلُبُوا ٱلْخَيْرَ لَا ٱلشَّرَّ لِكَىْ تَحْيَوْا، فَعَلَى هَذَا يَكُونُ ٱلرَّبُّ إِلَهُ ٱلْجُنُودِ مَعَكُمْ كَمَا قُلْتُمْ. | ١٤ 14 |
তোমরা মঙ্গলের অন্বেষণ করো, মন্দের নয়, যেন তোমরা বাঁচতে পারো। তখন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে থাকবেন, যেমন তোমরা বলে থাকো যে তিনি থাকেন।
اُبْغُضُوا ٱلشَّرَّ، وَأَحِبُّوا ٱلْخَيْرَ، وَثَبِّتُوا ٱلْحَقَّ فِي ٱلْبَابِ، لَعَلَّ ٱلرَّبَّ إِلَهَ ٱلْجُنُودِ يَتَرَاءَفُ عَلَى بَقِيَّةِ يُوسُفَ. | ١٥ 15 |
তোমরা মন্দকে ঘৃণা করো, উত্তমতাকে ভালোবাসো; ন্যায়ালয়ে ন্যায়বিচার রক্ষা করো। হয়তো সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সদাপ্রভু, যোষেফের অবশিষ্টাংশের উপরে করুণা করবেন।
لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ إِلَهُ ٱلْجُنُودِ: «فِي جَمِيعِ ٱلْأَسْوَاقِ نَحِيبٌ، وَفِي جَمِيعِ ٱلْأَزِقَّةِ يَقُولُونَ: آهِ! آهِ! وَيَدْعُونَ ٱلْفَلَّاحَ إِلَى ٱلنَّوْحِ، وَجَمِيعَ عَارِفِي ٱلرِّثَاءِ لِلنَّدْبِ. | ١٦ 16 |
অতএব প্রভু, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “সমস্ত পথে পথে শোকবিলাপ হবে, প্রত্যেক চকে প্রকাশ্যে মনস্তাপের কান্না শোনা যাবে। কৃষকদের কাঁদবার জন্য তলব করা হবে, বিলাপকারীদের বিলাপ করার জন্য ডাকা হবে।
وَفِي جَمِيعِ ٱلْكُرُومِ نَدْبٌ، لِأَنِّي أَعْبُرُ فِي وَسَطِكَ، قَالَ ٱلرَّبُّ». | ١٧ 17 |
সমস্ত দ্রাক্ষাকুঞ্জে সেদিন বিলাপ করা হবে, কারণ আমি তোমাদের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
وَيْلٌ لِلَّذِينَ يَشْتَهُونَ يَوْمَ ٱلرَّبِّ! لِمَاذَا لَكُمْ يَوْمُ ٱلرَّبِّ؟ هُوَ ظَلَامٌ لَا نُورٌ. | ١٨ 18 |
ধিক্ তোমাদের, যারা সদাপ্রভুর দিনের অপেক্ষায় থাকো! কেন তোমরা সদাপ্রভুর দিনের অপেক্ষায় থাকো? সেদিন হবে অন্ধকারের, আলোর নয়।
كَمَا إِذَا هَرَبَ إِنْسَانٌ مِنْ أَمَامِ ٱلْأَسَدِ فَصَادَفَهُ ٱلدُّبُّ، أَوْ دَخَلَ ٱلْبَيْتَ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى ٱلْحَائِطِ فَلَدَغَتْهُ ٱلْحَيَّةُ! | ١٩ 19 |
তা এইরকম হবে, কেউ যেন সিংহ থেকে পালিয়ে বাঁচল তো গিয়ে ভালুকের সামনে পড়ল, অথবা বাড়িতে প্রবেশ করল আর দেওয়ালে হাত রাখল, তখন সাপ তাকে দংশন করল।
أَلَيْسَ يَوْمُ ٱلرَّبِّ ظَلَامًا لَا نُورًا، وَقَتَامًا وَلَا نُورَ لَهُ؟ | ٢٠ 20 |
সদাপ্রভুর দিন কি আলো, তা অন্ধকার কি হবে না— তা হবে গাঢ় অন্ধকার, আলোর রেশও কি কোথাও থাকবে?
«بَغَضْتُ، كَرِهْتُ أَعْيَادَكُمْ، وَلَسْتُ أَلْتَذُّ بِٱعْتِكَافَاتِكُمْ. | ٢١ 21 |
“আমি তোমাদের ধর্মীয় উৎসবগুলি ঘৃণা করি, অগ্রাহ্য করি; তোমাদের সভাগুলি আমি সহ্য করতে পারি না।
إِنِّي إِذَا قَدَّمْتُمْ لِي مُحْرَقَاتِكُمْ وَتَقْدِمَاتِكُمْ لَا أَرْتَضِي، وَذَبَائِحَ ٱلسَّلَامَةِ مِنْ مُسَمَّنَاتِكُمْ لَا أَلْتَفِتُ إِلَيْهَا. | ٢٢ 22 |
তোমরা যদিও আমার কাছে হোমবলি ও শস্য-নৈবেদ্যগুলি উপস্থিত করো, আমি সেগুলি গ্রহণ করব না। তোমরা যদিও নধর পশুর মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করো, আমি সেগুলি চেয়েও দেখব না।
أَبْعِدْ عَنِّي ضَجَّةَ أَغَانِيكَ، وَنَغْمَةَ رَبَابِكَ لَا أَسْمَعُ. | ٢٣ 23 |
তোমাদের গানবাজনার শব্দ দূর করো! আমি তোমাদের বীণার ঝংকার শুনতে চাই না।
وَلْيَجْرِ ٱلْحَقُّ كَٱلْمِيَاهِ، وَٱلْبِرُّ كَنَهْرٍ دَائِمٍ. | ٢٤ 24 |
কিন্তু ন্যায়বিচার নদীর মতো প্রবাহিত হোক, ধার্মিকতা কখনও শুকিয়ে না যাওয়া স্রোতের মতো হোক!
«هَلْ قَدَّمْتُمْ لِي ذَبَائِحَ وَتَقْدِمَاتٍ فِي ٱلْبَرِّيَّةِ أَرْبَعِينَ سَنَةً يَا بَيْتَ إِسْرَائِيلَ؟ | ٢٥ 25 |
“হে ইস্রায়েলের কুল, তোমরা কি মরুভূমিতে চল্লিশ বছর, আমার কাছে বিভিন্ন বলিদান ও নৈবেদ্য নিয়ে এসেছিলে?
بَلْ حَمَلْتُمْ خَيْمَةَ مَلْكُومِكُمْ، وَتِمْثَالَ أَصْنَامِكُمْ، نَجْمَ إِلَهِكُمُ ٱلَّذِي صَنَعْتُمْ لِنُفُوسِكُمْ. | ٢٦ 26 |
না, তোমরা বরং তোমাদের রাজা সিক্কুৎ ও কীয়ুন নামের প্রতিমাদের, তোমাদের দেবতাদের তারা— যা নিজেদের জন্য নির্মাণ করেছিলে, তাই তুলে বহন করেছিলে।
فَأَسْبِيكُمْ إِلَى مَا وَرَاءَ دِمَشْقَ، قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهُ ٱلْجُنُودِ ٱسْمُهُ». | ٢٧ 27 |
তাই আমি তোমাদের দামাস্কাসের ওপারে নির্বাসিত করব,” বলেন সদাপ্রভু, যাঁর নাম সর্বশক্তিমান ঈশ্বর।